আন্তর্জাতিক
একদিনে ৬ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম একদিনে প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর বাজার আদর্শ ব্রেন্টের এটিই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন মাত্রা পাওয়ার আশঙ্কায় সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বাজারে। এতে শুক্রবার অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে জ্বালানিটির।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের মধ্য দিয়ে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। সপ্তাহব্যাপী আকাশপথে ব্যাপক বোমা হামলা শেষে ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে শুক্রবার স্থল অভিযানের ঘোষণা দেয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার আলটিমেটাম দেয়। ফলে যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী অঞ্চল। এতে যুদ্ধের অস্থিরতা বৃহদাকারে ছড়িয়ে গেলে জ্বালানিটির সরবরাহ সংকট দেখা দিতে পারে। এমন আশঙ্কায় আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আইসিই ফিউচার্সে শুক্রবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বা ব্যারেলে ৪ ডলার ৮৯ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য উঠেছে ৯০ ডলার ৮৯ সেন্টে। আর নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বা ব্যারেলে ৪ দশমিক ৭৮ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ৮৭ ডলার ৬৯ সেন্টে।
উভয় বাজার আদর্শেই এপ্রিলের পর দৈনিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ দাম বাড়ার রেকর্ড ছুঁয়েছে। ব্রেন্টের সাপ্তাহিক দাম ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আর ডব্লিউটিআইয়ের সাপ্তাহিক দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন তেল-গ্যাস সরবরাহকারী দেশ নয়। তবে বিনিয়োগকারী ও বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধরত দেশ দুটির পার্শ্ববর্তী দেশগুলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি সরবরাহকারী। বিশেষ করে ইরান বা সৌদি আরব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওজির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছতে পারে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রথমবারের মতো হামলা চালাতে পারায় ইরান হামাসের প্রশংসা করেছে। লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরায়েল সীমান্তে আক্রমণ শুরু করেছে। সংগঠনটি তেহরান সমর্থিত হওয়ায় যুদ্ধ আরো বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান শুক্রবার হিজবুল্লাহর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর এ উদ্বেগ আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।
এমন অবস্থায় ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়া যুক্তরাষ্ট্র আবার ইরানের জ্বালানি তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করতে পারে। এতে বৈশ্বিক বাজারে ব্যাপক সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
গত বছর ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাঙ্কারগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল আমদানিকারক চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে। এতে জ্বালানিটির চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকও চলতি সপ্তাহে দাম বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ডিজিএফটি’র বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

প্রথমত, এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।
তৃতীয়ত, যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে / যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ এবং সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়।
নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সেসময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)।
তারও আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং রপ্তানির লাগাম টানতে গত আগস্টে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সরকার পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়, পেঁয়াজের নতুন এই রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আর এর মাঝেই এবার অঅগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে না ভারত, ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি

নতুন বছরের আগে ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তির খবর শোনালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর আজ রেপো রেট বা নীতি সুদহার নিয়ে অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করেছেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান। এর ফলে ইএমআই নিয়ে স্বস্তি পেতে পারেন আম জনতা।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল যে মনেটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকবে। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ধাপে ধাপে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল।
এদিকে আজকে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রেট থাকবে ৬.২৫ শতাংশ। এছাড়া মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেলিসিটি রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। ব্যাংক রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। অপরদিকে ফিক্সড রিভার্স রেপো রেট থাকবে ৩.৩৫ শতাংশ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। তবে গত এপ্রিল মাসে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে জুন ও অগস্ট মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি রেপো রেট। উৎসবের মরশুমে অক্টোবরেও অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। আর আজও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কমিটিতে আরবিআই’র তিনজন আছেন এবং সরকারের তরফে আরও তিনজনকে মনোনীত করা হয়ে থাকে এই কমিটিতে।
আরও পড়ুন: ভারতে ঘৃণাভাষণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

এদিকে এবারে রেপো রেট বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে গৃহঋণ গ্রাহকদের পকেটে নতুন করে চাপ পড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে। এই আবহে অপরিবর্তিত থাকতে পারে ইএমআই এবং ঋণের ওপর সুদের হার। তবে রেপো রেট বৃদ্ধি না হওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের হারও হয়ত অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী বিগত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আরবিআই এই মুহূর্তে নিশ্চিত যে সুদের হার কম রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক হবে।
আরবিআই’র আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হারের ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে কম সুদের হার। তবে আশঙ্কা, কম সুদের হারে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে। তবে আরবিআই জানাচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে প্রকৃত জিডিপি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কোরআন পোড়ানো বন্ধে ডেনমার্কে আইন পাস

অবশেষে পবিত্র কোরআন অবমাননা বন্ধে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়। এই আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার এ আইনের পক্ষে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৭টি। আর ৭ জন আইনপ্রণেতা এতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
পাস হওয়া আইন অনুসারে, কোনো ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব রয়েছে এমন কোনো লেখা বা বস্তুর প্রতি প্রকাশ্যে বা বৃহত্তর মানুষের কাছে প্রচারের লক্ষ্যে ‘অনুপযুক্ত আচরণকে’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
চলতি বছর মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে ডেনমার্কে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে দেশটির সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। একের পর এক কোরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মুসলিম বিশ্ব।
এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে ড্যানিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আরব দেশগুলো। অবশেষে পবিত্র কোরআন অবমাননা বন্ধে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক।

ডেনমার্কের পাশাপাশি সুইডেনও আইনসম্মতভাবে পবিত্র কোরআন অবমাননা ঠেকানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে ডেনমার্কের চেয়ে ভিন্ন পথে এগোচ্ছে দেশটি। তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা কেমন হতে পারে সেটা খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, এ আইনের সমালোচকদের দাবি, কোরআন পোড়ানো বন্ধসহ ধর্মের সমালোচনা সীমিত করার উদ্যোগ অঞ্চলটির দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত উদার স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। অন্যদিকে, ডেনমার্কের মধ্যপন্থি জোট সরকার বলছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর নতুন আইনের প্রভাব খুব সামান্যই পড়বে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভানুয়াতুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এ ভূমিকম্প হয়। এর জেরে সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়। তবে এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, মাটির ৩৫ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৩ মাত্রার। তবে পরবর্তী সময়ে সেই তথ্য পরিবর্তন করে তারা।
গ্রিনিচ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানী পোর্ট ভিলা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার এবং ইসানগেল শহর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতীরের দুরবর্তী একটি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
প্রশান্ত মহাসাগর সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট বিপজ্জনক ঢেউ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে এবং ভানুয়াতু ও নিউ ক্যালেডোনিয়া উপকূল পর্যন্ত যেতে পারে।
ওশেনিয়া অঞ্চলের এ দেশটিতে তিন লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। আর এখানে ভূমিকম্প খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি মূলত একটি নিচু দ্বীপপুঞ্জ, যা সিসমিক রিং অব ফায়ারে অবস্থিত। রিং অব ফায়ার হলো তীব্র টেকটোনিক কার্যকলাপের একটি চাপ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত।

এর আগে নভেম্বরে উত্তর ভানুয়াতুতে একটি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। বার্ষিক বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন অনুসারে, ভানুয়াতু ভূমিকম্প, ঝড়ের ক্ষতি, বন্যা ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিলো ইউনেস্কো

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ইফতারকে বিশ্ব ঐহিত্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন মুসলিমরা। সূর্যাস্তের সময় ইফতারের মাধ্যমে সেই রোজা ভাঙেন তারা।
সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে ইউনেস্কোর কাছে যৌথভাবে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং উজবেকিস্তান।
ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো বলেছে, ‘ইফতার (যা ইফতারি অথবা ইফতর নামেও পরিচিত) পবিত্র রমজান মাসে সকল ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সূর্যাস্তের সময় মুসলিমরা করে থাকেন।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, রমজান মাসে মাগরিবের আজানের পর ইফতার করা হয়। এটি পারিবারিক ও সম্প্রদায়ের বন্ধন দৃঢ় করে। এছাড়া এটি দান, সংহতি এবং সামাজিক বিনিময়ে উদ্বুদ্ধ করে।
গত সোমবার থেকে বসতওয়ানায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার আন্তঃসরকারি কমিটি বৈঠক করছে। সেখানেই ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কিছু মুসলিম দেশে চা ও খেজুরের মাধ্যমে ইফতার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ইফতারের সময় যে খাবার গ্রহণ বা পরিবেশন করা হয় সেটি দেশ ভেদে ভিন্ন হয়।
জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ইফতার পরিবারের মধ্যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আর তরুণ ও শিশুরা প্রায়ই ইফতারির উপকরণ প্রস্তুতের দায়িত্বে থাকে।’