পর্যটন
এভিয়েশন শিল্পের দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে

এভিয়েশন শিল্পে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম বলে জানিয়েছেন করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সম্ভাবনাকে বাস্তবতায় রূপান্তরের জন্য বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফলে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) ‘৫৮তম ডাইরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশসমূহের অংশগ্রহণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবছর বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে আমরা এ সংস্থার সদস্যপদ অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মাহবুব আলী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে বিকশিত হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সারাদেশের সব বিমানবন্দরে সময়োপযোগী অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, জনদক্ষতা উন্নয়ন, নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং নিরাপদ বিমান চলাচল নিশ্চিতকরণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন উন্নয়নকাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও বেশকিছু উন্নয়নকাজ চলমান। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও ভৌগলিক গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করা।
এবারের ডিজিসিএ কনফারেন্সের থিম ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিতকরণ’ এর প্রতি বর্তমান সরকারের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন টেকসই এবং দূরদর্শী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে জেন্ডার ইকুয়ালিটি এবং নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকরিসহ দেশের প্রতিটি খাতেই বাংলাদেশে নারীর অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাজীবীদের মধ্যে জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য এরই মধ্যেই আমরা ‘বঙ্গবন্ধু নেক্সট জেনারেশন এভিয়েশন প্রফেশনালস’ স্কলারশিপ চালু করেছি।

৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- ইকাও (ICAO) কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সালভাতোর সাকিতানো, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও ইকাও কাউন্সিলের মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালজার প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পর্যটন
পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশ

পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা তিনটার মধ্যে তাদের দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন পথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এই নির্দেশনার কথা জানিয়ে দ্বীপে মাইকিং করা হচ্ছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ৬-এ এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কি. মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
জানা গেছে, রোববার রাত পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। এদিকে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৮০, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ২৭২ ও এমভি বার আউলিয়ার ৭২৭ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। জাহাজগুলো বেলা ১টার মধ্যে সেন্ট মার্টিন জেটিতে পৌঁছায়।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সোমবার সকালে ১১৫০জন যাত্রী নিয়ে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, বার আউলিয়ার ও কেয়ারি সিন্দবাদ টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হঠাৎ সাগর উত্তাল হওয়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করেন। তবে এ কারণে আগামীকাল ২৪ অক্টোবর থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানায়।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাগর উত্তাল থাকার কারণে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় দ্বীপে অবস্থান রত সকল পর্যটককে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে এবং তাদেরকে দ্বীপ থেকে টেকনাফে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। যেহেতু আগামীকাল থেকে সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌপথে জাহাজ চলাচল করবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দু’বার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাতদিনের জন্য এমভি ‘বার আওলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে ওই নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে পর্যাক্রমে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
খৈয়াছড়া ঝরনা: কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন

গন্তব্য যখন ঝরনা দেখা, তখন সেখানে স্বভাবতই চলে আসে পাহাড়ের গহীনে গুপ্ত কোনো প্রাকৃতিক শোভা আবিষ্কারের নেশা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্গম ঝিরিপথ পেরোবার দুঃসাহস এবং ধৈর্য। এই পাহাড়ি পথ প্রথমবারের মতো আসা যে কাউকে বিভ্রমে ফেলে দিতে যথেষ্ট।
কারণ সবেমাত্র পা রাখা পর্যটক এখনও জানেন না, ঠিক কতগুলো বাঁক ঘুরে শেষ হবে এই পিচ্ছিল পথ। এই রোমাঞ্চের পুরোটাই অকৃপণভাবে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশের ঝরনার রানি খৈয়াছড়া ঝরনা।
খৈয়াছড়া ঝরনার ইতিহাস
খৈয়াছড়ার এই বিশাল ঝরনার ইতিহাস প্রায় ৫০ বছরের। ঘন ঝোপ-ঝাড়ে ভরা ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় মানুষের পদচিহ্ন পড়তে অনেক সময় লেগেছে। কোনো এক সময় হয়তো প্রকৃতির খেয়ালেই পাহাড়ি ঢলের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই ঝরনার।
বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে শুরু করে কুণ্ডের হাট পর্যন্ত এলাকাটি বর্তমানে বড়তাকিয়া ব্লক নামে পরিচিত। এর ২৯৩৩.৬১ হেক্টরের পাহাড়ি জমিকে ২০১০ সালে ঘোষণা করা হয় সরকারি জাতীয় উদ্যান হিসেবে। সে সময় এই উদ্যানেরই প্রধান প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এই জলপ্রপাতটি।
আরও পড়ুন: ইসরাইলিদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

