জাতীয়
ডেঙ্গুতে ১৭ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯০ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮৬১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৭১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৪ হাজার ১২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৪১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৭ জন। ঢাকায় ৬৯ হাজার ৬৯২ এবং ঢাকার বাইরে ৯০ হাজার ২০৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটালে ক্ষমা নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অগ্নিসংযোগ এবং অমানবিক নৃশংসতার মতো ২০১৩-১৪ সালের ঘটনা ঘটলে আর কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।
গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত হয় এক কমিউনিটি সংবর্ধনা। সেখানে তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে রেহাই দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।”
তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছিলো এবং তারা তাদের আঘাত নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা তাদের আন্দোলন। এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো ক্ষমা করা হবে না।”
অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির পক্ষে শোভা পায় না কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ধোকাবাজি খেলেছে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যেই দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।
প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে তার ওপর ন্যস্ত নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে এতিমদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড স্থগিত করার পর খালেদা জিয়াকে তিনি বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার কিছুই করার নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন তাই করেছেন।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং এখন ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ।
এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়া থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটান এবং চীনেও অনুভূত হয়েছে এর কম্পন। বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ওয়ারলেস সুপারভাইজার জহিরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৫ দশমিক ২। এটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের আসামে। এটি ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২৩৬ কিলোমিটার উত্তরে।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ ঝাঁকুনি হয়েছে। ভূমিকম্পে মোটামুটি সারাদেশই কেঁপেছে।’
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল চার দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইলে।
এরও আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বনানীতে হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত

রাজধানীর বনানীতে চাঁদনী স্টুডিওতে ‘মেলা বিফোর সেপ্টেম্বর এন্ডস’ নামে একটি হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলে।
মেলার আয়োজন করে ‘চাঁদনী স্টুডিও’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি ও শিল্পী নকশাকার পাপিয়া সারওয়ার দিঠি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি, বংশীবাদক ও ক্যালিগ্রাফার নাজেম আনোয়ার।
স্থপতি পাপিয়া সারওয়ার নিজেও একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, কাজের সূত্রে আরও অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়; যারা অনেক রুচিশীল, অনুপম, বিরল পণ্য তৈরি করেন। এই সৃজনশীল মানুষগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়ার উদ্দেশে তাদের এই আয়োজন।
টানা দুদিন চলা এই মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফারজানা আহমেদ উর্মির ‘কাঁচপোকা’, তারান্নুম নিবিড়ের ‘উড়ুক্কু’, লায়লা আহমেদের ‘মায়াবী বনসাই’, পাপিয়া সারওয়ার দিঠির ‘বানাই’, নাজেম আনোয়ারের ‘নাজেম আনোয়ার ক্যালিগ্রাফি’, মোহাম্মদ শাহাদাতের ‘ফুটপাত’, চিত্রশিল্পী শামা শাইওম-রুহানি-জিহানের ‘অয়ময়’, সৈকতের ‘ইন্টারনাল হাব’, তন্ময়ের ‘সতত’, তামিমের ‘রেইন-সে-আর্য’, ফেরদৌস স্বপ্নিলের ‘পরিভ্রমণ’, এলমা-বাঁধন-শশীর ‘চিত্রলিপি’, নাবিলা তাবাস্সুমের ‘গোড়া’, হাফসা কেয়ার ‘চারু-অলংকার’, শিমলা হকের ‘হোল্লা’ এবং নওশীনের ‘মুনলাইট’।
এ ছাড়া মেলায় খাবারের আয়োজনও ছিল। খন্দকার দিল আফরোজের ‘খোনদাস কিচেন’ এবং আসিফের ‘গ্রাম-চা’ এবং জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টির ‘বোন-সিস্টার, জুস কর্নার’।

মেলায় শিল্পী, ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী, বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেপ্টেম্বরে কমেছে রপ্তানি আয়

ডলার সংকটের ভরাডুবিতে জোগানের উৎসে সুখবর পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের সাথে রপ্তানি আয়ও কমেছে। সেপ্টেম্বরে দেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি মার্কিন ডলার। যেখানে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া চলতি অর্থবছরের তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রপ্তানি আয় ছিল সেপ্টেম্বরে।
বিদায়ী মাসে তৈরি পোশাক ছাড়া বড় সব খাতেই রপ্তানি কমে গেছে। তবে এ আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল পণ্য রপ্তানির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল যথাক্রমে ৪৫৯ ও ৪৭৮ কোটি ডলারের। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৩১ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় গত মাসে (সেপ্টেম্বর) পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে। এর মধ্যে জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ আর গত আগস্টের তুলনায় কমেছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সার্বিকভাবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি থাকায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটে ভুগছে। পণ্য রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি ডলার আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয়। প্রকট ডলার-সংকটের সময় প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে উত্থান-পতন অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাকে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেকর্ড গড়েছে খেলাপি ঋণ

দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ নিয়মিত রেকর্ড গড়েই চলেছে। চলতি বছরের জুন শেষে রেকর্ড খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এতে গত তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বছরের ব্যবধানে খেলাপি ৩০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতি উদার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন চাইলে নিজেরাই যেকোনো ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারছে। নীতি ছাড়ের এ সুযোগে ব্যাংকগুলোও ঋণ পুনঃতফসিলের রেকর্ডও গড়েছে। শুধু ২০২২ সালেই ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিলকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। গণহারে ঋণ পুনঃতফসিল অব্যাহত রয়েছে চলতি বছরেও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে দেশে ব্যাংক খাতে ঋণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশই এখন খেলাপি, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তিনগুণের বেশি। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ছয় মাসে খেলাপি বেড়েছে ৩৫ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। যদিও এক বছরের ব্যবধানে তা কিছুটা কম বেড়েছে। কারণ সাধারণত ডিসেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি কমাতে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখায়।

২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই