Connect with us

আন্তর্জাতিক

আদানির নতুন বন্দরে ভিড়তে পারবে পৃথিবীর বৃহত্তম জাহাজও

Published

on

লোকসানে

ভারতের সর্বদক্ষিণের একটি সমুদ্রবন্দরে আজ রোববার দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে আসা ঝেন হুয়া ১৫ নামের একটি জাহাজের নোঙর করার কথা রয়েছে। এর মাধ্যমেই উদ্বোধন হচ্ছে কেরালায় অবস্থিত ভিজিনজাম বন্দরের। জাহাজটি আসার পর বন্দরের বড় ক্রেনগুলো কনটেইনার নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, চাঞ্চল্য তৈরি হবে বন্দরে।

তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এই বন্দর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট কনটেইনার পোর্ট বা বন্দরের জগতে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ এই বন্দরে বিভিন্ন দেশের জাহাজ নোঙর করে তেল ভরাট ও পণ্য এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে ওঠানো যাবে।

ব্লুমবার্গকে উদ্ধৃত করে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ভৌগোলিকভাবে ভিজিনজাম বন্দরের অবস্থান ভারতের সর্বদক্ষিণে। এই বন্দর চালু করার মধ্য দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র–বাণিজ্যে নিজেদের অংশীদারি আরও বাড়াতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে যেখানে রয়েছে চীনের আধিপত্য। এ ছাড়া ভারত যে চীনের বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র হয়ে উঠতে চাইছে, এই বন্দর সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। এতে ভারতে কার্গো আসা–যাওয়ার ব্যয় কমবে।

এই বন্দর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব গৌতম আদানির মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হতে যাচ্ছে। এই বন্দর আদানির মালিকানাধীন গোষ্ঠী নির্মাণ করেছে। গৌতম আদানি অবশ্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নানা ধরনের বিতর্কের মুখে রয়েছেন। একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে আদানির বিরুদ্ধে। এতে তাঁর সম্পদমূল্য অনেকটাই কমেছে।

ভিজিনজামের ভৌগোলিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের পাশে তার অবস্থান সেই পথে বিশ্বের ৩০ শতাংশ কার্গো জাহাজের চলাচল। সেই সঙ্গে বন্দরের গভীরতা ২৪ মিটারের বেশি। এসব কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলো ভেড়ার জন্য এই বন্দর আদর্শ। এত দিন ভারতের বন্দরগুলোর গভীরতা কম থাকার কারণে আন্তর্জাতিক বড় বড় জাহাজ কলম্বো, দুবাই ও সিঙ্গাপুরের বন্দরে ভিড়ত।

মুম্বাইয়ের টিসিজি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা চকরি লোকপ্রিয় ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, বিশ্বের সমুদ্র–বাণিজ্যের ৫০ ভাগ ভারত মহাসাগর দিয়ে হয়। ভিজিনজাম বন্দরের প্রাকৃতিক সুবিধার কারণে বড় জাহাজ আকৃষ্ট হবে, তাতে আদানি পোর্ট অর্থাৎ গৌতম আদানির যে সংস্থা এই বন্দর নির্মাণ করেছে, তার পরিচালনা মুনাফা অনেকটা বাড়বে।

এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাহাজ পরিবহনের সক্ষমতা কম থাকার কারণে এত দিন ভারতের বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের বন্দর মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সালে ভারতে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল মাত্র ১৭ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৭০ লাখ টিইইউ, যেখানে চীনের হয়েছিল ২৪ কোটি ৫০ লাখ টিইইউ।

এদিকে আদানি পোর্টের ওয়েবসাইটের সূত্রে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, এই বন্দরে জাহাজগুলো যেমন দ্রুত ভিড়তে পারবে, তেমনি সেখান থেকে দ্রুত ঘুরেও যেতে পারবে। বিশ্বের বৃহত্তম মেগাম্যাক্স কনটেইনার জাহাজও এই বন্দরে ভিড়তে পারবে। প্রথম ধাপে এই বন্দরের সক্ষমতা হবে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ টিইইউ-পরবর্তী পর্যায়ে এখানে আরও ৬২ লাখ টিইইউ সক্ষমতা যুক্ত হবে।

