বীমা
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে বীমা কোম্পানি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। রবিবার (১ অক্টোবর) সংস্থাটি থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষের জারি করা সার্কুলারটি (নং- ৮১/২০২০) বাতিল করা হয়েছে।
আইডিআরএ’র নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, কোম্পানির নামে নিবন্ধিত সর্বোচ্চ ১০টি করপোরেট সিম ব্যবহার করে এই প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা যাবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনবিহীন মোবাইল সিম ব্যবহার করে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা যাবে না। আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সংগৃহীত প্রিমিয়াম অবশ্যই দুই কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানির নির্ধারিত তিন ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে এবং সেখান থেকেই লেনদেন করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, যে মোবাইল প্লাটফর্ম থেকেই এমএফএস এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করা হোক না কেন তা বীমাকারীর নির্ধারিত ৩টি ব্যাংক একাউন্টে জমাকরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং যেসব সিমের মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রহণ করা হবে সেগুলো ৩টি ব্যাংক একাউন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। এক্ষেত্রে আদায়কৃত প্রিমিয়ামের অর্থ ২ কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। বর্ণিত সময়কালের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর না হলে এর দায়বার বীমাকারী বহন করবে।
এমএফএস এর মাধ্যমে সংগৃহীত বীমা প্রিমিয়ামের অর্থ উত্তোলন শুধুমাত্র বীমাকারীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে করতে হবে। এমএফএস সেবাপ্রদানকারীর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন বা বিকলন করা যাবে না। এছাড়াও এমএফএস এর মাধ্যমে জমাকৃত প্রিমিয়াম কোন কারণে ফেরত প্রদানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা বীমাকারীর ব্যাংক একাউন্ট হতে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার এর মাধ্যমে ফেরত প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে এমএফএস এর মাধ্যমে অর্থ ফেরত প্রদান করা যাবে না।
বীমা কোম্পানি মনোনীত এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়াম গ্রহণের কার্যক্রম শুরুর পূর্বে প্রিমিয়াম বিষয়ক তথ্য কর্তৃপক্ষের ইউনিফাইড ম্যাসেজিং প্লাটফর্মে (ইউএমপি) প্রেরণের জন্য টেকনিক্যাল লিঙ্কাপ (কারিগরি সংযোগ) স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। ইউএমপির সাথে কার্যকর টেকনিক্যাল লিঙ্ক স্থাপন না করা পর্যন্ত এমএফএস এর মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।

এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল লিঙ্কআপ স্থাপনের পর বীমাকারী কত তারিখ থেকে এমএফএস এর মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ শুরু করবে তা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা যেকোন সময় প্রিমিয়াম জমাকরণ বা সুনির্দিষ্ট যেকোন তথ্য এমএফএস সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রদানের জন্য লিখিত নির্দেশনা দিতে পারিবে এবং সেক্ষেত্রে এমএফএস সার্ভিস প্রতিষ্ঠান চাহিত তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে।
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে বীমা প্রিমিয়াম গ্রহণকারী বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত আইন বা বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে এবং এর ব্যত্যয় হলে তার দায় বীমাকারীকে বহন করতে হবে।
এমএফএস সার্ভিস বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নের জন্য এমএফএস প্রতিষ্ঠান ও ইউএমপির মধ্যে কারিগরি সংযোগ স্থাপন এবং তথ্য আদানপ্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্বাহ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রকার ব্যয় বহন করবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা
বেস্ট সিইও’র স্বীকৃতি পেলেন ন্যাশনাল লাইফের কাজিম উদ্দিন

দেশের শীর্ষতম জীবন বিমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন বছরের সেরা সিইও’র স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট কর্তৃপক্ষ ‘সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে কাজিম উদ্দিনকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কাজিম উদ্দিনের হাতে ‘বেস্ট সিইও অব দা ইয়ার-২০২৩’ এর অ্যাওয়ার্ডটি তুলে দেয় সামিট কর্তৃপক্ষ।
কাজিম উদ্দিনের দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে করোনা মহামারীর মধ্যে ব্যবসায়ীক সাফল্য অর্জন ও পরবর্তীতে সাফল্যের ধারা বজায় রেখে সকল সূচকে কোম্পানিকে এগিয়ে নেয়াসহ বহুবিধ কর্মের জন্য তাকে এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
বেস্ট সিইও স্বীকৃতি লাভ করায় কাজিম উদ্দিনকে ন্যাশনাল লাইফ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কোম্পানির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বেস্ট সিইও অব দ্যা ইয়ারের পাশাপাশি বিমা ব্যবসায় অসামান্য অবদান রাখায় ন্যাশনাল লাইফকে ‘স্পেশিয়ালিস্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি’র স্বীকৃতি দেয় সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিমা খাতের বড় সমস্যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব

বিমা কোম্পানিসমূহে কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব বাংলাদেশের বিমা খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (বিআইএসডিপি) সহযোগিতায় ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইন’ অবহিতকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন যে, বিমা আইন ২০১০ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে এ খাতে সংস্কার ও আধুনিকায়ন শুরু হয়। এ কর্তৃপক্ষের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিমা খাতের পদ্ধতিগত উন্নয়ন ও গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা করা। তাঁর মতে বাংলাদেশের বিমা খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিমা কোম্পানিসমূহে কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব। এর অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে অনেক কোম্পানি আর্থিক সংকটে পড়ে বিমা দাবী পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। কর্পোরেট গভর্নেন্স হলো একটি কোম্পানির সকল কৌশল, পদ্ধতি বা সম্পর্ক যা দ্বারা কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। কর্পোরেট গভর্নেন্স প্রবর্তনের মাধ্যমে সকল কোম্পানির জন্য একটি প্রমিত পরিচালনা পদ্ধতি রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে এ গাইডলাইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, সকলের সদিচ্ছা ও ইতিবাচক মানসিকতা দ্বারাই কর্পোরেট গভর্নেন্স বাস্তবায়ন সম্ভব বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. দলিল উদ্দিন।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রতিনিধিগণ; বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সকল সদস্য ও কর্মকর্তাগণ, সকল বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জীবন বিমা কর্পোরেশন ও সাধারণ বিমা কর্পোরেশনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারের প্রথম পর্বের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তিনি বলেন, বিমা সেক্টরের বিধি নিষেধ সঠিকভাবে পালিত না হওয়ার চলমান সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় কর্পোরেট গভর্নেন্স বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। বিপুল সমভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বিমা সেক্টর পিছিয়ে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২০৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিমা সেক্টরের করণীয় কর্মের পরিধি বেশ বিস্তৃত, যা মূলত; বিমা প্রতিষ্ঠানের সঠিক পরিচালনা পদ্ধতি দ্বারা অর্জন সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সর্বোপরি, তিনি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স নিশ্চিত করে আস্থাশীল বিমা সেক্টর তৈরির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বে কর্পোরেট গভর্নেস গাইডলাইন উপস্থাপন করেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (নন-লাইফ) মোহাম্মদ খালেদ হোসেন। উপস্থাপিত গাইডলাইনের বিষয়ে নির্ধারিত আলোচকবৃন্দ- বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির পরিচালক এস.এম. ইব্রাহিম হোসাইন, একচ্যুয়ারি ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (লাইফ) ড. মো. আশরাফুজ্জামান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অত:পর কর্পোরেট গাইডলাইনের বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
উন্মুক্ত আলোচনা শেষে সেমিনারের সভাপতি এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সর্বদা বিমা প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিষয়ে সহযোগীতার জন্য উন্মুক্ত এবং সেমিনারে আলোচিত বিভিন্ন পরামর্শ, মতামত, প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
দুর্বল বিমা কোম্পানিকে মূলধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে

বিমা খাতের দুর্বল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালিয়ে কীভাবে সেগুলোকে মূলধারায় নিয়ে আসা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। দেশে হাতে গোনা কয়েকটি বিমা কোম্পানির গ্রাহকদের বিমা দাবি পরিশোধ না করায় পুরো সেক্টরে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অডিটোরিয়ামে ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সদস্যদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘বিমা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এ ইউসুফ আলী।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মো. কাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমনসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বি এ ইউসুফ আলী বলেন, কয়েকটি বিমা কোম্পানি যথাসময়ে গ্রাহকের বিমার দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় আস্থার সংকটে পড়েছে বিমা খাত। বিমার টাকা কোম্পানিগুলোর কাছে আমানত হিসেবে থাকে। কিন্তু অনেক কোম্পানি ‘ইসলামি ইন্স্যুরেন্স’ নাম দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দিচ্ছে না, যা গ্রাহকের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা।

তিনি বলেন, খারাপ কোম্পানিগুলোকে ভালো করার উদ্যোগ নিতে হবে। কোনও একটি কোম্পানি একদিনেই দুর্বল কোম্পানিতে পরিণত হয় না। যখন থেকেই দেখা যাবে কোনও কোম্পানি গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ করতে পারছে না, তখনই নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত সেই কোম্পানির গ্রাহকের টাকা কোথায় আছে, সেটি খুঁজে বের করা।
‘বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) নানা আইন কানুনের মাধ্যমে এ খাতের শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পাশাপাশি কোম্পানিগুলোকেও গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে।’
কাজিম উদ্দিন বলেন, বিমা খাতের সঠিত তথ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব সাংবাদিকদের। কিন্তু তার আগে এ খাতের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। একমাত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তা করা সম্ভব।
বিমার দাবি পরিশোধ না করলে কোনও কোম্পানির পক্ষেই গ্রাহকের আস্থায় পৌঁছানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যাশনাল লাইফে বিমা দাবির এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান পর থেকে এখনও পর্যন্ত ন্যাশনাল লাইফ ৬১ লাখ গ্রাহককে বিমা সেবার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। সর্বমোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ১৬০১৯ কোটি টাকা। লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৪৯৩০ কোটি টাকা। বিনিয়োগ করা হয়েছে ৫০৩৬ কোটি টাকা, বলে জানান কাজিম উদ্দিন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের বিমা কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ন্যাশনাল লাইফের সিএফও প্রবীর চন্দ্র দাস এফসিএ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
যাত্রা শুরু করলো শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স

শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান শান্তা আর্থিক খাতে তার যাত্রা প্রসারিত করতে যাচ্ছে। দেশের ক্রমবর্ধনশীল জীবন বীমা শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা থেকেই শান্তার এই নতুন উদ্যোগ।
সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৫টি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইতোমধ্যে এই খাতের নতুন সংযোজন হিসেবে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে তার লাইসেন্স পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রথিতযশা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা খন্দকার মনির উদ্দিন। এছাড়া, ফারজানা হাসান, রেইভেন হাসান, ইফতেখার রহমান, আবরার আলম আনওয়ার, এম. আনিসুল হক ও হোসাম মো.সিরাজের মতো পেশাদার রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে।
এছাড়া, উদ্যোক্তা হিসেবে সংযুক্ত আছে শান্তা হোল্ডিংস, শান্তা লাইফস্টাইল, শান্তা মাল্টিভার্স, শান্তা সিকিউরিটিজ, শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট, এফএআর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাশা হোল্ডিংস লিমিটেডের মতো দেশের প্রথম সারির কিছু প্রতিষ্ঠান।
শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান খন্দকার মনির উদ্দিন বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে আপনাদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

ভবিষ্যতে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি মানসম্মত ও উদ্ভাবনী বীমা পরিষেবা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। বিশ্বমানের জীবন বীমা পরিষেবা, পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও এবং উন্নত গ্রাহক সেবার সংমিশ্রণে প্রতিষ্ঠানটি দেশের জীবন বীমা খাতে নতুন একটি মাইলফলক যোগ করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
লাইসেন্স পাচ্ছে আরও এক বিমা কোম্পানি

লাইসেন্স পাচ্ছে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামে নতুন একটি জীবন বিমা কোম্পানি। কোম্পানিটির লাইসেন্স পেতে ইতোমধ্যেই বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন কোম্পানির প্রস্তাবিত পরিচালক রেইভেন হাসান। তিনি একজন একচ্যুয়ারি।
এর আগে গত জুলাই মাসে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামে কোম্পানির নিবন্ধন প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে জানায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিমা আইন ২০১০ অনুসারে শান্তা লাইফের নামে লাইসেন্স প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রস্তাবিত শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে থাকছেন ১৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। খন্দকার মনির উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান। পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন ফারজানা হাসান, রেইভেন হাসান, ইফতেখার রহমান, আবরার আলম আনওয়ার, এম আনিসুল হক, হোসাম মো. সিরাজ।
এ ছাড়াও শান্তা হোল্ডিংস, শান্তা লাইফস্টাইল, শান্তা মাল্টিভার্স, শান্তা সিকিউরিটিজ, শান্তা প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট, ফার এসেট ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাশা হোল্ডিংস লিমিটেড প্রস্তাবিত বিমা কোম্পানিটির উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বিমা খাতে সরকারি বেসরকারি ৮১টি কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে লাইফ বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৩৫টি এবং নন-লাইফ বিমার সংখ্যা ৪৬টি। লাইফ ও নন-লাইফ উভয় খাতে একটি করে সরকারি বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৬ মে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি (সাবেক বীচল্যান্ড ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড) নামে দু’টি লাইফ বিমা কোম্পানির লাইসেন্স দেয় সরকার।
অর্থসংবাদ/এসএম