শিল্প-বাণিজ্য
চার মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় ১৫১ কোটি টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি টাকা বেশি। বন্দর দিয়ে জিরাসহ অধিক শুল্ক পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে বলে মনে করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। পরের মাস আগস্টে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। মাসটিতে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। অক্টোবরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরো কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকায়।
এ চার মাসে হিলি স্থলবন্দরে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। গত বছরের জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৫২ টন ছিল জিরা। চলতি বছর জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টনে, যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮ টন ছিল জিরা। পণ্য আমদানির পরিমাণ কমলেও শুল্কহার বাড়ায় রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে।
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের কর্মকর্তা বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি এনবিআর। তার পরও আমরা চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। গত বছরের তুলনায় ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব এসেছে।
তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের মূল পণ্য জিরা। এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে। তবে এনবিআর জিরা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণের মতো বাড়িয়েছে। আগে প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার করা হয়েছে। এ কারণে জিরা আমদানি অনেক কমে এসেছে। তবে আমদানি কমলেও শুল্কায়ন মূল্য বাড়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলে এবং জিরা, পাথরসহ যেসব পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আছে, সেসব পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডলার সংকট কেটে গেলে আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারবে। তখন পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকরের প্রস্তুতি

পোশাক খাতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কারখানা মালিকেরা। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক স্পষ্টীকরণ বিবৃতিতে এই প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। বিবৃতিতে তিনি মজুরি বোর্ডের স্বাধীন কার্যক্রম ও গ্রেডভিত্তিক মজুরির ঘোষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন। মজুরি নির্ধারণে মালিক পক্ষের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না থাকার কথা জানান তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, শ্রম আইনে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও বাস্তবে কারখানাগুলো যোগ্য শ্রমিকদের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে নূন্যতম পরিমাণের চেয়েও বেশি, উচ্চতর ইনক্রিমেন্ট দিয়ে থাকে। এর বাইরেও মোট মজুরি কাঠামোর মধ্যে বিভিন্ন ভাতা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে হাজিরা ভাতা, উৎপাদন ভাতা, বিনামূল্যে কিংবা ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবার, বিনা মূল্যের নাশতা। অনেক কারখানা বিনা মূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে মহিলা শ্রমিকদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে। কিছু কারখানা আবার অন্তঃসত্ত্বা নারী শ্রমিকদের দুধ এবং ডিমসহ অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে, ফলিক অ্যাসিডের পরিপূরক বিতরণ করে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা করে। কিছু কারখানা শ্রমিকদের শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে স্কুল, ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করে। চিকিৎসা, বিবাহ ইত্যাদির জন্য বিশেষ সহায়তাসহ আরও শিল্পে অসংখ্য সেরা অনুশীলনের দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পখাত হলো ৪০ লাখ শ্রমিকের একটি শিল্প, যার ওপর সরাসরিভাবে ২ কোটি মানুষের জীবনজীবিকা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের অর্থনীতি এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতি ও দেশের আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির পরিপূরক। তাই এই শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের, তাদের পরিবার এবং বৃহত্তর অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফারুক হাসান বলেন, যদিও পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করছে, তারপরও আমরা প্রায়শই শিল্পবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন ও বিভ্রান্তিপূর্ণ উপস্থাপন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হই। এমনকি বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিগুলো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে, এগুলোর প্রভাব সব সময় শ্রমিকদের পক্ষে না-ও যেতে পারে, তবে আমরা একসঙ্গে যাত্রার পথ প্রশস্ত করে চলতে চাই। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর উচিত হবে শিল্পের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, শিল্পের উৎপাদন ব্যয় এবং মূল্যের গতিশীলতা এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পোশাক উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশে তুলনামূলক মজুরি বৃদ্ধির বিষয়গুলো আমলে নেওয়া। এর বিপরীতে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি পণ্যের দাম কমে আসার তথ্য তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ফের আইবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান হলেন আবদুল মাতলুব