তবে বন্দর নির্মাণই শেষ কথা নয়, বন্দর থেকে কারখানা ও গুদামে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সড়ক ও রেল সংযোগ থাকতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তা না হলে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

Published

on

পেঁয়াজ

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

ডিজিএফটি’র বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

প্রথমত, এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।

তৃতীয়ত, যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে / যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ এবং সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।

এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সেসময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)।

তারও আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং রপ্তানির লাগাম টানতে গত আগস্টে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সরকার পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়, পেঁয়াজের নতুন এই রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আর এর মাঝেই এবার অঅগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে না ভারত, ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি

Published

on

লোকসানে

নতুন বছরের আগে ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তির খবর শোনালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর আজ রেপো রেট বা নীতি সুদহার নিয়ে অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করেছেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান। এর ফলে ইএমআই নিয়ে স্বস্তি পেতে পারেন আম জনতা।

শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল যে মনেটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকবে। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ধাপে ধাপে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল।

এদিকে আজকে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রেট থাকবে ৬.২৫ শতাংশ। এছাড়া মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেলিসিটি রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। ব্যাংক রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। অপরদিকে ফিক্সড রিভার্স রেপো রেট থাকবে ৩.৩৫ শতাংশ।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। তবে গত এপ্রিল মাসে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে জুন ও অগস্ট মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি রেপো রেট। উৎসবের মরশুমে অক্টোবরেও অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। আর আজও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কমিটিতে আরবিআই’র তিনজন আছেন এবং সরকারের তরফে আরও তিনজনকে মনোনীত করা হয়ে থাকে এই কমিটিতে।

আরও পড়ুন: ভারতে ঘৃণাভাষণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

এদিকে এবারে রেপো রেট বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে গৃহঋণ গ্রাহকদের পকেটে নতুন করে চাপ পড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে। এই আবহে অপরিবর্তিত থাকতে পারে ইএমআই এবং ঋণের ওপর সুদের হার। তবে রেপো রেট বৃদ্ধি না হওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের হারও হয়ত অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে বিশ্বব্যাপী বিগত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আরবিআই এই মুহূর্তে নিশ্চিত যে সুদের হার কম রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক হবে।
আরবিআই’র আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হারের ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে কম সুদের হার। তবে আশঙ্কা, কম সুদের হারে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে। তবে আরবিআই জানাচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে প্রকৃত জিডিপি।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

কোরআন পোড়ানো বন্ধে ডেনমার্কে আইন পাস

Published

on

লোকসানে

অবশেষে পবিত্র কোরআন অবমাননা বন্ধে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়। এই আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার এ আইনের পক্ষে ডেনমার্কের পার্লামেন্টে ভোট পড়ে ৯৪টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭৭টি। আর ৭ জন আইনপ্রণেতা এতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

পাস হওয়া আইন অনুসারে, কোনো ধর্মের মানুষের কাছে ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব রয়েছে এমন কোনো লেখা বা বস্তুর প্রতি প্রকাশ্যে বা বৃহত্তর মানুষের কাছে প্রচারের লক্ষ্যে ‘অনুপযুক্ত আচরণকে’ অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

চলতি বছর মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে ডেনমার্কে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে দেশটির সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। একের পর এক কোরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মুসলিম বিশ্ব।

এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে ড্যানিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আরব দেশগুলো। অবশেষে পবিত্র কোরআন অবমাননা বন্ধে আইন পাস করেছে ডেনমার্ক।

ডেনমার্কের পাশাপাশি সুইডেনও আইনসম্মতভাবে পবিত্র কোরআন অবমাননা ঠেকানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে ডেনমার্কের চেয়ে ভিন্ন পথে এগোচ্ছে দেশটি। তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা কেমন হতে পারে সেটা খতিয়ে দেখছে।

এদিকে, এ আইনের সমালোচকদের দাবি, কোরআন পোড়ানো বন্ধসহ ধর্মের সমালোচনা সীমিত করার উদ্যোগ অঞ্চলটির দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত উদার স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। অন্যদিকে, ডেনমার্কের মধ্যপন্থি জোট সরকার বলছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর নতুন আইনের প্রভাব খুব সামান্যই পড়বে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভানুয়াতুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

Published

on

লোকসানে

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এ ভূমিকম্প হয়। এর জেরে সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়। তবে এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, মাটির ৩৫ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৩ মাত্রার। তবে পরবর্তী সময়ে সেই তথ্য পরিবর্তন করে তারা।

গ্রিনিচ সময় দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানী পোর্ট ভিলা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার এবং ইসানগেল শহর থেকে ১২৩ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতীরের দুরবর্তী একটি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

প্রশান্ত মহাসাগর সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট বিপজ্জনক ঢেউ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে এবং ভানুয়াতু ও নিউ ক্যালেডোনিয়া উপকূল পর্যন্ত যেতে পারে।

ওশেনিয়া অঞ্চলের এ দেশটিতে তিন লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। আর এখানে ভূমিকম্প খুবই সাধারণ ঘটনা। এটি মূলত একটি নিচু দ্বীপপুঞ্জ, যা সিসমিক রিং অব ফায়ারে অবস্থিত। রিং অব ফায়ার হলো তীব্র টেকটোনিক কার্যকলাপের একটি চাপ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত।

এর আগে নভেম্বরে উত্তর ভানুয়াতুতে একটি ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। বার্ষিক বিশ্ব ঝুঁকি প্রতিবেদন অনুসারে, ভানুয়াতু ভূমিকম্প, ঝড়ের ক্ষতি, বন্যা ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিলো ইউনেস্কো

Published

on

লোকসানে

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ইফতারকে বিশ্ব ঐহিত্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন মুসলিমরা। সূর্যাস্তের সময় ইফতারের মাধ্যমে সেই রোজা ভাঙেন তারা।

সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে ইউনেস্কোর কাছে যৌথভাবে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং উজবেকিস্তান।

ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো বলেছে, ‘ইফতার (যা ইফতারি অথবা ইফতর নামেও পরিচিত) পবিত্র রমজান মাসে সকল ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সূর্যাস্তের সময় মুসলিমরা করে থাকেন।’

সংস্থাটি আরও বলেছে, রমজান মাসে মাগরিবের আজানের পর ইফতার করা হয়। এটি পারিবারিক ও সম্প্রদায়ের বন্ধন দৃঢ় করে। এছাড়া এটি দান, সংহতি এবং সামাজিক বিনিময়ে উদ্বুদ্ধ করে।

গত সোমবার থেকে বসতওয়ানায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার আন্তঃসরকারি কমিটি বৈঠক করছে। সেখানেই ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কিছু মুসলিম দেশে চা ও খেজুরের মাধ্যমে ইফতার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ইফতারের সময় যে খাবার গ্রহণ বা পরিবেশন করা হয় সেটি দেশ ভেদে ভিন্ন হয়।

জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ইফতার পরিবারের মধ্যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আর তরুণ ও শিশুরা প্রায়ই ইফতারির উপকরণ প্রস্তুতের দায়িত্বে থাকে।’

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
পেঁয়াজ
আন্তর্জাতিক12 mins ago

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

লোকসানে
খেলাধুলা14 mins ago

ফিলিপস ঝড়ে কিউইদের লিড

চাকরির সুযোগ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার1 hour ago

স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে আইআরসি

লোকসানে
জাতীয়2 hours ago

গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে

লোকসানে
অর্থনীতি2 hours ago

এমপি গোলাপের শেয়ারবাজার-বন্ডে বিনিয়োগ দেড় কোটি টাকা

লোকসানে
অর্থনীতি2 hours ago

মমতাজের শেয়ার-সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৪ কোটি টাকা

লোকসানে
জাতীয়2 hours ago

চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী

লোকসানে
রাজধানী2 hours ago

বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি

লোকসানে
আন্তর্জাতিক3 hours ago

নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে না ভারত, ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি

লোকসানে
অর্থনীতি3 hours ago

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার-সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১৩ লাখ টাকা

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31