লাইফস্টাইল
হজমের সমস্যা দূর করতে যা খাবেন

খাবার খেলে সহজে হজম হতে চায় না? চিন্তা করবেন না, এমন সমস্যায় আপনি একা নন, আরও অনেকেই ভুগছেন। ঠিকভাবে হজম না হওয়ার কারণে অনেকক্ষণ পর টক ঢেকুর ওঠার সমস্যাও দেখা দেয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে থাকেন আবার কেউ কেউ। কিন্তু তাতে কতটুকু উপকার মেলে? উপকারের বদলে বরং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বেশি দেখা দেয়।
খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে শরীরে অস্বস্তি হতে থাকে। পেট ফেঁপে থাকে। বারবার টক ঢেকুর ওঠে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে খেতে পারেন একটি ফল। ফলটির মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ ধরনের উৎসেচক। খাবার দ্রুত হজম করাতে কাজ করে সেই উৎসেচক। ফলে বদহজমের আশঙ্কাও কমে অনেকটাই।
সাধারণত এই ফল আমরা খুব বেশি খাই না। অনেকে আবার কালে ভদ্রে খেলেও তেমন একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু হজম করানোর মতো গুণ আছে বলেই এটি খাওয়া জরুরি। আবার রান্নায় একটি টুকরো যোগ করলেও স্বাদ পরিবর্তন হয় না, কিন্তু উপকারিতা অনেক বেড়ে যায়।
ফলটির নাম কি আন্দাজ করতে পারছেন? সেটি হলো পেঁপে। ছোট একটু পেঁপে রান্নায় দিলে অনেক উপকার পাবেন। রান্না করা সেই খাবারটি খাওয়ার পর তা দ্রুত হজম হবে। তবে রান্নায় এটি খেতে ভালোবাসেন না বাসলে অন্য উপায়ও রয়েছে। আলাদা করে রোজ এক টুকরো পেঁপে চিবিয়ে খেয়ে নেবেন। তাতে হজমের সমস্যা তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে আরও অনেক উপকারিতা পাবেন।
অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য উপকারী একটি ফল হলো পেঁপে। প্রতিদিন এক টুকরো পেঁপে খেলে পেট পরিষ্কার হবে খুব সহজে।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
বয়স ৩০ পেরোলে যে সাতটি ভুল করবেন না

ত্রিশে পা দেওয়ার পর থেকে অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই জীবনের এ অংশে কাঁধে ভর করে নানান দায়িত্ব। ফলে নিজেকে সময় দেওয়ার কথা ভুলে যান অনেকে। কুড়িতে পা দেওয়ার পর যে তারুণ্য ভর করে জীবনে, ত্রিশে এসে তা যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসে। ফলে ত্রিশে এসে অনেকেই বেশ কিছু ভুল করেন। ভুলগুলো কী? আর শোধরানোর উপায়ই–বা কী?
ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় না করা
ত্রিশে পা দেওয়ার পর থেকে সঞ্চয়ে মনোযোগী হওয়া জরুরি। যদিও যত কম বয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করা যায়, তত ভালো। তবে ছাত্রজীবন শেষে চাকরিতে ঢুকে অনেকেই সঞ্চয়ে মনোযোগ দিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ত্রিশে পা দেওয়ার পর থেকেই সঞ্চয়ে মনোযোগ দিন। এতে হুট করে বড় কোনো বিপদ–আপদ, রোগবালাই কিংবা সমস্যা দেখা দিলে সামলে নেওয়া সহজ হবে।
দায়িত্বের বেড়াজালে আটকে যাওয়া
বয়স যত বাড়তে থাকে, পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দায়িত্ব। নিজের কাজের প্রতি, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকে নিজের কথাই ভুলে যান। যতই চাপ থাকুক না কেন, মাঝেমধ্যে বিরতি নিন, নিজেকে সময় দিন। ত্রিশ পাড়ি দিলেই শরীর আপনাকে অনেক কাজে বাধা দেবে। তাই কাজের মধ্যে বিরতি না নিলে আপনার মন ও শরীরে বার্ধক্য বাসা বাঁধতে শুরু করবে অকালে।
বন্ধুদের সময় না দেওয়া
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভাটা পড়তে থাকে বন্ধুত্বে। স্কুল–কলেজে বন্ধুদের সঙ্গে যে মনের মিল থাকে, ত্রিশে এসে তার অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের মধ্যেও আসে পরিবর্তন। এত কিছুর মধ্যেও চেষ্টা করুন বন্ধুদের জন্য আলাদা করে সময় বের করার। বন্ধুদের মনের মিল কখনো পুরোনো হয় না।
নতুন কিছুতে ‘না’ বলা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হতে থাকে নিজের শখ-আহ্লাদগুলো। কমতে থাকে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ। একটা স্থায়ী চাকরি পেয়ে গেলে নতুন কিছু করার শখও নিভে যায় ধীরে ধীরে। বয়স যতই বাড়ুক না কেন, নতুন কিছু করতে বা শিখতে কখনই পিছপা হবেন না। আধুনিক সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কিছু শেখা আপনাকে সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।

সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করা
ত্রিশ বছর বয়স শুধু ক্যারিয়ার গোছানোর সময় নয়, নিজেকে ও নিজের পরিবারকে গোছানোর বয়সও। যে কারণে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গড়িমসি করবেন না। নিজের একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা, পরিবার পরিকল্পনা বা পড়াশোনা, যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, লক্ষ্য ঠিক রেখে তা নিয়ে কাজ শুরু করুন। পরে করব ভেবে বড় কোনো সিদ্ধান্তে গড়িমসি করবেন না।
অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা
ত্রিশের কোঠায় পা দিতে না দিতেই প্রত্যেকে নিজেদের ক্যারিয়ার সচেতন হয়ে ওঠেন। প্রত্যেকেই ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে শুরু করেন নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী। আশপাশের সবার ক্যারিয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হবেন না। মনে রাখবেন, সবার চলার পথ এক নয়, প্রত্যেকের জীবনযাত্রা আলাদা। অন্যের সঙ্গে তুলনা করে নিজের লক্ষ্য থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন না।
স্বাস্থ্যের দিকে নজর না দেওয়া
ত্রিশে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ মানুষেরই কায়িক পরিশ্রম অনেকটা কমে যায়। শরীরে রোগবালাই বাসা বাঁধার সুযোগও বেড়ে যায় সেই সঙ্গে। যে কারণে কোনো অসুস্থতাকেই হেলাফেলার চোখে দেখবেন না। ছোটখাটো রোগবালাই বয়সের সঙ্গে পরিণত হতে পারে বড় কিছুতে। যে কারণে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
জীবনকে উন্নত করতে যে ৫ অভ্যাস দরকার

অল্প সময়ের মধ্যে জীবনকে জাদুকরীভাবে উন্নত করার জন্য চেষ্টা করতে হবে আপনাকেই। আপনার জীবনকে আপনি যে স্তরে নিয়ে যেতে চান, সেখানে যাওয়ার সংক্ষিপ্ত কোনো রাস্তা নেই। এর জন্য প্রয়োজন প্রচেষ্টা, সময় এবং ধৈর্য। আপনি হয়তো নানাভাবে নিজের সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করেন, আরও কর্মমুখী হয়ে উঠতে চান। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায় না। পাঁচটি অভ্যাসের একটি তালিকা রয়েছে, যেগুলো পালন করে চললে নিজেকে ভালো রাখা সহজ হয়। যেগুলো জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা এবং হাঁটা
সঠিকভাবে সকাল শুরু করলে সারাদিন ভালো কাটে। অ্যালার্ম বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তা স্নুজ করবেন না, বরং খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। আপনার বিছানা ছেড়ে রোদে গিয়ে দাঁড়ান। সকালের সূর্যের আলো শক্তি বাড়াতে এবং অনিদ্রা কমাতে কাজ করে। ভোরে হাঁটাও একটি ভালো অভ্যাস। হাঁটলে এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয়, এই হরমোন আমাদের মন ভালো রাখতে কাজ করে। হাঁটার সময় তিনটি জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, তিনটি জিনিস যেগুলো আপনি অর্জন করতে চান এবং তিনটি পরিবর্তন যা নিজের ভেতরে দেখতে চান।
আরও পড়ুন: ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ
নতুন কিছু করুন
কাজ করতে যাওয়া, ফিরে আসা, খাওয়া এবং ঘুমানোর একই একঘেয়ে অভ্যাসের সঙ্গে আপনার জীবন কতটা বিরক্তিকর তা নিয়ে আপনি বারবার চিন্তা করেন? চক্রটি চলতে থাকে এবং আপনি একদিন অবসর পাবেন সেই আশায় বসে থাকেন। এভাবে অপেক্ষা না করে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে শিখুন। প্রতিটি নতুন দিন নতুন কিছু দিয়ে শুরু হোক। কোনো আফসোস জমিয়ে রাখবেন না, বরং যতটুকু সময় পান তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করুন। একঘেয়ে জীবনের বাইরে বের হয়ে আড্ডা দিন, বেড়াতে যান, বাইরে কোথাও খেতে যান বা নিজের পছন্দের যেকোনো কাজ করুন। এতে আপনি আরও বেশি সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবেন।
আকর্ষণীয় থাকুন

তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হবেন না। নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে জানা একটি বড় গুণ। কোনো রকমে তৈরি হয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার অর্থ মানে এই নয় যে আপনি কাজের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস। বরং এতে প্রমাণ হয় যে আপনি নিজের প্রতি উদাসীন। পোশাক ও অন্যান্য এক্সেসরিজের দিকে মন দিন। প্রতিদিন গোসল করুন, মানানসই পোশাক পরে পরিপাটি হয়ে বাসা থেকে বের হোন।
অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করুন
আমাদের জীবনের কিছু ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগের প্রয়োজন, প্রত্যেকের জীবনে কিছু সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা দরকার। কিন্তু আমরা আমাদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে ব্যস্ত থাকার ফলে সেগুলোতে মনোযোগ দিতে ভুলে যাই। যত ব্যস্ততাই থাকুক, সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করতে ভুলবেন না। আপনার আর্থিক দিক উন্নত করার পাশাপাশি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। এক্ষেত্রে উদাসীন হলে নিরাময়ের পরিবর্তে শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। হয়তো এমন কোনো সমস্যা দেখা দেবে যার নিরাময় নেই। তাই এই বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করুন।
স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন
জীবনে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। সারাদিন ক্লান্ত থাকার মানে হলো আপনার শরীরে শক্তির অভাব। ঘুম ভালো না হওয়া এর অন্যতম কারণ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনুন, এর পরিবর্তে একটি বই পড়ুন, এটি আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। এসব অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি জীবনে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
মস্তিষ্কের বিশ্রামে যা করতে হবে

