জাতীয়
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় আজ

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করবেন আদালত। রায় ঘিরে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারকাজ গত ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এদিন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের নিরাপত্তায় আদালত ভবনে আসেন মামলার বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের তল্লাশি করে আদালত ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

রায় ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকেই বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে।
রায় ঘিরে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মহরম আলী। তিনি বলেন, ‘রায় ঘিরে বরগুনায় আমরা ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণে থাকবে আমাদের কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না।’
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন—রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আঁকন, মোহাইমিনুল ইসলাম, রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়শা সিদ্দিকা, রাফিউল ইসলাম, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। তাঁদের মধ্যে আয়শা সিদ্দিকা জামিনে আছেন। আর মো. মুসা পলাতক।
এই মামলায় গত ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের আলাদা করে পৃথক আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১০ জন, অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারকাজ আলাদাভাবে চলছে বরগুনার শিশু আদালতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
লোহা রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশে উৎপাদিত স্টিল বা লোহা এবং লোহা থেকে তৈরি পণ্য বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তাদের হিসাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্টিল বা ইস্পাত পণ্য রপ্তানি করে বার্ষিক ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) আয়োজিত এক সভায় এসব কথা উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, ইস্পাত বা লোহা এবং লোহার পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা খুঁজে বেড় করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং করণীয় নির্ধারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এফবিসিসিআই তাদের সেসব প্রস্তাব নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবে।
রপ্তানিপণ্য বহুমুখী করতে লোহা ও লোহার পণ্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
সভায় অংশ নিয়ে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের অ্যাডভাইজার জিল্লুর হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের ইস্পাতসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের লোহা ও লোহার পণ্য তৈরি হচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নত- এমন দাবি বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় দেশের ইস্পাতের চাহিদা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। উদ্বৃত্ত সক্ষমতার (ওভার ক্যাপাসিটি) ইস্পাত যদি আফ্রিকাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করা যায়, তাহলে এই খাত থেকে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
এ সময় লোহা ও লোহার পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লোহা ও লোহার পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা। রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করাসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী, এফবিসিসিআই পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারী প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চার মাসেও এক কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসেনি ৭ জেলায়

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম উৎস হলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। তবে চরম ডলার সংকটের মাঝেও গত দেড় বছরে রেমিট্যান্সের জোগান খুব একটা যুঁতসই ছিলো না। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও ২০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আহরণ সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি চলমান অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১ কোটি ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি দেশের সাত জেলায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে লালমনিরহাট। গত চার মাসে এই জেলায় মাত্র ৫৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া রাঙামাটিতে ৫৯ লাখ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬১ লাখ, পঞ্চগড়ে ৭১ লাখ, খাগড়াছড়িতে ৭৬ লাখ, কুড়িগ্রামে ৯৫ লাখ এবং জয়পুরহাটে ৯৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে পিছিয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি জেলা জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যতম কৌশল হিসেবে অভিবাসনকে দেখা হয়। এই অঞ্চলে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করলে প্রবাসীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে জীবনমান এবং সামাজিক পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
লালমনিরহাটে প্রবাসী আয় কমলেও রেমিট্যান্স আহরণে বরাবরই এগিয়ে ঢাকা জেলা। গত চার মাসে ঢাকা জেলায় ২৩০ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলায় ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ ছাড়া সিলেটে ৪০ কোটি ৫১ লাখ, কুমিল্লায় ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ও নোয়াখালী জেলায় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশে থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও নরসিংদী।
অর্থসংবাদ/আজাদ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন নবনিযুক্ত ৭ দূত

রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন ঢাকায় নিযুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূত হাইকমিশনার। পাশাপাশি তাদের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সাতজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় নবনিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন ও আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার নবনিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফামি, ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন রান্ডাল অ্যাপোস্টলিক নুনসিও ও শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ভিরাক্কোদি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস আজ

আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাটি ও পানি- জীবনের উৎস’।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি রচিত হয়েছিল, সেটিকে অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রাণের সূচনা হয়েছে মাটি ও পানি থেকে। আবার সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অবলম্বন মাটি ও পানি। পৃথিবী নামক এ গ্রহকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার শাশ্বত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে হাজার বছর ধরে চাষাবাদ হয়েছে মাটির নিজস্ব উর্বরা শক্তিতে। তখন প্রয়োজন ছিল না বাড়তি কোন সার ও কীটনাশকের। মাটিতে বিদ্যমান অনুজীব, মাটি ও পানির সমন্বিত মিথস্ক্রিয়ায় মাটি ছিল উর্বর। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও শিল্পায়নের কারণে প্রতিনিয়ত মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব সরকার বহুমুখী কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর সুফল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষিখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী- সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে মাটি ও পানিসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে কৃষিখাতে সাফল্যের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মাটি ও পানি দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ যা ছাড়া জীবন, জীবিকা ও সভ্যতা টিকে থাকা অসম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি মূলত কৃষিকেন্দ্রিক। অপরিকল্পিত কৃষিচর্চা মাটির ক্ষয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। একইভাবে কৃষি ও অন্যান্য কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। টেকসই কৃষির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য মাটি ও পানি সম্পদের সামগ্রিক এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।
উদ্ভিদের জন্ম-বৃদ্ধিতে ও মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে। মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০০২ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতিবছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মৃত্তিকাবিজ্ঞানী এ দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। মৃত্তিকা সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং তার প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব এ বিজ্ঞানীদের। বিশ্বের সব দেশে সুস্থ মৃত্তিকার সুফল লাভে উৎসাহিত করতেই এ দিবস পালন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টানবাজারে কমেছে সুতার দাম

দেশের বৃহত্তম পাউকারি সুতার মোকাম টানবাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম ২-৫ টাকা কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির কাঁচামাল তুলার দাম কমতির দিকে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কমছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস শিল্পে বিদেশী ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় সুতার চাহিদাও কমতির দিকে।’
জানা গেছে, বাজারে ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ৪২-৮৫ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি ১০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে ১-২ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা বাজারে প্রকারভেদে পাউন্ডপ্রতি লেনদেন হচ্ছে ৮৫-১১৫ টাকা, যা ১০-১৫ দিন আগেও ছিল ৮৭-১২০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২-৫ টাকা।
২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪৮-১৬০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১৫২-১৭০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ১-১২ টাকা।
আর ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতার দাম গত সপ্তাহের ১২৫ টাকা থেকে কমে ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ৭ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে পাউন্ডপ্রতি ১৬৮ টাকা দরে। বর্তমানে তা ১৬৫-১৬২ টাকায় নেমেছে। দাম কমেছে ৩-৫ টাকা।
৫০ কাউন্টের সুতার দাম প্রতি পাউন্ডে ৪-৫ টকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮৪-১৯২ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে সুতাটির দর ছিল ১৮৮-১৯৭ টাকার মধ্যে।
গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে পাউন্ডপ্রতি ৫-৬ টাকা কমে ৬০ কাউন্টের সুতা বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা ২৯০-৩০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে বাজারে লেনদেন হচ্ছে প্রকারভেদে ২৮০-২৯০ টাকা পাউন্ড দরে। কাউন্টপ্রতি দাম কমেছে ১০ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাশে ইয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি লিটন সাহা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুতার দাম বেশ ওঠানামা করছে। এক সপ্তাহ বাড়তি থাকে তো এক সপ্তাহ কমতির দিকে থাকে। দাম এভাবে ওঠানামা করলে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির উপাদান তুলার দাম কিছুটা কমেছে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কিছুটা কমতির দিকে।