স্বাস্থ্য
হার্টের যত্নে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি

বিশ্বে প্রতিবছর ২ কোটিরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৮০ ভাগ প্রতিরোধযোগ্য হলেও বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং এখাতে সরকারের বাজেট বৃদ্ধি করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ ঝুঁকি অনেকাংশেই মোকাবেলা করা সম্ভব।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ। এই আয়োজনে সহযোগিতা প্রদান করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে, যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের (৩০-৭৯ বছর বয়সি) অর্ধেকই জানে না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, মাত্র ৩৮ শতাংশ। নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে মাত্র ১৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ৭ জনে ১ জন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন বলেন, বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর- জিএইচএআই এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের প্রকোপ ও করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ জন ও ঢাকার বাহিরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ছয় হাজার ৯৮৪ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৬০ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭১ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৩৯৪ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে বছরের সর্বনিম্ন মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৫ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৪১৬ জন ডেঙ্গুরোগী।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬০৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৯ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৪৬৬ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১২ হাজার ৯৬৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ১১৩ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ চার হাজার ৮৫১ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৪৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১২৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪১৭ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ সাত হাজার ৯১৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ২৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ এক হাজার ৬৪৫ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও সাতজনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ৮৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ১৪৪ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৭৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৯৭৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ২০৭ জন এবং সারা দেশের (ঢাকায় ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ৭৭১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন ঢাকাতে এবং চারজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) মারা যান।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৩৭ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৬৮৫ জন মারা যান।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে এক লাখ সাত হাজার ৮৩৬ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই লাখ চার হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট তিন লাখ ছয় হাজার হাজার ৭৯০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৯১ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল দুই লাখ ৭৯৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট তিন হাজার ৪৭৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৯০৮ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই হাজার ৫৭১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৮ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার এক শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু কাড়লো আরও ৫ প্রাণ

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৫ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৮ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৫৮৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৬৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৯৩ এবং ঢাকার বাইরের ৭৭৫ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩ জন, ঢাকার বাইরের ২ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১১ হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৬৯২ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৩ হাজার ৩২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৪৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭২৭ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৫ হাজার ৮১২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৭৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ লাখ ২৮ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার সহনশীলতা ৯০ শতাংশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে ‘ওয়ান হেলথ এসেসমেন্ট অব ইমাজিং এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিসটেন্স জেন্স ইন বাংলাদেশি লিভস্টক, ফিডস অ্যান্ড ম্যানার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে গবেষকরা জানান, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশেরও বেশি সহনশীল।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার’র অর্থায়নে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নূহু আলম।
গবেষকেরা জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পোল্ট্রি ফিড, গোবর এবং জৈব সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত নমুনা থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া পৃথকীকরণের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক (বিটা ল্যাকটাম, কার্বাপেনেম, কোলিস্টিন)-এর প্রতি সহনশীল। যেসব ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার আগে থেকেই লক্ষণীয় ছিল, সেসব ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের প্রতি সহনশীলতা বেশি দেখা গেছে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়াই ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সহনশীল। এমনকি শেষ প্রতিরক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে বিবেচিত যেমন- কার্বাপেনেম, কোলিস্টিনের প্রতি কিছু ব্যাকটেরিয়া ৯০ শতাংশের বেশি সহনশীল। আরটি-পিসিআরসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়া থেকে ১৯টিরও বেশি আন্টিবায়োটিক সহনশীল জীন পাওয়া গেছে।
বক্তারা জানান, এ গবেষণা কাজের মাধ্যমে লাইভস্টোকর মোট ২৪০টি নমুনা থেকে ৩০টিরও বেশি জেনাসসহ মোট ২২৫টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। মানুষের মোট ১১০টি নমুনা (ডাইরিয়াল নমুনা) থেকে ৩০টিরও বেশি জেনাসসহ ১৪০টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্তকরণ হয়েছে। প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো মোট ৯টি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের ২০টি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি ‘অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাসসেপটিবিলিটি টেস্ট’ করা হয়েছে।

সেমিনারে আদ দীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রধান ড. কাজী সেলিম আনোয়ার বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত নমুনা সাভারের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ না থেকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট; অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট জানার জন্য সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. সাবরিনা হোসাইন বলেন, গবাদি পশুর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ইতিহাস এবং রেজিস্ট্যান্ট জিনগুলো কোন প্রক্রিয়ার স্থানান্তর হচ্ছে তা শনাক্তকরণ করা জরুরি।
সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন প্রজেক্টের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. সালেকুল ইসলাম ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও গবেষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই