Connect with us

জাতীয়

আমরা এগিয়েছি বলেই মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার

Published

on

শেয়ারবাজার

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা। টেকসই নিরাপত্তা থাকলে টেকসই শান্তি আসবে, টেকসই শান্তি থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। আমরা এই লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়েছি। আরও বহুদূর যেতে হবে। আমরা এগিয়েছি বলেই আমাদের মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলার থেকে ৩ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা আগামী দিনেও রংপুরসহ দেশবাসীর সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সবখানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উন্নয়নের এই ধারাকে আরও বহুদূর নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সেক্টরকে যেভাবে উজ্জীবিত করেছেন, এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন কার্যক্রমের একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই রংপুর এলাকাতে আলু চাষ হয় বা বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। এখানকার মানুষ যা চাষ করছে তার জন্য কোল্ডস্টোরেজ দরকার হয়, এটাও হবে। জিনিসপত্রের দাম, পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে অনেক কথাবার্তা আছে, তবে আমি মনে করি এসব হবে। এখন উৎপাদন বাড়ছে। আগে দক্ষিণবঙ্গের লোকেরা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় যেতো, এখন তাদের এলাকাতে বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষাবাদ হচ্ছে। সুন্দরবনে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে, রংপুরেও হচ্ছে। সবদিকে একটা উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন আরপিএমপি কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট বাসুদেব বনিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশিদ।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় এই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের হোলি খেলা শুরু হয়েছিল। সারা দেশের মাঝে একসঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা চাকরি করতেন তাদেরকে বিভিন্ন বাহিনীকে ট্যাক্স দিতে হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেন। আমাদের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের লোকবল বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। দেশকে ডিজিটালাইজড করেছেন। আমরা এখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সক্ষমতা অর্জন করেছি। দেশে আজকে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন এদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলার। আর এখন আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩০০০ ডলার, আমাদের উন্নতি হয়েছে। আমি যখন নীলফামারীতে ছিলাম ওই সময় একজন পুলিশ সুপার হিসেবে যে বেতন পেতাম, তা দিয়ে নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করা সম্ভব ছিল না। আগে একটা বিমান ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে সৈয়দপুরে আসত, তারপর আবার রাজশাহী হয়ে ঢাকায় ফিরত। আর এখন সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ১৮টি ফ্লাইট চলাচল করছে। এর মানে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে।

আইজিপি বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করেছেন। রংপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি নীলফামারীতে প্রায় সাড়ে তিন বছর পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এজন্য এই এলাকার মানুষের আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়ে গেছে এবং তাদের সম্পর্কে আমি জানি, আমার সম্পর্কেও তারা জানে। এখানকার মানুষ আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করে আসছেন। রংপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব সময় ভালো থাকে। যারা রংপুরের আবেগকে বুঝতে পারবে, সেরকম অফিসারদেরকে আমরা রংপুরে দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, এই নগরীর প্রধান সমস্যা হলো মাদক, জুয়া ও যানজট। নিয়মিত কাজ করলে এগুলো সমস্যার উন্নতি হবে। মাদকের জন্য আভিযানিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে কার সঙ্গে মিশছে সেটা নজরে রাখতে হবে। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানো ও প্রত্যেক নাগরিককে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, স্মার্ট পুলিশিং বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চান আইজিপি।

সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, র‌্যাব-১৩ এর কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু।

এর আগে বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যানের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেককাটা পর্ব শেষে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে একটি গাড়ি উপহার দেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে।

এ বছর পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ, মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, রচনা লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আরপিএমপি। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে নগরবাসীর যোগাযোগ স্থাপনে ‘হ্যালো আরপিএমপি’ নামে একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রংপুর বিভাগ অনুমোদন এবং একই বছর ৯ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরুর পর এখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি ওঠে। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ১ হাজার ১৮৫টি পদ নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯ এপ্রিল তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের নবীনতম ইউনিট হিসেবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে রংপুর মহানগরী পুলিশ বিল-২০১৮ পাস হয়। প্রায় ১০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে ২৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কার্যক্রম ছয়টি থানা নিয়ে শুরু হয়।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

