আন্তর্জাতিক
কৃষ্ণ সাগর বন্দর ছাড়লো ইউক্রেনের শস্য বোঝাই জাহাজ

চুক্তি ভঙ্গের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের শস্য বোঝাই করা অ্যাকার্গো জাহাজ কৃষ্ণ সাগর বন্দর ছেড়েছে। এ পথে পণ্য রপ্তানিতে রাশিয়ার হামলার হুমকি রয়েছে। তা সত্ত্বেও জাহাজ ছেড়েছে কিয়েভ। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুবরাকভ। খবর ডেইলি সাবাহর।
অলেক্সান্ডার কুবরাকভ ফেসবুকে বলেছেন, ‘৩ হাজার টন গম বহনকারী জাহাজটি চোরনোমর্স্ক বন্দর ছেড়েছে এবং বসফোরাসের দিকে যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বেসামরিক জাহাজের জন্য একটি অস্থায়ী করিডোর দিয়ে গত সপ্তাহে চোরনোমর্স্কে প্রবেশ করা দুটি জাহাজের মধ্যে এটিই প্রথম।’
কুবরাকভ খোলা সমুদ্রে জাহাজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
ইউক্রেন গত মাসে কৃষ্ণ সাগরে একটি ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করেছে। এর আগে যুদ্ধের পরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দর অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া। কিছুদিন আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় পুনরায় শস্য রপ্তানি চুক্তি করেছিল মস্কো। তবে সেই চুক্তি বেশিদিন টিকেনি। চুক্তি ভঙ্গের পর এবারই প্রথম কোনো জাহাজ বন্দর ছাড়ল।
বাল্ক ক্যারিয়ার রেসিলিয়েন্ট আফ্রিকা এবং আরোয়াট শনিবার ইউক্রেনে পৌঁছেছে এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার জন্য প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম লোড করার পরে বন্দর ছাড়ার কথা ছিল।

কুবরাকভ বলেন, দ্বিতীয় জাহাজ আরোয়াট এখনও চোরনোমর্স্কে আটকে আছে এবং মিসরের জন্য গম বোঝাই করা হচ্ছে। মস্কো ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি অবকাঠামোতে ঘন ঘন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চোরনোমর্স্কসহ ওডেসার তিনটি সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় দশ লক্ষ টন শস্য পাঠানো হয়েছিল।
অস্থায়ী করিডোর ব্যবহার করে ওডেসায় আটকে থাকা বেশ কয়েকটি জাহাজের মধ্যে পাঁচটি এখন পর্যন্ত বন্দর ছেড়ে গেছে।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে শস্য রপ্তানি চুক্তিটি হয়েছিল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ ছাড়াও যেসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করত ভারত

দাম নিয়ন্ত্রণ ও দেশের চাহিদা পূরণে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। বিশ্বের অন্যতম বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারতের এমন সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজের বড় বাজার ছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ নিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, স্পেন এবং চীনেও যেত ভারতের পেঁয়াজ।
ভারতীয় অর্থনীতিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থবছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারত ৯ দশমিক ৭৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। এরমধ্যে সবার প্রথমেই আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে যথাক্রমে রয়েছে মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানান কারণে ভারতে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আর উৎপাদন কম হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এটি।
দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাপে পড়তে শুরু করে সরকার। এমন অবস্থায় ৬ মাস আগে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এরপর রপ্তানি আরও কঠিন করে দিতে নির্দিষ্ট মূলও বেঁধে দেয় দেশটির সরকার। সবশেষে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করল দেশটি। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য কমার পূর্বাভাস

বিশ্ববাজারে ২০২৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও ফিচ সলিউশনের গবেষণা সংস্থা বিএমআই। তবে এল নিনোর প্রভাবে ব্যতিক্রম হতে পারে চালের বাজার। বিশেষ করে শীর্ষ উৎপাদক ভারত চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রাখায় পণ্যটির দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি আউটলুক প্রতিবেদন বলছে, চালের সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারে ভুট্টা ও গমের ফলন। আগামী বছর খাদ্যশস্য দুটির ব্যাপক সরবরাহ প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএমআইর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তালিকাভুক্ত দ্বিতীয় মাসে সরবরাহ চুক্তিতে ভুট্টা, সয়াবিন ও গমের গড় বার্ষিক মূল্য যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯, ৩ দশমিক ৯ ও ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমতে পারে। ফসল তিনটির উৎপাদনের ওপর বার্ষিক গড় মূল্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
কভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ সালে খাদ্যশস্যের দাম ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে বছরওয়ারি হিসাবে ২০২৩ সালে বার্ষিক গড় মূল্য ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমতে পারে বলে প্রত্যাশা।
শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলোয় ২০২৩-২৪ মৌসুমে ব্যাপক ফলন হলে বাজারে দামের ওপর নিম্নমুখী প্রভাব পড়তে পারে। চলতি বছর আরো একবার রাশিয়ায় গমের ব্যাপক উৎপাদন প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে ব্রাজিলিয়ান ভুট্টা ও সয়াবিন সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএমআই বলছে, উৎপাদন খরচে বিশেষ করে বর্তমান নিম্ন জ্বালানি ও সার খরচের কারণে খাদ্যশস্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পরবর্তী ১২ মাসে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি আউটলুকে বলা হয়েছে, ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বিপণন বছরে সয়াবিন তেলের উৎপাদন ৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে ভোজ্যতেলটির দাম নিম্নমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভুট্টার দাম চলতি বছর ২২ শতাংশ কমার প্রাক্কলন ছাড়াও ২০২৪ সালে শস্যটির দাম আরো ৮ শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর গমের দাম আগামী বছর প্রায় ৩ শতাংশ কমার প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএমআই বলছে, ‘খাদ্যশস্য মূল্য কভিড-১৯ স্তর থেকে কমলেও তা প্রাক-কভিড স্তরের চেয়ে বেশি থাকবে। আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৫ ও ২০১৯ সালের গড় দামের তুলনায় ২০২৪ সালে ভুট্টা, সয়াবিন ও গমের গড় দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেশি থাকবে। কারণ নিম্ন মজুদ। কভিডকালীন সময়ে খাদ্যশস্যের মজুদ যে পরিমাণে কমে গেছে তা এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি।’
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘২০২৪ সালে চালের দাম ৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবসহ শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর রফতানি সীমিতকরণ নীতি খাদ্যশস্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনের বিআরআই প্রকল্প থেকে সরে গেলো ইতালি

