আন্তর্জাতিক
বছরের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক ঋণে রেকর্ড

চলতি বছরের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩০৭ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। দুই বছর নিম্নমুখী থাকার পর চলতি বছরে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতা। জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার। এক দশক আগের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি বাণিজ্য ও আর্থিক পরিষেবাবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স (আইআইএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
আইআইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক ঋণের ৮০ শতাংশের হিস্যা ছিল জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশের বাজারগুলোর। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারত, চীন ও ব্রাজিলের।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি মাসের মাঝামাঝি দাবি করেছিল, বৈশ্বিক ঋণ দ্বিতীয় বছরের মতো ২০২২ সালে কমে ২৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে মহামারীপূর্ব পর্যায়ের চেয়েও বৈশ্বিক ঋণের বোঝা বেশি। গত বছর বৈশ্বিক ঋণ ছিল জিডিপির ২৩৮ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় দুই দশকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ঋণ। উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশের বেসরকারি ঋণ কম হলেও ঝুঁকি বেশি। অর্ধেকের বেশি নিম্ন আয়ের দেশ ঋণসংক্রান্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ধারাবাহিকভাবে সাত প্রান্তিক ধরে বৈশ্বিক ঋণ কমতে থাকলেও চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে ঋণ বেড়েছে। গত দুই বছরে ঋণ কমার প্রধান কারণ ছিল মূল্যস্ফীতির হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এ কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশ তাদের মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন এনেছে। আইআইএফের দাবি, মজুরি ও দ্রব্যমূল্যের ওপর থেকে চাপ ক্রমেই কমে আসছে। বছরের শেষ দিকে ঋণের হার ৩৩৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
জিডিপির বিপরীতে গৃহস্থালি ঋণ উদীয়মান অর্থনীতিগুলোয় বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে কোরিয়া, চীন ও থাইল্যান্ড এগিয়ে তালিকায়। তবে উন্নত দেশগুলোয় সূচক ছিল নিম্নমুখী। প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক তহবিল স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। উদীয়মান অর্থনীতিগুলো বাড়িয়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সৌদি আরব, পোল্যান্ড ও তুরস্ক ছিল ঋণগ্রহণে শীর্ষে।

উদীয়মান বাজারে পুঁজিপ্রবাহে সীমাবদ্ধতা একটা বড় ঘটনা হয়ে দেখা দিয়েছে চলতি সময়ে। আইআইএফ দাবি করেছে, বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। নতুন প্রকল্প হাতে নিতে হবে বিনিয়োগকারীদের।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারতের আবাসন খাতে ১৫ মাসের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি

ভারতের আবাসন খাতে দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। আগের বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। যা এই বছরের আগের প্রান্তিকের চেয়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। গত পাঁচ প্রান্তিকে বা শেষ ১৫ মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।
রিয়েল এস্টেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যানারক জানায়, মুম্বাই, নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরুসহ ভারতের সাতটি বৃহত্তম শহরে বাড়ি বিক্রি এক বছর আগের থেকে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। সংখ্যায় এটি ১১ লাখ ২ হাজার ইউনিটের বেশি। এসবের মূল্য ৮-১৮ শতাংশ বেড়েছে। নতুন আবাসিক প্রকল্প চালু হওয়ার ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এটা ভারতকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ পূর্বাভাস প্রসার করতে সাহায্য করেছে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে চলছে। এর বিপরীতে পশ্চিমা অর্থনীতির দেশগুলো উচ্চ সুদের হার ও জ্বালানি তেলের দামের তলায় চাপা পড়ার উপক্রম হয়েছে। অন্যদিকে চীনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ঋণ সংকটে আটকে আছে।
ভারতে আবাসন ব্যবসার যে উল্লম্ফন, এটা লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করছে। প্রায় ছয় বছরের ঋণ ও মহামারীজনিত মন্দার পরে গত বছর থেকে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ বছর তার অগ্রগতি চলছে। এটি অনেক ভারতীয়ের ক্রমবর্ধমান আয়ের প্রতিফলন। একই সঙ্গে জনসংখ্যা বাড়ার ফলে শহরগুলোয় আবাসন ঘাটতি ক্রমে বাড়ছে।
ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। গত বছর প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ইউনিটের শহুরে আবাসনের ঘাটতি ছিল। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে।

রয়টার্সের একটি জরিপ অনুসারে, ভারতে বাড়ির দাম আগামী বছর অন্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির তুলনায় দ্রুত বাড়বে। নবনির্মিত বিলাসবহুল বাসস্থান ধনাঢ্যদের গন্তব্য হয়ে উঠবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিলিপাইনে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

গত দুই দিনে ফিলিপাইনে তিন বার আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে দক্ষিণ ফিলিপাইন উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯।
বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ফিলিপাইনের একই এলাকায় আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ।
তবে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসাইন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, সোমবার সকালে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৩৮ কিলোমিটার (২৩.৬১ মাইল)। মিনদানাও দ্বীপ থেকে ৭২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হিনাতুয়ান পৌরসভায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেম জানিয়েছে, ওই ভূমিকম্পটি থেকে সুনামি আঘাত হানার কোনো হুমকি নেই। সে কারণে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ওই একই অঞ্চলে এর আগে গত শনিবার ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এবং গত রোববার ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
শনিবার ফিলিপাইনে আঘাত হানা ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হাচিজোজিমা দ্বীপে ৪০ সেন্টিমিটার বা ১ দশমিক ৩ ফুট উচ্চার সুনামি ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে। দ্বীপটি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ এই তথ্য জানায়।
এর পরেই মিন্দানাওয়ের কিছু অঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়া ভ্রমণে নতুন নিয়ম

মালয়েশিয়া দর্শনার্থীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন থেকে দর্শকদের দেশে আসার তিন দিন আগে অনলাইনে মালয়েশিয়া ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড (এমডিএসি) পূরণ করতে হবে।
এছাড়া ১০টি দেশের নাগরিকরা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) অভিবাসন ছাড়পত্রের জন্য অটোগেট ব্যবহারের অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন৷
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর আগে বিদেশি নাগরিকদের (এমডিএসি) এসব বাধ্যবাধকতা চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর করা হবে। যেখানে ৩টি ক্যাটাগরি ব্যতীত সব ভ্রমণকারীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে উল্লেখ করা হয়।
যেসব ভ্রমণকারীদের এমডিএসি জমা দিতে হবে না-
যারা অভিবাসন ছাড়পত্র না নিয়ে সিঙ্গাপুরের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট বা স্থানান্তর করছেন, মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা বা দীর্ঘমেয়াদী পাস হোল্ডারদের এবং মালয়েশিয়ান অটোমেটেড ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম (এমএসিএস) হোল্ডার। এমডিএসি নিবন্ধন এবং জমা দেওয়ার জন্য, ভ্রমণকারীদের ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটের লিংকে গিয়ে নিবন্ধন ফর্মে নাম, জাতীয়তা, পাসপোর্ট নম্বর এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, ইমেল ঠিকানা এবং মোবাইল ফোন নম্বরের মতো তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে এবং তাদের আগমনের তারিখ, প্রস্থানের তারিখ, পরিবহনের পদ্ধতি (আকাশপথ, স্থল বা সমুদ্র) এবং যাত্রার শেষ বন্দর পূরণ করতে হবে।

মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় এয়ারপোর্টে দর্শনার্থীদের অবশ্যই তাদের পাসপোর্ট এবং সম্পূর্ণ এমডিএসি ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখাতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের এমডিএসি ওয়েবসাইটের ইনফোগ্রাফিকের ভিত্তিতে ১০টি দেশের দর্শনার্থীরা কেএলআইএর টার্মিনাল ১ বা টার্মিনাল ২ এ আসা ও ছাড়ার সময় অটোগেট ব্যবহার করতে পারবেন।
দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের জন্য কেএলআইএর অটোগেটগুলি ব্যবহার করতে দর্শনার্থীদের অবশ্যই ছয় মাস বা তার বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে। স্থায়ী বাসিন্দা এবং দীর্ঘমেয়াদী পাসধারী ব্যতীত অন্য দর্শনার্থীদের অবশ্যই আগমনের তিন দিন আগে তাদের এমডিএসি জমা দিতে হবে।
তবে দর্শনার্থীরা যদি প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া সফরে যান তবে তারা অটোগেটটি ব্যবহার করতে পারবেন না, কারণ তাদের প্রথম ভ্রমণের জন্য তাদের আগমনের তিন দিন আগে এমডিএসি জমা দিতে হবে এবং তারপরে ইমিগ্রেশন কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত ম্যানুয়াল কাউন্টারে তাদের পাসপোর্ট নিবন্ধন এবং যাচাই করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ৯ বছরের সর্বোচ্চে

দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নয় বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। প্রতি বর্গফুটের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছে। এটা ২০১৪ সালের রেকর্ডও ভঙ্গ করেছে। খ্যাতনামা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি অলসোপ অ্যান্ড অলসোপের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত অলসোপ অ্যান্ড অলসোপের ডেটা হাবের সাম্প্রতিক তথ্য দেখাচ্ছে, প্রপার্টি মনিটরের ডায়নামিক প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে প্রতি বর্গফুটের গড় মূল্য ১ হাজার ২৫৭ দিরহাম।
এ সূচক সংযুক্ত আরব আমিরাতের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার শক্তিশালী উত্থানকে চিহ্নিত করছে। একই সঙ্গে ২০১৪ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
ব্রিটিশ মালিকানাধীন অলসোপ অ্যান্ড অলসোপের সিইও লুইস অলসোপ বলেন, ‘৩৬ মাসের চক্র হিসাব করলে আরব আমিরাতের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বর্তমানে এর চূড়ায় অবস্থান করছে। আমরা এর সাক্ষী হয়ে থাকলাম। এটা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাচ্ছে। দুবাই রিয়েল এস্টেট ব্যবসার রেকর্ড শুরুর পর থেকে ২০২৩ সাল সবচেয়ে সক্রিয় ও বেশি লেনদেনের বছর হিসেবে বিবেচিত হবে।’
বর্তমান বাজারের সঙ্গে ২০১৪ সালের বাজার তুলনা করলে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। অলসোপের মতে, শহরের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় প্রান্তিক মানুষের লেনদেন বেড়েছে। এ কারণে বাজার দ্রুতগতিতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটা টেকসই প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। যেখানে ২০১৪ সালে বিনিয়োগকারীদের পরিকল্পিত প্রচেষ্টায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল।

বিভিন্ন সংস্থা যে প্রক্ষেপণগুলো করছে লুইস অলসোপ সেগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক সূচকগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
অলসোপ অ্যান্ড অলসোপ জানায়, দুবাইয়ের রোড অ্যান্ড ট্রাফিক অথরিটির তথ্যানুযায়ী, ব্যক্তিগত নতুন গাড়ির মালিক (দুবাইয়ের টোল সিস্টেম) নিবন্ধন প্রতি বছর ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রতি বছর ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতি বছর ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অলসোপ আরব আমিরাতের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আস্থা প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে ২০৪০ সালের আরবান মাস্টার প্ল্যান এ প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তারা মনে করে।
দুবাইয়ের জনসংখ্যা ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি বছর ৩ শতাংশ বাড়ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা ৫৮ লাখ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে টেকসই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিশ্চিত করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
তবে দুবাইয়ের সম্পদের অপর্যাপ্ত মজুদ নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ডেভেলপারদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অলসোপ বাজারের অপর্যাপ্ত মজুদ ভবিষ্যতেও রয়ে যাবে বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
২০২৩ সালের শেষে প্রায় ৫০ হাজার নতুন প্রপার্টি হস্তান্তর করা হবে। একই বছরের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে এটা কিছুটা কম।
লুইস অলসোপ বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকালে আমি অন্য কিছুই দেখতে পাই না। যদি ২০২৪ সালে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে, দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করবে। অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। সাম্প্রতিক সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছার মতো ২০২৪ সালে বরং নতুন রেকর্ড হতে পারে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিন্দানাও। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ভূমিকম্পে কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা যায়নি।
এদিকে, এ ভূমিকম্পের ফলে এক মিটার (৩ ফুট) বা তার বেশি সুনামি ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে মিন্দানাওয়ের কিছু অঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে, শনিবার ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলছে, মিন্দানাওয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৩ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মার্কিন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা ভূমিকম্পের পর মিন্দানাও দ্বীপে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।

এর আগে, গত মাসে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১৭ নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে দেশটির সারাঙ্গানি, কোটাবাটো এবং দাভাও প্রদেশে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ভূকম্পনে আহত হন আরও ১৩ জন। ভূমিকম্পে দেশটিতে অর্ধ-শতাধিক বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘‘রিং অব ফায়ারে’’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে শনাক্ত করেছে।