Connect with us

অর্থনীতি

ঋণ খেলাপিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

Published

on

লেনদেন

খেলাপি ঋণ একটি দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা সৃষ্টি করে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হার কমলেও বাংলাদেশে বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্দশায় থাকা শ্রীলঙ্কা। এমনকি উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাকিস্তানও ঋণ খেলাপিতে বাংলাদেশ থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার খেলাপি ঋণের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, দেশে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা এপ্রিল-জুন সময়ে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বেড়েছে।

বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। পাকিস্তানে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

ভারতে খেলাপি ঋণের হার অনেক কম। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতে খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ধারণা হলো, ভারতে আগামী বছর খেলাপি ঋণের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশে খেলাপি ঋণের হিসাব তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার নিয়মিত বাড়ছে। যেমন ২০১৩ সালে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪ দশমিক ৮ শতাংশ; পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে তা একলাফে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে উঠে যায়।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়ায় ২০১৮ সালে। এরপর কিছুটা কমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, এখন আবার খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে।

ভারতে খেলাপি ঋণের চিত্রও আছে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে। তাদের হিসাবে, ২০১৭ সালে ভারতের খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ১০ শতাংশ, যা কমতে কমতে ২০২১ সালে সাড়ে ৬ শতাংশে নামে।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য দিক হলো, দুর্দশার মধ্যেও দেশটিতে খেলাপি ঋণ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ে পাকিস্তানে খেলাপি ঋণ ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেশটিতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, তবে হার এখনো কম। সেটা ৩ শতাংশের আশপাশে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মালদ্বীপের খেলাপি ঋণ ছিল ৬ শতাংশের কম। ভুটানের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৮ শতাংশের নিচে।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ

Published

on

লেনদেন

২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছিল ৩৪৪ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এসেছে ৩২৫ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে এফডিআই কমেছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগে গত জুন পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, মোট এফডিআইয়ের মধ্যে মাত্র ৮০ কোটি ডলার এসেছে বিদেশ থেকে পুঁজি হিসাবে। বাকি অর্থ দেশে কার্যরত বিদেশি কোম্পানিগুলোর মুনাফা থেকে পুনরায় বিনিয়োগ ও এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির ঋণ।

দেশে ক্রিয়াশীল বিদেশি কোম্পানিগুলোর অর্জিত মুনাফা থেকে পুনরায় বিনিয়োগ হিসাবে এফডিআই এসেছে ২৩৭ কোটি ডলার।

মাত্র ৮ কোটি ডলার এসেছে এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির ঋণ হিসাবে। গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি নিট পুঁজি এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৬ কোটি ডলার। সব মিলে এসেছে ২৯ কোটি ডলার।

২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ এসেছিল ৬২ কোটি ডলার। আলোচ্য এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে বিনিয়োগ কমেছে। বিদেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের স্থিতি গত বছরের জুনে ছিল ৪০ কোটি ডলার, চলতি বছরের জুনে তা সামান্য কমে ৩৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগের স্থিতি কমেছে ২ কোটি ডলার। এদিকে বৈদেশিক ঋণ গত এক বছরে বেড়েছে ৩৪৯ কোটি ডলার।

টাকার অঙ্কে যা ৩৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। গত বছরের (২০২২) জুনে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৫৪৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলার। এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরও পরিমাণ বেড়ে চলেছে। আলোচ্য সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে, কমেছে স্বল্পমেয়াদি ঋণ।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের (২০২২) জুনের তুলনায় চলতি বছরের জুনে দেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়েছে। দেশে আসা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই কমেছে। আর বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগের স্থিতিও সামান্য কমেছে।

গত বছরের (২০২২) জুনে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ছিল ৭ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। গত বছরের (২০২২) জুনে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ছিল ২ হাজার ৬৫ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে এ ঋণ আরও কমেছে।

গত দেড় বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। সার্বিকভাবে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বেড়ে গেছে, যা পরিশোধে ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। আগে যেসব ঘাটতি ছিল তা এখন কমে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধে ডলারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে না।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বৈদেশিক ঋণ বাড়লেও প্রবৃদ্ধির হার কমেছে। ২০২১ সালের জুনে মোট ঋণ বেড়েছিল ১৯ শতাংশের বেশি। গত বছরের জুনে তা কমে ঋণ বৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১৭ শতাংশে। চলতি বছরের জুনে তা আরও কমে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।

গত বছরের (২০২২) জুনে তুলনায় চলতি বছরের জুনে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কমেছে ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কমেছে প্রায় ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের (২০২২) জুনে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেড়েছিল ৪৭ শতাংশ এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছিল ১১ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে সোনা

Published

on

সারাদেশে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ কাল

বিশ্বাবাজারে হঠাৎ করে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ ধাতুটির দাম। এতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রেকর্ড। অতিতের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বাবাজারে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সামনে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার মধ্যে দেশের বাজারেও এ ধাতুটির দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) থেকে হুটহাট সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। এতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে বর্তমানে সর্বোচ্চ দামে বক্রি হচ্ছে সোনা।

অবশ্য এ রেকর্ডও যে কোনা সময় ভেঙে যেতে পারে। কারণ বিশ্ববাজারে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা ধারণা করছেন, নতুন সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রথমবারের মতো দুই হাজার এক’শ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেটি হলে দেশের বাজারেও সোনার দাম নতুন করে বাড়ানোর ঘোষণা আসবে।

হঠাৎ সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বাচন আসছে। সবকিছু মিলে এক ধরনের অনিশ্চিত অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে হঠাৎ সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দামও বেড়েছে।

বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১ দশমিক ২৩ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে সোনার এমন দাম বাড়ার মধ্যে দেশের বাজারেও দফায় দফায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনকি ১০ দিনের মধ্যে তিন দফা সোনার দাম বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম রেকর্ড ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এখনো পর্যন্ত এটি সোনার সর্বোচ্চ দাম।

বাজুস থেকে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় গত ২৯ নভেম্বর। এরপর বিশ্ববাজারে আরও দুই কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এ দুই কার্যদিবসে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৪০ ডলার বেড়ে গেছে। এতে বিশ্বাবাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে কার্যদিবসের লেনদেনে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭২ ডলার পর্যন্ত উঠে। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫১ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। সামনে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণ করা হচ্ছে এবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার এক’শ ডলার হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে যায়। এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক ধরনের বৈশ্বিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বচন আসছে। ফলে এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হার্ড কারেন্সির (ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রা) পরিবর্তে সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে দাম বেড়েছে।

বাজুসের সাবেক আরেক সভাপতি এনামুল হক বলেন, দাম বাড়ার কারণ-সোনার যে পরিমাণ চাহিদা, সেই পরিমাণ সরবরাহ নেই। এ চাহিদা বাড়ার কারণ মানুষ সোনাকে নিরাপদ মনে করে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নভেম্বরে রেমিট্যান্স এলো ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা

Published

on

লেনদেন

সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাস শেষে ১৯৩ কোটি ডলার বা ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) যা ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের মধ্যে ডলারের বাজারের অস্থিরতা বেশ পুরোনো। এ সংকট ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন এ মুদ্রাটির সংকট নিরসনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও সংকট নিরসনের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।

বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহত রয়েছে ডলার বিক্রি। আকুসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ রিজার্ভও কমছে। ডলার বিক্রি করায় চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। গ্রস রিজার্ভ নেমে এসেছে ২৫ বিলিয়নে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী আরও কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে এসেছে।

তবে এর মাঝেই নতুন করে আশা জাগাচ্ছিল রেমিট্যান্স। ডলার সংকটময় পরিস্থিতিতে এ মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে নভেম্বরের শুরু থেকে। ধারণা করা হচ্ছিল মাসটিতে দুই বিলিয়ণ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তবে সব আশা ফিকে করে দিয়ে তা দুই বিলিয়ন ডলারের নিচেই আটকে যায়। সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাস শেষে ১৯৩ কোটি ডলার বা এক দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার এসেছে। যা তার আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে পাঁচ কোটি ডলার কম এসেছে। আর গত বছরের একই মাসের (নভেম্বর-২০২২) চেয়ে ৩৩ কোটি ডলার বেশি এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা) ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার কম। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার। তবে গত বছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বরে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসের রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। তবে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

দাম বাড়ল এলপিজির

Published

on

লেনদেন

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৮১ টাকা থেকে ২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। যা আজ সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় নতুন দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১১৭ টাকা ২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য ১১৩ টাকা ২০ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে গত মাসে এলপি গ্যাসের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।

এদিকে, মূসকসহ অটোগ্যাসের প্রতি লিটারের মূল্য ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ডিসেম্বরে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১১.৪৭ শতাংশ

Published

on

লেনদেন

তারল্য সংকটের প্রভাবে ট্রেজারি বিলের সুদহার এক যুগ পর দুই অঙ্ক ছাড়িয়েছে। আবার ‘স্মার্ট’ বা ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহারের সঙ্গে মার্জিনও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে চলতি ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকগুলো ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত নভেম্বরে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ঋণের পাশাপাশি আমানতের সুদও বাড়ছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আইএমএফের ঋণের শর্ত পরিপালনের জন্য গত জুলাই মাসে সুদহারের নতুন ব্যবস্থা চালু হয়। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে গত জুন পর্যন্ত ঋণের সুদহারে সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৯ শতাংশ। নতুন ব্যবস্থায় ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার তথা সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলের (স্মার্ট) সঙ্গে একটি মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হয়। সম্প্রতি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগে যা ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।

গত জুলাই মাসে ‘স্মার্ট’ ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ যোগ করে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১০ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতির ফলে প্রতি মাসে ‘স্মার্ট’ বাড়ছে। পাশাপাশি মার্জিনের হারও বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অক্টোবরে মার্জিনের হার সাড়ে ৩ শতাংশ করা হয়। গত ২৭ নভেম্বর মার্জিন বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়। নভেম্বর মাসে স্মার্ট দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। এতে করে ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি এবং কৃষিঋণে সুদহার হবে ১ শতাংশ কম। এসএমইতে সাধারণ ঋণের অতিরিক্ত ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি সুদহার হিসেবে পরিচিতি রেপোর সুদহার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ গত ২৬ নভেম্বর ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। আবার স্পেশাল রেপোর সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ নিয়ে চলতি বছর রেপো ও স্পেশাল রেপোর সুদহার ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। আবার সরকারের ঋণ চাহিদার পুরোটাই এখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া হচ্ছে। এর আগে ঋণের বেশির ভাগই সরবরাহ করছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে টাকা উঠে আসা অব্যাহত আছে। সব মিলিয়ে বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31