স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ২ লাখের বেশি

চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ গতকাল নতুন করে আরো ১ হাজার ৭৯৩ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে এ বছর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৮১।
চলতি বছর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি এক লাখ ছাড়িয়েছিল গত ২১ আগস্ট। সেদিন নতুন করে ২ হাজার ১৯৭ জন ভর্তি হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২ হাজার ১৯১। আর জানুয়ারি থেকে তখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল ৪৮৫ জনের। এর মধ্যে রাজধানীর ছিলেন ৩৬৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ৫৮৪ জন। আর রাজধানীর বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২০৯ জন। একই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজন ঢাকার। এ নিয়ে চলতি বছর নয় মাস না পেরোতেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭৫। এর মধ্যে ৬৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৪৪ জন। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৫৩।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৯ হাজার ৫২৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৩ ঢাকায় এবং ৬ হাজার ২৪৩ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিচ্ছে।
গতকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকায় ৮২ হাজার ৪৭১ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫১০ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। ঢাকায় ৭৮ হাজার ৫৫৭ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১১ হাজার ৯২৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মূলত বাড়তে শুরু করে গত জুলাইয়ে। চলতি সেপ্টেম্বরে ৭৭ হাজার ১৭৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছিল ৫৬৬ জন। ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬, মার্চে ১১১, এপ্রিলে ১৪৩, মে মাসে ১ হাজার ৩৬, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৫৪ এবং আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন ভর্তি হন। মৃতদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৬, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিল ও মে মাসে দুজন করে চারজন, জুনে ৩৪, জুলাইয়ে ২০৪, আগস্টে ৩৪২ এবং সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনে মারা গেছে ৩৮২ ডেঙ্গু রোগী। মার্চে কোনো রোগী মারা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে সরকারিভাবে ডেঙ্গুকে রোগ হিসেবে দেখা হয়। সে বছর আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে আক্রান্ত আড়াই হাজার জনের মধ্যে ৪৪ জন মারা যায়। ২০০২ সালে ছয় হাজার রোগীর মধ্যে ৫৮ জন, ২০০৩ সালে ৪৮৬ জনের মধ্যে ১০, ২০০৪ সালে চার হাজারের মধ্যে ১৩, ২০০৫ সালে এক হাজারের মধ্যে চার, ২০০৬ সালে আক্রান্ত দুই হাজারের মধ্যে ১১ জন মারা যান।
২০০৭-১০ পর্যন্ত চার বছরে আড়াই হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ২০১১ সালে দেড় হাজারের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ৬৭১ জনের মধ্যে এক, ২০১৩ সালে প্রায় দুই হাজারের মধ্যে দুজন মারা যায়। ২০১৪ সালে ৩৭৫ জন আক্রান্ত হলেও বছরটিতে কেউ মারা যায়নি। এরপর প্রতি বছরই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১৫ সালে তিন হাজারের মধ্যে ছয়, ২০১৬ সালে ছয় হাজার জনের মধ্যে ১৪, ২০১৭ সালে তিন হাজারের মধ্যে আট, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে ২৬, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনের মধ্যে ১৭৯ জন মারা যায়। ২০২০ সালে দেড় হাজার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, মারা গেছে চারজন। আর ২০২১ সালে আক্রান্ত হয় সাড়ে ২৮ হাজার, মারা যায় ১০৫ জন। আর ২০২২ সালে ৬১ হাজার রোগীর মধ্যে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।
বিশ্বে ১ হাজার ৭৮০ সালে প্রথম ডেঙ্গু মহামারী দেখা দেয়। এরপর ১৯৫০ সালে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে এ সংক্রমণ ছড়ায়। পরে ১৯৬৩ সালে কলকাতা ও ১৯৬৪ সালে ঢাকায় সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গু। সে সময় ডেঙ্গুকে ঢাকা ‘ফিভার’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও সাতজনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ৮৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৭৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ১৪৪ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৭৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৯৭৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ২০৭ জন এবং সারা দেশের (ঢাকায় ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ৭৭১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন ঢাকাতে এবং চারজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) মারা যান।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৩৭ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৬৮৫ জন মারা যান।
চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে এক লাখ সাত হাজার ৮৩৬ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই লাখ চার হাজার ৫৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট তিন লাখ ছয় হাজার হাজার ৭৯০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৯১ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল দুই লাখ ৭৯৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট তিন হাজার ৪৭৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকায় ৯০৮ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) দুই হাজার ৫৭১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৮ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার এক শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গু কাড়লো আরও ৫ প্রাণ

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৫ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৮ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৫৮৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৬৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৯৩ এবং ঢাকার বাইরের ৭৭৫ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩ জন, ঢাকার বাইরের ২ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১১ হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৬৯২ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৩ হাজার ৩২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৪৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭২৭ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৫ হাজার ৮১২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৭৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ লাখ ২৮ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার সহনশীলতা ৯০ শতাংশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে ‘ওয়ান হেলথ এসেসমেন্ট অব ইমাজিং এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিসটেন্স জেন্স ইন বাংলাদেশি লিভস্টক, ফিডস অ্যান্ড ম্যানার’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে গবেষকরা জানান, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী কিছু ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশেরও বেশি সহনশীল।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার’র অর্থায়নে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নূহু আলম।
গবেষকেরা জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পোল্ট্রি ফিড, গোবর এবং জৈব সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত নমুনা থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া পৃথকীকরণের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক (বিটা ল্যাকটাম, কার্বাপেনেম, কোলিস্টিন)-এর প্রতি সহনশীল। যেসব ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার আগে থেকেই লক্ষণীয় ছিল, সেসব ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের প্রতি সহনশীলতা বেশি দেখা গেছে।
গবেষণা থেকে জানা যায়, অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়াই ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সহনশীল। এমনকি শেষ প্রতিরক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে বিবেচিত যেমন- কার্বাপেনেম, কোলিস্টিনের প্রতি কিছু ব্যাকটেরিয়া ৯০ শতাংশের বেশি সহনশীল। আরটি-পিসিআরসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়া থেকে ১৯টিরও বেশি আন্টিবায়োটিক সহনশীল জীন পাওয়া গেছে।
বক্তারা জানান, এ গবেষণা কাজের মাধ্যমে লাইভস্টোকর মোট ২৪০টি নমুনা থেকে ৩০টিরও বেশি জেনাসসহ মোট ২২৫টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। মানুষের মোট ১১০টি নমুনা (ডাইরিয়াল নমুনা) থেকে ৩০টিরও বেশি জেনাসসহ ১৪০টি ব্যাকটেরিয়া শনাক্তকরণ হয়েছে। প্রাপ্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো মোট ৯টি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের ২০টি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি ‘অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাসসেপটিবিলিটি টেস্ট’ করা হয়েছে।

সেমিনারে আদ দীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রধান ড. কাজী সেলিম আনোয়ার বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত নমুনা সাভারের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ না থেকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট; অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট জানার জন্য সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. সাবরিনা হোসাইন বলেন, গবাদি পশুর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ইতিহাস এবং রেজিস্ট্যান্ট জিনগুলো কোন প্রক্রিয়ার স্থানান্তর হচ্ছে তা শনাক্তকরণ করা জরুরি।
সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন প্রজেক্টের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. সালেকুল ইসলাম ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও গবেষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫৯ জন ডেঙ্গুরোগী। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিন হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুর্মের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ এবং ঢাকার বাইরের ৭৫৮ জন। এসময়ে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ জন, ঢাকার বাইরের ৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৯ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ২ হাজার ৫৪৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৮১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৬৭০ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪ হাজার ৮৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৫৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০১ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও আটজনের মৃত্যু

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৯ এবং ঢাকার বাইরের ৭০১ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন, ঢাকার বাইরের ৪ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৯৩ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩১ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।