লাইফস্টাইল
বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে যেসব ক্ষতি হতে পারে

আপনি কি আপনার টুথব্রাশটি বাথরুমে একটি মগে রাখেন? সম্ভবত আপনার পরিবারের সদস্য বা রুমমেটদের অন্যান্য টুথব্রাশের সঙ্গে, তাই না? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসট একা অনুসরণ করেন না, আপনার মতো আরও অনেকেই আছেন। এটি কেন অস্বাস্থ্যকর? ডেন্টাল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার টুথব্রাশ বাথরুমে রাখলে তা মল কণার সংস্পর্শে আসতে পারে।
আপনার টুথব্রাশে কি মল কণা আছে?
আপনার বাথরুমের পরিবেশে মল কণার উপস্থিতি সম্ভব, বিশেষ করে যদি আপনি বা অন্য কেউ প্রথমে ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ ব্যবহার করেন। এভাবে ফ্লাশ করলে তা বাতাসে পানির ফোঁটা ছড়িয়ে দিতে পারে যাতে মল ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব থাকতে পারে। সেগুলো আপনার টুথব্রাশের মতো কোনোকিছুতে আটকে যেতে পারে। স্থাবাথরুমের টুথব্রাশ রাখা মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ব্যাকটেরিয়া এবং দূষণ
আপনার টুথব্রাশ টয়লেট সিটের কতটা কাছে রাখা হয়েছে? যদি এটি টয়লেট সিটের কাছাকাছি থাকে তবে আপনার ব্রাশটি বায়ুবাহিত কণার সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি যা দূষণের কারণ হতে পারে। বাথরুমের পরিবেশ আর্দ্র হতে থাকে, যা আপনার টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
শেয়ার করা বাথরুম
আপনার বাথরুম যদি আরও অনেকে ব্যবহার করে তবে ক্রস-দূষণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ একাধিক লোক বাথরুমে থাকা বিভিন্ন জিনিস স্পর্শ করতে পারে। যেহেতু অনেক সময় বাথরুম শেয়ার করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না, তাই বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার টুথব্রাশের পাশাপাশি নিজেকে এই সম্ভাব্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসা থেকে রক্ষা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গরম খাবারে জিহ্বা পুড়ে গেলে যা করবেন
টুথব্রাশ কীভাবে রাখবেন

ব্যবহার করার আগে প্রথমে টুথব্রাশটি কলের পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস। এটি আপনার টুথব্রাশে লেগে থাকা দূষিত পদার্থগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে। ব্যবহার করার পরে আপনার টুথব্রাশটি একটি টুথব্রাশ হোল্ডার বা কাপে খাড়া করে রাখুন যাতে এটি বাতাসে শুকিয়ে যায়। একাধিক টুথব্রাশের জন্য আলাদা সকেট আছে এমন পাত্রে রাখতে পারেন, যাতে একে অপরের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকে। বাতাসে শুকানোর পর টুথব্রাশকে একটি কভার দিয়ে আটকে রাখতে পারেন যাতে এটি বায়ুবাহিত কণা থেকে রক্ষা পায়।
নিয়মিত টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন
আপনার টুথব্রাশ প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর বা তারও আগে পরিবর্তন করুন। পুরানো বা জরাজীর্ণ টুথব্রাশ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে এবং তা দিয়ে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশও করতে পারবেন না। নিয়মিত পরিবর্তনের পাশাপাশি ধূলিকণার, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক এড়াতে নিয়মিত টুথব্রাশ রাখার পাত্রটিও পরিষ্কার রাখুন।
টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ করুন
ফ্লাশ করার আগে টয়লেটের ঢাকনা বন্ধ করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা বাথরুমে বায়ুবাহিত মল কণার বিস্তার কমাতে সাহায্য করে। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় টয়লেটের ঢাকনা খোলা এবং বন্ধ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। যখন টয়লেটের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করা হয়েছিল, তখন সিটের উপরে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ঢাকনা দিয়ে ফ্লাশ করার পরে সিটের উপরে বাতাসে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
যেসব ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়

এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার শরীরকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন পৌঁছে দেবে। ভিটামিনের ঘাটতি হলে তা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। যার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ভিটামিনের ঘাটতি ত্বকে শুষ্কতা, নিস্তেজ ভাব, জ্বালা এবং এমনকি আরও গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে-
ভিটামিন ই
নিস্তেজ এবং শুষ্ক ত্বকের অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ই এর অভাব। ভিটামিন ই হলো একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকী ত্বকের জ্বালা বা প্রদাহ হতে পারে। এই ঘাটতির ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, যার ফলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ক্ষতিকারক রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন ডি এর অভাবে একজিমা এবং সোরিয়াসিস হতে পারে। যা ত্বকের শুষ্কতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী, ত্বক-প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসা দূষিত পদার্থের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন কোলাজেন উৎপাদনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
বি ভিটামিন
ভিটামিন বি এর অভাবে ব্রণ, ফুসকুড়ি, শুষ্ক ত্বক, ফাটা ঠোঁট এবং বলিরেখা হতে পারে। এটি ত্বককে রোদের প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। ফলে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকে জ্বালা হতে পারে। ভিটামিন বি-তে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা একজিমা, ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য ধরনের জ্বালা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভিটামিন এ
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি ত্বকের কোষ তৈরি ও মেরামতের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ভিটামিন এ না পাওয়া গেলে একজিমা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু ক্লিনিকাল গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন এ একজিমা দূরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ৫ সুবিধা

গোসলের সময় ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি আলাদা আলাদা সুবিধা দেয়। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে তা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে এবং ভালো ঘুমে সহায়ক হয়। অপরদিকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে তা ব্যথা, ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। শীতের সময়ে অনেকে ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এই সময়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে আমাদের শরীর নোরপাইনফ্রিন নিঃসরণ করে, যার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে। একটি জরিপ অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে সাঁতারুদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল চমৎকার। ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটলে শরীরের সহনশীলতা বাড়াতে পারে। এই বিস্ময়কর সুবিধাগুলো পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ঠান্ডা পানিতে গোসল করা, যা ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটার চেয়েও সহজ।
বিষণ্ণতা দূর করে
ঠান্ডা পানির থেরাপি কীভাবে বিষণ্ণতাকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। যারা কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেছেন তারা একটি ক্লিনিকাল গবেষণায় বিষণ্ণতার কম উপসর্গের কথা জানিয়েছেন। আরও গবেষণা অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস আপনার মেজাজ ভালো রাখে এবং উদ্বেগ কমাতে কাজ করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানিতে গোসলের প্রধান সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো উন্নত রক্ত সঞ্চালন। ঠান্ডা পানি আপনার শরীরে আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য গভীর টিস্যুতে রক্তকে দ্রুত সঞ্চালন করে। প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা এক্সপোজার দ্বারা সঞ্চালন ব্যবস্থা চালু হয়, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
মেটাবলিজম ভালো রাখে
যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্ষমতা বেশি হয়। এর প্রাথমিক কারণ হলো, এই পানিতে গোসল করলে ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু আরও সক্রিয় হয়, যা শরীরকে তাপ তৈরি করতে এবং ঠান্ডা তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাট যা সক্রিয় করা বিপাককে ত্বরান্বিত করে।
পেশী ব্যথা নিরাময় করে

আমাদের রক্তনালীগুলো ঠান্ডা আবহাওয়ায় সংকুচিত হয়। রক্ত তখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে প্রবাহিত হয়। প্রক্রিয়া চলাকালীন রক্ত স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টি এবং অক্সিজেনে সমৃদ্ধ হয়। ভাসোডিলেশন বা রক্তনালীগুলির প্রসারণ যখন আপনার শরীর আবার উত্তপ্ত হয় তখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত আপনার টিস্যুতে ফিরে আসতে দেয়। রক্ত ছুটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিরাময় প্রদাহকে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে আয়রন ঘাটতি

আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা লাল রক্ত কোষকে শরীরের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। এই খনিজ উপদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এমনকি আপনার শেখার ক্ষমতাকেও বিকশিত করে।
আয়রনের ঘাটতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এক সমস্যা। বেশিরভাগ নারীই জানেন না যে তিনি আয়রন স্বল্পতায় ভোগেন। একটি নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ও যুবতীদের বেশিরভাগই এই খনিজের স্বল্পতায় ভোগেন।
অ্যান আর্বরের মিশিগান মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২-২১ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারীর আয়রন স্তর পরিমাপ করা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি ছিল।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
শরীরে আয়রনের ঘাটতির বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মস্তিষ্কের কুয়াশা, ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ফ্যাকাশে ত্বকও আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ রক্ত পরীক্ষা করেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কি না তা পরিমাপ করা যায়।
আয়রনের ঘাটতি হলে কী হয়?
সিডিসি তথ্য অনুসারে, যে শিশুরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা পরিপূরক থেকে পর্যাপ্ত আয়রন পায় না তাদের রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আয়রনের ঘাটতিতে ভুগলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
এছাড়া হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এমন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি সন্তান জন্মের আগে ও পরে মায়ের শরীরে জটিলতা বাড়াতে পারে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কী কী?
এনএইচএস ইউকে অনুসারে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এজন্য গাঢ় সবুজ শাকসবজি, গমের রুটি, মাংস, কলিজা, শুকনো ফল যেমন- এপ্রিকট, প্রুন, কিশমিশ ও ডাল যেমন- মটরশুটি, মটর, মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এসবের পাশাপাশি চা, কফি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমাতে হবে। এসব পানীয় শরীরের আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময়ে আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে। এসময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না
শীতকালেও ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ত্বকে দেখা দিতে পারে ব়্যাশও। তাই শীতের সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। এই সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের তাপমাত্রা ঠিক থাকে ও ত্বক ভালো থাকে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতে প্রতিদিন দুইবেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে তা ত্বকে সঠিক হাইড্রেশন দেয় ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও শীতের দিনে ত্বক ভালো থাকবে।
হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার
শীতের সময়ে হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকে গরম বাস্প বের হয় যা ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। তাই শীতের দিনগুলোতে আপনি এর সাহায্য নিতেই পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীতের সময়েও নিয়মিত ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হবেন। কারণ এটি শীতে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেটের থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যায় না এবং ত্বকের রং ও ঠিক থাকে।

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার
শীতের সময়ে এমন কোনো সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময়ে আমাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের সাবার ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই শীতে এমন সাবান ব্যবহার করুন যাতে গ্লিসারিন রয়েছে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখা সহজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চোখের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমানোর ৫ উপায়

চোখে শুষ্কভাব থাকার কারণে হতে পারে জ্বারাপেড়া। এছাড়া অনেকেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মনিটরে চোখ রেখে কাজ করেন অনেকেই। ফলে চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথায় ভুগতে হয় প্রায়শই। চোখের অস্বস্তিতে বাড়ে মাথাব্যথাও। নিয়মিত এ সমস্যায় ভুগলে, তা হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ।
চোখের সমস্যার শুধু আপনি নন, অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অ্যালার্জির কারণেও অনেকের এই সমস্যা হয়। চোখ জ্বালা করে ও লাল হয়ে যায়। তাই চোখের এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানের উপর অবশ্যই ভরসা করতে পারেন।
কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই এ সমস্যায় আর ভুগতে হবে না। জেনে নিন ড্রাই আইজ থেকে মুক্তি পেতে কী কী সাবধানতা মেনে চলবেন?
১. চোখ পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গড়ুন। সামান্য পরিমাণে গরম বা ঠান্ডা পানিতে তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এভাবে চোখের পাতা, আইল্যাশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। দিনে যতবার পারবেন, চোখ ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
২. ওমেগা: মাছের তেলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছের তেল খেতে না পারলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এই উপাদানটি চোখের জন্য খুবই ভালো। চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ড ভালো রাখে। চোখের পাতার একদম কোণায় এই গ্ল্যান্ড থাকে।

৩. আইড্রপ ব্যবহার করুন: সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করার কারণে চোখে ভীষণ চাপ পড়ে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইড্রপ ব্যবহার করুন। এই ধরনের আইড্রপগুলো চোখ পরিষ্কার রাখে ও চোখের শুষ্কতা দূর করে। ড্রপ ব্যবহারের পর অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন এবং চোখ ম্যাসাজ করবেন।
৪. পানি খেতে হবে: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটে। ঠিক একইভাবে চোখও ভালো রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায়। চোখের দৃষ্টিও কমে যায়।
৫. ভিটামিন: সূর্য রশ্মি থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি অনেকের শরীরেই লাগে না। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি শূন্যতা হয়ে যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এই ভিটামিনের অভাবে ড্রাই আইজের সমস্য়া শুরু হয়।
সূত্র: হেলথলাইন