জাতীয়
বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত হওয়ার পথে

দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে৷ দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাবমান। তাই সময়ের সাথে সাথে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার দোহার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন৷
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে সালমান এফ রহমান তার নির্বাচনী এলাকার (দোহার-নবাবগঞ্জ) নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন৷
বিদেশীরা বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না—বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর গুজব আখ্যায়িত করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুযোগ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই ব্যস্ত। তাদের এসব গুজব থেকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি৷
বিএনপির একদফার আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সেটা কখনো সফল হবে না কারণ জনগণ আপনাদের সাথে নেই৷ তাই এসব বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বাস ধরুন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিদেশীদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর৷
এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ও বিরোধীদের কাছে যেয়েও ভোট চাইতে হবে। ভোট দেয়ার যেমন স্বাধীনতা আছে,তেমনি ভোট চাওয়ারও স্বাধীনতা আছে। উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্যর ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
নারীদের জন্য সরকারের বিদ্যমান সুযোগ- সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনুরোধ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেত্রীরা। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার রোল মডেল, এমন ভাষ্য উঠে আসে দোহারের নারী নেত্রীদের কথায়। এছাড়া, ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃণমূলের নারীদের জন্য বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা তুলে ধরার আহ্বান জানান তারা।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল পাঁচদিনের মধ্যে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে মোট ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাছাইয়ে যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাছাইয়ে বাদপড়া প্রার্থীদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। ৫ ডিসেম্বর থেকে আপিল শুরু হয়ে শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানি ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচদিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপিল দায়ের করতে পারবেন প্রার্থীরা। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে। ১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে আপিল করার জন্য।
এক নম্বর বুথে রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা। রংপুর অঞ্চলে দায়িক্তপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনআইডির উপ-পরিচালক মো. মোখলেচুর রহমান।
দুই নম্বর বুথে রাজশাহী অঞ্চলের জেলাগুলো- জয়পুরহাট, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা। দুই নম্বর বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা।

এছাড়া খুলনা অঞ্চলের জেলাগুলো- মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। বরিশাল অঞ্চলের জেলাগুলো- বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাগুলো-টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ। ঢাকা অঞ্চলের জেলাগুলো- মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জ।
ফরিদপুর অঞ্চলের জেলাগুলো- রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর। সিলেট অঞ্চলের জেলাগুলো- সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ। কুমিল্লা অঞ্চলের জেলাগুলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর। চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাগুলো- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান। এইসব অঞ্চলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট বুথে আপিল করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে নতুন ডিজি

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া খানমকে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত বুধবার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দেওয়া হয়।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিচালক করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানকে। আর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হলেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা আলম। আর বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।
এছাড়া আলাদা প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সচিব) মোকাব্বির হোসেনকে পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র সচিব করা হয়েছে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি দেওয়ার পর তাকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফরিদ উদ্দিন আহমদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় এর আগে এ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেনকে অবসর দিয়ে গত ২৬ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কামাল হোসেন আগামী ৩০ নভেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে যাবেন।
আরেক প্রজ্ঞাপনে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগের চুক্তির ধারাবাহিকতা ও শর্ত অনুসারে আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তার এই নতুন নিয়োগ কার্যকর করা হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল তিন বছরের চুক্তিতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে জাবেদ পাটোয়ারীকে নিয়োগ দেয় সরকার। এবার দ্বিতীয় দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারিতে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। ওই বছরের ৩ জুন জ্যেষ্ঠ সচিবের পদমর্যাদা পান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমলো

ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকার জমি বা ফ্ল্যাটসহ ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে জমি নিবন্ধন উৎস কর কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩– এর ৩৪৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকার খিলক্ষেত বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা—যেটি কম হবে, তা কর হিসেবে দিতে হবে।
চট্টগ্রামের খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, সদর, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা ও টঙ্গীর ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে মূল্যের ৬ শতাংশ করহার আগের মতো বহাল আছে। তবে কাঠাপ্রতি করের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি মূল্য ৫০ হাজার টাকা-যেটি কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই এবং চট্টগ্রামের আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঙ শ্রেণির মৌজার কর কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনের সময় জমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা- যা কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।

গত অক্টোবর মাসে যখন মৌজা ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়, তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ-এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৪৯ শতাংশ

এক মাসের ব্যবধানে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি যেখানে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল, নভেম্বরে সেটি নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।
চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।
গত তিন মাস ধরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে নভেম্বরে তা কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।
বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি এখনো বেশি। নভেম্বরে গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরেও ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে রয়েছে।
শহর এলাকায় গ্রামের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
চলতি বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা ছিল এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেপ্টেম্বরে অবশ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী হয়। সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি নামে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশে।
এরপর অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশে (৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ) উঠে যায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতি বেশ দ্রুতগতিতে কমলেও বাংলাদেশে তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি কমে ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে।
শ্রীলঙ্কার শুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ৪৩ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়ায়। গত মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ। এপ্রিলে এটি আরও কমে দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৮ শতাংশে। মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ২০ দশমিক ৩ শতাংশ। গত জুনে মূল্যস্ফীতি এক অংকে নেমে আসে, যা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেলেন দেলোয়ার হোসেন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড ২) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর আগে এই কর্মকর্তা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হয়েও প্রধান প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব আম্বিয়া সুলতানা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক অনুযায়ী- সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের সুপারিশের প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান করা হলো। এর ফলে এই তিনি গ্রেড ২ কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হবেন।