অর্থনীতি
কমতে পারে দেশের মূল্যস্ফীতি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমার সম্ভবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির ধারনা, দেশের চলমান মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।
আজ বুধবার ‘উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবণতা ও সম্ভাবনা: দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এডিবি এ পূর্বাভাস জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিবহির্ভূত পণ্যের দাম কিছুটা হ্রাস, প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন ও নতুন কাঠামোর অধীনে মুদ্রানীতির কঠোরতার কারণে মূল্যস্ফীতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের নয় শতাংশ থেকে কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
গত ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৯২ শতাংশ। একই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
এর আগে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৬৯ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল নয় দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে দেশে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৫ শতাংশ। জুলাইয়ে তা ছিল নয় দশমিক ৪৭ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
রপ্তানি বন্ধের খবরে বাড়লো পেঁয়াজের দাম

২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত— এমন খবর গণমাধ্যমে আসতে না আসতেই দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবর জানা গেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই রাজধানীর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
এছাড়াও পাবনার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা করে। তবে সন্ধ্যার পরই পাল্টে যায় পেঁয়াজের বাজারের দৃশ্যপট। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি করে।

মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে। এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন তারা।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা খবর পেয়ে পেঁয়াজ কিনতে বাজারে আসেন মধ্য বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে বসবাসকারী মওদুদ আহমেদ। দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকেই দেখেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, তখনই বুঝতে পারলাম দেশেও দাম বেড়ে যাবে। তাই দ্রুত বাজারে চলে আসলাম, কিন্তু এসে দেখি আমি আসার আগেই দাম বেড়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ দুইদিন আগেও ১০০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ কিনতে হয়েছে ১৫০ টাকা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ব্যাপারে খুবই দক্ষ। কোন একটা ঘোষণা আসার আগেই অটোমেটিক দাম বেড়ে যায়। ভারত আজ ঘোষণা দিয়েছে, তাই বলে আজই দাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে?
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মো. মানিক নামে এক বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে বেশি দামেই পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে। যার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি। আজ আবার শুনেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাহলে তো পেঁয়াজের বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে।
দেশি পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের সিজন শেষ, যে কারণে দামটা একটু বেশি। তবে আগামী ১৫ দিন পরই বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসবে, আশা করি দেশিটার দাম তখন কমে যাবে।
বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে৷ যার কারণে নতুন পেঁয়াজ এলেও দাম তেমন একটা কমবে না। এছাড়া বাজারে সব জিনিসেরই তো দাম বেশি। পেঁয়াজের দাম কমবে কী করে?
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্লোবাল ইকোনমিক ফোরামে সালমান এফ রহমানের অংশগ্রহণ

ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসি ফোরামে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। দুদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বর্তমান সময়ে বিদ্যমান নানামুখী সংকটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণের প্রতিপাদ্য তুলে ধরা হয়।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৭ ও ৮ ডিসেম্বর) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীণ অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগ এবং কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথ উদ্যোগে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামটির সভাপতিত্ব করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন। ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ কীভাবে দ্রুত অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য সালমান এফ রহমান এমপিকে ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাত্রা থেকে অনুপ্রেরণা’ শীর্ষক সেশনে ভাষণ দেন।
বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহ কী ধরণের উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা ছিল সেশনের প্রধান উদ্দেশ্য। সালমান এফ রহমান সেশন সঞ্চালক ও অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৮৩ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বছরে ক্ষতি হয় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) বাস্তবায়ন ও জলবায়ু কেন্দ্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে এই ঋণ অবদান রাখবে।
এডিবি জানায়, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি, বার্ষিক গড় ক্ষতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের অর্থে জলবায়ু-টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রথম উপ-প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হবে। যা বাংলাদেশকে জলবায়ু মোকাবিলায় শক্তিশালী করতে, কম কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতে এবং মূলধারায় লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে।

সংস্থাটির প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান জানান, জলবায়ু ধাক্কা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এডিবিও বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।
এই কর্মসূচি জলবায়ু অর্থায়নকে একত্রিত করার জন্য একটি সক্ষম প্রাতিষ্ঠানিক এবং নীতিগত পরিবেশ তৈরি করবে। যা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এজেন্ডায় জলবায়ু কর্মকে অগ্রাধিকার দেবে। সরকারকে কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবহন ও অবকাঠামো, নগর উন্নয়নসহ জলবায়ু-সমালোচনামূলক খাতে সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এই প্রকল্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বৃষ্টির প্রভাবে সবজির দামে অস্বস্তি

দেশব্যাপী ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’এর প্রভাবে চলা বৃষ্টিতে সবজির দামে আঁচড় কেটেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় নানান সবজিতে দাম বেড়েছে কয়েক শতাংশ। তাতে বিক্রেতাদের ‘বেপরোয়া’ আচরণের মাঝে প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরে ফিরেছে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকার বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যেখানে দুইদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা কেজি। বেগুনও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায়। এদিকে শীতের সময়ে সবচেয়ে কমদামে থাকার কথা যেই সবজির, সেই ফুলকপি-বাঁধাকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে।
এছাড়াও বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ কেজি। দুইদিন আগেও এই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া লাউশাক ৫০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে আমাদেরও সবজি নষ্ট হয়, তাই সব ব্যবসায়ীরাই কম কম কিনে। আবার পাইকারি বাজারেও যে সবজি খুব বেশি তা না। বৃষ্টির কারণে ঢাকায় সবজি ঢুকেই কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ারবাজার-বন্ডে গোলাপের বিনিয়োগ দেড় কোটি টাকা

মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুস সোবহান মিয়া। নিজ এলাকায় তিনি গোলাপ নামে পরিচিত। এমপি হওয়ার পর তার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। কিনেছেন কোটি টাকার গাড়িও। ২০২৩ সালে তার বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকা ভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৯২ টাকার।
এদিকে গোলাপের চেয়ে ১২ গুণ বেশি নগদ অর্থ রয়েছে তার স্ত্রী গুলশান আরার।
মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রথম এমপি হন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী পেশ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, নিজের তুলনায় তার স্ত্রীর নগদ অর্থ ১২ গুণ বেশি রয়েছে। এমপি হওয়ার পর গোলাপ কিনেছেন কোটি টাকার গাড়ি। এমপি হওয়ার আগে তার কোনো গাড়ি ছিল না।
নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে তার নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। আবদুস সোবহান গোলাপের নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ গুণ।
২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার পেশা ব্যবসা ও রাজনীতি উল্লেখ করলেও ২০২৩ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার বর্তমান পেশা উল্লেখ করেছেন রাজনীতি। ২০১৮ সালে তার নগদ টাকা ছিল ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা এবং স্ত্রীর গুলশান আরার নামে ছিল ১ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা। ২০২৩ সালে তার নগদ টাকা কমেছে। বর্তমানে তার নগদ টাকার পরিমাণ ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৪। তবে স্ত্রীর টাকা বেড়েছে। তার স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামা মোতাবেক তার স্ত্রীর কাছে ৯৮ হাজার ১১৮ ইউএস ডলার থাকলেও চলতি বছরে তার কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই বলে জানা গেছে। তবে আবদুস সোবহানা মিয়া গোলাপের আগের হলফনামা মোতাবেক আগে কোনো গাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তার একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ রয়েছে। যার বাজার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা।

গোলাপ ও তার স্ত্রী গুলশান আরার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার নিজের নামে জমা ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। অপরদিকে তার নামে ২০১৮ সালে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকা ভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার।
২০২৩ সালে রয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৯২ টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। এছাড়া মিরপুর এবং উত্তরাতে তার দুটি ভবন রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/কাফি