স্থানীয়রা এই ঝরনাকে চতল বলে ডাকেন।
২০১৭ সালে সরকার এই ঝরনার সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকা ছিল চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রামগড়, সীতাকুন্ড ও রিজার্ভ ফরেস্ট।
খৈয়াছড়া ঝরনার অবস্থান এবং নামকরণের কারণ
খৈয়াছড়া চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ঝরনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খৈয়াছড়া অংশে বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর দিকে এই ঝরনার অবস্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে একদম ভেতরের দিকে এগিয়ে গেলে দেখা মেলে এর। যে পাহাড়ে ঝরনাটির অবস্থান, সেটি খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ভেতরে পড়ায় ঝরনার নাম হয়েছে খৈয়াছড়া ঝরনা।
পাহাড়ের একদম ভেতরে হওয়ায় ঝরনার পাদদেশ পর্যন্ত সরাসরি কোনো যানবাহন যেতে পারে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সিএনজি অটোরিক্সা করে ঝরনা সংলগ্ন গ্রাম পর্যন্ত আসা যায়। কিন্তু এরপর থেকে গ্রামের ভেতর দিয়ে ঝরনার মূল ধারা পর্যন্ত পৌঁছার একমাত্র উপায় পায়ে হেঁটে যাওয়া।
খৈয়াছড়া ভ্রমণে যা দেখতে পাবেন
৯টি বড় বড় ক্যাসকেড বা ধাপের এই ঝরনার প্রতিটা ধাপেরই রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। মিরসরাই ঠাকুরদা দিঘি থেকেও পাওয়া যায় পড়ন্ত জলের শব্দ। পথে যেতে যেতে পরে পাহাড়ের গহীনে গ্রামের সবুজ শ্যামল আঁকা-বাঁকা পথ, বাঁশের সাঁকো, ক্ষেতের আইল, ও নানা আকৃতির ছরা। অন্তত ৪টি পাহাড় পেরোতে হয় উদ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছার জন্য।
সবুজের গালিচা পেরিয়ে ঝুম ঝুম কলধ্বনি নিমেষেই দূর করে দেয় নিয়ত যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ ঝরনা স্নান পরিশুদ্ধ করে দিতে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: টিআইবিতে চাকরির সুযোগ, পদ ৪৫
এমন পরিবেশে তাঁবু খাটিয়ে একটি রাত কাটানো অপূর্ব এক অভিজ্ঞতার অবতারণা ঘটাবে। ঝরনার সঙ্গীত, ঝিঁঝিঁর ডাক ও জোনাক পোকার আলো স্মৃতির মণিকোঠায় চির অম্লান হয়ে থাকবে। আর সৌভাগ্যবশত রাতটা যদি হয় পূর্ণিমার রাত, তাহলে তো জীবনের ষোল আনা পাওয়া হয়ে যাবে।
খৈয়াছড়া ঝরনার দেখার উপযুক্ত সময়
জলপ্রপাতকে তার নিজস্ব রূপের সর্বোচ্চ মাত্রায় দেখতে হলে, ঢল, প্লাবন আর বৃষ্টির সময়কেই প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ ঝরনার সৌন্দর্যর মৌলিক উপাদানই তো জলের প্রবাহ। তাই স্বভাবতই বর্ষাকালই খৈয়াছড়া জলপ্রপাত দেখার ভালো সময়।
কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি-বাদলের সময় পাহাড়ি পথের বিপদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। তাই মাঝ বর্ষায় না গিয়ে বর্ষা শুরুর আগে আগে কিংবা শেষ হওয়ার ঠিক পর পরই যাওয়াটাই ভালো।
ঢাকা থেকে খৈয়াছড়া ঝরনা যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে মীরসরাই
প্রথমে ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোর যে কোনওটি থেকে চট্রগ্রামগামী যে কোনো বাসে উঠে পড়তে হবে। নন-এসি বাসগুলোতে ভাড়া পড়তে পারে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকা। আর এসিগুলোতে ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হতে পারে। এগুলোতে করে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজারের কাছে এসে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামতে হবে।
এ ছাড়া সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় লোকাল বাসে করেও খৈয়াছড়ায় পৌঁছা যায়।
ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোনো আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশন পর্যন্ত আসতে হবে। শ্রেণিভেদে এখানে ভাড়া পড়তে পারে জনপ্রতি ২৬৫ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ফেনী স্টেশন থেকে রিকশা কিংবা অটো রিকশা ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়ায় ফেনীর মহিপাল বাস স্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। এখান থেকেই বেশ কিছু লোকাল বাস খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামিয়ে দেয়।
মীরসরাই থেকে খৈয়াছড়া ঝরনা
স্কুলের সামনে নামার পর ঝরনার ঝিরির প্রবেশমুখ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা খুঁজতে হবে। এখান থেকে ১০০ টাকায় সিএনজি করে ঝরনা সংলগ্ন গ্রাম পর্যন্ত যাওয়া যায়।
এ ছাড়া স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে সম্পূর্ণ পথটি পায়ে হেঁটেও যাওয়া যেতে পারে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পূর্বদিকে গ্রামের রাস্তা ধরে ১০ মিনিট হাঁটলে প্রথমে পড়বে রেললাইন। এরপর আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটার পর পাওয়া যাবে ঝিরি পথের দেখা।
আরও পড়ুন: যেভাবে তৈরি হলো পবিত্র কাবাঘর
ট্রেকিংয়ের সময় হাঁটার সুবিধার্থে বাঁশের লাঠি এবং পায়ে এংলেট ব্যবহার করা ভালো। ঝিরিপথের শুরুতেই স্থানীয়রা পর্যটকদের জন্য লাঠি ও এংলেট সরবরাহ করে, যেখানে এগুলোর ভাড়া পড়ে ২০ টাকা।
ঘন ঝোপ-ঝাড়, গাছ-গাছালির মধ্যে দিয়ে জলপ্রপাত পর্যন্ত হেটে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।
খৈয়াছড়া ঝরনা ভ্রমণের সময় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
এই ঝরনার কাছে ও খৈয়াছড়ার বড়তাকিয়া বাজারে থাকার কোনো বন্দোবস্ত নেই। যারা তাঁবুতে থাকার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য ঝরনার পাদদেশে থাকার সুবিধা আছে। তবে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেলে থাকতে হলে সীতাকুণ্ডই একমাত্র ভরসা। সেখানে মাথাপিছু ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি মানের রুম পাওয়া যাবে।
ট্র্যাকিংয়ের সময় বেশকিছু খাবার হোটেল পাওয়া যাবে। সেখানে পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার দিয়ে ফেরার পথে এসে খাওয়া যাবে। এখানে স্বল্পমূল্যে আনলিমিটেড ভাত-ডালসহ বিভিন্ন ধরনের তরকারি পাওয়া যায়। ১০০ টাকায় ভাতের সঙ্গে ফার্মের মুরগি পাওয়া যায়, আর দেশি মুরগি চাইলে সেটা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়। সঙ্গে আলুভর্তা আর সালাদ যোগ করলে খরচ ১৪০ টাকা।
এ ছাড়া মীরসরাইতে মোটামুটি মানের কিছু খাবারের হোটেল আছে। তবে মনে রাখতে হবে, বিকেল ৫ টার পর এখানকার সব খাবার হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর সীতাকুণ্ডে থাকার হোটেলের পাশাপাশি খাবারেরও ভালো কিছু রেস্তোরাঁ আছে।
খৈয়াছড়া ঝরনা ভ্রমণের সময় কিছু প্রয়োজনীয় সতর্কতা
বৃষ্টির সময় ছাড়াও অধিকাংশ সময়গুলোতে ঝরনায় যাওয়ার রাস্তা বেশ পিচ্ছিল ও দুর্গম থাকে। বিশেষ করে একেবারে ওপরের ধাপগুলো খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়। তাই ভালো মানের গ্রিপের জুতা পরে তবেই ট্রেকিং শুরু করতে হবে। এরপরেও তাড়াহুড়ো না করে সাবধানে ধীরে ধীরে প্রতি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পানিতে এমনকি ঘাসেও জোঁক থাকতে পারে। তাই জোঁক ছাড়ানোর জন্য সঙ্গে গুল কিংবা লবণ রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অল্প খরচে ঘুরে আসতে পারেন মেঘের স্বর্গরাজ্য সাজেক
বিকেল নামতে না নামতে চারপাশ অন্ধকার হয়ে যেতে শুরু করে। তাছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কের তেমন সুবিধা নেই। তাই সঙ্গে শতভাগ চার্জ দেওয়া পাওয়ার ব্যাংক এবং ভালো নতুন ব্যাটারির টর্চলাইট রাখতে হবে।
অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের সময় আটকে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যতটা সম্ভব সকাল সকাল এখানে আসার চেষ্টা করতে হবে।
সঙ্গে হাল্কা খাবার, পানির বোতল নেওয়া হলে সেগুলো যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা, বিশেষত দোকান থেকে কিছু কেনা বা গাইডের সঙ্গে লেনদেনের সময় ভালো ব্যবহার করতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে স্থানীয় লোকজনসহ অন্যান্য ভ্রমণকারীদের অসুবিধা হয়।
ঝরনা দেখার উদ্দেশে পাহাড়ি পথ যাত্রা আর সব প্রমোদ ভ্রমণের থেকে আলাদা। আরাম-আয়েশের সঙ্গে ঝিরিপথ ঘুরে বেড়ানো এই অভিযানের সঙ্গে একদমই যায় না। পোকামাকড়ের কামড় কিংবা পা মচকে যাওয়া পাহাড়ের গহীনে ঢোকার উপরি পাওনা। ক্লান্তির কথা না হয় বাদই রইল।
তবে পথ হারানোর ভয় নেই, কারণ একই পথে আরও অনেক পর্যটককে পাওয়া যাবে। এরপরেও প্রয়োজনে সঙ্গে গাইড নেওয়া যেতে পারে। এই আশঙ্কা বা সম্ভাবনাগুলো বিনামূল্যেই মিলবে খৈয়াছড়া ঝরনা ভ্রমণ প্যাকেজে। কিন্তু এ সবই কর্পূরের মত উবে যাবে, যখনি সামনে এসে ধরা দেবে ঝরনার পুরো ৯টি কাসকেডের মোহনীয় দর্শন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে বিমান

