Connect with us

শিল্প-বাণিজ্য

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

Published

on

পেঁয়াজ

মসলাপণ্যের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। দুদিনের ব্যবধানে হিলিতে মসলাপণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ৩-৪ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হিলিতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কমতির দিকে পণ্যটির দাম।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে ভারতীয় ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (ট্রাকসেল) কেজিপ্রতি ৪৪-৪৫ টাকায়, যা দুদিন আগেও ছিল ৪৮ টাকা। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০-৫১ টাকা, যা দুদিন আগে ছিল ৫৪-৫৫ টাকা।

পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের ফলে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল নিত্যপণ্যটির বাজার। সরবরাহ কমায় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বাজার। তবে শুল্কারোপের পরও ভারতসহ বিদেশী পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশ করায় সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে বাজারে পণ্যটির দাম নিম্নমুখী হয়েছে।

স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‌ভারতের অভ্যন্তরে কাস্টমসের সার্ভার সমস্যার কারণেও কয়েকদিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গিয়েছিল। সমস্যা ঠিক হয়ে যাওয়ায় এখন আবার আমদানি বেড়েছে। আর পাকিস্তান, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এ কারণে এখন বাজারে সরবরাহ খানিকটা বাড়ায় ঢাকা চট্টগ্রামসহ বড় আড়তগুলোয় পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে।

বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সর্বশেষ রবি মৌসুমে দেশে রেকর্ড ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় ও সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে এক-চতুর্থাংশ পেঁয়াজ নষ্ট ও শুকিয়ে ওজন কমে যায়। ফলে সংকট দেখা যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য

শিল্প খাতের উন্নয়নে এফবিসিসিআইর প্রস্তাবনা

Published

on

শেয়ারবাজার

দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও শিল্প মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় উপযুক্ত শিল্পনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, এসএমই, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, পণ্যের মান এবং মেধা সম্পত্তির অধিকার রক্ষা, শিল্প খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি খাতকে আরও সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া, খাতভিত্তিক শিল্প পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব শিল্প প্লট ও পার্কে বেসরকারি খাতের অংশ নেয়া নিশ্চিত করতেও শিল্প মন্ত্রণালয় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছে।

দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টির পাশাপাশি রপ্তানিযোগ্য পণ্য বহুমুখীকরণে সহায়ক শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এর সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এসময় শিল্পনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

রপ্তানি নীতি ও শিল্পনীতিকে লিগ্যাল বাইন্ডিংসের মধ্যে আনা, ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এর পরিবর্তে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা, জমি নেওয়ার ক্ষেত্রে ৩০টি জায়গা থেকে অনুমোদন না নিয়ে পাঁচটি স্থায়ী অনুমোদনের ব্যবস্থা করা, নতুন উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তাদের জমি কেনার ক্ষেত্রে জমির দামের ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও বাকি ৮০ শতাংশ অর্থ ব্যাংক ও অন্যান্য ফাইন্যান্সিং অথরিটি সফট লোন বা ইন্টারেস্ট ফ্রি এবং ২০ বছরে পরিশোধযোগ্য ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা, স্টার্টআপের জন্য ইনোভেশন ফান্ড, ক্রিয়াটিভ ফান্ড ইত্যাদির জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা রাখা, সেমিস্কিল ও আনস্কিল লেবারকে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে স্কিলড লেবারে পরিণত করা, শিল্পনীতিতে সেবা খাতের শিল্প, উৎপাদন খাতের শিল্প, কৃষিখাতের শিল্প যাতে প্রাধান্য পায় সেভাবে সঙ্গায়িত করা এবং ফিসক্যাল ও ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা ক্ষুদ্র তাদের বেশি সুবিধা, যারা মাঝারি তাদের কিছুটা কম সুবিধা, যারা বড় তাদের স্বাভাবিক সুবিধা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি ক্লাসিফিকেশন করার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার নীতিমালা ২০২২, প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩, জাতীয় লবণনীতি ২০২২, অটো মোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, এনপিও, চামড়া শিল্প, রুগ্নশিল্প, এবং বিএসটিআইয়ে সমস্যা, সম্ভাবনা ও নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এসব প্রস্তাবনা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিল্প খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। এ সময় সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা গড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করে যাবে শিল্প মন্ত্রণালয়। দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে একটি নতুন যাত্রার শুরু হলো। বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সামনের পথে এগিয়ে যাওয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় বরং সরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুষ্ঠু ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিতে বিভিন্ন পলিসি নির্ধারণ ও নির্দেশনার কাজ করছে। সার ও চিনি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট-ভিসা সেবা সহজ করতে নতুন উদ্যোগ

Published

on

শেয়ারবাজার

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহজ ও দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত অনেক দেশের আদলে আউট সোর্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসবান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালাম্পুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির (ইএসএল) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ইএসএল কোম্পানিটি বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় নিবন্ধনকৃত কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা আবেদনের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের কেন্দ্রস্থলে জালান দুয়া-চান শো লেনে (সিটি সেন্টারের পাশে ) প্রায় ১৪,০০০ বর্গফুট প্রশস্থ ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ভবনে খোলামেলা জায়গার পাশাপাশি উন্নতমানের সুপরিসর স্যানিটেশনসহ আধুনিক ভবন ব্যবস্থাপনার সকল ব্যবস্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ভবনটি যে এলাকায় অবস্থিত সেখানে যাতায়াতের জন্য সকল নাগরিক সুবিধা যেমন, বাস, এলআরটি, এমআরটি বিদ্যমান রয়েছে। ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এখানে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে এবং ৪৭টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিদ্যমান বৃহৎসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা প্রদান করে আসছে।