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নিটল মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির আগামী দুই বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) আইবিসিসিআই নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনি বোর্ডের অপর দুই সদস্য ছিলেন, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মো. কোহিনুর ইসলাম। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। একইসঙ্গে এইচএসটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও কনসাল কোরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম শোয়েব চৌধুরী এবং সান ফার্মাসিউটিক্যালস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সঞ্জয় বসুকে চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আইবিসিসিআই ২৪ সদস্যের নতুন পর্ষদে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড অমিত কুমার সংগঠনটির মহাসচিব, কোয়ালিটি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহেদ যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সিস্টেম টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সুলতান আহমেদ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও ফতুল্লা স্টিল রি-রোলিং মিলসের মোহাম্মদ আলী, বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মো. বজলুর রহমান, ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের ফারখুন্দা জাবীন খান, মেসার্স শারোথি এন্টারপ্রাইজের মতিয়ার রহমান, ব্রিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেডের বুধাদিত্য মুখার্জি, আয়ন এক্সচেঞ্জ এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের মো. জুলফিকার শেখ এবং এজিওন ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেডের অজিত কুমার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

সংগঠনটির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের এসকে মাহফুজ হামিদ, অরবিন্দ লিমিটেডের অনিল কুমার, অ্যাক্সিস ব্যাংক লিমিটেডের সুমিত গোস্বামী, ডাবর বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের বিশ্বজিৎ কুমার দাস, অ্যাগ্রো টেক ফুডস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের পিংকু রায়, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেডের সুব্রত দত্ত গুপ্ত, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি-এর মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এমকেকে লজিস্টিকসের রবিউল আলম, টরসিড বাংলাদেশ লিমিটেডের অমিত কুমার তিওয়ারি এবং ভেনক্রিস এনার্জি লিমিটেডের মুলে ভেঙ্কটারত্ন রেড্ডি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ৯১ শতাংশই তৈরি পোশাক

যুক্তরাজ্যের বাজারে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর মোট রপ্তানির ৯১ শতাংশই তৈরি পোশাক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আরো জানান, পোশাক ছাড়াও সম্ভাবনা আছে টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলের।
এ ছাড়া কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে আমরা যদি সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগাতে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই।
মাহবুবুল আলম বলেন, ‘পোশাকশিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরো কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’ এ সময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

দেশে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) আন্তর্জাতিক মেলা। আগামী ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
তিন দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে ২ ডিসেম্বর, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানিয়েছেন মেলার আইটি ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সাব-কমিটির আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন খান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহকাবের প্রেসিডেন্ট সায়েম উল হক, মহাসচিব মোহাম্মদ আফতাব আলম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২১৫টি কোম্পানির ৫৮০টি স্টল থাকবে। মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জার্মানি, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।
মেলায় এ্যানিমেল হেলথ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরণাদি উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া এই মেলায় দেশের মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সমস্যা ও এর প্রতীকার, কারিগরি উন্নয়ন, নিরাপদ আমিষের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। এছাড়াও এ মেলাতে পোষা প্রাণির রোগ নিরাময় ও লালন পালনের বিবিধ তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাজারে এলো বাজাজ পালসারের ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল

দেশে প্রথমবারের মতো ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল লঞ্চ করেছে বাংলাদেশে বাজাজ মোটরসাইকেলের নির্মাতা ও পরিবেশক উত্তরা মোটরস। সোমবার (২৭ নভেম্বর) লঞ্চ করা হয় পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলটি।
৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাচ্ছে তিনটি ভিন্ন রঙে।
২৫০ সিসির অয়েল কুলড ইঞ্জিন সম্বলিত মোটরসাইকেলটিতে ডুয়েল চ্যানেল অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে মোটরসাইকেলটি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রধান নাঈমুর রহমান, বাজাজ অটো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিভিশন ম্যানেজার সমীর মারদিকারসহ বিপুল সংখ্যক উৎসাহী।

কয়েক মাস আগে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ১৬৫ এর চেয়ে উচ্চতর সিসির ইঞ্জিন সম্বলিত মোটরসাইকেল বিক্রির অনুমতি দেয় সরকার।
এরপর অক্টোবর থেকে সড়কে ৩৭৫ সিসির মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে সেক্ষেত্রেও মোটরসাইকেলগুলো দেশে উৎপাদিত হতে হবে।
বাজাজের পর এবার অন্য ব্র্যান্ডগুলোও উচ্চতর সিসির মোটরসাইকেল নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।