আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন

বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আউন্স সোনার দাম কমেছে প্রায় ৮০ ডলার। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ব্যাপক হারে কমলেও দেশের বাজারে তার তুলনায় খুবই সামান্য পরিমাণ কমেছে।
গেল এক সপ্তাহে বিশ্বাবাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরলে বিশ্ববাজারে এক ভরি সোনার দাম কমেছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। বিপরীতে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম কমেছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা।
অর্থাৎ বিশ্ববাজারে যে হারে দরপতন হয়েছে, দেশের বাজারে তার অর্ধেকও কমানো হয়নি। এতে দেশের বাজারে এবং বিশ্ববাজারের মধ্যে সোনার দাম বড় ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশের বাজারে এক ভরি সোনা ১৬ হাজার টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠক করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি সোনার দাম নতুন করে নির্ধারণ করে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে সোনা বিক্রি হচ্ছে।
অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এরচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা গুনতে হবে।
বাজুস থেকে যখন দেশের বাজারের জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়, সেসময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৯০৩ ডলার। এখন তা কমে ১ হাজার ৮৪৮ ডলারে নেমে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ৫৫ ডলার।
বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসেই সোনার দাম কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৯২৪ দশমিক ৯৯ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৮০ ডলার কমে প্রতি আউন্সের দাম ১ হাজার ৮৪৮ দশমিক ১৯ ডলারে নেমে এসেছে।
এরমধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবার প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৩৭ ডলার বা দশমিক ৮৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে এমন দরপতনের কারণে মাসের ব্যবধানেও বিশ্ববাজারে সোনার বড় দরপতন হয়েছে। গেল এক মাসে সোনার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৯৪ ডলার।
এদিকে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) সোনা যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রতি ডলার ১১০ টাকা করে ধরলে এক ভরির দাম দাঁড়ায় ৮৩ হাজার ৬৪৪ টাকা। এ হিসাবে বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনা ১৬ হাজার ৩১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ব অর্থনীতি

২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্থর থাকবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ক্রমাগতভাবে চাপ তৈরি করবে। চলতি বছর বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেও আগামীতে তা থাকবে না। আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বছর সুদহার কমতে শুরু করবে, যা প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে। নতুন পুঁজি বিনিয়োগে আস্থা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকবে। অর্থনীতিবিদরা জানান, এর কারণ চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক গত অক্টোবরে সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ আশা করছে। এটা ২০২২ সালের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্প্রসারণের চেয়ে ধীর। একই সঙ্গে এটা গড় প্রবৃদ্ধির চেয়েও কম।
আগামী বছরের জন্য আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, বৈশ্বিক জিডিপি ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রসারিত হবে, যা জুলাইয়ের পূর্বাভাস থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট কম।
আইএমএফ জানায়, প্রবৃদ্ধি ধীর ও অসম থাকবে। বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোয়। উচ্চ সুদহার এবং ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চলতি মাসে একটি বিবৃতিতে জানায়, এ মাসে সুদহার নতুন করে বৃদ্ধি করেনি ফেড। গত বছরের মার্চ থেকে ১১ বার সুদহার বাড়ানোর পর এটা একটা বিরতি। মূল্যস্ফীতি রোধ করার কৌশল হিসেবে সুদহার বৃদ্ধি ২০২২ সালের জুনে চার দশকের উচ্চতায় পৌঁছেছিল। সুদহার এখন ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২২ বছরের সর্বোচ্চ। এটা গত বছরের মার্চে শূন্যের কাছাকাছি ছিল। দ্বিতীয়বারের মতো ফেড ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে সুদহার অপরিবর্তিত রেখেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি অব্যাহত। দেশটিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম তৃতীয় প্রান্তিকে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হয়েছে। চাকরির বাজার এখনো শক্তিশালী। মূল্যস্ফীতি গত বছরের ৫ দশমিক ৬ থেকে বর্তমানে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থা রকফেলার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান রুচির শর্মা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি আগামী বছর ধীরগতিতে বাড়বে। ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকবে। মন্দা হওয়ার আশঙ্কা নেই। উচ্চ সুদহারের প্রভাব বজায় থাকবে। তবে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
চারটি গ্রন্থের লেখক রুচির শর্মা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গড়ে বিশ্ব অর্থনীতি প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছিল। ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের সময় প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। কারণ ঋণ খুব বেশি বেড়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি সে সময়টি দেখেছি। দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পরে এখন মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেশি।
বাহরাইনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টকর্পের নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলারধি বলেন, আমি ২০২৪ সালের জন্য আশাবাদী। আমি মনে করি, আগামী বছর আমরা সুদহার কমতে দেখব। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে দেখব। বিনিয়োগকারীরা অর্থ বিনিয়োগে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করবে। এরই মধ্যে আমরা আর্থিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

বিশ্ববাজারে ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেড়েছে মূল্যবান ধাতু সোনার দাম। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে সোনা। অন্য যেকোনো কিছুর তুলনায় সোনা সুরক্ষিত হওয়ায় এটির প্রতি ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এদিন প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে ২ হাজার ১১১ ডলার হয়। এরমাধ্যমে গত শুক্রবার হওয়া নতুন রেকর্ডটিও ভেঙে গেছে।
২০২০ সালের আগস্টে একবার সোনার বাজার এমন চড়া হয়েছিল। তখন তৈরি হয়েছিল নতুন রেকর্ড। তবে সেবার সোনার দাম যা হয়েছিল সেটি থেকে নতুন দামে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অবশ্য জানিয়েছে, সর্বোচ্চ দাম স্পর্শ করার পর এটি ২ হাজার ৬৪ ডলার প্রতি আউন্সে নেমে আসে।
বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডসহ আগামী বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার কমাবে। আর এই আশা থেকেই বেড়েছে সোনার দাম। সোনার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্বল হয়েছে ডলারের দাম।

মার্কিন-ব্রিটিশ অর্থনৈতিক তথ্য প্রদানকারী সংস্থা রিফিনিটিভ জানিয়েছে, এ বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শুরুর সপ্তাহ পর্যন্ত দ্রুত গতিতে সোনার দাম বেড়েছে। অক্টোবরে যেখানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৮২০ ডলার। সেখানে ডিসেম্বরে এসে এটি ২ হাজার ১১১ ডলার স্পর্শ করেছে। যদিও দাম আবার কিছুটা কমে গেছে।
সোনার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ক্রিপ্টো কারেন্সির দামও। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিটকয়েনের দাম এ বছর প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার ডলার পার করেছে। এদিন বিটকয়েন ৪২ হাজার ডলারে লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
থাই ও ভিয়েতনামি চালের দাম তিন মাসের সর্বোচ্চে

এশিয়ার বাজারে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে চালের চাহিদা। এতে তিন মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে থাই ও ভিয়েতনামি চালের দাম। একই সময়ে বেড়েছে ভারতীয় চালের সরবরাহ।
ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম গত সপ্তাহের ৬০০ ডলার থেকে বেড়ে প্রতি টনের মূল্য উঠেছে ৬৫০ ডলারে। মূলত ফিলিপাইন ও অন্যান্য দেশ থেকে ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় এ দাম বেড়েছে। সরবরাহকারীরা বিক্রি করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। দাম আরো বাড়ার প্রত্যাশায় অনেকেই এখন বিক্রি না করে মজুদ করে রেখেছেন।
ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল গত সপ্তাহেও টনপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৬৫০-৬৫৫ ডলারে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৫-৬৬৫ ডলারে।
হো চি মিন শহরভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেছেন, চলতি সপ্তাহে চালের বাজার নিয়ে ফিচ সলিউশনের শাখা বিএমআইর একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এশিয়ার বাজারগুলোয় চালের দাম বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, আগামী বছর এল নিনোর প্রভাবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সরবরাহ কমায় রফতানি সীমিত করবে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশগুলো, যা খাদ্যশস্যটির দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
প্রাথমিক শিপিং ডেটা বলছে, নভেম্বরে হো চি মিন সিটি বন্দরে থাকা জাহাজগুলোয় ৩ লাখ ২৫ হাজার ৩১৭ টন চাল লোড করা হয়েছে। এসব চালের বেশির ভাগেরই গন্তব্য আফ্রিকা, কিউবা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া। আরো ৫ হাজার ৭০০ টন চালের ক্রয়াদেশ রয়েছে, যেগুলো ১-১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানো হবে।

প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রফতানি করেছে ভিয়েতনাম, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
তবে শীর্ষ রফতানিকারক ভারতের ৫ শতাংশ ভাঙা-আধা সেদ্ধ চালের বাজার গত সপ্তাহের দামেই অপরিবর্তিত। টনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫০৭ ডলারে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডার এক রফতানিকারক বলেছেন, অন্যান্য দেশের চালের দাম ভারতের তুলনায় বেশি থাকায় ভারতীয় চালের বিক্রি বেড়েছে। তবে গত মাসে ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সেদ্ধ চালের রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় চালের আমদানি খরচও বেড়ে গেছে।
এদিকে ফিচ সলিউশনের প্রতিবেদনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারাও সম্প্রতি জানিয়েছেন, এল নিনোর প্রভাব উত্তর গোলার্ধে ২০২৪ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। একই তথ্য জানিয়ে জাপানের আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, উত্তর গোলার্ধে এল নিনোর প্রভাব বাজায় থাকার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, কম চাল উৎপাদন ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির সঙ্গে ভারত আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রফতানি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডেও রফতানি করার মতো কম উদ্বৃত্ত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডায় এক রফতানিকারক বলেন, ধান উৎপাদনকারী অনেক রাজ্যে মাটির আর্দ্রতার মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গেছে। আর গত ১০ বছরের গড়ের নিচে নেমেছে পুকুর-জলাশয়ের পানির স্তর।
অন্যদিকে ভালো ফলন ও মজুদ থাকা সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে চালের অভ্যন্তরীণ মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির কারণে সরকার ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কমপক্ষে ১১ জন পর্বতারোহী বা হাইকারের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে সেখানে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইভস্ম আকাশের প্রায় ৩,০০০ মিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং এসব ছাইভস্ম আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে। সেখানে রোববার এ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
স্থানীয় এবং জাতীয় সংস্থার কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে পর্বতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা সংশোধন করে ৭৫ জনের কথা জানিয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান দল সোমবার সকালে অগ্নিমুখের কাছ থেকে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।
অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার একদিন পর পাদদাং অনুসন্ধান এবং উদ্ধার সংস্থার প্রধান আব্দুল মালিক বলেন, ‘সেখানে থাকা ২৬ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের মধ্যে ১৪ জনকে খুঁজে পেয়েছি। এদের মধ্যে তিনজনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’
তিনি বলেন, ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ৪৯ জন পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জীবিত অবস্থায় তিন ব্যক্তিকে অগ্নিমুখের কাছে পাওয়া যায়। তাদের অবস্থা দুর্বল ছিল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এলএনজি রফতানিতে রেকর্ড গড়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র প্রতি মাসেই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি বাড়াচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ এলএনজি রফতানি করে। গত মাসেও রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় কাছাকাছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে আবারো রফতানি নতুন রেকর্ড স্পর্শ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।
ইউরোপের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রকে রফতানি বাড়াতে সহায়তা করছে। ইউরোপের এলএনজি আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস ছিল রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন সংঘাতের কারণে রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়ানো হচ্ছে সরবরাহ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এলএসইজি প্রকাশিত এলএনজিবাহী ট্যাংকারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে। এটি এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি।
এনার্জি ইনফরমেশন এজেন্সি (ইআইএ) জানায়, চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল কাতার ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছর নতুন কিছু এলএনজি প্লান্ট উৎপাদনে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রফতানিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এলএসইজি জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮০ লাখ ১০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করেছিল। নভেম্বরে এর চেয়ে কিছুটা কম রফতানি হয়েছে। তবে অক্টোবরের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ৭০ হাজার টন।

অর্থসংবাদ/এমআই