Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইউরোপে অভিন্ন পুঁজিবাজার চায় ইসিবি

Published

on

আর্থিক খাতে

ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) আদলে অভিন্ন স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন গড়তে যাচ্ছে ইউরোপ। এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করতে পারলে এ অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হবে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিন লাগার্দ গতকাল এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ফ্রাঙ্কফুর্টে একটি বক্তব্যে ক্রিস্টিন লাগার্দ বলেন, ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে বিশ্বায়ন, জনসংখ্যা ও কার্বনশূন্যতা। এ ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য ইউরোপ অভিন্ন এসইসি তৈরি করবে।

ইউরোপীয় ব্যাংকিং কংগ্রেসে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ইউরোপের জাতীয় আর্থিক বিনিময়ের মধ্যে একত্রীকরণ প্রয়োজন। একটি সত্যিকারের ইউরোপীয় পুঁজিবাজারের জন্য একীভূত বাজার পরিকাঠামো প্রয়োজন। যেখানে বেসরকারি খাত সহজে বিনিয়োগ করতে পারবে।

আর্থিক বাজারগুলোকে বৈশ্বিক মঞ্চে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে চায় ইউরোপ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশজুড়ে একক বাজার তৈরি করাটা একটা চ্যালেঞ্জ।

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে একত্রিত করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। এ চেষ্টা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। প্রধান বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং সিস্টেম এবং ট্রেডিং নিয়মের সমন্বয় করা।

বিশেষ করে বলা যায়, ফ্রাঙ্কফুর্টের ডয়েচ বোর্স এবং লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের ১৯৯০ সালে একীভূত করার চেষ্টা হয়েছিল। দুই পক্ষ রাজি ছিল। পরিকল্পনাটি সাফল্যের কাছাকাছি এসেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা সফল হয়নি।

এ অভিন্ন আর্থিক বাজারের স্বপ্ন ২০০১ সালে আবার ব্যর্থ হয়। তখন ইউএস এনেএসডিএকিউ ইএএসডিএকিউ কিনেছিল। ১৯৯৬ সালে ইউরোপীয় স্টক মার্কেটগুলোকে একীভূত করা এবং ডটকমের সুবিধা নেয়ার প্রয়াস হিসেবে নতুন মার্কেট এক্সচেঞ্জ শুরু হয়েছিল। এর মাধ্যমে এনএএসডিএকিউ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত হয়।

বিশেষ করে বিনিয়োগের জন্য সমর্থন থাকলেও খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

একীভূত হওয়ার মধ্যে প্রি-ট্রেড ডাটা, বিড এবং অফার, পোস্ট-ট্রেড ডাটা এসব অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মূল্যের স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা উন্নতির লক্ষ্যে ইক্যুইটি, এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড, বন্ড এবং অন্যান্য আর্থিক যোগাযোগের জন্য ওয়ানস্টপ সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে ইউরোপে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হবে। তবে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় স্বার্থ যাতে লঙ্ঘন না হয়, সেদিকটিও নজর রাখতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক দিন ধরে আলোচনা হলেও পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

বৈদেশিক ও সামরিক নীতিতে একমত হলেও ইইউর ইতিহাসে পুঁজিবাজারকে একীভূত করার প্রচেষ্টা এর আগে সফল করা যায়নি।

সাবেক ইউরোপীয় কমিশনার ফ্রাঙ্কফুর্ট অ্যালজেমেইন জেইতুংকে বলেছিলেন, তিনি চান ইইউ একটি অভিন্ন আর্থিক বাজার বিকাশে দ্রুত অগ্রসর হোক।

তিনি জানান, ‌ইউরোপে প্রায় ৩০টি স্টক এক্সচেঞ্জ আছে। তাদের লক্ষ্য এ বাজারগুলোর কেন্দ্র তৈরি করা। এটা ইউরোপের তিন ডজন এক্সচেঞ্জকে আগামী ১০ বা ১২ বছরে প্রায় অর্ধ ডজনে রূপান্তর করবে। একীভূত স্টক এক্সচেঞ্জগুলো খরচ কমিয়ে দেবে। বিদেশী বিনিয়োগকারী ও সংস্থাগুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য আকর্ষণীয় অফার করবে, যা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এনএএসডিএকিউর প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। ইউরোপের এ অভিন্ন বাজার ব্যবস্থা ইইউ কোম্পানিগুলোকে তাদের মার্কিন সমকক্ষদের মতো সহজে পুঁজি অ্যাকসেস করার সুযোগ দেবে।

এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে লেনদেনের যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীভূত করা। এর মাধ্যমে আর্থিক খাতকে বৈশ্বিক মঞ্চে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে চায় ইউরোপ। এজন্য বিশদ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বাজারসম্পর্কিত সব তথ্য একত্রিত করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কয়েক ডজন জাতীয় এক্সচেঞ্জ থেকে শেয়ারের মূল্য, লেনদেনের সূচক এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন

Published

on

আর্থিক খাতে

মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

স্থানীয় সময় বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস এর বরাতে নিশ্চিত করেছে এ খবর।

কিসিঞ্জার ছিলেন হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক যিনি পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে।

১৯২৩ সালে জার্মানিতে তার জন্ম হলেও ১৯৩৮ সালে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান এবং তিন বছরের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন রাজনীতিতে বিপুল ক্ষমতা লাভ করেন। এর মাধ্যমে তার পূর্ণকালীন অধ্যাপনাও শেষ হয়।

পরে তিনি নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল এবং প্রতিবেশীদের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে প্যারিস শান্তিচুক্তি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।

১৯৭৩ সালেই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় চরম বিতর্ক। তার সঙ্গে নোবেল পান উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লি ডুক থো, যিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।

জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এ কূটনীতিক ছিলেন ইহুদী ধর্মের অনুসারী। রাজনীতি করতেন রিপাবলিকান দলে।

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস। এটি একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে ফেড

Published

on

আর্থিক খাতে

আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মৃদু মন্দা ভাব বিরাজ করতে পারে। ফলে ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছেন ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা। খবর রয়টার্স।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পূর্বাভাসসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা জানান, ২০২৪ সালে ১৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার কমানো হতে পারে। বর্তমানে ফেডের সুদহার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা কমে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে।

লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ হারে লেনদেন করছেন।

ডয়চে ব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২৪-এর প্রথমার্ধের দুই প্রান্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকবে।

এক সাক্ষাৎকারে ব্যাংকটির অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকলে বেকারত্বের হার বাড়বে। চলতি বছর যেখানে এর হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে তা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’

প্রবীণ মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান আরো বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমবে।’

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে।

ডয়চে ব্যাংকের আশা, ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় ফেড সম্মেলনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট হার কমানো হবে। এছাড়া বছরের বাকি সময় আর ১২৫ পয়েন্ট কমানো হবে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ফেডারেল রিজার্ভ ৫২৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতিতে মন্দা ভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে ভিত্তিহীন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বৈশ্বিক জিডিপি কমেছে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার

Published

on

বৈশ্বিক জিডিপি কমেছে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলন ঘিরে প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। একই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবে পড়েছে। প্রত্যক্ষ প্রভাবে কৃষি ও কারখানার কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। অতিরিক্ত তাপে উৎপাদন কমেছে। পরোক্ষ প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমেছে।

ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ারের প্রধান গবেষক জেমস রাইজিং বলেন, ‘‌জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। এ চাপ পড়েছে গরিব দেশগুলোর ওপর। একটি তথ্য স্পষ্ট করা দরকার কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাদের জন্য জরুরি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।’

হিসাব করার সময় প্রতিটি মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কেবল বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি ১ দশমিক ৮ শতাংশ লোকসান করেছে। টাকার অংকে এটা ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

এ ক্ষয়ক্ষতি আবার জলবায়ু পরিবর্তনের অসম প্রভাবকে ইঙ্গিত করে। স্বল্প আয়, উপকূলীয় অঞ্চল, অধিক জনসংখ্যা ও কম জিডিপির দেশগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে।

স্বল্প উন্নত দেশগুলোয় সাধারণত বিপুল জনসংখ্যা দেখা যায়। এসব দেশের জিডিপি কমেছে বেশি, ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতিটা চোখে পড়ার মতো। এসব অঞ্চলে জিডিপি কমেছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ১ ও ১১ দশমিক ২ শতাংশ।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

চীনে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর অনুষ্ঠিত

Published

on

আর্থিক খাতে

চীনের গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ট্যুর’। গত ২৫ থেকে ২৭ শে নভেম্বর ট্যুর টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফ্যাংচেংগ্যাং শহরে আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই ভ্রমণের আয়োজন করে ফ্যাংচেংগ্যাং মিউনিসিপ্যাল কমিটির প্রচার বিভাগ। আয়োজনে সহযোগিতা করে গুয়াংজি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তথ্য অফিস এবং সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিস।

