আবহাওয়া
সপ্তাহজুড়ে কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানালো অধিদপ্তর

আগামী পাঁচদিন সারা দেশেই বৃষ্টি থাকবে। গত কয়েকদিনের অসহ্য তাপমাত্রা আজকের মধ্যেই কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন আজ (সোমবার) এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগে তাপপ্রবাহ ছিল। এছাড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, যশোর চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। তবে আজকে এখান থেকে বেশিরভাগ জেলায় তাপপ্রবাহ কমে যাবে। বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুরের কোথা কোথাও তাপপ্রবাহ থাকলেও বেশিরভাগ জায়গায় কমে যাবে। তার মানে আগামী পাঁচদিন সারাদেশসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে উত্তর বা মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেটি তুলনামূলক দুর্বল হবে। কারণ, লঘুচাপের থেকে এটির বেশি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ বিকেলে অথবা আগামীকাল সকালে এটি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমরা এখনও এই তথ্য প্রকাশ করিনি। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে ৯৭ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামের আরও অন্যান্য জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খবর জানবেন যেভাবে
১৮ সেপ্টেম্বর কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে- খুলনা, বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

১৯ সেপ্টেম্বর দেশের যেসব জায়গায় বৃষ্টি হবে- ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আবহাওয়া
ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আভাস

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের কোন কোন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭ মিলিমিটার।
অপরদিকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
অক্টোবরে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

চলতি অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। সেটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। তবে বৃষ্টি প্রায় স্বাভাবিক হয়েছে। এ মাসেও বৃষ্টি স্বাভাবিক হতে পারে।
গতকাল রোববার এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
অক্টোবর ও নভেম্বর ‘ঘূর্ণিঝড়প্রবণ’ মাস হিসেবে পরিচিত। দেশে সাধারণত মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং চলে যাওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় হয়। মৌসুমি বায়ু আসার আগে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। আবার চলে যাওয়ার পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৮৯১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৬২০টি ঘূর্ণিঝড় ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। আর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ৯৪১টি। ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অক্টোবর মাসে হয়েছে ২৫৫টি, নভেম্বরে ২১৯ ও ডিসেম্বরে ১০৫টি। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অক্টোবরে ৪২টি, নভেম্বরে ৭৪ ও ডিসেম্বরে ২৮টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খবর জানবেন যেভাবে

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৮৯১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অক্টোবর মাসে সাগরে এ পর্যন্ত নিম্নচাপ হয়েছে ১২৯টি, নভেম্বরে ৭১ ও ডিসেম্বরে ৪৫টি।
সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি ও তাপ
আবহাওয়া অফিসের এ মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে বৃষ্টি হয় ৩২৬ মিলিমিটার। গত সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৩০৯ মিলিমিটার, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে ১৫ শতাংশের কম বা বেশি না হলে সেটাকে স্বাভাবিক বলেই বিবেচনা করা হয়।
সেপ্টেম্বরে গড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই মাসে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ছিল।
অক্টোবর কেমন যাবে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এই মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টিরও আশঙ্কা আছে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে চার দিন মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়েই মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীর ধীরে কমে আসতে পারে এ মাসে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

রাজধানীহ দেশের ১৩ অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা, টাঙ্গাইল, যাশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বায়ু

আজ সরকারি ছুটির দিন। রাজধানীতে গাড়ি চলাচল অপেক্ষাকৃত কম। তারপরও ঢাকার বায়ুর মান ভালো নেই। বায়ুদূষণে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্বের ১১০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫৮। গতকাল বুধবার ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম, আর স্কোর ছিল ১৫৫।
বাতাসের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ অবস্থায় ঘরের বাইরে যেতে ঢাকা নগরবাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে হয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তারাই নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে।
চলতি মাসে এ পর্যন্ত এক দিন ঢাকার বায়ুর মান ‘ভালো’ ছিল। মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য ছিল বেশ কয়েক দিন। এটা হয়েছিল মূলত বৃষ্টির কারণে। কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ায় আবার দূষণ বাড়তে শুরু করেছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে ছিল পাকিস্তানের করাচি। একিউআই সূচকে শহরটির স্কোর ছিল ১৭৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুয়েতের কুয়েত সিটির স্কোর ১৫৮।
আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২.৫) যতটা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে সাড়ে ১৪ গুণ বেশি। এখন ঢাকাবাসী বাড়ির বাইরে গেলে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরতে পারেন, আইকিউএয়ারের পরামর্শ এমনই।

বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ক্রমেই বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

দেশের দুই বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা ক্রমেই বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া সারাদেশ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বান্দরবানে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ মেঘে ঢাকা। বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার আকাশও আংশিক মেঘলা।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতি-শুক্রবার বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে:
বৃহস্পতিবার ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
শুক্রবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।