এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ডাউ জোনস এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক আগামী বছরের শুরুর দিকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও সৌদি আরব এ পথে হাঁটছে না। পরশু বিকালে এ খবর প্রকাশিত হলেই তেলের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।
বুধবার অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমলেও পরের দিন এটি ৩ দশমিক ২ শতাংশ বা ১ দশমিক ৩৫ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ দশমিক ৩৪ ডলারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম বুধবার ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমলেও পরেরদিন ১ দশমিক ২৪ ডলার বা ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে হয় ৪১ দশমিক ১৯ ডলার।
এছাড়া উত্তর সাগরে শ্রমিক ধর্মঘটও তেলের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। এ ধর্মঘটের কারণে ওই অঞ্চল থেকে তেলের সরবরাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অয়েল ফার্ম ও শ্রমিক নেতারা জানিয়েছিলেন, শুক্রবার (গতকাল) তারা রাষ্ট্রনিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। উভয় পক্ষই আশা করছে, এ বৈঠক থেকে অচলাবস্থার একটা সুরাহা হবে। এ ধর্মঘটের কারণে নরওয়ে থেকে তেল ও গ্যাস সরবরাহ অন্তত ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ডেল্টার কারণে বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে যা তৃতীয় মাত্রার শক্তিশালী ঝড় হিসেবে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। লিপোও অয়েল অ্যাসোসিয়েটসের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু লিপো বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ডেল্টা অপরিশোধিত তেলের সরবরাহে বিরাট প্রভাব ফেলবে এবং এ কারণে আমরা অন্তত ৫০ লাখ বারেল তেল পাচ্ছি না।