কর্পোরেট সংবাদ
মাছের চাষ বাড়াতে সহায়তা করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও সিএনআরএস

টেকসই এবং জলবায়ুবান্ধব মাছ চাষ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে অংশীদারিত্ব করেছে সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
যৌথ প্রকল্পের অংশ হিসেবে শিগগিরই দেশের দক্ষিণ উপকূলে বসবাসকারী ২ হাজার মাছ চাষীদের জন্য মানসম্মত পোনা, বিশেষ করে জেনারেশন থ্রি বা জিথ্রি রুইয়ের উৎপাদন ও সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করতে উভয় প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। বাংলাদেশের কার্পজাতীয় মাছের মধ্যে রুই সর্বোচ্চ চাষকৃত প্রজাতি এবং জিথ্রি রুই এই প্রজাতিরই জিনগতভাবে আরও উন্নত ও উচ্চ-ফলনকারী প্রজাতি।
এই প্রকল্প তিনটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যার প্রথমটি হলো পোনা বিতরণের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি, যাতে ব্যবসায়ীরা আরও সহজে চাষীদের কাছে জিথ্রি রুইয়ের পোনা পৌঁছে দিতে পারে। দ্বিতীয় লক্ষ্যটি হলো মাছ চাষীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান, যাতে তারা জিথ্রি রুইয়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। তৃতীয় লক্ষ্যটি হলো মাছ চাষের ভ্যালু চেইনকে আরও সুসংগঠিত করা, যেখানে চাষীরা বাজার সংক্রান্ত তথ্য, সহায়তা পরিষেবা এবং খুচরা ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।
জিনগতভাবে উন্নত মাছের প্রজাতি এবং জলবায়ু-স্মার্ট প্রযুক্তির ক্রমাগত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থার সাথেও কাজ করছে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাষীদের মধ্যে ৩০ টন জিথ্রি রুই পোনা বিতরণ করা হবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দুটি বিভাগের ২ হাজার চাষী প্রতিবছর আনুমানিক ৬০০ টন বিক্রয়যোগ্য জিথ্রি রুই উত্পাদনে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এন্ড-টু-এন্ড ভ্যালু চেইনের মাধ্যমে স্থানীয় ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি তীব্র জলবায়ু-পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে, আর সেটি বিবেচনায় মাছ চাষাবাদের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই ও পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। জিনগতভাবে উন্নত জিথ্রি রুই দেশব্যাপি কৃষক ও ভোক্তাদের জীবনমান উন্নত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দেশের জলবায়ু-প্রভাবিত চাষীদের কল্যাণে সিএনআরএস এর সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা গর্বিত এবং এর মাধ্যমে মৎস খাত আরও পুষ্টিকর, নিরাপদ ও সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম. মোখলেসুর রহমান, পিএইচডি বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে জলবায়ু-প্রভাবিত দরিদ্র মৎসচাষীদের সাহায্যে বিনিয়োগ করায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাণীজ-প্রোটিন নিশ্চিত হবে, যা শিশুদের অপুষ্টির হার কমাতে এবং চাষী পর্যায়ে অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগ শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, আগামীতে দেশব্যাপি পরিচালনা করে হবে, যা সার্বিক খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। এই যাত্রায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও এর চর্চায় সাহায্য করায় ওয়ান সিজিআইএআর অ্যান্ড ওয়ার্ল্ডফিস’র বিশেষ উদ্যোগ এশিয়ান মেগা ডেল্টাস (এএমডি) এবং প্রতিবেশ ইকোসিস্টেম অ্যাক্টিভিটিস-কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় এবং সিএনআরএসের পক্ষ থেকে সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম. মোখলেসুর রহমান, পিএইচডি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দীর্ঘ ১১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক জাতির কল্যাণে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে, এবং পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য ও উন্নয়ন যাত্রার দীর্ঘস্থায়ী গর্বিত অংশীদার। টেকসই ও সমতার আদর্শকে কেন্দ্রে রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দ্য সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্বীকৃত পরিবেশবাদী জাতীয় এনজিওগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান (ফ্যাপ১৬) এনভায়রনমেন্টাল স্টাডি থেকে সংস্থাটির সূত্রপাত এবং ১৯৯৪ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিএনআরএস দারিদ্র-বিমোচন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন সাধনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ইবির শাপলা ফোরামের নেতৃত্বে পরেশ-রবিউল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ২৩৬ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এসময় পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্যের উপস্থিতিতে প্রস্তাব-সমর্থন পদ্ধতিতে সর্বসম্মতভাবে কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এছাড়া, প্রাপ্ত ভোট সংখ্যার ক্রমানুসারে সদস্য হিসেবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. আনোয়ারুল হক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আরফিন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন রয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হোসেন বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে সকল কাজ শাপলা ফোরাম করবে এবং সেক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনিয়ম থাকলে সেগুলো নিরাময়ের চেষ্টা থাকবে।

সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রশাসনিক ও একাডেমিক উভয়ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় আরো গতিশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমগুলোতে স্মার্টনেস আনা প্রয়োজন। যাতে করে শিক্ষা ও প্রশাসনিক উভয়ক্ষেত্রে কার্যক্রম বেগবান করা যায়। এরই আলোকে শাপলা ফোরামের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে।
এর পূর্বে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত মমতাজ ভবনের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন রাতে ভোটগণনা সমাপ্তির পরে ফলাফল ঘোষণা করেন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
নির্বাচনে ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তদের মধ্যে থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে মোট ২৫২ জন শিক্ষকের মধ্যে ২২৪ জন ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে ৭টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন রশীদ আহমেদ

ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড রিকভারি ব্যারিস্টার রশীদ আহমেদকে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে এ পদোন্নতি কার্যকর হয়েছে।
আইন পেশায় অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার রশীদ আহমেদ ২০১০ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স হিসেবে যোগদান করেন। ব্যতিক্রমী দক্ষতা এবং নেতৃত্ব-গুণাবলির মাধ্যমে তিনি ২০১৭ সালে এসএমই স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফাংশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ব্যাংকে নিজের ভূমিকা আরও সম্প্রসারিত করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে ব্যারিস্টার রশীদ গ্রামীণফোন, এরিকসন, হুয়াওয়ে এবং বাংলালিংকসহ বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের আইন বিভাগে কাজ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ব্যাংকিং খাতের লিগ্যাল প্র্যাকটিস বিশদভাবে বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে অবদান রেখেছে।
ব্যারিস্টার রশীদের কৃতিত্বের প্রশংসা করে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আরএফ. হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার রশীদ ব্র্যাক ব্যাংকে এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। তিনি ব্যাংকের সামগ্রিক আইনি কার্যক্রম এবং এসএমই স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফাংশন – উভয়ই দেখাশোনা করছেন।
রশীদের নেতৃত্ব-দক্ষতায় গত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সর্বোত্তম কালেকশান এবং রিকভারি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। রশীদের ব্যবস্থাপনা কৌশল, শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং এবং সক্রিয় ফলো-আপ দক্ষতা তাকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের আইনি কার্যক্রমে একজন রোল মডেলে পরিণত করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক কর্মশালা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে ঢাকা সেন্ট্রাল, কুমিল্লা, খুলনা ও সিলেট জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাইবার সিকিউরিটি প্রটেকশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার।
ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আবু সাঈদ। এতে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মিজানুর রহমান ও ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ হামিদ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখা ও এজেন্ট আউটলেটের ৭৬২ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
রূপালী ব্যাংকের মাদারগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন

আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে কয়ড়া বাজার শাখার আওতাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ২২তম মাদারগঞ্জ উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই শাখাটির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপশাখাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদারগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান বেলাল, মাদারগঞ্জ পৌর মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির ও মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়সীমা নাহাত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন খাঁ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামালপুরের জোনাল ম্যানেজার ও ডিজিএম মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকায় প্রথমবারের মতো অ্যাওফি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশে প্রথমবারের মতো ইসলামী ফাইন্যান্সে মানদণ্ড প্রণয়ণকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাওফি’ এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কনভেনশন হলে “এডভান্সিং ইনোভেশন ইন ইসলামিক ফাইন্যান্স” শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা বাহরাইনের প্রতিষ্ঠান অ্যাওফি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে অ্যাওফির অধীনে প্রোগ্রামটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ শরিআহ কনসালটেন্সি ফার্ম ও ইসলামী ফাইন্যান্সে ট্রেইনিং প্রদানকারী ও রিসার্চ বেইজড প্রতিষ্ঠান ‘আইএফএ কনসালটেন্সি লিমিটেড’।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার তিনটি সেশনে মোট ৬টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে মালয়েশিয়ান ক্যাপিটাল মার্কেটের উদ্ভাবন বিষয়ে মালয়েশিয়া সিকিউরিটিজ কমিশনের ডিপুটি ডিরেক্টর ড. আজলান ইস্কান্দার মির্জা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এছাড়া বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত ফ্যামেলি তাকাফুল কাঠামো প্রসঙ্গে আইএফএ কনসালটেন্সি ও শরিআহ কনসালটেন্টের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম; সেন্ট্রাল ব্যাংক পাকিস্তান ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির শরিআহ গভর্নেন্সের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শরিআহ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মুফতি ইরশাদ আহমদ ইজায; শরিআহ বেইসড ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড রিপোর্টিং বিষয়ে ইসলামি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান এফসিএ; ইউএই ইসলামিক ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিতে ফিনটেক এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা প্রসঙ্গে আমানাহ এডভাইজরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুফতি ফারাজ আদাম এবং মালয়েশিয়া এসডিজি-এর সাথে মাকাসিদে শারিয়াহ একীভূতকরণ প্রসঙ্গে আদল অ্যাডভাইজরীর পরিচালক ড. মুফতি ইউসূফ সুলতান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রতিটি সেশনের জন্য স্বতন্ত্র প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে আলোচক হিসেবে দেশ ও বিদেশের ইসলামী ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রির লিডারগণসহ বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে অ্যাওফি কর্তৃক রচিত এবং আইএফএ কনসালটেন্সির গবেষণা টিম কর্তৃক অনুবাদকৃত “কর্মক্ষেত্রে নীতি ও নৈতিকতা” (কোড অব ইথিকস)-এর বাংলা অনুবাদটির মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। পাশাপাশি অনুবাদ গ্রন্থটি বাহরাইনে একই সময়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী ফাইন্যন্স ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফেস্টিভল উইকেও উন্মোচিত হয়েছে।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রাত্যহিক জীবনকে হালালময় করার প্রত্যয় গ্রহণ করাকে উৎসাহিত করেন আইএফএ কনসালটেন্সির পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম।
অন্যদিকে, শরিয়াহ বেইসড ফাইন্যান্স সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে দোয়া ও নসীহত প্রদান করেন আইএফ এ কনসালটেন্সির উপদেষ্টা মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া, গবেষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার প্রায় দুই শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ট্রান্সকেন্ড এ্যাডভাইজরী। স্পন্সর হিসেবে ছিল আইডিএলসি (ইসলামিক শাখা), বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিনিয়োগ ডট আয়ো, নেইবার্স ল্যান্ডমার্ক।
নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল মারকাযু ইকতিসাদিল ইসলামী (সেন্টার ফর ইসলামিক ইকনোমিকস স্টাডিস), আদল অ্যাডভাইজরী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম।
গিফট পার্টনার হিসেবে ছিল পেনফিল্ড পাবলিকেশন্স, মুসলিম ড্যা প্ল্যানার্স, সিয়ান পাবলিকেশন্স।