বিনিয়োগাকরীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ বিএসইসির

বিভিন্ন ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে চাঙ্গা হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের সময়উপযোগী অনেকগুেলা পদক্ষেপের মধ‌্যে বিনিয়োগাকরীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য একটি। পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করে ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার এবং ডিবেঞ্চার হোল্ডারদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। যা দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে বিরল ঘটনা, এর আগে কখনো বিনিয়োগকারীদের রক্ষার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। ৬ কোম্পানির মধ্যে ৪টি কোম্পানি হচ্ছে ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের। কোম্পানিগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ,বাংলাদেশ ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্টিজ এবং বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর ডিওইএল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিকের ইস্যুকৃত ২ট ডিবেঞ্চার।এর মধ্যে বিডি জিপার ১৪ শতাংশ এবং বিডি লাগেজ ১৪ শতাংশ।

আজ বুধবার (৩০সেপ্টেম্বর)বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি)৭৪২তম কমিশন সভায় প্রাথমিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ ও কোম্পানিগুলোকে তালিকাচ্যূতি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার এবং ডিবেঞ্চার হোল্ডারদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সকল সিকিউরিটিজের লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ করে ডি-লিস্টিং প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ১টি এসক্রো অ্যাকাউন্ট (Escrow Account) যৌথভাবে পরিচালনার মাধ্যমে ডিবেঞ্চার ও শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ ও দাবি অভিহিত মূল্যে বা ইস্যু মূল্যে বা সমঝোতার মূল্যে পরিশোধ করা হবে।

এদিকে বিডি লাগেজ ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হয়েছে বিবিধ খাতের এ কোম্পানিটি। ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ২০ লাখ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বিডি জিপার ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হয়েছে বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি। ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হয়েছে বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি। ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বাংলাদেশ ডায়িং ও ফিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত হয়েছে বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি। ওটিসিতে থাকা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি। মোট শেয়ারের সংখ্যা ১২ লাখ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ১৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত