কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক যশোর জোনে শরীয়াহ সচেতনতা সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে যশোর জোনের গ্রাহকদের নিয়ে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরীয়াহ পরিপালন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) যশোর জোনাল অফিসে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ। এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শরীয়াহ সেক্রেটারিয়েটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। এছাড়া যশোর জোনপ্রধান মো. শফিউল আজমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন যশোর শাখাপ্রধান মো. সরোয়ার হোসাইন।
অনুষ্ঠানে জোনের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও গ্রাহকগণ অংশগ্রহণ করেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকায় প্রথমবারের মতো অ্যাওফি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশে প্রথমবারের মতো ইসলামী ফাইন্যান্সে মানদণ্ড প্রণয়ণকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাওফি’ এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কনভেনশন হলে “এডভান্সিং ইনোভেশন ইন ইসলামিক ফাইন্যান্স” শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা বাহরাইনের প্রতিষ্ঠান অ্যাওফি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে অ্যাওফির অধীনে প্রোগ্রামটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ শরিআহ কনসালটেন্সি ফার্ম ও ইসলামী ফাইন্যান্সে ট্রেইনিং প্রদানকারী ও রিসার্চ বেইজড প্রতিষ্ঠান ‘আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেড’।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার তিনটি সেশনে মোট ৬টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে মালয়েশিয়ান ক্যাপিটাল মার্কেটের উদ্ভাবন বিষয়ে মালয়েশিয়া সিকিউরিটিজ কমিশনের ডিপুটি ডিরেক্টর ড. আজলান ইস্কান্দার মির্জা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এছাড়া বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত ফ্যামেলি তাকাফুল কাঠামো প্রসঙ্গে আইএফএ কনসালটেন্সি ও শরিআহ কনসালটেন্টের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম; সেন্ট্রাল ব্যাংক পাকিস্তান ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির শরিআহ গভর্নেন্সের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শরিআহ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মুফতি ইরশাদ আহমদ ইজায; শরিআহ বেইসড ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড রিপোর্টিং বিষয়ে ইসলামি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান এফসিএ; ইউএই ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিতে ফিনটেক এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে আমানাহ এডভাইজরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুফতি ফারাজ আদাম এবং মালয়েশিয়া এসডিজি-এর সাথে মাকাসিদে শারিয়াহ একীভূতকরণ প্রসঙ্গে আদল অ্যাডভাইজরীর পরিচালক ড. মুফতি ইউসূফ সুলতান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিটি সেশনের জন্য স্বতন্ত্র প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে আলোচক হিসেবে দেশ ও বিদেশের ইসলামী ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির লিডারগণসহ বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে অ্যাওফি কর্তৃক রচিত এবং আইএফএ কনসালটেন্সির গবেষণা টিম কর্তৃক অনুবাদকৃত “কর্মক্ষেত্রে নীতি ও নৈতিকতা” (কোড অব ইথিকস)-এর বাংলা অনুবাদটির মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি অনুবাদ গ্রন্থটি বাহরাইনে একই সময়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী ফাইন্যন্স ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফেস্টিভল উইকেও উন্মোচিত হয়েছে।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রাত্যহিক জীবনকে হালালময় করার প্রত্যয় গ্রহণ করাকে উৎসাহিত করেন আইএফএ কনসালটেন্সির পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম।
অন্যদিকে, শরিয়াহ বেইসড ফাইন্যান্স সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে দোয়া ও নসীহত প্রদান করেন আইএফ এ কনসালটেন্সির উপদেষ্টা মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া, গবেষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার প্রায় দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ট্রান্সকেন্ড এ্যাডভাইজরী। স্পন্সর হিসেবে ছিল আইডিএলসি (ইসলামিক শাখা), বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিনিয়োগ ডট আয়ো, নেইবার্স ল্যান্ডমার্ক।
নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল মারকাযু ইকতিসাদিল ইসলামী (সেন্টার ফর ইসলামিক ইকনোমিকস স্টাডিস), আদল অ্যাডভাইজরী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম।
গিফট পার্টনার হিসেবে ছিল পেনফিল্ড পাবলিকেশন্স, মুসলিম ড্যা প্ল্যানার্স, সিয়ান পাবলিকেশন্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কার্ড টু বিকাশ অ্যাড মানিতে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ডিজিটাল লেনদেন

রাত সাড়ে ১২টায় হঠাৎ ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হওয়ার নোটিফিকেশন পেলেন তন্ময় আহসান। দুদিন পরই সেমিস্টার ফাইনাল। গভীর রাত অবধি অনলাইনে যুক্ত হয়ে পড়াশোনা করছিলেন কয়েক বন্ধু মিলে। এতো রাতে রিচার্জ করতে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই; আবার পছন্দের ডাটাপ্যাক কেনার জন্য ফোন বা বিকাশ অ্যাকাউন্টেও নেই প্রয়োজনীয় ব্যালান্স। এমন সময় মাত্র দুই মিনিটেই প্রয়োজন মতো ‘কার্ড টু বিকাশ অ্যাড মানি’ করে বিকাশ অ্যাপ থেকেই কিনে নিলেন দরকারি ইন্টারনেট প্যাকেজ।
ওই রাতে বাসা থেকে বের হয়ে গলির মাথায় গিয়ে রিচার্জ করে আবার ফিরে আসতে হয়তো আধা ঘন্টার বেশি লেগে যেতো। তার ওপর পাঁচতলায় ওঠা-নামা তো আছেই। অ্যাড মানি-এর মতো বিকাশের বিভিন্ন ফিচার সময় বাঁচিয়ে জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে, বলছিলেন আহসান।
এদিকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সুমাইয়া সুমি নিয়মিত কেনাকাটা করেন বিভিন্ন অনলাইন শপ ও ফেইসবুক পেজ থেকে। তিনি বলেন, অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেক সময় কার্ড পেমেন্টের অপশন থাকে না। এক্ষেত্রে সমাধান বিকাশ পেমেন্ট; খুব সহজে কার্ড থেকে ইন্সট্যান্ট বিকাশে টাকা এনে পেমেন্ট দিতে পারছি। শুধু কেনাকাটা না, মোবাইল রিচার্জ, রেস্টুরেন্টের বিল, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, বাচ্চাদের স্কুলের ফি দেয়া- সবই করা যাচ্ছে বিকাশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে সক্রিয় ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ৩ কোটি ৩১ লাখ আর ক্রেডিট কার্ড ২২ লাখের কিছু বেশি। অনেকের কাছেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকলেও বিপণি-বিতান, রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসি, মুদি দোকান সহ বিভিন্ন স্থানে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস্) না থাকা, শহরের ব্যস্ত এলাকার বাইরে এটিএম বুথের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে থাকেন। এদিকে বিকাশ-এর আছে দেশজুড়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার এজেন্টের বিশাল এক নেটওয়ার্ক। গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে খুব সহজেই হাঁটা দুরত্বে অবস্থিত এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। আবার দেশব্যাপী বিকাশের রয়েছে ৫৫০,০০০-এর বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট যেখানে কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ করছেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা বা মাস্টারকার্ড থেকে বিকাশের সাত কোটি ত্রিশ লাখ গ্রাহক কোনো চার্জ ছাড়াই তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যেকোনো সময় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা আনতে পারছেন অ্যাড মানি সেবার মাধ্যমে। এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি কার্ড থেকে বিকাশে তাৎক্ষণিক টাকা এনে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, অফলাইন/অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দেয়া, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন ধরণের সরকারি ফি পরিশোধ, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স সহ অসংখ্য সেবা খুব সহজেই নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।

ভিসা বা মাস্টারকার্ড থেকে যেভাবে সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনা যায়: বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘অ্যাড মানি’ আইকনে ট্যাপ করে ‘কার্ড টু বিকাশ’ বাছাই করে ‘ভিসা’ বা ‘মাস্টারকার্ড’ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার শুরু থেকেই দেয়া থাকবে, নতুন করে টাইপ করতে হবে না। তবে অন্য কারো নাম্বারে টাকা পাঠাতে চাইলে, সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি টাইপ করতে হবে। তারপর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ভিসা/মাস্টারকার্ড কার্ডের নাম্বার, মেয়াদ এবং ভিসা কার্ডের ক্ষেত্রে সিভিএন বা মাস্টারকার্ড কার্ডের ক্ষেত্রে সিভিভি নাম্বার (কার্ডের পেছনে থাকা ৩ বা ৪ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড) দিতে হবে।
পরের ধাপে ফোন নাম্বারে পাঠানো ওটিপি কোড দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। অ্যাড মানি সম্পন্ন হলে কনফার্মেশন মেসেজ চলে আসবে। পরবর্তী লেনদেনের সুবিধার জন্য কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন গ্রাহক। এক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ওটিপি কোড দিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে। একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করা যাবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ বার অ্যাড মানি করতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক। এভাবে প্রতি মাসে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২৫ বার এবং সর্বমোট দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি বাংকের দুই উপশাখা চালু

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ও কাপ্তান বাজারে নতুন দুটি উপশাখা চালু করেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি। প্রথাগত সকল ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও পাওয়া যাবে নতুন শাখা দুটিতে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) কাপ্তার বাজার উপশাখার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। আর সিদ্ধেশ্বরী উপশাখার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, এএম সাইদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ জুলহাস উদ্দিন, ওয়ারী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম শামীমসহ গ্রাহকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থার ব্যাংক। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে ব্যাংকটি। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা সবার সহজ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন উপশাখা দুটির মাধ্যমে স্থানীয়দের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বেগবান হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
ব্যাংকের ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক কর্মসংস্থানমুখী ব্যবসাবান্ধব একটি ব্যাংক। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে এনআরবিসি ব্যাংক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া বলেন, সারাদেশের দেড় হাজারেরও বেশি সেবাকেন্দ্র থেকে মানুষদেরকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। আজ আরও দুটি নতুন শাখা চালু করা হয়েছে। এরমাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক উদ্ভাবনী সেবাগুলো মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সেবার মধ্যে রয়েছে এনআরবিসি হোম লোন, রেমিটেন্স সেবা, নগদ লেনদেন সুবিধা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইউটিলিটি (গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ) বিল গ্রহণ, বিআরটিএ ফি গ্রহণ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ফি গ্রহণ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেবা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা। এছাড়া, এই সকল সেবা এক সাথে পেতে রয়েছে মোবাইল অ্যাপ ‘এনআরবিসি প্লানেট। এছাড়া গ্রাহক সহজেই তার একাউন্ট থেকে এনআরবিসি প্লানেটের মাধ্যমে যেকোন বিকাশ ও নগদ নম্বরে টাকা পাঠাতে পারবেন। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের সকল সেবার পাশাপাশি সকল শাখা উপশাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে এনআরবিসি ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
৩৮ লাখ ডলার তহবিল পেল পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াসের স্টার্টআপ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাওর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা হোসেন ইলিয়াসের ফিনটেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান উইন্ড. অ্যাপ ৩৮ লাখ ডলার তহবিল পেয়েছে।
জার্মানি ভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাউন্ডার্স ক্যাপিটাল ও সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ব্লকচেন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্পারটান গ্রুপ এই প্রি-সিড অর্থায়নে নেতৃত্ব দেয়।
এ ছাড়া, এতে অংশ নেয় সাইসন ক্যাপিটাল, এলামনাই ভেঞ্চার্স ও টাইনি ভিসির মতো অন্যান্য বিনিয়োগকারী। উইন্ড.অ্যাপ হচ্ছে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট, যা পলিগন ব্লকচেন প্রযুক্তিতে পরিচালিত।
এর ফলে, এই সেবা গ্রহণে ভৌগলিক সীমানা কোনো প্রভাব ফেলে না। এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিশ্বের যেকোনো দেশে অর্থ পাঠাতে ও যেকোনো দেশ থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তারা ‘প্রতিযোগিতামূলক’ বিনিময় মূল্য উপভোগ করবেন। এই অ্যাপে ক্রিপটোকারেন্সি বা ফিয়াট কারেন্সিতে লেনদেন করার মতো অবকাঠামোগত সুবিধা থাকছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিষিদ্ধ।

উইন্ড.অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন ইলিয়াস এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান, ‘এই তহবিল পাওয়া আমাদের জন্য একটু উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ভৌগলিক সীমানার বাধা পেরিয়ে সারা বিশ্বে নিরবচ্ছিন্ন আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিকে সহজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো যারা

বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সিএসআর উইন্ডোর সহযোগিতায় এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে ডেইলি স্টার। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কর্পোরেট সংস্থাগুলোর সাসটেইনেবিলিটি এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) সংশ্লিষ্ট অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। অনুষ্ঠানে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বাংলাদেশে সাসটেইনিবিলিটি যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে মূলবক্তব্য প্রদান করেন।
টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এ বছর মোট সাতটি বিভাগে (ক্যাটাগরি) পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো – এডুকেশন (সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভ ইন এডুকেশন), কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্ট (পরিবেশ), হেলথকেয়ার (স্বাস্থ্যসেবা), ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন (আর্থিক অন্তর্ভুক্তি), ডিজাস্টার রেসপন্স (দুর্যোগ মোকাবিলা) এবং ইয়াং হিউম্যানিটারিয়ান অব দ্য ইয়ার।
এ বছর বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ৬টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং ৩ ব্যক্তি। পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, খাত বিশেষজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আরো অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি ডেইলি স্টার এবং সিএসআর উইন্ডোর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

চিলড্রেনস প্রোগ্রাম উদ্যোগের জন্য ‘সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভ ইন এডুকেশন’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) এবং ছাতক এলাকায় বসবাসরত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে গৃহীত উদ্যোগের জন্য লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডকে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বিভাগে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া, এনভায়রনমেন্ট (পরিবেশ) বিভাগে বিজয়ী হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (প্লাস্টিক সার্কুলারিটি উদ্যোগ) এবং আশুলিয়ায় নারী ও শিশুদের জন্য হাসপাতাল প্রকল্পের জন্য হেলথকেয়ার (স্বাস্থ্যসেবা) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড। গ্রামীণফোন এর জিপি অ্যাকসেলেরেটর ও জিপি একাডেমি উদ্যোগের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগে এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড এর আগাম সতর্কবার্তা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা (ডিজাস্টার রেসপন্স) বিভাগে সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
আরিফুর রহমান শিহাব, লামিয়া তানজিম তানহা এবং আরিয়ান আরিফকে তাদের ভালো কাজের হোটেল, ট্রান্সএন্ড এবং মজার ইশকুল প্রকল্পের জন্য ‘ইয়াং হিউম্যানিটারিয়ান অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
সমাদৃত বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড নির্দিষ্ট মানদণ্ড এবং প্রজেক্ট পারফরম্যান্স (প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতা) বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন। কর্পোরেটদের আরও টেকসই কর্মপরিকল্পনা করতে অনুপ্রাণিত করে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম। এই প্ল্যাটফর্ম স্বল্পমেয়াদী সুফলের পরিবর্তে টেকসই পরিবর্তন ত্বরান্বিত করবে এমন কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করে। উদ্ভাবনী ও ফলাফল-ভিত্তিক সাসটেইনেবিলিটি এবং সিএসআর উদ্যোগ গ্রহণ করছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম।