জাতীয়
ভিপি নুরসহ ৬ জনকে গ্রেফতার চেয়ে আদালতে আবেদন

ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনকে গ্রেফতারের আবেদন করেছেন মামলার বাদী।
রবিবার মামলার অভিযোগকারী ছাত্রী আদালতে এই আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার আবেদনটি নথিভুক্ত রাখার আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকি।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশে বলেছেন মামলাটি আমলযোগ্য। পুলিশ চাইলে আসামিদের যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারেন। মামলায় আলাদা করে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার প্রয়োজন নেই। তাই ভুক্তভোগীর আবেদনটি নথিভুক্ত করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নির্বাচনী প্রচারে সরকারি সম্পত্তির ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ

সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার বন্ধ করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনও প্রার্থী সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকি-টকি বা অন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেছে। এমনকি, মাশুল প্রদান করেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনও অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া, কোনও প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত কোনও দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে চলবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) এসিওপিএস মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি চলবে। এর নম্বর ৮১৩/৮১৪। এতে ৭৮০টি আসন থাকবে। ১৬/৩২ লোডের ট্রেনটি ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছবে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। আর কক্সবাজার থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
এদিকে প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় পিছিয়ে গেছে ঢাকা-কক্সবাজার বাণিজ্যিক ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) থেকে এই রুটের আগাম টিকিট বিক্রির কথা ছিল।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কোন দিন থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

টিকিট বিক্রি শুরু না হলেও ১৩ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগবে ১২৫ টাকা আর মেইল ট্রেনে লাগবে ১৭০ টাকা। শোভন চেয়ারে ৫০০ ও এসি বার্থে (ভ্যাটসহ) পড়বে ১ হাজার ৭২৫ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা

বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পরও কমছে না ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। গত জুন প্রান্তিকে অতিতের সব রেকর্ড ভেঙেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণে। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। এটি মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ হাজার এক কোটি টাকা বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করপোরেট গভর্ন্যান্স ও খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের বড় দুই সমস্যা। ব্যাংক খাতের প্রধান এ সমস্যা মোকাবিলায় ঢালাওভাবে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। বরং পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। খেলাপি সমস্যা দূর করতে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দাতা ও গ্রহীতার ক্ষেত্রে একইভাবে রেগুলেশন প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নৈতিকতার অনুশীলন প্রয়োগেরও পরামর্শ তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটি গত বছরের (সেপ্টেম্বর প্রান্তিক-২০২২) একই সময়ের চেয়ে ২৩ হাজার এক কোটি টাকা বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রান্তিকটিতে খেলাপি ঋণ দেশের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট ডলার সংকট কাটাতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণে ভর করেছে বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার বা ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে দেশ। বাকি ছয় কিস্তির মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে
আর বছরের প্রথম প্রান্তিক গত জানুয়ারি-মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে সবশেষ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ২৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট ডলার সংকট কাটাতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণে ভর করেছে বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার বা ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে দেশ। বাকি ছয় কিস্তির মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে। কয়েক ধাপে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে সংস্থাটি ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার শর্ত জুড়ে দেয়। শর্তে বলা হয়, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে। সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে এসেছে, যা বর্তমানে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
খেলাপি ঋণ বন্ধে আমাদের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপও নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। খেলাপির যে চিত্র দেখানো হচ্ছে প্রকৃত চিত্র এটা নয়। প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ, আরও বড় হবে
আইএমএফের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। তবে বাস্তবে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আইএমএফের শর্তানুযায়ী, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন করা ঋণ, সন্দেহজনক ঋণ ও আদালতের আদেশে খেলাপি স্থগিতাদেশ থাকা ঋণকেও খেলাপি হিসেবে দেখাতে হবে। সেক্ষেত্রে আএমএফের হিসাবে মোট খেলাপি দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান না থাকায় খেলাপি বাড়ছে। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধিকে ভালো চোখে দেখছেন না তারা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, করপোরেট গভর্ন্যান্স ও খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংকিং খাতের বড় দুই সমস্যা। খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আরও ভূমিকা নিতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক তেমন সফলতা দেখাতে পারছে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে। খেলাপি কমাতে না পারলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর শাখা বন্ধের নির্দেশ দিতে হবে।
গ্রাহককে ঋণ পরিশোধে বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুফল আসছে না। যে রেগুলেশন আছে সেটা কঠোরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। খেলাপিতে লাগাম টানতে এটা কঠোরভাবে করতে হবে। ঋণ বিতরণ ও ঋণ আদায়কে একই চোখে দেখতে হবে
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, খেলাপি ঋণ বন্ধে আমাদের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপও নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। খেলাপির যে চিত্র দেখানো হচ্ছে প্রকৃত চিত্র এটা নয়। প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ, আরও বড় হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হলো, অন্য সময়ও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। মোট ঋণের কিছুটা পরিশোধ করলেই আর খেলাপি হচ্ছেন না, এমন সুবিধার পরও সুফল কতটুকু?
ড. জাহিদের ভাষ্য, গ্রাহককে ঋণ পরিশোধে বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুফল আসছে না। যে রেগুলেশন আছে সেটা কঠোরভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। খেলাপিতে লাগাম টানতে এটা কঠোরভাবে করতে হবে। ঋণ বিতরণ ও ঋণ আদায়কে একই চোখে দেখতে হবে। এক কথায় এখানেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। ব্যাংক খাতে ঋণ আদায় হচ্ছে না, আবার বিতরণও হচ্ছে। এভাবে খেলাপি কমবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিন বাহিনীর প্রধানরা।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতিকে তাদের নিজ নিজ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামীতেও দেশের উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

এসময় বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জেলে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট

জেলখানা বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলেও ভোট দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া যাবে এ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিচালক মো. শরিফুল আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসি জানায়, প্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, এমন ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
পোস্টাল ব্যালট হলো কেন্দ্রে গিয়ে শারীরিকভাবে সরাসরি ভোটদানে অসমর্থ, এমন ভোটাররা আগে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে তা ডাকযোগে প্রেরণ করে ভোট দেবেন।
যেভাবে ভোট দেওয়া যাবে পোস্টাল ব্যালটে
ভোটার তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন। তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ আবেদন করতে হবে।

আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। রিটার্নিং অফিসার ভোটারের আবেদন পাওয়ার পর, অনতিবিলম্বে উক্ত ভোটারের কাছে ডাকযোগে ব্যালট পেপার ও খাম পাঠাবেন। যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের একটি ফরম থাকবে। যা ডাকে পাঠানোর সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
ইসি জানায়, ব্যালট পেপার পাওয়ার পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোটারের ভোট রেকর্ড করে পেপারটি পাঠানো খামে ভরে ন্যূনতম বিলম্বের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠাতে হবে। এরপর প্রাপ্ত ব্যালটের ফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, কোনো ব্যক্তি তিনি যে কেন্দ্রে ভোটদানের অধিকারী, সে কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।