টিকিটে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটের টিকিটে এ ছাড় পাওয়া যাবে। রোববার (১ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ফেসবুক পেজে এ ছাড়ের তথ্য জানানো হয়।
বিমানের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বিমানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটের (কানাডা ও যুক্তরাজ্য ছাড়া) টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রমোকোড চালু করেছে। যে কেউ এ প্রমোকোড (SMILEBIMAN) ব্যবহার করলে মূল ভাড়ার ওপর ১০ শতাংশ বিশেষ মূল্যছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
তবে গ্রাহককে বিমানের ওয়েবসাইট বা মোবাইলে টিকিট বুকিং দিতে হবে। আর এ ছাড় পেতে হলে আজ রাত ১২টার মধ্যে অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে

পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা এরইমধ্যে সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিক মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি, সামনে কক্সবাজারেও এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরে দেশে-বিদেশে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে হবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুজিবস বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে চারদিনব্যাপী এই মেলা এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই মেলা চলবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পর্যটনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকদের আনতে হবে। আমাদের ট্যুরিজমের সব ঐতিহ্য রয়েছে। এটাকে আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। বিদেশি টুরিস্টরা আমাদের দেশে এসে যে অর্থ ব্যয় করবে, সেটি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম করা যায় তবে বিদেশ পর্যটকরা আরও বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে। ঢাকা সিটিতে পর্যটকদের জন্য বাস ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অন্য দেশের বৈচিত্র্য থেকে অনন্য। আমাদের দেশে যে ছয় ঋতুর বিবর্তন ঘটে, সেটিও অন্য দেশের তুলনায় আকর্ষণীয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ পর্যটনের অনন্য ডেস্টিনেশন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জিডিপির ১০ ভাগ পর্যটন খাত থেকে আসে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন একদিন থেকে বাড়িয়ে দুদিন নির্ধারণ করেন। সেই দুদিন ছুটি থেকে পর্যটন খাতে মানুষের যে আগ্রহ তৈরি হলো সেটি কিন্তু এখনো মানুষ ধরে রেখেছে। শুধু ছুটির দিন ঘোষণা করলে পর্যটন হবে না। পর্যটনের জন্য অনেক কর্মকাণ্ড তৈরি করতে হয়। পর্যটনে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন থেকে একটু বৈচিত্র্য চায়। মানুষকে সেই ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, পরিচালক জামিল আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
ঢাকা-আদ্দিস আবাবার মধ্যে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব

ঢাকা-আদ্দিস আবাবার মধ্যে সরাসরি বিমান চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মন্ত্রী তায়ে এটস্কি-শীলাশির সঙ্গে হওয়া দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ড. মোমেনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, প্রন্তাবটি গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে আদ্দিস আবাবা। বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এ বিষয়ে তিনি ইথিওপিয়ায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে, কৃষিতে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে, উভয় দেশ লাভবান হতে পারে বলে অভিমত দেন।
ইথিওপিয়ার মন্ত্রী বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নয়- গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি রয়েছে যা ইথিওপিয়া কাজে লাগাতে পারে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের রিটার্ন সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে ইথিওপিয়ার বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইথিওপিয়ার সহযোগিতা চান।