আর্থিক খাতে

তিন দিনের সফরে পরিদর্শনকারী দলটি ফাংচেংগাং শহরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল ওপেন পাইলট জোন, গুয়াংশি শেংলং মেটালার্জিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, লেশান এনসিয়েন্ট ফিশিং ভিলেজ, বেইবু বে পোর্ট, থুহাই আর্ট ভিলেজ, চিং জাতীয়তার জাদুঘর, গোল্ডেন বিচ সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণ করেন।

এসময় তারা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন, নাগরিক সুবিধা, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ, শিল্প উন্নয়ন ও পর্যটনশিল্পের বিকাশ, ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন, গ্রামীণ লোকসংস্কৃতি, পরিবেশগত ও সবুজ উন্নয়ন, অনন্য দৃশ্য, খাবার এবং সুন্দর সংস্কৃতি, এবং সমৃদ্ধিশালী ফাংচেংগাং শহরের অভিজ্ঞতাসহ নানা কার্যক্রমে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইরান, পাকিস্তানসহ অন্যান্য ১৫টি দেশ থেকে ২৯ জন বিদেশি সাংবাদিক, স্কলার এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের একটি দল এই সফরে অংশগ্রহণ করে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

তেলের উৎপাদন আরও কমাতে পারে ওপেক

Published

on

ওপেক

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির আন্তঃসরকারি সংস্থা (ওপেক) তেল উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছে। আগামী ৩০ নভেম্বর বা বৃহস্পতিবার থেকে তেল উৎপাদন কমতে পারে।

সোমবার ওপেকের সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, তেলের দাম বাড়তি রাখতে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন হ্রাসের ধারা অব্যাহত রাখবে বা এমনকি উৎপাদন আরও হ্রাস করতে পারে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো। সেপ্টেম্বর মাসে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯৮ ডলারে উঠে গেলেও পরবর্তী সময়ে দাম আবার কমেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের নিচে নেমে আসে।

ওপেকের সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যৌথভাবে উৎপাদন সম্মিলিতভাবে আরও কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি সেই সূত্র। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো চলতি মাসের শুরুর দিকে বলেছিল, তেলের উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে তারা।

রয়টার্সের হাতে যে নথিপত্র এসেছে, তাতে দেখা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় অনলাইন বৈঠকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো বৈঠকে তেলের উৎপাদন নিয়ে আলোচনা হবে।

এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২৬ নভেম্বর, কিন্তু কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে এ নিয়ে মতৈক্য হওয়ায় ৩০ নভেম্বর বৈঠক হবে।

কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ওপেক তেল উৎপাদন ও বাজারের কোটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বৃহস্পতিবার ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মনিটরিং কমিটি আলোচনা করবে। এরপর তাদের পূর্ণাঙ্গ সভা হবে। ২০২২ সাল থেকেই তেলের দাম বাড়াতে সৌদি আরব, রাশিয়াসহ ওপেকের সদস্যদেশগুলোর তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে তারা দৈনিক বৈশ্বিক চাহিদার ৫ শতাংশ সমপরিমাণ তেল উৎপাদন হ্রাস করেছে।

এর বাইরে সৌদি আরব আরও অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, যা আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা। রাশিয়া যে অতিরিক্ত তিন লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, তার মেয়াদও ডিসেম্বরের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
আর্থিক খাতে
পুঁজিবাজার3 hours ago

আর্থিক খাতে জবাবদিহি ছাড়া এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়

আর্থিক খাতে
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

যুক্তরাজ্যে আইএফআইসি ব্যাংক রেমিট্যান্স রোডশো অনুষ্ঠিত

আর্থিক খাতে
অর্থনীতি3 hours ago

এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমলো ১২০ মিলিয়ন ডলার

আর্থিক খাতে
অন্যান্য3 hours ago

জয়িতা ফাউন্ডেশন ও এবি ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি

আর্থিক খাতে
পুঁজিবাজার4 hours ago

মতিন স্পিনিং মিলসের লভ্যাংশ অনুমোদন

আর্থিক খাতে
স্বাস্থ্য4 hours ago

ডেঙ্গুতে আরও সাতজনের মৃত্যু

ডিআরইউ
গণমাধ্যম4 hours ago

ডিআরইউর সভাপতি শুভ, সম্পাদক মহিউদ্দিন

ইসি
জাতীয়4 hours ago

মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ, বাড়ছে না মেয়াদ

আর্থিক খাতে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার5 hours ago

ইবিতে সেইভ ইয়ুথ কর্মশালা

আর্থিক খাতে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার5 hours ago

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

November 2023
S M T W T F S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930