Connect with us

শিল্প-বাণিজ্য

এফবিসিসিআই’র ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার উদ্বোধন

Published

on

এফবিসিসিআই'র ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার উদ্বোধন

দেশের বেসরকারি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। রোববার রাতে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এ সেন্টারের চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি জানান, দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে এফবিসিসিআই রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে এগ্রি বিজনেস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সার্কুলার ইকোনমিসহ বিভিন্ন খাতের জন্য দক্ষ জনবল এবং উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসময় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী। দক্ষ উদ্যোক্তা এবং মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ তার।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শমী কায়সার, আবুল কাসেম খান, মোহাম্মদ আলী খোকন, শামিম আহমেদ, নাদিয়া বিনতে আমিন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব এবং ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য

বেনাপোল বন্দরে ৪ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৪০ কোটি টাকা

Published

on

লেনদেন

দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক মন্দার কবলে পড়ে ডলার ও ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান অস্বাভাবিক কমেছে। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এলসি কমে অর্ধেকে নেমেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাণিজ্য ও ভ্রমণ খাতে।

এছাড়াও বিগত বছরগুলোর তুলনায় যাতায়াত কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। এসব কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গত ৪ মাসে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় ২৪০ কোটি টাকা কম হয়েছে। তবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানী-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত সবচেয়ে বেশি হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৪৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। আর চিকিৎসা, ব্যবসা, উচ্চ শিক্ষা ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে দুই দেশের মধ্যে প্রতিদিন যাতায়াত করে ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী।

৩ মাস আগের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশি ১০০ টাকার বিপরীতে ৭৭ রুপি মিললেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ রুপি। আর ১শ ডলার কিনতে ১০ হাজার ৬০০ স্থলে এখন গুনতে হচ্ছে ১২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এতে লোকশানের কারণে অনেক আমদানিকারকেরা ব্যাংকে এলসি কমিয়েছেন। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে যাচ্ছেন না অনেকে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১৮৩ ট্রাক পণ্য, রপ্তানি পরিমাণ ছিল ১৪৯ ট্রাক। বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ কম।

চলতি ২০৩৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত ৪ মাসে এ রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক অবস্থা খারাপ থাকায় আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণ দেখিয়ে চাহিদা মতো এলসি দিচ্ছে না। এতে কমেছে আমদানির পরিমাণ।

আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, ডলারের সংকটে চাহিদা মত পণ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছেনা। ব্যাংক নানান অযুহাত দেখিয়ে এলসি খুলতে বিমূখ করছে। স্বাভাবিক সময়ে মাসে ৮ থেকে ১০ টি পণ্য চালান আমদানি করলেও এখন ৩ টির বেশি সম্ভব হচ্ছেনা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বৈশ্বিক মন্দার মারাত্বক বিরুপ প্রভাবের মুখে পড়েছে বাণিজ্য। বর্তমানে আমদানির পরিমাণ কমে প্রায় অর্থেকে নেমেছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ব্যাংক চাহিদা মতো এলসি দিতে পারছে না। কিছু এলসি দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাজের ধীরগতিতে পণ্য আমদানি করতে ৩ মাস সময় লেগে যাচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, উচ্চ শুল্কায়ন যুক্ত পণ্য মেশিনারি, গার্মেন্টস, ট্রাক চ্যাসিচ ও মটরপার্টস আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয়ে মারাত্বক বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এতে গত ৪ মাসে লক্ষমাত্রার চেয়ে ২৪০ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ২২২৬ জন পাসপোর্টধারী গেছে ভারতে এবং ভারত থেকে ফিরেছে ২৩৮৩ জন। তবে বিগত বছরগুলোতে এমন দিনে অনেক বেশি মানুষের যাতায়াত ছিল।

বেনাপোল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার কর্মাস ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে ডলার সংকটে আমদানিকারকদের চাহিদা মতো এলসি দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তবে রপ্তানি বেশি করতে পারলে সেখান থেকে যে অর্থ আসবে তা থেকে আমদানি ব্যয় মেটানো সহজ হবে। আমদানিকারকদের রপ্তানি বাণিজ্যে জোর দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

ভারত থেকে এলো ৭৪ মেট্রিক টন আলু

Published

on

লেনদেন

দেশের বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় এবার ভারত থেকে আলু আমদানি করেছে সরকার। চাল, ডা, গম, পেঁয়াজ, সজনে ডাটা ও কাঁচামরিচসহ নানা ধরনের পণ্যের পর ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এবার আলু আমদানি শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিন ট্রাকে করে এক হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪.০১ মেট্রিক টন আলু ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বাংলাদেশ। রফতানিকারক পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস ভারত। শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) আলুর চালানটি ছাড়ের কাজ সম্পন্ন হবে।

সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে সরকার ১২ আমদানিকারককে ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?

