লাইফস্টাইল
অফিসের চাপ কমাতে যে ৫ কাজ করবেন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুমান করে যে, কর্মক্ষেত্র বা অফিসের উদ্বেগ এবং চাপ প্রতি বছর কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন উৎপাদনশীলতা হারায়। চিকিৎসা গবেষকরা পরামর্শ দেন যে, কেউ যদি কর্মক্ষেত্রে চাপ এবং উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করেন তাহলে এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
অফিসের চাপ এড়িয়ে যাবেন না
সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া। অফিসে আপনি চাপ বা উদ্বিগ্ন বোধ করতেই পারেন। এই অনুভূতিগুলো অস্বীকার করা বা দমন করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ এড়িয়ে গেলে তা সমস্যাগুলো আরও তীব্র করে তুলতে পারে। তাই চাপ অনুভব করলে তা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করুন। এটিই সমস্যা মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ।
ভারসাম্য রাখুন
কাজ এবং ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভারসাম্য মানসিকভাবে আপনাকে সতেজ রাখবে। কাজের সময় নির্ধারণ করা, নিয়মিত বিরতি নেওয়া, সন্ধ্যায় বা সপ্তাহান্তে নিজের মতো করে সময় কাটানোর মতো অভ্যাস রাখুন। এতে অফিসে কাজের কারণে চাপ বা উদ্বেগের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।
আরও পড়ুন>> ৩৭ দিনের শিশুকে কোলে নিয়ে অফিসে মেয়র
সরাসরি কথা বলুন
সবচেয়ে বড় চাপের একটি হলো কারও সঙ্গে সংযোগ না থাকা। কোনোকিছু নিয়ে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে সহকর্মী বা উর্ধ্বতনদের সাথে সরাসরি কথা বলুন। তারা কাজের চাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করবেন। তাদের কাছ থেকে নতুন দৃষ্টিকোণ, সমাধান বা সংস্থানের কার্যকরী পরামর্শ পেতে পারেন। মনে রাখবেন, সাহায্য চাওয়া দুর্বলতার লক্ষণ নয়; এটি মানসিক সুস্থতার দিকে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ।
মেডিটেশন

গ্রাউন্ডিং ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল এবং মেডিটেশন অন-দ্য-স্পট এর মতো হালকা ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে আপনার চাপ ও উদ্বেগ কমে গিয়ে প্রশান্তি ফিরে আসবে। কয়েক মিনিট গভীল শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে আপনার নিজেকে অনেকটাই হালকা মনে হবে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
একটানা যদি চাপ অনুভব করেন, তাহলে তা সমাধানের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে চাপ অনুভব করা কোনো দুর্বলতা নয়। প্রত্যেকেই কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময়ে চাপের সম্মুখীন হয় যা তাদের মানসিক সুস্থতাকে বিঘ্নিত করতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা যায় যে ৭ খাবার

দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা টেনেছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত। তাতে আবারও হু হু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পেঁয়াজ ছাড়াও যে কিছু মজাদার খাবার রান্না করা যায় এটা অনেকেই জানেন না। দেখা নেওয়া যাক, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা যায় এমন ৭ খাবারের রন্ধনপ্রণালী-
শুক্তো
পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কথা ভাবলেই মাথায় আসে নিরামিষ রান্নার কথা। আর শীতের মরসুমে নানা রকমের সবজি দিয়ে শুক্তো রান্নার মজাই আলাদা। অল্প মেথি, মৌরি বা পাঁচফোড়ন বাগাড় দিয়ে পছন্দের সবজির সাথে দুধ বা নারকেল বাটা বা সর্ষে দিয়ে খুব কম সময়েই বানানো যায় এই পদটি। পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় এই রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন একদমই দেয়া হয় না।
পাতুরি
শুধু সর্ষেবাটা, কাঁচা মরিচ ও সর্ষের তেল দিয়ে মেখে কলাপাতায় মুড়ে সেঁকে নিলেই তৈরি মজার ‘পাতুরি’। ইলিশ, ভেটকি ছাড়া চিংড়ি বা ছানা দিয়েও বানানো যায় এই পদটি। পাতুরি সেঁকার কাজ কয়লার চুলাতেই সবচেয়ে ভালো হয়।
ইডলি-দোসা
দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত এই পদ বর্তমানে বাংলাদেশের রান্নাঘরেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত ডাল ও চালবাটা দিয়ে তৈরি এই দুটি খাবার পরিবেশন করা হয় নানা ধরনের চাটনি ও সাম্বার নামের ডালের স্যুপের সাথে। স্বাদ বদল করতে এই পদটি চেখে দেখতে পারেন।
মুগডালের খিচুড়ি
নিরামিষ খিচুড়ি মূলত করা হয় মুগের ডাল দিয়ে। রসুন বা পেঁয়াজের জায়গায় বাগাড় দেয়া হয় পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ বা গরম মশলা দিয়ে। আদাবাটার সাথে নানা রকম সবজিও দেয়া হয় এই খিচুড়িতে।
লাবড়া

পাঁচমিশালি সবজির আরেকটি নাম লাবড়া। সাধারণত হিন্দুদের পুজোবাড়িতে নিরামিষ খিচুড়ির সাথে খাওয়া হয় এই লাবড়া। আলু, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম ও বেগুনের এই সবজি রান্না করতে ব্যবহৃত হয় শুকনা মরিচ, পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা। অনেক সময় ধরে কষিয়ে মাখামাখা এই পদটি শুধু রুটি দিয়েও খেতে পছন্দ করেন অনেকে।
ইলিশের তেল ঝোল
বাংলাদেশের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে ইলিশের নানা রকমের রান্নার জনপ্রিয়তা। তার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ইলিশের ‘তেল ঝোল’, যা অন্য মাছ দিয়েও করা হয়। শুধু কালোজিরের বাগাড় ও কাঁচামরিচের স্বাদের উপর ভিত্তি করেই করা হয় এই রান্নাটি। কেউ কেউ মাছের সাথে ডালের বড়ি ভাজা দিয়েও এই রান্নাটি করে থাকেন।
পেঁয়াজ ছাড়া বিদেশি রেসিপি
শুধু দেশি স্বাদের রান্না কেন, পেঁয়াজ ছাড়া এমন অনেক বিদেশি রান্না করা যায় যা দেশি স্বদ থেকে খুব বেশি দূরে নয়। পিৎজা বা পাস্তা রান্নায় সচরাচর পেঁয়াজ ব্যবহার করেন না ইতালিয়ানরা। মূলত টমেটো ও নানা রকমের হার্ব, চিজ দিয়েই বানানো যায় অনেক ধরনের পাস্তা বা পিৎজা। স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা পেঁয়াজ ছাড়া মুরগির রোস্ট বা সালাদও বানাতে পারেন।
পেঁয়াজের পরিবর্তে যা: ভারতের অনেক গোষ্ঠীদের মধ্যেই প্রচলিত নেই পেঁয়াজ বা রসুনের ব্যবহার। কিন্তু সমস্বাদ আনতে তারা ব্যবহার করেন হিং, যা দিয়ে বাগাড় দিলে ডাল বা সবজিতে আসে অবিকল রসুনের স্বাদ। এই হিং ব্যবহার করা হয় রাজস্থান বা উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় খাবার রান্নায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে কী হয়?

আমাদের সুস্থতার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কম ঘুমালে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা ধরনের রোগ। বর্তমান কর্মব্যস্ত বিশ্বে কম ঘুমানো লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এজন্য সচেতন হওয়া জরুরি।
ঘুমের সময় আমাদের কোষ এবং পেশী পুনর্নির্মিত হয়। যা আমাদের মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। সজাগ ও মনোযোগী থাকার জন্য এর বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এর অন্যথা হলে শরীরে ঘটে নানা সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে শরীরের কী ক্ষতি হয়-
৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে শরীর ঘুমের চক্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। যে কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকেরই ক্লান্তি বোধ হয়। এর ফলে সব ধরনের কাজে মনোযোগ অনেকটাই কমে যায়। ফলে চিন্তাভাবনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও কমে আসে। তাই প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
ঘুম কম হলে তা হতে পারে ওজন বৃদ্ধির কারণও। কম ঘুমের কারণে ঘেরলিন ও লেপটিন নামক দুটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তখন শরীরে ঘেরলিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মানুষকে ক্ষুধার্ত করে তোলে। তখন উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয়। বিশেষ করে বেশি রাত জেগে থাকলে এই সমস্যা বেশি হয়। এর ফলে বাড়তে থাকে ওজনও।
ঘুম কম হলে শরীর নিজেকে সারানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। এ কারণে শরীরের দূষিত পদার্থ পরিষ্কা হয় না এবং বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। তাই বুঝতেই পারছেন, প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম কতটা জরুরি!

আমাদের মানসিক অবস্থার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে ঘুমের স্বল্পতা। কারণ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক নতুন করে শক্তি সংগ্রহ করে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে মন সতেজ হতে পারে না। এর ফলে দেখা দেয় অবসাদ। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
রক্তস্বল্পতা দূর করতে যা খাবেন

রক্তস্বল্পতার সমস্যা আরও অনেক সমস্যাকে ডেকে আনে। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের খাবারের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। খেতে হবে এমন সব খাবার যেগুলো রক্তস্বল্পতা বাড়াতে কাজ করে। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে সেসব খাবার খেলে রক্তস্বল্পতার ভয় কমে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তস্বল্পতার সমস্যায় কোন খাবারগুলো খাবেন-
বেদানা
রক্তস্বল্পতা দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী একটি খাবার হলো বেদানা। উপকারী এই ফলে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। তাই যারা রক্তাস্বল্পতায় ভুগছেন বা যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা নিয়মিত বেদানা খাওয়ার অভ্যাস করবেন। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই।
জাম
বেরি বা জাম জাতীয় ফলেও থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এ ধরনের ফল প্রতিদিন খেলে তা আয়রনের ঘাটতি কমাতে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনার খাবারের তালিকায় এ জাতীয় ফল রাখুন নিয়মিত। এতে রক্তস্বল্পতার শিকার হওয়ার ভয় থাকবে না।
লেবু
লেবুতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকে অনেক বেশি যা শরীরে থাকা আয়রনের ঘাটতি পূরণে কাজ করে। তাই রক্তস্বল্পতা থেকে দূরে থাকতে ও শরীর সুস্থ রাখতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত লেবু রাখতে পারেন। এই ফল হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কাজ করে। বুঝতেই পারছেন, নিয়মিত লেবু খাওয়া কেন জরুরি।
আপেল
প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এতে আপনার শরীর সুস্থ রাখা সহজ হয়। আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। যে কারণে নিয়মিত আপেল খেলে রক্তস্বল্পতার ভয় থাকে না। সেইসঙ্গে দূরে থাকে আরও অনেক অসুখ।

