জার্মানিতে ‘বাংলাদেশ-জার্মানি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ অনুষ্ঠিত

জার্মানিতে ‘বাংলাদেশ-জার্মানি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ অনুষ্ঠিত
দেশের পুঁজিবাজারে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বাড়াতে জার্মানিতে ‘বাংলাদেশ-জার্মানি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩’ শীর্ষক সামিট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) জার্মানির বার্লিনের একটি হোটেলে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির পাশাপাশি এই সামিট আয়োজনে সমান অবদান রেখেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের নিকট বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এর আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জার্মানির বার্লিনে এবার সামিট আয়োজন করে বিডা ও বিএসইসি।
এবারের আয়োজনের প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয়, সহজতর এবং লাভজনক দেশ হিসেবে জার্মানির বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের নিকট তুলে ধরা।

জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আলোচ্য সামিটটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জার্মানিতে কর্মরত বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অনুষ্ঠানে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও জার্মানির দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পারস্পারিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভোগৌলিক দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাশে চীন এবং ভারত রয়েছে। দক্ষিণে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের মতো টেকসই অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান। তাদের টেকসই অর্থনীতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জার্মানি আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সহযোগী। জার্মানি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোষাক আমদানিকারক দেশ। এর অর্থ আমরা (বাংলাদেশ ও জার্মান) অলরেডি একসঙ্গে কাজ করছি।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশও জার্মানি থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। সাধারণত জার্মান থেকে আমরা বিভিন্ন মেশিনারিজ পণ্য আমদানি করে থাকি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে জার্মান ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। জার্মানের ৮টি এনজিও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও জার্মানের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে অলরেডি ব্যবসা করছে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এক সময় আমরা সিমেন্ট আমদানিকারক দেশ ছিলাম। আর এখন আমরা সিমেন্ট রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। আমাদের সিমেন্ট খাতে ৩৭টি কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমাদের ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন সিমেন্টের চাহিদার বিপরীতে আমরা ৫৮ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন করছি। ফলে সহজেই রপ্তানি করা যাচ্ছে।

আয়োজিত সামিটে বাংলাদেশ সরকারের ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। ভিডিও বার্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএসইসি ও বিডার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সামিটে অংশগ্রহণ করা সকলকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজিত সামিট অনুষ্ঠানে ‘ভেরিডোস জিএমবিএইচ’এর সিইও মার্ক-জুলিয়ান সিওয়ার্ট বাংলাদেশে তার কোম্পানির কার্যক্রম ও সফলতার চিত্র তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া সামিটে বক্তব্য রাখেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত