প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগে ২ শতাংশ প্রণোদনা নেই

প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগে ২ শতাংশ প্রণোদনা নেই
গত অর্থবছর থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। কোনো প্রবাসী দেশে ১০০ টাকা পাঠালে তার স্বজনরা ১০২ টাকা তুলতে পারছেন।

কিন্তু রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে প্রবাসী বন্ড কিনলে এই প্রণোদনা পাওয়া যাবে না।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার জানিয়েছে দেওয়া হয়েছে।

সরকারী-বেসরকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, “অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা/সহায়তা প্রযোজ্য নয়।”

বিদেশে অবস্থান করেন, এমন যেকোনো বাংলাদেশি চাইলেই প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারেন। এর সবই জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা বন্ড।

১৯৮৮ সালে চালু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ২০০২ সালে চালু হওয়া তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করে এ সুবিধা পাওয়া যায়।

এর মধ্যে ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব বন্ড বিক্রি বন্ধ ছিল।

রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে এই তিন ধরনের বন্ড কিনলে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে না-এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছিল।

গত ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে মতামত জানতে অর্থমন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছিল।

সেই চিঠির জবাবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রণালয় একটি চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, “নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা/সহায়তা প্রযোজ্য নয়।”

অর্থমন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনাই বুধবার সার্কুলার জারির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট ২২০ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রবাসী বন্ড বিক্রি হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে; ১৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে ৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা