দেশবাসীকে অনুরোধ করতে চাই, যদি কারও কাছে এমন কোনো তথ্য থাকে যে, কেউ নাশকতা করবে বা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাহলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করবেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। যারা আমাদের নাশকতার বিষয়ে এবং নাশকতাকারীদের তথ্য দেবেন তাদের পরিচয় আমরা গোপন রাখবো এবং তাদেরকে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করবো। এ পুরস্কার তথ্যের মাত্রা ভেদে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছ। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। অফিসারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট প্রয়োগ করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশ রাখতেও পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচন কালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সবরকম সহিংসতা রুখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে আমি যশোরবাসী ও দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট প্রয়োগ করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
অর্থসংবাদ/কাফি