খেলাধুলা
৫০ রানে অলআউট, লঙ্কানদের লজ্জার রেকর্ড

এক মোহাম্মদ সিরাজই শেষ করে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। একাই নিলেন ৬ উইকেট। ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে গেলো লঙ্কানদের ইনিংস। অর্থাৎ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে ভারতকে করতে হবে মাত্র ৫১।
ওয়ানডে ইতিহাসে এটি কোনো দলের নবম সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১২ সালে পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ টস জিতেছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কে জানতো, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এমন হাল হবে!
প্রথম ওভারে আঘাত হানেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় বলে তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা (২ বলে ০)।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ-ঝড়। নিজের প্রথম ওভার মেইডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন সিরাজ। পরের ওভারে এসেই তিনি দেখিয়েছেন ভয়ংকর রূপ। একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লঙ্কান ৪ ব্যাটারকে।

ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে (৪ বলে ২) রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ বানান সিরাজ। তৃতীয় বলে তিনি এলবিডব্লিউ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০)। পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে (০) কভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
সিরাজ-আগুনে ৫০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা
হ্যাটট্রিক ডেলিভারিটি অবশ্য বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝতে না পেরে যেন বড় ভুল হয়ে গেলো তার। পরের বলে শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া (২ বলে ৪)। ওই ওভারে ৪ উইকেট নেন সিরাজ।
নিজের পরের ওভারে (লঙ্কান ইনিংসের ষষ্ঠ) চতুর্থ বলে আরও এক শিকার সিরাজের। উড়িয়ে দিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার অফস্টাম্প। সিরাজ ৪ রানেই পূরণ করে নেন ফাইফার।
বলের হিসেবে এটি চামিন্দা ভাসের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার সমান ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক লঙ্কান পেসার।
শেষ পর্যন্ত ৭ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ২১ রানে ৬টি উইকেট নেন সিরাজ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ রানে নেন ৩ উইকেট।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
৪৪ রানে পিছিয়ে কিইউরা, হাতে ২ উইকেট

বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড। তারা এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ৪৪ রানে পিছিয়ে আছে তারা। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে কিউইদের ম্যাচে রেখেছেন কেন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড নেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একটা প্রান্ত ধরে জুটির পর জুটি গড়ে যাচ্ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
অবশেষে উইলিয়ামসনকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও বোল্ড হয়ে গেছেন উইলিয়ামসন। ২০৫ বলে ১০৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি হাঁকান কিউই তারকা।
উইলিয়ামসনের পরপরই টসড আপ ডেলিভারিতে এজড হয়ে উইকেট হারান ইস শোধি। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।
এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।

মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে গেছেন। নিকোলসের সঙ্গে ৫৪, মিচেলের সঙ্গে ৬৬ রানের পর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেও ৭৬ রান যোগ করেন তিনি। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না।
অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপে সাকিবদের ব্যর্থতা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি

ভারতে বিশ্বকাপ বলেই বড়সড় আশা নিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আইসিসি সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ উঠে এসেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের রবিন রাউন্ডের ৯ ম্যাচে টাইগাররা যেন ছিল নখদন্তহীন।
বিশ্বকাপে মাত্র ২ জয় দিয়ে শেষ হয়েছে টাইগারদের পথচলা। কোনক্রমে ৮ম স্থানে থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করেছে তারা। বিশ্বকাপের এমন ভরাডুবিতে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ চলছে ক্রিকেট বোর্ডে।
আগেই গুঞ্জন ছিল, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করবে বিসিবি। বুধবার বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের মাঝেই এলো সেই ঘোষণা। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কথা জানিয়েছে বিসিবি নিজেই।
তিন সদস্যের এই কমিটিতে আছেন বিসিবির তিন পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুবুল আনাম এবং আকরাম খান।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টেস্টের প্রথম দিনেই নয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ

ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে শুরুর ভীত গড়ে দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। টাইগার অধিনায়ক ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন জয়। অবশ্য ৮৬ রানের মাথায় ফিরে গেছেন তিনিও। এরপর মুশফিক-সোহানদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনের খেলা শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তাতে প্রথম দিন শেষে নয় উইকেট হারিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
যদিও দশম উইকেট জুটিতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন শরিফুল-তাইজুল। তাদের ১৯ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কোনোরকমে দিন পার করেছে স্বাগতিকরা। অবশ্য দিনের নির্ধারিত ৯০ ওভার খেলা মাঠে গড়ায়নি। আলোকস্বল্পতার কারণে ৮৫ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়েছে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ চক্রের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট দখলে গেছে কাইল জেমিসন ও এজাজ প্যাটেলের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যদিও ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন ওপেনার জাকির। শেষমেশ টাইগার ওপেনারকে মুক্তি দেন এজাজ প্যাটেল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে প্যাটেলের অফ স্ট্যাম্পে পিচ করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে ভর করে খেলতে চেয়েছিলেন জাকির। কিন্তু টার্ন করা বলটি সরাসরি আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। সমাপ্তি ঘটে জাকির হাসানের অস্বস্তিকর ইনিংসের। ১ চারে ৪১ বলে ১২ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে লড়তে থাকেন শান্ত। দুজনের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে রানটাও বাড়ছিল বাংলাদেশের। তবে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে বাজে শট খেলতে গিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। গ্লেন ফিলিপসের ফুল টস ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। মিড-অনে ক্যাচ তালুবন্দী করেন কেন উইলিয়ামসন। ফেরার আগে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৭ রান করেন শান্ত।

অধিনায়কের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমলেও মুমিনুলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন জয়। তাদের মধ্যে ভালো একটি জুটি গড়ে ওঠে। মুমিনুলের আউটে ভাঙে তাদের ১৭১ বলে ৮৮ রানের জুটি। প্রিয় কাট শট খেলতে গিয়ে মুমিনুলের ব্যাটের কানায় লেগে বল আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে। শান্তর মতো মুমিুনলও থামলেন ব্যক্তিগত ৩৭ রানে। মুমিনুলের আউটের রেশ কাটতে না কাটতেই বিদায় নেন মাহমুদুল হাসান জয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৭৮ রানের। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের দারুণ সেই ইনিংসটি আজ সিলেটের মাটিতে ছাড়িয়ে গেলেন জয়। সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে। তবে ইশ সোধির বলে কটবিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় ব্যক্তিগত ৮৬ রানের মাথায়। ১৬৬ বল খেলে ১১ চারের মারে এই রান করেন তিনি।
দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা নড়বড়ে অবস্থানে থেকেই চা বিরতির পর শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। মুশফিকুর রহিম ও অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপুর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় দলীয় দুইশ পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। তবে এরপরই আবারও ধাক্কা। এবার আঘাত হানলেন এজাজ প্যাটেল। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়েছিলেন মুশফিক। ধরা পড়ে যান মিড অফে দাঁড়ানো উইলিয়ামসনের হাতে। ২২ বলে ১২ রান করেন মুশফিক।
মুশফিকের পর অভিষিক্ত দিপুকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত কাইল জেমিসনের শর্ট বলের এক ডেলিভারিতে আর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলেন না টাইগার এই অলরাউন্ডার। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে। ৩০ বলে ২০ রান করেন মিরাজ।
গ্লেন ফিলিপসের বলে শর্ট মিড-উইকেটে ধরা পড়েন অভিষিক্ত শাহাদাত দিপু। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৫৪ বলে ২৪ রান। স্পিন সহায়ক পিচে আতঙ্ক ছড়ালেন ফিলিপস। দিপুর পর ফেরালেন সোহানকেও। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার চার উইকেট তুলে নিলেন। দশম উইকেট জুটিতে তাইজুল-শরিফুলের ব্যাটে তিনশ’ ছাড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত আছেন শরিফুল। আর ২১ বলে ৮ রানে টিকে আছেন তাইজুল। তারা দুজন আগামীকাল আবারও ব্যাট করতে নামবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান বিশ্রামে আছেন, লিটন দাসও পরিবারকে সময় দিতে ছুটি নিয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছিন। শাহাদাত হোসেন দীপুর হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিষেক। বাংলাদেশের ১০২তম টেস্ট খেলোয়াড় তিনি।
নিউজিল্যান্ড দলে রাচিন রবীন্দ্র ও নিল ওয়াগনারকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে গ্লেন ফিলিপস ও কাইল জেমিসনকে।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, কাইল জেমিসন, ইশ সোধি, টিম সাউদি (অধিনায়ক), এজাজ প্যাটেল।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
স্পন্সর ছাড়াই মাঠে নামছে বাংলাদেশ!

ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফর্ম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা একের পর এক ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতাও হারাতে বসেছিল। পরাজিত হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচেও। তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট নিশ্চিত হয়েছে। বৈশ্বিক আসরে ভরাডুবির পর বিদায় নিয়েছেন লাল-সবুজ দলের বেশ কয়েকজন কোচ। এবার সেসব কিছু ছাপিয়ে লাল বলের ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর)।
দুই টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আজ ট্রফি উন্মোচন করে দুই দলের অধিনায়ক। যেখানে দুই দলের অধিনায়কই আসেন ম্যাচ জার্সি পরে। কিন্তু এদিন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত আসেন স্পন্সরের লোগো ছাড়া জার্সিতেই।
২০২১ সালে স্পন্সর হিসেবে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করেছিল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল (পুরুষ এবং নারী), অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দল ছিল দারাজের স্পন্সরশীপের আওতায়। প্রতিষ্ঠানটির সাথে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ ছিল এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে এর আগেই প্রতিষ্ঠানটি স্পন্সরশীপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
মেয়াদ শেষ হবার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের এই স্পন্সর বিদায় নেয়ায় বিসিবি ক্ষতির মুখে পড়েছে বিসিবি। এদিকে দারাজ চলে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ এবং আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরেও টাইগারদের কোনো স্পন্সর থাকবেনা বলে আগেই জানা গেছে। সেই গুঞ্জন এবার সত্য হলো।
অর্থসংবাদ/এমআই