ব্যাংক
নতুন নামে এনআরবিসি ব্যাংক

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকটির নাম ‘এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি’। নাম পরিবর্তন করে সংশোধিত লাইসেন্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) লাইসেন্সটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়ার কাছে সংশোধিত লাইসেন্স হস্তান্তর করেন চেয়ারম্যান। এসময় ব্যাংকের পরিচালক এ এম সাইদুর রহমান, লকিয়ত উল্ল্যাহ ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোম্পানি আইনের ১৯৯৪ এর ১১ক (ক) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর তালিকায় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের নাম ‘এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি’ হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিআরপিডি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনাদের আবেদনের প্রক্ষিতে নাম সংশোধন করে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২০১৩ সালের প্রদত্ত লাইসেন্সটি বাতিল করে নতুন সংশোধিত লাইসেন্স প্রদান করা হল।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি ১০৩ টি শাখাসহ দেশের প্রায় দেড় হাজারের বেশি সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
খেলাপি ১৪ শতাংশ হলেই বন্ধ হবে ব্যাংকের ঋণ-আমানত

ব্যাংক খাতের ওপর জনগণের আস্থা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চার ভাগে ভাগ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের বেশি এবং ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের অনুপাত (সিআরএআর) সাড়ে ১২ শতাংশের কম, সেগুলোকে চার ভাগে করা হবে। এ ধরনের ব্যাংকগুলোর পরিচালন খরচ বৃদ্ধির সীমা, লভ্যাংশ বিতরণ, নতুন শাখা খোলা, আমানত ও ঋণ বিতরণ বন্ধ করে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমন বিধান রেখেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মঙ্গলবার ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন’ (পিসিএ) শীর্ষক একটি নীতিমালা জারি করেছে। ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে।
যদি টানা ছয় মাস কোনো ব্যাংকের সিআরএআর সাড়ে ১২ শতাংশ ও প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫-৮ শতাংশের মধ্যে থাকে, সেটি ক্যাটাগরি-১ এ পড়বে। এই শ্রেণির ব্যাংক তার শেয়ারধারীদের কোনো নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোনাস শেয়ার বণ্টন করতে পারবে। এসব ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পরিচালন খরচ আগের বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ বাড়ানো যাবে।
টানা ১২ মাস যেসব ব্যাংকের সিআরএআর ৮-১০ শতাংশ এবং খেলাপি ঋণ ৮-১১ শতাংশের মধ্যে থাকে, সেগুলো ক্যাটাগরি-২ এ পড়বে। এই ব্যাংকগুলো কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এই ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় আগের বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বাড়ানো যাবে।
যেসব ব্যাংকের সিআরএআর ৫-৮ শতাংশ এবং খেলাপি ঋণ ১১-১৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে, টানা ১৮ মাস সেগুলো ক্যাটাগরি-৩ এ পড়বে। এই শ্রেণির ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে কোনো ধরনের নতুন লেনদেনে জড়াতে পারবে না। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া দেশে বা বিদেশে নতুন শাখা, উপশাখা বা সহায়ক সংস্থাও খুলতে পারবে না।

টানা ২৪ মাস যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৪ শতাংশের ওপরে থাকবে ও সিআরএআর ৫ শতাংশের নিচে নামবে, সেগুলো সবচেয়ে খারাপ ধাপ বা ক্যাটাগরি-৪ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এসব ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ বন্ধ করে দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানতে হবে যেসব শর্ত
নীতিমালা অনুযায়ী, মূলত পাঁচটি সূচকের ভিত্তিতে শ্রেণি নির্ধারণ করা হবে। সেগুলো হলো ব্যাংকের সিআরএআর, টিয়ার-১ ক্যাপিটাল রেশিও বা মূলধন অনুপাত, কমন ইক্যুইটি টিয়ার-১ (সিইটি১) রেশিও, নিট খেলাপি ঋণ এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স বা সুশাসন। দেশে ব্যবসারত সব ধরনের দেশি ও বিদেশি ব্যাংকের শাখার ওপর পিসিএ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। পাঁচ সূচকে লাগাতার পতন হলে সব শ্রেণির ব্যাংককে ‘অনিরাপদ’ ও ‘আর্থিকভাবে অস্বাস্থ্যকর বা দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরপর দুই ক্যাটাগরিতে অবনতি হলে সবচেয়ে ‘দুর্বল’ ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দুর্বলতা কাটিয়ে ব্যাংকের মানোন্নয়নে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে কোনো ব্যাংককে একীভূত করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন

বেসরকারি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে (বিআরটিসি) আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।
শাহজাহান শিকদার বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীরা অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির দশম দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায়, যা চলবে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুর্বল ব্যাংক টেনে তোলার নতুন উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকখাত সংকটে রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বেনামি ঋণ, তারল্য সংকট, উচ্চ খেলাপির হার, পরিচালক নিয়োগে পারিবারিক দৌরাত্ম্য প্রভৃতি। সমস্যা জর্জরিত ও দুর্বল এসব ব্যাংকের সংকট কাটিয়ে তোলার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক; সমস্যার ধরন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে ভাগ করা হবে চারটি ‘শ্রেণিতে’।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ব্যাংকের তারল্য সংকট, পরিচালক নিয়োগ, উচ্চমাত্রার খেলাপি এবং বেনামি ঋণ বন্ধ করতে সংস্কার পরামর্শ দিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে কার্যকর সংশোধনমূলক পদক্ষেপ (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধনী পরিকল্পনায় ব্যাংকগুলোকে ক্যাপিটাল টু রিস্ক অ্যাসেট রেশিও (সিআরএআর), ক্যাপিটাল রেশিও (সিআর), কমন ইক্যুইটি (সিইটি), নেট নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং করপোরেট সুশাসনকে ভিত্তি করে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশোধনী কাজ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশের অভ্যন্তরে সব তফসিলি ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকে কেন্দ্র থেকে শাখা পর্যন্ত এটি প্রয়োগ করার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সংশোধনী কাজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভার অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ব্যাংকের সংকট উত্তরণে নতুন করে সংশোধনী কাজ আগামী ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে প্রস্তুত করার কথা জানানো হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পূর্ব নির্ধারিত পর্ষদ সভায় পরিচালকদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। নীতিমালাটি ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৭৭/ক ধারা, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার এবং তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমওইউ’র আলোকে করতে হবে, এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাতে এখন বড় সমস্যা সুশাসনের অভাব। সুশাসনের ঘাটতি মেটাতে পারলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তারল্য সংকট, ঋণের গুণগত মান, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি, পরিচালকদের বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ এসব সমস্যা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে কমে যেতে বাধ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংক সংশোধনী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ নিজেরাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিখিতভাবে জানাতে বাধ্য থাকবে। কোনো ব্যাংক যদি একই সঙ্গে চারটি ক্যাটাগরির একাধিক বিভাগের অধীনে পড়ে, তবে সেই ব্যাংক ‘খারাপ’ বা ‘দুর্বল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বলে বিবেচনা করা হবে। পিসিএ শুরু করার পরে সংশোধনমূলক নির্দেশক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা নামে জারি করা হবে। ব্যাংকের অবনতিশীল আর্থিক ও পরিচালন সূচক অবস্থার স্বাভাবিক উন্নতি ওই বছরের মধ্যে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে একটি গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে। যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নির্ধারিত একটি বিন্যাস করার পর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ধারার আলোকে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রপ্তানিতে ভর্তুকির আবেদন অডিট করবে সিএমএ ফার্ম

রপ্তানিতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার আবেদন এখন থেকে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস (সিএমএ) ফার্ম দ্বারা অডিট বা নিরীক্ষা করা যাবে। চলতি অর্থবছর থেকেই এই কার্যক্রম চালু হবে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সব অনুমোদিত ডিলারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস ফার্ম দ্বারা রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনের নিরীক্ষা করা প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদন পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত অডিট ফার্ম দ্বারা নিরীক্ষা করানো যাবে।
পাশাপাশি নিরীক্ষা কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত ফার্ম নিয়োগের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ অডিট ফার্মের সংখ্যা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সাপেক্ষে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস (সিএমএ) ফার্মকেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক অডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

চলতি অর্থবছরের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার লক্ষ্যে সিএমএ ফার্ম নিয়োগ করা যাবে। এ বিষয়ে যৌক্তিকতা উল্লেখ করে সিএমএ ফার্মের নাম, ঠিকানা, প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াবলি এবং এফআরসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করতে হবে।
সিএমএ ফার্ম কর্তৃক রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের ২ জুন, ২০১৪ সালের ২৯ জুন, ২০২০ সালের ২ জুন ও ২০২০ সালের ১২ আগস্টের নির্দেশনাসহ রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা বিষয়ে প্রযোজ্য অপরাপর সকল সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রিজার্ভ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গ্রস বা মোট রিজার্ভ স্থানীয় বিনিয়োগসহ হিসাবায়ন হয়।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী স্থানীয় বিনিয়োগ ছাড়া হিসাবায়ন হয়। বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ তাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য ও গ্রস রিজার্ভ বিনিয়োগ আদায় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার ও বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিপিএম-৬ অনুযায়ী প্রদর্শিত সম্পূর্ণ রিজার্ভই ব্যবহারযোগ্য।
ভবিষ্যতে জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে গ্রস ও বিপিএম-৬ রিজার্ভ হিসাবের তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।
অর্থসংবাদ/এমআই