আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনের শস্যে আরও ৩ দেশের নিষেধাজ্ঞা

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) প্রতিবেশী পাঁচ দেশে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আর বাড়াবে না জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। এমন সিদ্ধান্তের মাঝে গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি। খবর রয়টার্স।
গত বছর রুশ আক্রমণের আগে বিশ্বের শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশের একটি ছিল ইউক্রেন। কিন্তু যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক বাজারে দেশটির কৃষি পণ্যের প্রবেশ কমে আসে। কৃষ্ণসাগরের পছন্দসই রুট ব্যবহার করতে না পারায় তখন থেকেই ইউক্রেনীয় কৃষকরা শস্য রফতানির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নির্ভর করছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের পণ্যের আধিক্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে শস্য ও তেলবীজের দাম কমিয়ে দেয়। এতে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউক্রেন থেকে কৃষি আমদানির বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় সরকারগুলো। ওই সময় পৃথক পৃথক নিষেধাজ্ঞার বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এ নিষেধাজ্ঞার অধীনে, অন্য কোথাও বিক্রি হবে এ শর্তে ইউক্রেনকে সেই দেশগুলোর মাধ্যমে রফতানির অনুমতি দেয়া হয়।
গত মে মাসে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলোতে রফতানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দেয় ইউক্রেন। এরপর ইইউ শুক্রবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর বাড়াবে না বলে ঘোষণা দেয়।
ইইউ বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস গতকাল বলেন, ইউক্রেনীয় শস্য আমদানির বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত। কিন্তু পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি ইউক্রেনীয় শস্য আমদানিতে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ পুনরায় আরোপ করে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা ইউক্রেনীয় পণ্যের ট্রানজিটের অনুমতি অব্যাহত রাখবে।

তবে ইউক্রেন রফতানি সীমাবদ্ধ করতে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বা নতুন নিষেধাজ্ঞা কীভাবে উৎপাদিত পণ্যের প্রবাহকে প্রভাবিত করবে তা স্পষ্ট নয়।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইইউ সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট করেছে। সঙ্গে জানিয়েছে দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিভাজন রয়েছে। বিশেষ করে যাদের শক্তিশালী কৃষি ব্যবস্থা তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এদিকে কিয়েভের শস্য রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আর বাড়ানোর ইইউর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সঙ্গে বলেন, ইইউ সদস্য দেশগুলো নিয়ম ভঙ্গ করলে ‘শোভনভাবে’ প্রতিক্রিয়া জানাবে সরকার।
অর্থনীতির স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে যুক্তি দিচ্ছে দেশগুলো। পোল্যান্ডের কৃষিমন্ত্রী রবার্ট তেলাস ফেসবুক পোস্টে জানান, ভুট্টা, গম ও কিছু পণ্যের বাজারে যাতে প্রভাব না ফেলে তাই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য সত্ত্বেও পোলিশ কৃষকের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল প্রকাশিত একটি সরকারি ডিক্রি অনুসারে শস্য, শাকসবজি, বেশ কয়েকটি মাংসের পণ্য ও মধুসহ ২৪টি ইউক্রেনীয় কৃষি পণ্যের ওপর জাতীয় আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হাঙ্গেরি। স্লোভাকিয়ার কৃষিমন্ত্রী জানান, নিষেধাজ্ঞা শুধু অভ্যন্তরীণ আমদানিতে প্রযোজ্য। তবে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনীয় শস্যের ট্রানজিটকে প্রভাবিত করবে না বলে জানিয়েছে দেশ তিনটি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
অক্টোবরে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে

ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে। গত অক্টোবরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত অক্টোবরে মোট ১৫ কোটি টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদিত হয়েছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে বিশ্বে মোট ১৫৬ কোটি ৭৩ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। বিশ্বের মোট ৭১টি দেশ এ পরিমাণ ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
পরিমাণগত দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী অঞ্চল এশিয়া ওশেনিয়া। অক্টোবরে অঞ্চলটি ১০ কোটি ৮৮ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা ২০২২ সালের একই মাসের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে অঞ্চলটির মোট উৎপাদন ১১৬ কোটি ৫২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে অক্টোবরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় অঞ্চলটিতে গত মাসে উৎপাদন ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। অঞ্চল হিসেবে গত মাসে এটিই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। অক্টোবরে ৭৫ লাখ টনসহ চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে মোট ১ কোটি ২৯ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে।
এছাড়া অক্টোবরে মধ্যপ্রাচ্যে ৫ শতাংশ ও আফ্রিকায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি এসেছে। মাসটিতে অঞ্চল দুটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ টন ও ১৯ লাখ টন। আর সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ উৎপাদন কমেছে দক্ষিণ আমেরিকায় ও ইউরোপীয় অঞ্চলে (৭ দশমিক ১ শতাংশ)। অঞ্চল দুটিতে অক্টোবরে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩৪ লাখ টন ও ১ কোটি ৬ লাখ টন।

ওয়ার্ল্ড স্টিলের তথ্যমতে, চীন একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের একই মাসে দেশটির উৎপাদন ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে নেমেছে ৭ কোটি ৯১ লাখ টনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম ১০ মাসে চীন মোট ৮৭ কোটি ৪৭ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ ভারতে অক্টোবরে ইস্পাত উৎপাদনে একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে। ওই মাসে দেশটি ১ কোটি ২১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১৫ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আর এ বছরের প্রথম ১০ মাসে ভারতের মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬৩ লাখ টনে।
এককভাবে গত মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে রাশিয়ার। অক্টোবরে উৎপাদন ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ টনে। আর বছরের প্রথম ১০ মাসে মোট ৬ কোটি ৩৫ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে দেশটি।
আর ৯ দশমিক ৫ শতাংশ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। অক্টোবরে ৫৫ লাখ টনসহ বছরের প্রথম ১০ মাসে ৫ কোটি ৫৯ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে দেশটি।
অন্যদিকে উৎপাদনের পরিমাণের দিক থেকে চীন, ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশ। এরপর রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক, ব্রাজিল ও ইরান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৯৬৮ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে লিবিয়া

ভাগ্য বদলাতে ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় ইউরোপের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভূমধ্যসাগরের বিপৎসংকুল পথই ছিল তাদের ভরসা। অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ৯৬৮ অভিবাসী বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে লিবিয়া।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার চার্টার্ড ফ্লাইটে লিবিয়া থেকে ১৪৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাজধানী ত্রিপলির একটি কারাগার থেকে জাতিসংঘ অভিবাসন এজেন্সির সহায়তায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এছাড়া ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে।
ব্র্যাক অভিবাসন বিভাগ ঢাকার প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ৯৬৮ জন বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফেরত আনতে কাজ করছে ব্র্যাক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাড়ছে পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮২ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপিতে।
আইএমএফ জানায়, দেশটির মোট পাবলিক ঋণের এই গতি অব্যাহত থাকবে। তাই পরবর্তী অর্থবছরে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯২ দশমিক ২৪ ট্রিলিয়ন রুপিতে।
গত মাসে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে স্টাফ-লেভেল একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানকে ধাপে ধাপে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে।
পকিস্তানের অর্থনীতিতে সংকট চলছে গত কয়েক বছর ধরেই। এর অন্যতম কারণ হলো করোনা মহামারি, বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতি ও অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক যুদ্ধ। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক সংকট।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আগের অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে কম।

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও এর আগের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও এই প্রবৃদ্ধি অন্য যেকোনো উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে বেশি।
গত কয়েক বছরে ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলেছে দেশটি। তবে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ২০২৭ সালের মধ্যে জার্মানিকে ও ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন

মার্কিন কূটনীতিক ও বিতর্কিত নোবেল বিজয়ী হেনরি কিসিঞ্জার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
স্থানীয় সময় বুধবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস এর বরাতে নিশ্চিত করেছে এ খবর।
কিসিঞ্জার ছিলেন হার্ভার্ডের একজন অধ্যাপক যিনি পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধের অন্যতম কারিগর মনে করা হয় তাকে।
১৯২৩ সালে জার্মানিতে তার জন্ম হলেও ১৯৩৮ সালে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসে। ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পান এবং তিন বছরের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন রাজনীতিতে বিপুল ক্ষমতা লাভ করেন। এর মাধ্যমে তার পূর্ণকালীন অধ্যাপনাও শেষ হয়।

পরে তিনি নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের আমলেও তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল এবং প্রতিবেশীদের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে প্যারিস শান্তিচুক্তি করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
১৯৭৩ সালেই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় চরম বিতর্ক। তার সঙ্গে নোবেল পান উত্তর ভিয়েতনামের নেতা লি ডুক থো, যিনি এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
জার্মানিতে জন্ম নেওয়া এ কূটনীতিক ছিলেন ইহুদী ধর্মের অনুসারী। রাজনীতি করতেন রিপাবলিকান দলে।
আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কিসিঞ্জার অ্যাসোসিয়েটস। এটি একটি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে ফেড

আগামী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মৃদু মন্দা ভাব বিরাজ করতে পারে। ফলে ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৪ সালে সুদহার কমাতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছেন ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা। খবর রয়টার্স।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পূর্বাভাসসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা জানান, ২০২৪ সালে ১৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার কমানো হতে পারে। বর্তমানে ফেডের সুদহার ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা কমে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে আসবে।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ হারে লেনদেন করছেন।
ডয়চে ব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২৪-এর প্রথমার্ধের দুই প্রান্তিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকবে।
এক সাক্ষাৎকারে ব্যাংকটির অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী থাকলে বেকারত্বের হার বাড়বে। চলতি বছর যেখানে এর হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, আগামী বছরের মাঝামাঝিতে তা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।’

প্রবীণ মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রেট রায়ান আরো বলেন, ‘এ সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমবে।’
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে কিছুটা মন্দা পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে।
ডয়চে ব্যাংকের আশা, ২০২৪ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় ফেড সম্মেলনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট হার কমানো হবে। এছাড়া বছরের বাকি সময় আর ১২৫ পয়েন্ট কমানো হবে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ফেডারেল রিজার্ভ ৫২৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদহার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতিতে মন্দা ভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে ভিত্তিহীন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থসংবাদ/এসএম