অন্যান্য
এক মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ৪৬ হাজার কোটি টাকা

এক বছর আগের তুলনায় গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাস শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। তবে জুলাইয়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং লেনদেনের পরিমাণ জুনের চেয়ে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা কমেছে। জুনে এই মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ৪৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ২ দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।
গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে ব্যাপক আগ্রহী। এরফলে জুলাই পর্যন্ত এক বছরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালের জুলাইয়ে গ্রাহক ছিলো ৫৪ লাখ ৭২ হাজার। চলতি বছরের জুলাইয়ে গ্রাহক সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ায় তা ব্যাংকের জন্যও সাশ্রয়ী। অর্থাৎ লেনদেন যদি অনলাইনে হয়, তাহলে ব্যাংক পরিচালনার খরচ অনেকাংশেই কমবে। ব্যাংকগুলোর খরচ কমানোর ও দক্ষতা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন অনেক ব্যাংকাররা।

গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ টাকা। এভাবে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার এবং প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে কর্পোরেট অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি লেনদেনে সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার এবং প্রতিদিন মোট ২৫ লাখ টাকার লেনদেন করা যাবে।
জুলাইয়ে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬১৪ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৪০ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তবে, জুনেরঅনলাইন ব্যাংকিংয়ের ৫৮ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার চেয়ে জুলাইয়ে ফান্ড ট্রান্সফার লেনদেন কম হয়েছে।
২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন ছিল দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেনকে সহজতর করে তোলে। এটি পে-রোল, বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান এবং কোম্পানির লভ্যাংশ লেনদেনের কাজ করতে পারে।
এছাড়াও বিল পেমেন্ট, কর্পোরেট পেমেন্ট, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদানের মতো লেনদেন পরিচালনা করতে পারে। অপরদিকে বীমা প্রিমিয়াম, ক্লাব বা সমিতি সাবস্ক্রিপশন ফি ও সমতুল্য মাসিক কিস্তির মতো অর্থ পরিশোধও এর মাধ্যমে করা যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
জুমার বয়ানের সময় নামাজ পড়া যাবে কি

জুমার খুতবা জুমার নামাজের অংশ এবং তা শোনা ওয়াজিব। খুতবাপূর্ব বাংলা বয়ান জুমার অংশ নয় এবং তা শোনা ওয়াজিবও নয়। তাই জুমার বয়ানের সময় নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ নয়। তবে এটা যেহেতু যেহেতু দীনী আলোচনা তাই এ সময় কথা বলা বা ব্যক্তিগত কাজ করাসহ মজলিসের আদব পরিপন্থী যে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
জুমার মূল খুতবা জুমার নামাজের অংশ। যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়া বৈধ নয়। রাসুল (সা.) খুতবার সময় চুপ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,
إذا قلت لصاحبك ’أنصت‘ يوم الجمعة والإمام يخطب فقد لغوت
জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, চুপ কর, তাহলেও তুমি অনর্থক কথা বললে। (সহিহ বুখারি)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,
مَن تكلَّم يوم الجمعة والإمام يخطب فهو كمثل الحمار يحمل أسفارً
যে জুমার দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কথা বলে সে কিতাবের বোঝা বহনকারী গাধার মতো। (মুসনাদে আহমদ)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
জয়িতা ফাউন্ডেশন ও এবি ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি

দেশের নারীর ক্ষমতায়ন, জীবনমান উন্নয়ন ও তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন এবং এবি ব্যাংক পিএলসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ চুক্তির মাধ্যমে জয়িতা ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত নারী উদ্যোক্তা ও উদ্যোক্তা সমিতির অনুকূলে জয়িতা ফাউন্ডেশনের রিভলভিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট ফান্ডের আওতায় এবি ব্যাংক ঋণ প্রদান করবে।
জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান এবং এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিয়ের একদিন পরেই হাসপাতালে পরমব্রতের স্ত্রী

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জির স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতাকে বিয়ের একদিন পরেই মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে পিয়ার কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হবে।
অভিনেতার স্ত্রীর জটিলতা হঠাৎ করে বেশি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে দাবি কলকাতার পত্রিকার। পিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়েও পরমব্রতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে পারিবারিক আয়োজনে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন পরম-পিয়া। টলিউডের এই নতুন জুটির আইনি বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের লোকজন এবং নিকট বন্ধুরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, এদিন তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুরা মিলে প্রায় ২৫-৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের জন্য ভাত, ডাল, মাছের কালিয়া, মাংস, চাটনি এবং মিষ্টির আয়োজন করা হয়েছিল।

বিয়ের পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। যেখানে টলিউডের নতুন এই জুটিকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা গেছে।
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পরমব্রত বলেছেন, তাহলে চলো যাই, তুমি আর আমি যখন সন্ধ্যা ছড়িয়ে পড়ে আকাশে…।
উল্লেখ্য, পিয়া চক্রবর্তী সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অনুপম। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। গতকাল পিয়ার গলায় মালা পরিয়ে সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ দেন পরমব্রত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

দেশের প্রকৃত জনসংখ্যার সংখ্যা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।
সেখানে জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন গ্রামে বসবাস করেন। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১১৯ করে বাস করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি আছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

এর আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয় সংস্থাটি। পরে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যাচাই-বাছাই করে আরও একটি প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। গত জুলাইয়ে বিবিএস প্রকাশিত পরিসংখ্যানে যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪ হাজার ৮০২ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই আয়কর থেকে রাজস্ব আয়ে অব্যাহত বাড়ছে ঘাটতির পরিমাণ। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩১ হাজার ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এনবিআরের আয়কর উইংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অর্থবছরের প্রথম দিকে সবসময়ই কম রাজস্ব আয় হয়। শেষের তিন-চার মাসে আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। এছাড়া আয়কর সেবা মাস উপলক্ষে চলতি মাসে রিটার্ন জমার পরিমাণ এবং আয়কর রাজস্ব আয় বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়ার কথা। এ সময় অনেক প্রার্থী তাদের আয়কর জমা দেন।’ ঘাটতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা যেভাবে নির্ধারণ করেছে, তাতেই গলদ রয়েছে। যার জন্য ঘাটতি থাকছে রাজস্ব আয়ে।’
জানা গেছে, আয়কর থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে সম্প্রতি স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব আয়ের কৌশল নিয়েছে এনবিআর। ওই কৌশল অনুযায়ী, ভূমি রেজিস্ট্রেশন থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, ভ্রমণ কর খাত থেকে ৫০০ কোটি, টোব্যাকো কর থেকে ৩০০ কোটি, পরিবেশ সারচার্জ থেকে ৫০০ কোটি, করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে ২৫০ কোটি, কার্বোনেটেড বেভারেজ থেকে ১ হাজার কোটি ও বকেয়া কর আয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা রয়েছে আয়কর বিভাগের।
তবে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকলেও ভূমি রেজিস্ট্রেশন এবং কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর করহার কমিয়েছে এনবিআর। এছাড়া বেশকিছু এসআরও জারি করে আরো কিছু খাতের ওপর থেকে করহার কমানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে কর অব্যাহতিও। এ বিষয়টি আয়কর আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এনবিআরের। এর মধ্যে আয়কর খাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে মূসক (ভ্যাট) থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং আমদানি ও রফতানি পর্যায়ের রাজস্ব থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করসেবা মাসের উদ্বোধনীতে রাজস্ব আহরণ কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমও। তিনি বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হলে অবশ্যই রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব এবং এ খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’