বছরের প্রথম দিনই বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির সভা ছিল। এই সভায় বাফুফের এলিট একাডেমীর একাংশ ফুটবলারদের বেতন বৃদ্ধি এবং গত বছর এএফসি’র অর্থায়নে যারা কোচ ছিলেন তাদেরই চলতি বছর রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাফুফের এলিট একাডেমীর ফুটবলাররা গত বছর মাসিক ৬ হাজার টাকা করে একটি সম্মানী পেতেন। একাডেমীর ১০ জন ফুটবলার নিলামে উঠেছিলেন। সেই নিলামে উঠা ফুটবলারদেরই শুধু বেতন বৃদ্ধি করে ১০ হাজার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের সভায়। নিলামে উঠা ফুটবলারদের সবাই প্রিমিয়ার লিগে কোনো না কোনো ক্লাবের সঙ্গে রয়েছেন। এরপরও কেন তাদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এই প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের ব্যাখ্যা, ‘নিলামে যারা উঠেছিলেন তাদের সঙ্গে ২০২৫ পর্যন্ত বাফুফের চুক্তি এবং ২০২৪ সালে বেতন বৃদ্ধির শর্তও রয়েছে। সেই আলোকে তাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন নেয়া হয়েছে।’
নিলামে উঠা ফুটবলাররা ক্লাব থেকে অর্থ পেয়েছেন (ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছাড়া)। তাদের অর্থ ফেডারেশন থেকে আবার বাড়িয়ে অন্যদের সাথে বৈষম্যের পর্যায় পড়ছে। এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের ৬০ জনের বেশি আবাসন ব্যবস্থা নেই। এই ১০ জন ছাড়া বাকি যারা রয়েছে তাদের এবং চলমান একাডেমী কাপে বাছাইকৃত মেধাবীদের মধ্যে থেকে বিদেশি কোচ খেলোয়াড় চূড়ান্ত করবেন। আমরা তাদের সম্মানী বাড়ানোর উদ্যোগ নেব।’ সভা সূত্রের খবর, ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড়দের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করেনি এবং ফুটবলারদের ক্লাবের অনুশীলনে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
এএফসি’র অর্থায়নে গত বছর বাফুফের অধীনে যারা ছিলেন তাদের নামই আজ পুনরায় অনুমোদন হয়েছে। বাফুফের একাডেমীতে দেশীয় কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন রাশেদ আহমেদ পাপ্পু। বিদেশি কোচের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন ইংরেজীতে দক্ষ এমন কোচিং স্টাফ পরবর্তীতে বেছে নেবে ফেডারেশন।
বছরের প্রথম দিন ডেভেলপমেন্ট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে অনলাইনে। কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন। কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান মুহতাসিম ওমর সভাপতিত্ব করেন।