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার বেইজিংকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের বিআরআই প্রকল্পে ইতালির অংশগ্রহণের সমাপ্তি হলো। খবর বিবিসি।
২০১৯ সালে ইতালি ছিল একমাত্র পশ্চিমা দেশ, যারা এ প্রকল্পে যোগ দিয়েছিল। তখন পদক্ষেপটির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের কাছে বেশ সমালোচিত হয়েছিল ইতালি। ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক চালু করা বিআরআই প্রকল্প এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়েছে। চীনকে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য রেলপথ ও নৌবন্দর তৈরির মতো কাজ করবে এ প্রকল্পগুলো।
তবে চীনের বিআরআই প্রকল্পকে একটি কূটনৈতিক ঋণের ফাঁদ আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অর্থ বিআরআই প্রকল্পগুলো খুব বড় ও ব্যয়বহুল। দেশগুলোর পক্ষে এ প্রকল্পের জন্য অর্থ দেয়া সম্ভব নয়। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত চীনের কাছে অর্থ ধার করবে বা চীনের কাছে ঋণগ্রস্ত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮ সদস্যের মধ্যে ইতালি বিআরআইতে যোগদানকারী ইউরোপীয় বৃহত্তম দেশ। চীনের এ প্রকল্পে যোগদান করা বেশির ভাগ দেশ পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপের ছিল।
আগামী বছরের মার্চে ইতালির স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিআরআই সদস্যপদ নবায়নের কথা ছিল। ইতালি তার আগেই নিজেদের সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এর আগে বিআরআইতে ইতালির যোগদানকে গুরুতর ভুল বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি আগে থেকে চেয়েছিলেন ইতালি এ প্রকল্পের অংশ হওয়া থেকে সরে আসুক। এ প্রকল্পের আওতায় চীন ইতালিতে ২ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর মধ্যে সামান্য একটি অংশ এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হয়েছে।
গত বছর ইতালি চীনে ১ হাজার ৬৪০ কোটি ইউরোর রফতানি পণ্য বিক্রি করে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো। এদিকে চীন গত বছর ইতালির কাছে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ইউরো বিক্রি করেছে এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ১৭০ কোটি ইউরো পণ্য বিক্রি হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল ভারত

দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ডিজিএফটি’র বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রথমত, এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।
তৃতীয়ত, যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে / যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ এবং সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়।
নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সেসময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি)।
তারও আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং রপ্তানির লাগাম টানতে গত আগস্টে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সরকার পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়, পেঁয়াজের নতুন এই রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আর এর মাঝেই এবার আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে না ভারত, ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি

নতুন বছরের আগে ঋণগ্রহীতাদের জন্য স্বস্তির খবর শোনালেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পর আজ রেপো রেট বা নীতি সুদহার নিয়ে অপ্রত্যাশিত ঘোষণা করেছেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান। এর ফলে ইএমআই নিয়ে স্বস্তি পেতে পারেন আম জনতা।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল যে মনেটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকবে। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ধাপে ধাপে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল।
এদিকে আজকে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রেট থাকবে ৬.২৫ শতাংশ। এছাড়া মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেলিসিটি রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। ব্যাংক রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। অপরদিকে ফিক্সড রিভার্স রেপো রেট থাকবে ৩.৩৫ শতাংশ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। তবে গত এপ্রিল মাসে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে জুন ও অগস্ট মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি রেপো রেট। উৎসবের মরশুমে অক্টোবরেও অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। আর আজও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কমিটিতে আরবিআই’র তিনজন আছেন এবং সরকারের তরফে আরও তিনজনকে মনোনীত করা হয়ে থাকে এই কমিটিতে।
আরও পড়ুন: ভারতে ঘৃণাভাষণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ

এদিকে এবারে রেপো রেট বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে গৃহঋণ গ্রাহকদের পকেটে নতুন করে চাপ পড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে। এই আবহে অপরিবর্তিত থাকতে পারে ইএমআই এবং ঋণের ওপর সুদের হার। তবে রেপো রেট বৃদ্ধি না হওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের হারও হয়ত অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী বিগত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আরবিআই এই মুহূর্তে নিশ্চিত যে সুদের হার কম রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক হবে।
আরবিআই’র আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হারের ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে কম সুদের হার। তবে আশঙ্কা, কম সুদের হারে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে। তবে আরবিআই জানাচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে প্রকৃত জিডিপি।
অর্থসংবাদ/এমআই