শরীর ও মনের সব কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। মস্তিকে রাখা থাকে আমাদের সমস্ত স্মৃতি। এই মস্তিষ্কই হচ্ছে আমাদের মন আর পরিচয়ের ধারক। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পরও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যাবলি যদি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য এই বিশ্রাম বেশ প্রয়োজনীয়। যেভাবে নিশ্চিত করবেন মস্তিষ্কের বিশ্রাম:
পরিমিত ঘুম
প্রতিদিন পরিমিত ঘুম মস্তিষ্ক সক্ষম রাখার জন্য খুবই কার্যকরী। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের লাইফলং হেলথ অ্যান্ড এইজিং এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ভিক্টোরিয়া গারফিল্ড বলেন, বয়সের ওপর ভিত্তি করে রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
গারফিল্ড আরও বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক একটানা কাজ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। এতে করে আমাদের কগনিটিভ ফাংশন আরও উন্নত হয়। ফলে পরবর্তী দিন সার্বিকভাবে আরও ভালো অনুভব করা যায়। কেননা এতে করে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি বিশ্রামের এবং পুনরুত্পাদনের সুযোগ পায়।’ আর আমরা সারাদিন যে সকল কাজ করি, পড়াশুনা করি বা যা কিছুই করি না কেন, যখন আমরা ঘুমাই তখন ওই তথ্যগুলো আমাদের মস্তিষ্কে স্থায়ীভাবে কনভার্ট হয়। পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের সময় আপনার মস্তিষ্ক পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে।
ঘুমাতে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করা
ঘুমের সময়ের ধারবাহিকতা রাখতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে নেওয়া উত্তম। প্রায় সকল প্রাপ্তবয়স্কদের চাকরি কিংবা পারিবারিক কাজের জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে হয় বলে তাদের সকালে ওঠার সময়টা অনেকটা অপরিবর্তনশীল। তাই এক্ষেত্রে তারা আগের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার সময়টা প্রয়োজনমতো করে নিতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে ব্যায়াম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আপনি যতক্ষণ ব্যায়াম করবেন, ততক্ষণ আপনার মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে যায়, যা ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর খাবার
আমাদের শরীরের যেমন জ্বালানির প্রয়োজন, তেমনি ব্রেনেরও জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। আমরা সবাই জানি ফল, শাকসবজি, মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ফল, শাকসবজির সাথে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার, বাদাম, বিনস, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বীচি, সামুদ্রিক মাছ, রঙিন ফল, গ্রিন টি ইত্যাদি খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
প্রশান্তিদায়ক কাজ করুন
আপনি সবসময় চিন্তিত অনুভব করলে প্রশান্তিদায়ক কিছু করুন যেমন যোগ ব্যায়াম, ম্যাসাজ, অ্যারোমাথেরাপি কিংবা এমন কোনও কাজ যা আপনাকে প্রশান্তি এনে দেয়। নিজেকে আনন্দ দেয় এমন কাজ করুন। নিয়মিত কিছু সময় নিয়ে এমন কাজ করুন যা আপনি উপভোগ করেন, যেমন গেম খেলা, বই পড়া, কিংবা অন্য কোনও শখের কাজ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
দীর্ঘদিনের কাশি সমস্যা দূর করার উপায়

দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে কাশির সমস্যা দূর করার জন্য কিছু খাবারও আপনার সহায়ক হতে পারে। এর মধ্যে ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার অন্যতম। ভিটামিন বি১২ প্রাকৃতিকভাবে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য উপাদানে পাওয়া যায়। হার্ভার্ড স্কুল অফ মেডিসিনের একটি নিবন্ধ অনুসারে, ভিটামিন বি১২ মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা এবং বিকাশে মূল ভূমিকা রাখে।
দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী কাশি সংবেদনশীল নিউরোপ্যাথির সঙ্গে সম্পর্কিত। ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন) এর অভাব কেন্দ্রীয় এবং পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই গবেষকরা স্নায়ু কোষের বিকাশের জন্য ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা সারিয়ে তোলে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল, তার পোস্টে আরও, দীর্ঘস্থায়ী কাশির অবস্থা প্রতিরোধ বা উপশম করার জন্য ভিটামিন বি১২ এর সেরা খাদ্য উৎসগুলোর কয়েকটি ভাগ করেছেন। ভিটামিন বি১২ এর অভাব মোকাবিলা এবং দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা সমাধানে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে-
স্যামন ফিশ
ইউএসডিএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম স্যামন ফিশে ৩.২ এমসিজি ভিটামিন বি১২ থাকে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা আপনাকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। তাই দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা সমাধানে এই মাছ রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
দই
প্রোবায়োটিকের একটি দুর্দান্ত উৎস হলো দই। এর পাশাপাশি দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২। ইউএসডিএ-এর তথ্য অনুসারে, ১০০ গ্রাম দইয়ের মধ্যে প্রায় ০.৮ mcg ভিটামিন বি১২ থাকে, যা বিপাক এবং স্নায়ু ও কোষের বিকাশে সাহায্য করে সংশ্লিষ্ট শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে আরও উন্নত করে।
ডিম