আলু আমদানির এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পড়বে বলেই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি।

দেশের বেনাপোল স্থলবন্দর ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনুমতিপ্রাপ্ত আলুগুলো আমদানি করা হবে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মেট্রিক টন আলুর কাস্টমস শুল্কায়ন মূল্য ১৮০ ডলার। সে হিসাবে মেট্রিক টন প্রতি আলুর ডিউটি দিতে হচ্ছে ৬৬৮৯.৫০ টাকা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে ডিউটি দিতে হচ্ছে ৬.৭০ টাকা। আলু কেনা, এল সি খরচ এবং ডিউটিসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানি কারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০-৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭৪ মেট্রিক টন আলু বন্দরে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার ছুটি থাকার কারণে আজ আলুর চালানটি খালাস হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

জনশক্তি রপ্তানিতে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ

Published

on

লেনদেন

জনশক্তি রপ্তানিতে বড় এক মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি করেছে তা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ চার হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার।

এ বছর শ্রম অভিবাসনের একটি ইতিবাচক দিক হলো মধ্যপ্রাচ্যের প্রচলিত বাজারগুলোর পরিবর্তে ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের মতো অপ্রচলিত গন্তব্যে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী পাঠানো।

যদিও এক্ষেত্রে উদ্বেগ রয়েই গেছে। কারণ অসংখ্য কর্মী প্রধানত ওমান, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ায় ভুয়া চাকরির প্রলোভনে পড়ে সঠিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো- বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সত্ত্বেও সেই হারে প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়েনি। গত দুই অর্থবছর ধরে রেমিট্যান্স মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচেই স্থবির হয়ে আছে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্যাংকাররা এই অসমতার জন্য তিনটি প্রাথমিক কারণকে দায়ী করেছেন। এগুলো হলো- স্বল্প-দক্ষ পেশার ব্যাপকতা, অর্থ স্থানান্তরের জন্য অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার (হুন্ডি) এবং আর্থিক লাভের জন্য বিদেশি নিয়োগদাতার ভুয়া চাকরির প্রস্তাব এনে অদক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে দেশের কিছু রিক্রুটারের অর্থ নেওয়ার ঘটনা।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো- চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খুলে দেওয়া। দেশটি উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি, খনি ও গৃহস্থালীসহ বিভিন্ন খাতে এ বছর তিন লাখ ২৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে সৌদি আরবের পরেই এখন মালয়েশিয়ার অবস্থান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব।

এছাড়াও সৌদি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক বা কর্মীদের জন্য কোটা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করাও গত দুই বছর ধরে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

এ বছর বিশেষ করে কৃষি, আতিথেয়তা এবং উৎপাদন খাতে ১৬ হাজার ২৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। একক বছরের হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ।

যুক্তরাজ্য সেবা, গৃহকর্মী ও আতিথেয়তা খাতে রেকর্ড ৯ হাজার ৪২৭ জন নিয়োগ দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরও এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।

নিয়োগকারীরা এ কথা স্বীকার করেন যে কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশে যেতে না পারা শ্রমিকরা পরবর্তী বছরগুলোতে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।

জনশক্তি রপ্তানি খাতের এই সাফল্যের পেছনে ভুয়া চাকরির প্রলোভনের অভিযোগও নেহাত কম নয়।

রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তীকালে বিদেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণ না করায় এক থেকে ১৬ মাসের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন।

শ্রম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা অনেক কর্মীকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে থাকে। যে কারণে এখন অন্য দেশগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে।

খাত সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ওমানের সম্প্রতি নতুন ভিসা স্থগিতাদেশে উদ্বেগ বেড়েছে। কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছে, মধ্যস্থতাকারীর দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকরের প্রস্তুতি

Published

on

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সিপিডির নতুন প্রস্তাব

পোশাক খাতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কারখানা মালিকেরা। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক স্পষ্টীকরণ বিবৃতিতে এই প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। বিবৃতিতে তিনি মজুরি বোর্ডের স্বাধীন কার্যক্রম ও গ্রেডভিত্তিক মজুরির ঘোষণার বিস্তারিত তুলে ধরেন। মজুরি নির্ধারণে মালিক পক্ষের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না থাকার কথা জানান তিনি।

