অর্থনীতি
জলবায়ুবিষয়ক কাজে বড় অঙ্কের ডলার সংগ্রহের সুযোগ

বাংলাদেশের সামনে জলবায়ুবিষয়ক বিভিন্ন কাজের জন্য মধ্য মেয়াদে ১ হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। বাজেটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান, কার্বন কর আরোপ এবং বৈদেশিক ও দেশীয় বিনিয়োগ আনার মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে। এ জন্য যথাযথ নীতি-পদক্ষেপ নিতে হবে। আর কাঁচামাল সংগ্রহ, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও পণ্য সরবরাহ—সব পর্যায়ই হতে হবে পরিবেশবান্ধব। এতে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশই উপকৃত হবে। তবে তা করতে গেলে শিগগির এ–সংক্রান্ত গতিশীল কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
ঢাকার একটি হোটেলে রোববার ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপন এবং দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ মেলার উদ্বোধনী দিনে ‘গ্রিন ভ্যালু চেইন’ শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে দেশে সামগ্রিক পণ্য ও পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতি জোর দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের উন্নয়নপ্রক্রিয়াকে পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব করাই ছিল অধিবেশনটির আলোচ্য বিষয়। সংগঠনটির ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গ্রিন ভ্যালু চেইন বিষয়ে আয়োজিত অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের কো-চেয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের উপাচার্য ইমরান রহমান। ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার ছিলেন সঞ্চালক।
ইমরান রহমান তাঁর প্রবন্ধে জলবায়ু খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও পানির লবণাক্ততা বাড়ছে। অন্যদিকে কৃষিজমি কমছে, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে, নদীভাঙন হচ্ছে, শহরে বস্তিবাসী বাড়ছে এবং প্রাণহানি ঘটছে।
পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বেশি খরচ হয় বলে যে দাবি করা হয়, তা আসলে খরচ নয় বরং বিনিয়োগ বলে প্রবন্ধে মন্তব্য করা হয়। বলা হয়, সার্বিকভাবে পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করসুবিধাও থাকা দরকার।

মূল প্রবন্ধে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় এবং কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি এবং পরিবেশ–সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তহবিল বরাদ্দের কথাও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ শুরুতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কোমল পানীয়র বোতলগুলো যদি কাচের হয়, সেটাই হবে একটা বড় পরিবর্তন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) উদ্যোগেই সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক বিদায় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি সংস্থাটিকে এ ব্যাপারেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ইউএনডিপির আঞ্চলিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাচ্ছে, সেহেতু এ দেশের সব পর্যায়েই পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা তৈরি করা আরও বেশি দরকার।
সবুজ ও সমৃদ্ধ পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জনাব আজাদ বলেন, গবেষক, এফবিসিসিআই, এফআইসিসিআইসহ সবাইকে বসে একটা নীতিমালা করতে হবে।
বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) চেয়ারপারসন নিহাদ কবির বলেন, ‘একটি পণ্য বাজারজাত ও বিক্রি করার পর এর ব্যবহার নিয়ে আমরা সজাগ থাকি না, যা কিছু কিছু পরিবেশদূষণকারী বর্জ্যে পরিণত হয়। গুণগত মান রক্ষা করে পণ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সদস্য মোহসিনা ইয়াসমিন জানান, তাঁর সংস্থার জলবায়ু–সম্পর্কিত কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এ ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতায় একটা বিনিয়োগ পলিসি প্রণয়নের কাজ চলছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, সব পর্যায়কে পরিবেশবান্ধব করা আসলে খরচই। তখনই তা বিনিয়োগ হবে, যখন পণ্যের ক্রেতারা বাড়তি মূল্য পরিশোধ করবেন, সরকার প্রণোদনা দেবে এবং জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলো প্রতিশ্রুত অর্থ দেবে।
পরিবেশগত টেকসই অবস্থার জন্য তিনটি জিনিস দরকার বলে মনে করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান। এগুলো হচ্ছে বিনিয়োগ ও ঝুঁকি গ্রহণের তৃষ্ণা, উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা এবং গ্রাহকদের জন্য সহায়ক–নীতির উদ্যোগ।
হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে আয়োজিত এফআইসিসিআইয়ের বিনিয়োগ মেলায় ৪০টি স্টল রয়েছে। ৩৫টি দেশের দুই শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত, যা আজ সোমবার শেষ হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমলো ১২০ মিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার কমেছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ২২ নভেম্বর ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলার মেনে রিজার্ভের তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
কিন্তু, বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় রিজার্ভ কমতে শুরু করে এবং তা অব্যাহত আছে। ফলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত ১ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ বিলিয়নের বেশি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারা আরও জানিয়েছে, প্রতি কার্যদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংক তার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে গড়ে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি ব্যয় পরিশোধের জন্য বেশিরভাগ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মার্কিন ডলারের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
করযোগ্য আয় করেন ৬৫-৭০ লাখ, রিটার্ন আসে অর্ধেক

বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আমাদের ধারণা ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসা উচিত। আমরা পাচ্ছি তার অর্ধেক। অর্থাৎ কর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তিদের করজালে আওতায় আনতে পারলে আয়কর রিটার্ন জমা ৫০ শতাংশের বেশি উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস- ২০২৩ উপলক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাল্টিপারপাস হলে ‘নতুন আয়কর আইন এবং কর পরিপালন: পরিবর্তিত প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য উঠে আসে।
সেমিনারে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করনীতি বিভাগের সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ।
সেমিনারে বলা হয়, কর পরিপালন বিষয়ে করদাতার আচরণ পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন তত্ত্বের আবির্ভাব হয়েছে। করদাতা ও রাজস্ব প্রশাসনের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে করসেবা উন্নততর করা সম্ভব। রাজস্ব প্রশাসনের কী কী আচরণের ফলশ্রুতিতে একজন করদাতার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজস্ব প্রশাসন ও করদাতার মানসিক সমঝোতা সৃষ্টি করে স্বেচ্ছাকর পরিপালন এবং রাজস্ব আদায়ে কাঙ্ক্ষিত গতিশীলতা আনয়ন করা সম্ভব।
সেমিনারে আরও বলা হয়, গত পাঁচ দশকে মোট রাজস্বে প্রত্যক্ষ কর ক্রমান্বয়ে প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৩ সালে অনলাইন টিআইএন চালু হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআইএন গ্রহণের সংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেমিনারে সামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, করের আওতা বাড়াতে কর জরিপ গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কর জরিপের দুটি পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে ডোর টু ডোর জরিপের মাধ্যম করের আওতা বৃদ্ধি করা যায়। আর একটি পদ্ধতি হলো তথ্যভিত্তিক জরিপ। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড সেই কাজটা করছে। সিস্টেম যত সহজ করদাতা তত বাড়বে। এর পাশাপাশি কর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আমাদের ধারণা ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তি প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসা উচিত। কিন্তু আমরা পাচ্ছি ৩৫ লাখ আয়কর রিটার্ন। অর্থাৎ কর প্রদানে সক্ষম ৬৫ থেকে ৭০ লাখ ব্যক্তিকে করজালে আওতায় আনতে পারলে আয়কর রিটার্ন ৫০ শতাংশ বেশি উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।
আয়কর দিবস উপলক্ষ্যে আজ সব আয়কর অফিস সজ্জিত করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় আয়কর দিবসে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে।
দেশে বর্তমানে ৯৪ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। গত অর্থবছরে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৩টি রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জেলা পর্যায়ে সেরা ভ্যাটদাতা ১৩৮ প্রতিষ্ঠান

২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারী হিসেবে উৎপাদন, ব্যবসায় ও সেবা ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক-প্রশিক্ষণ ও পুরস্কার শাখার দ্বিতীয় সচিব প্রণয় চাকমা সই করা চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবসে বিভাগীয় অফিস থেকে সেরা ভ্যাটদাতাকে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলা পর্যায়ে উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা খাতে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধকারী ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অন্য আরেক আদেশে জাতীয় পর্যায়ে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাটদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডলারের দাম আরও কমলো

ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয় ও রফতানিতে ডলারের দাম ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে রফতানি ও প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা পাওয়া যাবে। আর আমদানিকারদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ২৫ পয়সা।
এর সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেবে ব্যাংক। আর কোনো ব্যাংক চাইলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারবে।
এর আগে ২২ নভেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা কমিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা এবং আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।

এর পর থেকে এই দুই সংগঠন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ায় পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর আর এক দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ তিনদিনে দুদফা বাড়লো সোনার দাম। তার আগে ৬ ও ১৯ নভেম্বর ও ২৭ অক্টোবার আরও তিন দফা বাড়ে সোনার দাম।
২৭ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে হয় এক লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে সোনার দাম।
সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার তিনদিনের মাথায় এই ধাতুটির দাম আরও বেড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ১৮ হাজার ৮৬৮ টাকা।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বুধবার পর্যন্ত এ দামেই বিক্রি হয়েছে সোনা।
এখন সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপা এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম