আন্তর্জাতিক
রেকর্ড ঋণ গ্রহণে অস্থিতিশীল বিশ্ব অর্থনীতি

রেকর্ড ঋণ গ্রহণ, উচ্চ সুদহার, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও পেনশন খাতে ব্যয় এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। সরকারি পর্যায়েও ঋণ নেয়ার হার বেড়েছে। অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা, এভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি নতুন করে সংকটময় পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
দীর্ঘমেয়াদে বন্ড রাখার জন্য বিনিয়োগকারীরা অধিক ক্ষতিপূরণ চাইছেন। অন্যদিকে নীতিনির্ধারকরা অর্থায়নের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স বলছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ১০ ট্রিলিয়ন থেকে রেকর্ড ৩০৭ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ নেয়ার দিক থেকে শীর্ষে ছিল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিংকম্যানশিপ পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণ নেয়ার বিষয়টিকে ডিফল্টে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রিংকম্যানশিপ হচ্ছে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিকে এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। অন্যদিকে ডিফল্ট হচ্ছে, কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করতে না পারা। এছাড়া ঋণ গ্রহণের বিষয়ে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে ইতালি ও যুক্তরাজ্য। ২০ জনের বেশি সাবেক নীতিনির্ধারক ও অর্থনীতিবিদ এ তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো ঋণ পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হবে না বলে মনে করেছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু কার্যকর রাজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, করহার ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে পরিচালনাযোগ্য রাখতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্যের ২০২২ সালের মিনি বাজেট দেখিয়েছে, উচ্চ সুদহার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা না থাকলে ভুল পদক্ষেপের ঝুঁকি বাড়ে। আর ভুল পদক্ষেপ সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ পিটার প্রায়েট বলেন, ‘ঋণ গ্রহণের হার এখন পর্যন্ত টেকসই পর্যায়ে থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যয়ের ক্ষেত্রে এটি উদ্বেগ তৈরি করছে। আপনি চাইলে উদাহরণ হিসেবে বিভিন্ন দেশকে নিতে পারেন। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সামনে আমাদেরও অর্থায়নের সংকটে পড়তে হবে।’
পয়েন্ট৭২ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতিবিদ ও কৌশলবিদ সোফিয়া ড্রসোস জানান, বর্তমানে বড় ধরনের অর্থায়ন প্রয়োজন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা দামের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। বন্ড জায়ান্ট পিআইএমসিওর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ইভাসিন বলেন, ‘ঘাটতি ও ঋণ গ্রহণের হার আমাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে নিয়ে যায়। কোনো ব্যয় পরিকল্পনা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায় তখন সেটি বাজারে অস্থিরতা তৈরি করে।’
ইতালির ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ইউরো ঋণের বিষয়টি ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, যেসব দেশ বড় অংকের ঋণ নিয়েছে তাদের সংকটে পড়ার আশঙ্কা বেশি। স্কোপ রেটিং বলছে, ইতালি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ইসিবি বন্ড ক্রয় প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে না।
প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী থাকায় ইতালির ঋণ গ্রহণ ঊর্ধ্বমুখী। এটি ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে বড় ঝুঁকি। ঋণের প্রভাব কমাতে সরকারিভাবে গৃহীত কঠোর পদক্ষেপে দেশটিতে সাধারণ পর্যায়ের বিনিয়োগও কমবে। পিজিআইএমের অর্থনীতিবিদ দালিপ সিং বলেন, ‘ইউরোপের প্রবৃদ্ধি অর্জনে যদি এখনই পদক্ষেপ নেয়া না হয় তাহলে ঋণ গ্রহণের চিত্র আরো খারাপ হবে।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন

মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
স্থানীয় সময় বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস এর বরাতে নিশ্চিত করেছে এ খবর।
কিসিঞ্জার ছিলেন হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক যিনি পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে।
১৯২৩ সালে জার্মানিতে তার জন্ম হলেও ১৯৩৮ সালে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান এবং তিন বছরের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন রাজনীতিতে বিপুল ক্ষমতা লাভ করেন। এর মাধ্যমে তার পূর্ণকালীন অধ্যাপনাও শেষ হয়।

পরে তিনি নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল এবং প্রতিবেশীদের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে প্যারিস শান্তিচুক্তি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
১৯৭৩ সালেই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় চরম বিতর্ক। তার সঙ্গে নোবেল পান উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লি ডুক থো, যিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এ কূটনীতিক ছিলেন ইহুদী ধর্মের অনুসারী। রাজনীতি করতেন রিপাবলিকান দলে।
আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস। এটি একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে ফেড

আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মৃদু মন্দা ভাব বিরাজ করতে পারে। ফলে ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছেন ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা। খবর রয়টার্স।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পূর্বাভাসসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা জানান, ২০২৪ সালে ১৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার কমানো হতে পারে। বর্তমানে ফেডের সুদহার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা কমে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ হারে লেনদেন করছেন।
ডয়চে ব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২৪-এর প্রথমার্ধের দুই প্রান্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকবে।
এক সাক্ষাৎকারে ব্যাংকটির অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকলে বেকারত্বের হার বাড়বে। চলতি বছর যেখানে এর হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে তা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’

প্রবীণ মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান আরো বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমবে।’
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে।
ডয়চে ব্যাংকের আশা, ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় ফেড সম্মেলনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট হার কমানো হবে। এছাড়া বছরের বাকি সময় আর ১২৫ পয়েন্ট কমানো হবে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ফেডারেল রিজার্ভ ৫২৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতিতে মন্দা ভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে ভিত্তিহীন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বৈশ্বিক জিডিপি কমেছে দেড় ট্রিলিয়ন ডলার

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলন ঘিরে প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। একই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবে পড়েছে। প্রত্যক্ষ প্রভাবে কৃষি ও কারখানার কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। অতিরিক্ত তাপে উৎপাদন কমেছে। পরোক্ষ প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমেছে।
ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ারের প্রধান গবেষক জেমস রাইজিং বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। এ চাপ পড়েছে গরিব দেশগুলোর ওপর। একটি তথ্য স্পষ্ট করা দরকার কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তাদের জন্য জরুরি সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
হিসাব করার সময় প্রতিটি মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। কেবল বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি ১ দশমিক ৮ শতাংশ লোকসান করেছে। টাকার অংকে এটা ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
এ ক্ষয়ক্ষতি আবার জলবায়ু পরিবর্তনের অসম প্রভাবকে ইঙ্গিত করে। স্বল্প আয়, উপকূলীয় অঞ্চল, অধিক জনসংখ্যা ও কম জিডিপির দেশগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে।
স্বল্প উন্নত দেশগুলোয় সাধারণত বিপুল জনসংখ্যা দেখা যায়। এসব দেশের জিডিপি কমেছে বেশি, ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতিটা চোখে পড়ার মতো। এসব অঞ্চলে জিডিপি কমেছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ১ ও ১১ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর অনুষ্ঠিত

চীনের গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ট্যুর’। গত ২৫ থেকে ২৭ শে নভেম্বর ট্যুর টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফ্যাংচেংগ্যাং শহরে আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই ভ্রমণের আয়োজন করে ফ্যাংচেংগ্যাং মিউনিসিপ্যাল কমিটির প্রচার বিভাগ। আয়োজনে সহযোগিতা করে গুয়াংজি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তথ্য অফিস এবং সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিস।
তিন দিনের সফরে পরিদর্শনকারী দলটি ফাংচেংগাং শহরের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল ওপেন পাইলট জোন, গুয়াংশি শেংলং মেটালার্জিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড, লেশান এনসিয়েন্ট ফিশিং ভিলেজ, বেইবু বে পোর্ট, থুহাই আর্ট ভিলেজ, চিং জাতীয়তার জাদুঘর, গোল্ডেন বিচ সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণ করেন।
এসময় তারা শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন, নাগরিক সুবিধা, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ, শিল্প উন্নয়ন ও পর্যটনশিল্পের বিকাশ, ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন, গ্রামীণ লোকসংস্কৃতি, পরিবেশগত ও সবুজ উন্নয়ন, অনন্য দৃশ্য, খাবার এবং সুন্দর সংস্কৃতি, এবং সমৃদ্ধিশালী ফাংচেংগাং শহরের অভিজ্ঞতাসহ নানা কার্যক্রমে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইরান, পাকিস্তানসহ অন্যান্য ১৫টি দেশ থেকে ২৯ জন বিদেশি সাংবাদিক, স্কলার এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের একটি দল এই সফরে অংশগ্রহণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
তেলের উৎপাদন আরও কমাতে পারে ওপেক

পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির আন্তঃসরকারি সংস্থা (ওপেক) তেল উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছে। আগামী ৩০ নভেম্বর বা বৃহস্পতিবার থেকে তেল উৎপাদন কমতে পারে।
সোমবার ওপেকের সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, তেলের দাম বাড়তি রাখতে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন হ্রাসের ধারা অব্যাহত রাখবে বা এমনকি উৎপাদন আরও হ্রাস করতে পারে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো। সেপ্টেম্বর মাসে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯৮ ডলারে উঠে গেলেও পরবর্তী সময়ে দাম আবার কমেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের নিচে নেমে আসে।
ওপেকের সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যৌথভাবে উৎপাদন সম্মিলিতভাবে আরও কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি সেই সূত্র। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো চলতি মাসের শুরুর দিকে বলেছিল, তেলের উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে তারা।
রয়টার্সের হাতে যে নথিপত্র এসেছে, তাতে দেখা গেছে, আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় অনলাইন বৈঠকে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো বৈঠকে তেলের উৎপাদন নিয়ে আলোচনা হবে।

এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২৬ নভেম্বর, কিন্তু কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে এ নিয়ে মতৈক্য হওয়ায় ৩০ নভেম্বর বৈঠক হবে।
কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ওপেক তেল উৎপাদন ও বাজারের কোটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।
বৃহস্পতিবার ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মনিটরিং কমিটি আলোচনা করবে। এরপর তাদের পূর্ণাঙ্গ সভা হবে। ২০২২ সাল থেকেই তেলের দাম বাড়াতে সৌদি আরব, রাশিয়াসহ ওপেকের সদস্যদেশগুলোর তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে তারা দৈনিক বৈশ্বিক চাহিদার ৫ শতাংশ সমপরিমাণ তেল উৎপাদন হ্রাস করেছে।
এর বাইরে সৌদি আরব আরও অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, যা আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা। রাশিয়া যে অতিরিক্ত তিন লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, তার মেয়াদও ডিসেম্বরের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা।
অর্থসংবাদ/এমআই