ইউএসডিএ ডেটা বলে যে একটি বড় সেদ্ধ ডিমে ০.৬ এমসিজি ভিটামিন বি১২ থাকে। অন্যান্য বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি শক্তিশালী উৎসও এই ডিম। এটি দিনের যেকোনো সময়ের খাবার হিসেবেই শক্তিশালী। নিয়মিত ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ডাল
পুষ্টির সবচেয়ে সহজলভ্য উৎসের একটি হলো ডাল। ডাল দিয়ে যেকোনো খাবার তৈরি করা সহজ। এটি স্বাস্থ্যকর ও পরিপুষ্ট থাকার জন্য আপনাকে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। ভিটামিন বি১২ এর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ডালের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোলা ভিটামিন বি১২ এর অন্যতম প্রধান উৎস।
বাদাম এবং বীজ
আপনি যদি ভেজিটেরিয়ান হন তবে শরীরে ভিটামিন বি১২ এর অভাব এড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, তিলের বীজ ইত্যাদি রাখুন। বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি১২ পৌঁছে দেবে। এতে দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘর থেকে পিঁপড়া যেভাবে দূর করবেন

ক্ষুদ্র একটি পোকা, কিন্তু মানুষকে অতিষ্ঠ করতে দারুণ পটু। যেকোনো খাবারেই সে অনাধিকার প্রবেশ করতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার হলে তো কথাই নেই। তখন দলবল নিয়ে চলে আসে। আবার কখনো কখনো ঢুকে পড়ে আমাদের কানের ভেতরে। তখনকার বিপদের কথা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ঠিক ধরেছেন, বলছি পিঁপড়ার কথা।
পিঁপড়ার উৎপাত থেকে বাঁচতে অনেকে অনেক উপায় বেছে নেন। কিন্তু সবগুলো উপায় সব সময় কার্যকরী হয় না। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমনটা ঘটে তবে দুশ্চিন্তা না করে বেছে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়। কারণ কীটনাশক ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এটি নানা রকম ক্ষতির কারণ হতে পারে। পিঁপড়ার হাত থেকে বাঁচতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়–
বরিক অ্যাসিড ও চিনি
বরিক অ্যাসিড ও চিনি ব্যবহার করে পিঁপড়া দূর করা সম্ভব। সেজন্য বরিক অ্যাসিডের সঙ্গে কিছু চিনি মিশিয়ে সেই মিশ্রণ একটি পাত্রের ভেতরে ঢেলে রাখুন। পিঁপড়া যখন চিনির গন্ধ পেয়ে তা খেতে আসবে তখন সেই বরিক অ্যাসিড মিশ্রিত চিনি খেলে নিমিষেই মারা যাবে। এভাবে পিঁপড়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
বাসন পরিষ্কার করার সাবান ব্যবহার
পিঁপড়া দূর করার জন্য বাসন পরিষ্কার করার সাবান এবং বেশ কাজের। ঘরে পিঁপড়ার উপদ্রব টের পেলে তখনই বাসন পরিষ্কার করার সাবান ও পানি মিশিয়ে সেখানে স্প্রে করে দিন। এতে পিঁপড়া আর বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা কঠিন যে ৩ রোগের লক্ষণ

লেবুর রস ব্যবহার
লেবুর রস শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এটি পিঁপড়া দূর করতেও কাজ করে। সেজন্য প্রথমে একটি লেবু চিপে রস সংগ্রহ করুন। এবার সেই লেবুর রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর বাড়ির যেখানে পিঁপড়ার উপদ্রব বেশি সেখানে স্প্রে করে দিন এই লেবুর রসের মিশ্রণ। এতে পিঁপড়া আর সেখানে থাকবে না।
ভিনেগার ব্যবহার
পিঁপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি ভিনেগার দারুণ একটি উপাদান। ভিনেগার স্প্রে করলেও পিঁপড়া তার দলবল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাবে। তবে বাড়িতে যদি ভিনেগার না থাকে মরিচ, দারুচিনি ও লেবুর খোসা কাপ পানিতে ফুটিয়ে নেবেন। এরপর সেই পানি ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এবার যেখানে পিঁপড়ার উপদ্রব সেখানে স্প্রে করলে পিঁপড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
দারুচিনি গুঁড়া
দারুচিনি নানা ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি পিঁপড়া তাড়ানোর মতো কাজেও সাহায্য করে। সেজন্য কী করতে হবে? রাতে ঘুমানোর আগে পিঁপড়ার বাসা ও এর আশেপাশে দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। সকালে উঠে দেখবেন পিঁপড়া দূর হয়ে গেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই