জাতীয়
পদোন্নতি পেলেন ১৪০ চিকিৎসক

দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৪০ জন চিকিৎসককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেককেই অন্যত্র বিভিন্ন হাসপাতালে বদলিও করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২৬ জুন ২০২৩ সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের যোগদানপত্র গ্রহণপূর্বক তাঁদের নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হলো।
পদোন্নতি পেয়ে বদলির আদেশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের মধ্যে মেডিসিন বিভাগের ৮৪ জন চিকিৎসক, সার্জারি বিভাগের ৩৩ জন চিকিৎসক ও গাইনি বিভাগের ২৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
পদায়ন করা কর্মকর্তাদের ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলি ও পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। না হলে ২৩ সেপ্টেম্বরের পূর্বে নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। বদলি ও পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পদায়ন করা কর্মকর্তাদের যোগদানপ্রাপ্তির পর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান যোগদানপত্র গ্রহণ করে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ই–মেইলে অবহিত করবেন। শিক্ষাছুটি, লিয়েন ও প্রেষণ ভোগরত কর্মকর্তাদের লিয়েন, প্রেষণ ও শিক্ষাছুটি শেষে যোগদানের পর পদায়ন কার্যকর হবে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগরত কর্মকর্তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে যোগদানের পর পদায়ন কার্যকর হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হবে আজ

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আজ শেষ হবে। যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
গত তিন দিনে রিটার্নিং অফিসারদের যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রায় দুই শতাধিক প্রার্থী। তৃতীয় দিনের বাছাইয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের তিনটি আসনেই জাতীয় পার্টির (জাপা) তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি চলবে আগামী ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সবশেষে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়

অবসরের তিন বছরের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কোন কর্মকর্তা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি এ রুল জারি করা হয়।
আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসককে বিবাদী রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।’
এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আজিম।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দক্ষ জনশক্তি নিতে কসোভোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার পাশাপাশি উন্নতমানের তৈরি পোশাক এবং ওষুধ আমদানির জন্য কসোভোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গানার উরেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্প্রসারণে দু’দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আগ্রহের কথা মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তারা নারীর ক্ষমতায়ন এবং শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্তের বিষয়েও কথা বলেন। কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বস্ত্র খাতের রপ্তানি সম্প্রসারণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বস্ত্র মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম উপাদান। বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে দেশের বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তা ছাড়া, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে বস্ত্র-খাত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি আরও বলেন, বস্ত্রশিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে কল্যাণ তহবিল গঠন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। তাঁত শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং এর আধুনিকায়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব টেকসই বস্ত্রশিল্প স্থাপন, বস্ত্র খাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময় এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ঢাকাই মসলিন ও জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, কুমিল্লার খাদি, রাজশাহীর সিল্ক এবং মিরপুরের বেনারসি শিল্প আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সকল ঐতিহ্যবাহী বিশেষায়িত পণ্যের প্রসার বেগবান করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে – এ প্রত্যাশা করি।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টিআরপি নিয়োগ দেবে এনবিআর

সারা দেশে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতোমধ্যে টিআরপি বিধিমালা জারি এবং টিআরপি সহায়িকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
জানা যায়, টিআরপির মাধ্যমে এনবিআর তার নিজস্ব জনবল দিয়ে সারা দেশে করযোগ্য আয় ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে—এমন করদাতা খুঁজে বের করতে চায়। এতে দেশের করজাল বাড়তে পারে।
আয়কর বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উন্নত দেশে বেসরকারিভাবে আয়কর সংগ্রহকারী সংস্থা আছে। আমাদের এখানে রিটার্ন প্রস্তুতকারী যারা হবেন, তারা প্রকৃত অর্থে করদাতাকে সহায়তা করবেন। বিধিতে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখ আছে। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও আয়কর সংগ্রহ করা সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টা নতুন, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভুল ধারণা থাকতে পারে। কর আদায় বাড়াতেই এ কৌশল নেওয়া হয়েছে। যারা এর বিরোধিতা করছেন, তারা না বুঝেই করছেন। সহায়িকা দেখলে স্পষ্ট ধারণা পাবেন তারা।
এনবিআরের জারি করা সহায়িকা অনুযায়ী টিআরপি হলেন রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৫-এর অধীনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি। এ বিধিমালার অধীনে গৃহীত কর অভিজ্ঞান পরীক্ষায় (টিএএটি) উত্তীর্ণ ও সনদপ্রাপ্ত টিআরপিরা রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে—এমন ব্যক্তির রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করতে পারবেন। তারাই সারাদেশের রিটার্ন দাখিলে সহায়তা করবেন।

অর্থসংবাদ/এমআই