পশুরহাট, কুমারীসহ দেশের ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন রকমের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম পরিবর্তন করেছেন সরকার। নরসিংদীর দুটি ও চুয়াডাঙ্গা জেলার নয়টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সোমবার (১ জানুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার ‘কুকুরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। রায়পুরা উপজেলার ‘আদিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘ড. মনিরুজ্জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ‘মরহুম ডা. মোকছেদ আলী মুন্সীগঞ্জ পশুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘ডা. মোকছেদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘বটিয়াপাড়া শিয়ালমারী এজি বালিকা বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আব্দুল গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
‘ভোদুয়া সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘ভোদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’; ‘বড়বোয়ালিয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বড়বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, ‘ভোগাইল বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘ভোগাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
পরিবর্তন করা হয়েছে হারদী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম। বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বালিকা’ শব্দটি। ‘কুমারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণপাড়া প্রতিভা বিকাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
এছাড়া জীবননগর উপজেলার ‘জীবননগর থানা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ও ‘আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আন্দুলবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট তিনটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ অনুযায়ী এ নামকরণ সংক্রান্ত এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কাফি