অন্যান্য
স্মার্ট বাংলাদেশের শপথে আ.লীগের স্মার্ট মনোনয়ন দাখিল এলিটের

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্মার্ট মনোনয়ন দাখিল করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মুর্শেদে এলিট।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্মার্ট নমিনেশন অ্যাপের মাধ্যমে তিনি এ মনোনয়ন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এ শপথ নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন ‘স্মার্ট’ উপায়ে দাখিল করেছি।
তিনি বলেন,আমি সব সময় এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনও দলীয় নীতি আদর্শ বহির্ভূত কোন কাজ করিনি। এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই এবারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরও বলেন এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হয়েছি। এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। তবে মনোনয়নের ব্যাপারে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

নির্বাচনী এলাকায় যিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন, নৌকার বিজয় সেই প্রার্থীর পক্ষেই সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
জয়িতা ফাউন্ডেশন ও এবি ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি

দেশের নারীর ক্ষমতায়ন, জীবনমান উন্নয়ন ও তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন এবং এবি ব্যাংক পিএলসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ চুক্তির মাধ্যমে জয়িতা ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত নারী উদ্যোক্তা ও উদ্যোক্তা সমিতির অনুকূলে জয়িতা ফাউন্ডেশনের রিভলভিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট ফান্ডের আওতায় এবি ব্যাংক ঋণ প্রদান করবে।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান এবং এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিয়ের একদিন পরেই হাসপাতালে পরমব্রতের স্ত্রী

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জির স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতাকে বিয়ের একদিন পরেই মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে পিয়ার কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হবে।
অভিনেতার স্ত্রীর জটিলতা হঠাৎ করে বেশি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দাবি কলকাতার পত্রিকার। পিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়েও পরমব্রতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে পারিবারিক আয়োজনে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন পরম-পিয়া। টলিউডের এই নতুন জুটির আইনি বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের লোকজন এবং নিকট বন্ধুরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, এদিন তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুরা মিলে প্রায় ২৫-৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের জন্য ভাত, ডাল, মাছের কালিয়া, মাংস, চাটনি এবং মিষ্টির আয়োজন করা হয়েছিল।

বিয়ের পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। যেখানে টলিউডের নতুন এই জুটিকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা গেছে।
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পরমব্রত বলেছেন, তাহলে চলো যাই, তুমি আর আমি যখন সন্ধ্যা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে…।
উল্লেখ্য, পিয়া চক্রবর্তী সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অনুপম। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। গতকাল পিয়ার গলায় মালা পরিয়ে সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ দেন পরমব্রত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

দেশের প্রকৃত জনসংখ্যার সংখ্যা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
সেখানে জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন গ্রামে বসবাস করেন। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১১৯ করে বাস করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি আছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয় সংস্থাটি। পরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে আরও একটি প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪ হাজার ৮০২ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আয়কর থেকে রাজস্ব আয়ে অব্যাহত বাড়ছে ঘাটতির পরিমাণ। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এনবিআরের আয়কর উইংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অর্থবছরের প্রথম দিকে সবসময়ই কম রাজস্ব আয় হয়। শেষের তিন-চার মাসে আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। এছাড়া আয়কর সেবা মাস উপলক্ষে চলতি মাসে রিটার্ন জমার পরিমাণ এবং আয়কর রাজস্ব আয় বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়ার কথা। এ সময় অনেক প্রার্থী তাদের আয়কর জমা দেন।’ ঘাটতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা যেভাবে নির্ধারণ করেছে, তাতেই গলদ রয়েছে। যার জন্য ঘাটতি থাকছে রাজস্ব আয়ে।’
জানা গেছে, আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে সম্প্রতি স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব আয়ের কৌশল নিয়েছে এনবিআর। ওই কৌশল অনুযায়ী, ভূমি রেজিস্ট্রেশন থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, ভ্রমণ কর খাত থেকে ৫০০ কোটি, টোব্যাকো কর থেকে ৩০০ কোটি, পরিবেশ সারচার্জ থেকে ৫০০ কোটি, করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে ২৫০ কোটি, কার্বোনেটেড বেভারেজ থেকে ১ হাজার কোটি ও বকেয়া কর আয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা রয়েছে আয়কর বিভাগের।
তবে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকলেও ভূমি রেজিস্ট্রেশন এবং কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর করহার কমিয়েছে এনবিআর। এছাড়া বেশকিছু এসআরও জারি করে আরো কিছু খাতের ওপর থেকে করহার কমানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে কর অব্যাহতিও। এ বিষয়টি আয়কর আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এনবিআরের। এর মধ্যে আয়কর খাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে মূসক (ভ্যাট) থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং আমদানি ও রফতানি পর্যায়ের রাজস্ব থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করসেবা মাসের উদ্বোধনীতে রাজস্ব আহরণ কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমও। তিনি বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হলে অবশ্যই রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব এবং এ খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিক্ষোভের দিনে অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাই আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।’
‘আমরা ধর্মঘট বা অবরোধ চাই না। ধর্মঘট বা অবরোধ অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন,’ বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসড়কে সহিংসতা সৃষ্টি করছে, যা বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের পূর্বে ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ এবং রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপক প্রচেষ্টায় এখানে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।’
অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বিদেশি ক্রেতাদের নেতিবাচক সংকেত দেবে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।’
তাই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।