ফারুক হাসান বলেন, শ্রম আইনে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও বাস্তবে কারখানাগুলো যোগ্য শ্রমিকদের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে নূন্যতম পরিমাণের চেয়েও বেশি, উচ্চতর ইনক্রিমেন্ট দিয়ে থাকে। এর বাইরেও মোট মজুরি কাঠামোর মধ্যে বিভিন্ন ভাতা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে হাজিরা ভাতা, উৎপাদন ভাতা, বিনামূল্যে কিংবা ভর্তুকিযুক্ত দুপুরের খাবার, বিনা মূল্যের নাশতা। অনেক কারখানা বিনা মূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে মহিলা শ্রমিকদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে। কিছু কারখানা আবার অন্তঃসত্ত্বা নারী শ্রমিকদের দুধ এবং ডিমসহ অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করে, ফলিক অ্যাসিডের পরিপূরক বিতরণ করে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা করে। কিছু কারখানা শ্রমিকদের শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে স্কুল, ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করে। চিকিৎসা, বিবাহ ইত্যাদির জন্য বিশেষ সহায়তাসহ আরও শিল্পে অসংখ্য সেরা অনুশীলনের দৃষ্টান্ত রয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পখাত হলো ৪০ লাখ শ্রমিকের একটি শিল্প, যার ওপর সরাসরিভাবে ২ কোটি মানুষের জীবনজীবিকা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের অর্থনীতি এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। শিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতি ও দেশের আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির পরিপূরক। তাই এই শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের, তাদের পরিবার এবং বৃহত্তর অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফারুক হাসান বলেন, যদিও পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করছে, তারপরও আমরা প্রায়শই শিল্পবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন ও বিভ্রান্তিপূর্ণ উপস্থাপন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হই। এমনকি বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিগুলো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে, এগুলোর প্রভাব সব সময় শ্রমিকদের পক্ষে না-ও যেতে পারে, তবে আমরা একসঙ্গে যাত্রার পথ প্রশস্ত করে চলতে চাই। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর উচিত হবে শিল্পের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, শিল্পের উৎপাদন ব্যয় এবং মূল্যের গতিশীলতা এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পোশাক উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশে তুলনামূলক মজুরি বৃদ্ধির বিষয়গুলো আমলে নেওয়া। এর বিপরীতে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি পণ্যের দাম কমে আসার তথ্য তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

ফের আইবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান হলেন আবদুল মাতলুব

Published

on

লেনদেন

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নিটল মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির আগামী দুই বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) আইবিসিসিআই নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনি বোর্ডের অপর দুই সদস্য ছিলেন, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মো. কোহিনুর ইসলাম। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবদুল মাতলুব আহমাদ দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। একইসঙ্গে এইচএসটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও কনসাল কোরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম শোয়েব চৌধুরী এবং সান ফার্মাসিউটিক্যালস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সঞ্জয় বসুকে চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আইবিসিসিআই ২৪ সদস্যের নতুন পর্ষদে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড অমিত কুমার সংগঠনটির মহাসচিব, কোয়ালিটি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহেদ যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ সিস্টেম টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সুলতান আহমেদ কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও ফতুল্লা স্টিল রি-রোলিং মিলসের মোহাম্মদ আলী, বিআর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মো. বজলুর রহমান, ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের ফারখুন্দা জাবীন খান, মেসার্স শারোথি এন্টারপ্রাইজের মতিয়ার রহমান, ব্রিক ওয়ার্কস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেডের বুধাদিত্য মুখার্জি, আয়ন এক্সচেঞ্জ এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের মো. জুলফিকার শেখ এবং এজিওন ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেডের অজিত কুমার পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

সংগঠনটির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের এসকে মাহফুজ হামিদ, অরবিন্দ লিমিটেডের অনিল কুমার, অ্যাক্সিস ব্যাংক লিমিটেডের সুমিত গোস্বামী, ডাবর বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের বিশ্বজিৎ কুমার দাস, অ্যাগ্রো টেক ফুডস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের পিংকু রায়, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেডের সুব্রত দত্ত গুপ্ত, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি-এর মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এমকেকে লজিস্টিকসের রবিউল আলম, টরসিড বাংলাদেশ লিমিটেডের অমিত কুমার তিওয়ারি এবং ভেনক্রিস এনার্জি লিমিটেডের মুলে ভেঙ্কটারত্ন রেড্ডি।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31