ব্রকোলি
অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সবজি নানা পুষ্টিগুণে ভরা। বলছি ব্রকোলির কথা। এই সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি ও ফোলেট যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্রকোলি খেলে রক্তস্বল্পতা থেকে দূরে থাকা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে লবণ জলে গোসল করার ৫ উপকারিতা

শীতকাল মানেই গরম পানিতে গোসল। তবে এই গরম পানিতে অল্প লবণ ঢাললেই হাজার উপকার আছে। শীতের সময় যা না হলেই নয়। ভারতের হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক লবণ জলে গোসল করার ৫ উপকারিতা
১. শীতকালে ঘন ঘন মেজাজ খারাপ হতে থাকে। এর পিছনে অবশ্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেই মনখারাপ ভালো করে দিতে পারে লবণ পানিতে গোসল।
২. শীতকালে বয়স্করা প্রায়ই গাঁট ও পেশির ব্যথাতে ভোগেন। গরম পানিতে গোসল করলে যেন অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে নিলে আরও ভালো হয় । গাঁটের ব্যথা থেকে পেশির ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
৩. শীত পড়তেই ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হতে থাকে। এই সময় ত্বককে বাঁচাতে আমরা নানা ক্রিম মাখি। এমনকী ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ খাবার খাই। কিন্তু গরম পানিতে এক চামচ নুন ঢেলে নিলেই ত্বক দারুণ থাকবে।
৪. ত্বকের উপরে একটি প্রাকৃতিক আবরণ থাকে। এই আবরণকে রক্ষা করে নোনা পানি। লবণের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থ। ত্বকের জন্য এই খনিজগুলি বিশেষভাবে জরুরি। ফলে ত্বক পুষ্টও হয়।

৫. সাধারণ সাদা লবণ জলে মেশালে হবে না। সাদা লবণের বদলে ব্যবহার করতে হবে সামুদ্রিক লবণ। এতে খনিজের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। ফলে দ্রুত উপকার পাবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যে পাঁচ লক্ষণে বুঝবেন হাড়ের অবস্থা ভালো নেই

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। তবে অল্পবয়সীদের মধ্যেও অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বেড়েছে। হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে আমরা ভীষণ উদাসীন।
অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খাবার, ভাজাভুজি, রাস্তার পাশের তেল মসলাদার খাবার খাওয়া হাড়ের ক্ষতি করে। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে অবশ্য বয়সের আগেই হাড়জনিত সমস্যা শুরু হয়।
হাড়ের সমস্যাগুলো শরীরে বাসা বাঁধার আগে কিছু উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। কোন কোন লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসককে দেখাবেন-
পিঠের যন্ত্রণা
অফিসে একটানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজের জন্য অনেকেই পিঠের যন্ত্রণায় ভোগেন। কিছু দিন শরীরচর্চা ও যোগাসনের করলেই অবশ্য এই ব্যথা দূর করা সম্ভব। তবে এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের হলে বুঝবেন, আপনার হাড়ের অবস্থা ভাল নয়।
নখ ভেঙে যাওয়া
নখের স্বাস্থ্য দেখেও বুঝতে পারবেন, হাড় মজবুত রয়েছে কি না! বার বার নখ ভেঙে গেলে বুঝতে হবে, শরীর দুর্বল হাড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হাতে ব্যথা
হাত দিয়ে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে গেলে যন্ত্রণা হচ্ছে? গ্লাস ধরতে সমস্যা? আটা মাখতে গেলেও ব্যথায় নাজেহাল? হাড় দুর্বল হয়ে গেলে এমনটা হতে পারে।
দাঁতের মাড়ি আলগা হয়ে যাওয়া
দাঁতের মাড়ি আলগা হয়ে গেলেও তাকে দুর্বল হাড়ের লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। বয়সের আগেই দাঁত পড়তে শুরু করলে তা হাড়ের দুর্বলতার লক্ষণ।
সামান্য আঘাতেই হাড়ে চিড় ধরা
হাড় দুর্বল হয়ে গেলে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা কিংবা হাঁটার সময় সামান্য আঘাতেই যদি হাড়ে চিড় ধরে, তা হলে সতর্ক হন। হাড়ের প্রতি যত্নশীল হোন।