নতুন চুক্তির মাধ্যমে গত একবছরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুত করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ সময়োপযোগী বলে হাইকমিশন মনে করে।

ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ইএসএল সম্পন্ন করবে। বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আউটসোর্সিং কোম্পানি তাদের প্রদানকৃত সেবার জন্য কী পরিমাণ সার্ভিস চার্জ পাবেন তা স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফরম পূরণ, ইন্টারভিউ, সরকারি ফি জমাকরণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট, ডকুমেন্ট স্ক্যানিং, পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ মোট সার্ভিস চার্জ করা হয়েছে ৩২ রিঙ্গিত। পেশাজীবী ও অন্যান্যদের এই সেবার জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ৬০ রিঙ্গিত। একইভাবে মালয়েশীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা আবেদনের জন্য সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ রিঙ্গিত। ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে কাজ করায় পুরো প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহীতাকে একবার মাত্র সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। ESL কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে যেমন জহরবাহরু, পেনাং এ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে।

আউটসোর্সিং কোম্পানি ESL পরিচালিত ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’টি -এর সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সরাসরি হাইকমিশনের কর্মকর্তা / কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং সিসিটিভি-এর মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, জনবল নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকৃত কর্মীদের হাইকমিশনের মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন-এর (বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া) বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং আউটসোর্সিং কোম্পানির সেবা প্রদান কার্যক্রম সন্তোষজনক না হলে চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা হাইকমিশনের হাতে রয়েছে।

আউট সোর্সিং কোম্পানির প্রস্তুতি কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইএসএলের প্রধান কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন। এ সময়, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, গিয়াস আহমেদ এবং তার সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাই কমিশনের প্রতিনিধি দলটিইএসএলের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিশেষ করে অফিস ব্যবস্থাপনার নির্মাণাধীন অবকাঠামো এবং বাহ্যিক অবয়ব দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শন টিমে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সেলর (কনসুলার) জিএম রাসেল রানা, ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর সময় থেকেই আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসএল প্রধানত ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন করবে। সম্প্রতি, কতিপয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন মিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসকল প্রতিবেদনে বস্তুনিষ্ঠ নয় এমন বেশকিছু তথ্য মিশনের সঙ্গে যাচাই-বাছাই না করে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি তবে দ্রুত ই-পাসপোর্ট চালুর অভিপ্রায় নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালয়েশিয়া ও আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসএল তাদের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

কাসাভা সংগ্রহে ব্যস্ত প্রাণের চাষীরা

Published

on

শেয়ারবাজার

দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষ হওয়া কন্দ জাতীয় ফসল কাসাভা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পাঁচ হাজার একরের বেশি জমি থেকে এবার কাসাভা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’ সরাসরি মাঠ থেকে এসব কাসাভা সংগ্রহ করছে। এবার প্রাণের কাসাভা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টন।

প্রাণ গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু, যা পাহাড়ি, অনাবাদি এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত। এ বিষয়ে প্রাণের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বিভাগের হেড কামরুজ্জামান টিটো বলেন, ‘রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল ও কুমিল্লা জেলায় প্রাণের চুক্তিভিত্তিক কৃষকরা পাহাড়ি ও অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে কাসাভা চাষ করেছেন। নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত কাসাভা সংগ্রহ ও রোপণ দুটোই একসঙ্গে হয়।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, সারাদেশ থেকে কাসাভা সংগ্রহ করার পর প্রাণের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে প্রক্রিয়াজাত করে উন্নত মানের স্টার্চ তৈরি করা হয়। স্টার্চ থেকে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, চিপসসহ নানারকম খাদ্য তৈরি করা যায়। বস্ত্র ও ওষুধশিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

নভেম্বরে ৪৭৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি

Published

on

শেয়ারবাজার

নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য রফতানি হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

এ হিসেবে গত নভেম্বরে পণ্য রফতানি কমেছে বা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.০৫%।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

টানা দুই মাস পণ্য রফতানি কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধির গতিও কমে গেছে। চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে (জুলাই–অক্টোবর) পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।

কিন্তু নভেম্বর মাসে রফতানি কমায় পাঁচ মাসের হিসাবে (জুলাই–নভেম্বর) প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত জুলাই–নভেম্বর সময়ে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ডলারের পণ্য।

প্রসঙ্গত, গত ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তৈরি পোশাক ছাড়া বেশিরভাগ পণ্যের রফতানি কমে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাকের মধ্যে নিট পোশাকের রফতানি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে ওভেন পোশাকের রফতানি কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

শিল্প-বাণিজ্য

শ্রম অধিকার নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি

Published

on

শেয়ারবাজার

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, শিগগির যুক্তরাষ্ট্রকে এ অগ্রগতির চিত্র জানানো হবে।

আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে শ্রমসংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তপন কান্তি ঘোষ এ কথা বলেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতি হোক। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রম অধিকারের যেসব বিষয় আছে, তার মধ্যে বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।

সভাসূত্র জানায়, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান, শ্রম আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31