গণহত্যা প্রতিরোধে সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান

Published

on

শেয়ারবাজার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণহত্যা প্রতিরোধে সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গণহত্যা প্রতিরোধে বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি সারাবিশ্বে শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতি প্রচারসহ এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের সম্মিলিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।

গণহত্যার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ ও মর্যাদা এবং এই অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবসের প্রাক্কালে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গণহত্যার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ ও মর্যাদা এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস এবং গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের ইতিহাসজুড়ে গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে এবং গণহত্যা প্রতিরোধে ও অপরাধীদের ভোগ করা দায়মুক্তির অবসানে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আমাদের নিজস্ব বেদনাদায়ক ইতিহাস থেকে উদ্ভূত ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আমাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমন করতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অভিযান চালায়। আমাদের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ সময়ে দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে ত্রিশ লাখ নিরীহ মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়। দুই লাখেরও বেশি নারী যৌন সহিংসতা ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং এক কোটি মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্তের ওপারে পাড়ি দিতে হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে বেদনা ও ট্রমা সহ্য করেছি তা আমাদের যে কোনো স্থানে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং এই জঘন্য অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করতে অনুপ্রাণিত করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালের গণহত্যার কিছু মূল অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনে আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ এবং এই ক্ষত প্রতিরোধে আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আমরা বাংলাদেশে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করি। আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দান এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, ‘গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী পালন করছি এমন সময় যখন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাত্রা ও তীব্রতা, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা আমাদের একই ধরনের বেদনাদায়ক ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয় যার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা কীভাবে নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন ও নৃশংসতার শিকার হয়েছে তা দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়েছি। নির্যাতনের শিকার দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে শান্তি ও মর্যাদার সাথে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বসবাস করতে পারে এমন একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্ঠিতে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জেনোফোবিয়া, বর্ণবাদ এবং ঘৃণা ছড়ানোর কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। এগুলো দুর্বল মানুষকে গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী সব রাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের এই ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, গণহত্যার ঘটনা রোধ করতে এবং সেই ঝুঁকিগুলো দৃশ্যমান হয়ে গেলে দ্ব্যর্থহীনভাবে তাদের নিন্দা করার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রপ্তানি বন্ধের খবরে বাড়লো পেঁয়াজের দাম

Published

on

শেয়ারবাজার

২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত— এমন খবর গণমাধ্যমে আসতে না আসতেই দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে রপ্তানি বন্ধের খবর জানায় ভারত। তবে এই সিদ্ধান্ত আসার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবর জানা গেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই রাজধানীর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

এছাড়াও পাবনার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা করে। তবে সন্ধ্যার পরই পাল্টে যায় পেঁয়াজের বাজারের দৃশ্যপট। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি করে।

মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার খবর সন্ধ্যার মধ্যেই পৌঁছে যায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের কানে। এরপরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন তারা।

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা খবর পেয়ে পেঁয়াজ কিনতে বাজারে আসেন মধ্য বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে বসবাসকারী মওদুদ আহমেদ। দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকেই দেখেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, তখনই বুঝতে পারলাম দেশেও দাম বেড়ে যাবে। তাই দ্রুত বাজারে চলে আসলাম, কিন্তু এসে দেখি আমি আসার আগেই দাম বেড়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ দুইদিন আগেও ১০০ টাকা কেজি কিনেছি, আজ কিনতে হয়েছে ১৫০ টাকা করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর ব্যাপারে খুবই দক্ষ। কোন একটা ঘোষণা আসার আগেই অটোমেটিক দাম বেড়ে যায়। ভারত আজ ঘোষণা দিয়েছে, তাই বলে আজই দাম বাড়িয়ে ফেলতে হবে?

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে মো. মানিক নামে এক বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে বেশি দামেই পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে। যার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি। আজ আবার শুনেছি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে, তাহলে তো পেঁয়াজের বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে।

দেশি পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের সিজন শেষ, যে কারণে দামটা একটু বেশি। তবে আগামী ১৫ দিন পরই বাজারে নতুন পেঁয়াজ চলে আসবে, আশা করি দেশিটার দাম তখন কমে যাবে।

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে৷ যার কারণে নতুন পেঁয়াজ এলেও দাম তেমন একটা কমবে না। এছাড়া বাজারে সব জিনিসেরই তো দাম বেশি। পেঁয়াজের দাম কমবে কী করে?

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এ পদক্ষেপ নেয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানায়, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

আজ বেগম রোকেয়া দিবস

Published

on

শেয়ারবাজার

আজ (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেওয়া উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখায় এবছর পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হচ্ছে। পদকপ্রাপ্ত পাঁচ বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষ্মীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদক দেবেন।

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান এবং নিবন্ধ প্রচার ও প্রকাশ করবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি কমালো চীন

Published

on

শেয়ারবাজার

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ফি কমিয়েছে চীন। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে নতুন ভিসা ফি কার্যকর হবে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের চীনে একবারে প্রবেশে আবেদনের জন্য ভিসা হবে ২ হাজার ৪০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে আবেদনের পর চতুর্থ কর্মদিবসে ভিসা পাওয়া যাবে। আবেদনের পর তৃতীয় কর্মদিবসে ভিসা পেতে খরচ পড়বে ৫ হাজার ১০০ টাকা এবং দ্বিতীয় কর্মদিবসে ভিসা পেতে খরচ পড়বে ৬ হাজার ৪০০ টাকা।

একইভাবে চীনে ডাবল এন্ট্রি ভিসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি হবে ৩ হাজার ৬০০ টাকা (চতুর্থ কর্মদিবসে ডেলিভারি), ৬ হাজার ৩০০ টাকা (তৃতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি) ও ৬ হাজার ৬০০ টাকা (দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি)।

একাধিকবার চীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৬ মাসের বেশি মেয়াদি ভিসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ফি হবে ৬ হাজার ৮০০ টাকা (চতুর্থ কর্মদিবসে ডেলিভারি), সাড়ে ৭ হাজার টাকা (তৃতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি) ও ৮ হাজার ৮০০ টাকা (দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি)।

একাধিকবার চীনে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ১২ থেকে ২৪ মাস মেয়াদি চীনা ভিসার ফি হবে ৭ হাজার ২০০ টাকা (চতুর্থ কর্মদিবসে ডেলিভারি), ৯ হাজার ৯০০ টাকা (তৃতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি) ও ১১ হাজার ২০০ টাকা (দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারি)।

বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে আমেরিকান পাসপোর্টধারীদের ভিসা আবেদন ফি হবে আবেদনের চতুর্থ কর্মদিবসে ডেলিভারির ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ৯০০ টাকা, তৃতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারির ক্ষেত্রে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা ও দ্বিতীয় কর্মদিবসে ডেলিভারির ক্ষেত্রে ১৯ হাজার ৯০০ টাকা।

তবে আমেরিকান পাসপোর্টধারী সাংবাদিকদের চীনা ভিসা ফি আরও বেশি। চতুর্থ কর্মদিবসে ভিসা পেতে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, তৃতীয় কর্মদিবসে ভিসা পেতে ২২ হাজার ২০০ টাকা ও দ্বিতীয় কর্মদিবসে ভিসা পেতে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা দিতে আমেরিকান পাসপোর্টধারী সাংবাদিকদের।

বাংলাদেশে কানাডার পাসপোর্টধারীদের চীনা ভিসা আবেদনের জন্য গুনতে হবে ৬ হাজার ৩০০ থেকে ১০ হাজার ৩০০ টাকা। রাশিয়ার পাসপোর্টধারীদের ঢাকায় চীনা ভিসা আবেদনের ফি চার হাজার ৩০০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

এর বাইরে অন্য কোনো দেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য চীনের ভিসা আবেদন ফি হবে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার (সিঙ্গেল এন্ট্রি)।

দুইবার চীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ফি হবে সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। ৬ মাসের বেশি মেয়াদে ভিসা ফি হবে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। ১২ থেকে ২৪ মাস মেয়াদি ভিসার ক্ষেত্রে ফি হবে ৯ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বিদেশে চীনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলো ভিসা ফি বর্তমান হারের ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনছে। কোভিড মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চীনে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভিসা ফি কমানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

পাঁচ নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

শেয়ারবাজার

পাঁচ নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার ৯ (ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ পদক দেবেন।

পদকপ্রাপ্ত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষ্মীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।

এদিকে আজ বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও নিবন্ধ প্রচার হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস হিসেবে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31