গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিমা প্যাকেজ চালুর আহ্বান

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমা প্যাকেজ চালুর জন্য মিডিয়া হাউজগুলোর দায়িত্বশীলদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য বিমা প্যাকেজ চালু হলে তা বস্তুনিষ্ঠ কাজে আরও গতি আনবে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে আর্টিকেল নাইনটিন ও ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড (এফপিইউ) আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রুমকি ফারহানা বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মূল বক্তব্য রাখেন ‘অ্যালায়েন্স এক্সিকিউটিভ’ এর পরিচালক এনিসাবোট ক্যানটেনিস। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের জন্যে ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যেসব মিডিয়া হাউজে কর্মক্ষেত্রের ভেতরে এবং বাইরে সাংবাদিকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের বিমা প্রদান করছে।
এ সময় বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক এবং দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বেশিরভাগ শারীরিক ও আইনি হুমকির সম্মুখীন হয় এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বেশিরভাগ মিডিয়া হাউজেরই কোনও যথাযথ বিমা কাভারেজ নেই। যারা ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিমা প্যাকেজ নিয়ে কাজ করেছেন, আমরা তাদের কাছ থেকে ভালো অভিজ্ঞতাগুলো নিতে পারি।’
প্রথম আলোর (ইংলিশ ভারসন) হেড অব অনলাইন আয়েশা কবির বলেন, ‘আমরা যদি একজন বিমা পরামর্শদাতা বা বিশেষজ্ঞ পাই, তাহলে খুব ভালো হয়। যিনি আমাদের প্রয়োজন অনুসারে উপযুক্ত বিমা প্যাকেজগুলো গ্রহণের জন্য নির্দেশনা এবং পরামর্শ দিতে পারেন।’
এজেন্সি অব ফ্রান্স প্রেস (এএফপি) এর ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম বলেন, ‘কাস্টমাইজড চাহিদা অনুযায়ী, স্বল্পমেয়াদি বিমা প্যাকেজ শুরু করার বিষয়ে আমাদের এই আলোচনায় বিমা কোম্পানিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’

অধিবেশনে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সাংবাদিক ফারুখ ফয়সল সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশের মিডিয়া হাউজগুলো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিমাবান্ধব নয়। তবে আমরা মিডিয়া হাউজগুলোর নেতৃত্ব পর্যায়ে যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’
এছাড়াও বৈঠকে দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, বিশেষ প্রতিনিধি আশীষ উর রহমান, দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অব নিউজ এস.এম আকাশ, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র করেসপনডেন্ট ইসরাত জাহান উর্মি তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা জানান।
এ সময় বেশিরভাগ মিডিয়া হাউজগুলোতে সময় মতো বেতন না পাওয়ার উদ্বেগ, চাকরির নিরাপত্তা না থাকা, স্বাধীন মত প্রাকশে ভয়ের সংস্কৃতি, ইত্যাদি আলোচনায় উঠে আসে। সবাই সাংবাদিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের কাজের চ্যালেঞ্জগুলো আলোচনায় উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রথম আলোর সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন, কালের কণ্ঠের রিপোর্টার তৌফিক হাসান, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক জুবায়ের আহমেদ, রেডিও টুডে’র ইমদাদুল আজাদ, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হ্যান্স নিউয়েনহুইভসে প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গণমাধ্যম
ইউনূস ইস্যুতে বিদেশিদের চিঠির প্রতিবাদে ৫০ সম্পাদকের বিবৃতি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্প্রতি খোলা চিঠি দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন নাগরিক। এর প্রতিবাদে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের ৫০টি পত্রিকার সম্পাদক।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের অনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া একটি খোলা চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি একটি সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। এ ধরনের চিঠি প্রদানের মাধ্যমে তারা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন বলে আমরা মনে করি। এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলীর সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এবং নোবেল বিজয়ীদের এ ধরনের বিবৃতি এবং চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং
অনৈতিক। একজন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না এবং বিচার করা যাবে না এমন দাবি ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি। আমরা মনে করি, তারা মামলা সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে এমন দাবি করেছেন। তাই আমরা তাদের অথবা তাদের প্রতিনিধি এসে মামলায় ড. ইউনূসকে আদৌ হয়রানি করা হচ্ছে কিনা, তা তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
সম্পাদকরা আরও বলেন, একই চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ যে কোনো মহলের এ ধরনের অবমাননাকর, অযাচিত ও বেআইনি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যারা

১। ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, সম্পাদক, ডেইলি অবজারভার
২। গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
৩। তাসমিমা হোসেন, সম্পাদক, ইত্তেফাক
৪। আবুল কালাম আজাদ, প্রধান সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
৫। ইমদাদুল হক মিলন, প্রধান সম্পাদক, কালেরকণ্ঠ
৬। আলমগীর হোসেন, সম্পাদক, সমকাল
৭। সাইফুল আলম, সম্পাদক, যুগান্তর
৮। নঈম নিজাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
৯। ফরিদ হোসেন, সম্পাদক, ইউএনবি
১০। শ্যামল দত্ত, সম্পাদক, ভোরের কাগজ
১১। নাঈমুল ইসলাম খান, ইমিরিটাস এডিটর
১২। আলতামাশ কবির, সম্পাদক, সংবাদ
১৩। আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সম্পাদক, পিপলস টাইম
১৪। রেজাউল করিম লোটাস, সম্পাদক, ডেইলি সান
১৫। শাহজাহান সরদার, সম্পাদক, বাংলাদেশ জার্নাল
১৬। নাসিমা খান মন্টি, সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়
১৭। রফিকুল ইসলাম রতন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বাংলাদেশ বুলেটিন
১৮। ফারুক আহমেদ তালুকদার, সম্পাদক, আজকালের খবর
১৯। সন্তোষ শর্মা, সম্পাদক, কালবেলা
২০। শরীফ শাহাবুদ্দিন, সম্পাদক, বাংলাদেশ পোস্ট
২১। শামীমা এ খান, সম্পাদক, জনকণ্ঠ
২২। কমলেশ রায়, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সময়ের আলো
২৩। মুস্তাফিজ শফি, সম্পাদক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ
২৪। মোস্তফা মামুন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দেশ রূপান্তর
২৫। বেলায়েত হোসেন, সম্পাদক, ভোরের ডাক
২৬। চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক বাংলা
২৭। শামীম সিদ্দিকি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, আলোকিত বাংলাদেশ
২৮। আব্দুল মজিদ, সম্পাদক, সংবাদ সারাবেলা
২৯ । রিমন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সংবাদ প্রতিদিন
৩০। মফিজুর রহমান খান বাবু, সম্পাদক, বাংলাদেশের আলো
৩১। আরিফুর রহমান দোলন, সম্পাদক, ঢাকা টাইমস
৩২। নুর হাকিম, সম্পাদক, সকালের সময়
৩৩। মো. জসিম, সম্পাদক, আমার বার্তা
৩৪। আখলাকুল আম্বিয়া, সম্পাদক, স্বাধীন বাংলা
৩৫ । এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী, সম্পাদক, আজকের দর্পণ
৩৬। ফরিদ বাঙ্গালী, সম্পাদক, লাখো কণ্ঠ
৩৭। ড. আসাদুজ্জামান, সম্পাদক, বাংলাদেশ সমাচার
৩৮। কিশোর আদিত্য, সম্পাদক, প্রথম কথা
৩৯। দীপক আচার্য্য, সম্পাদক, দ্যা সাউথ এশিয়ান টাইমস
৪০। আবু সাঈদ, সম্পাদক, আজকের সংবাদ
৪১। আতিকুর রহমান চৌধুরী, সম্পাদক, দর্পণ প্রতিদিন
৪২। রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক, আলোর বার্তা
৪৩। মো. সেলিম, সম্পাদক, ডেইলি ইভিনিং নিউজ
৪৪। মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক, অগ্রসর
৪৫। নাজমুল হক সরকার, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বর্তমান
৪৬। শাহাদাত হোসেন শাহীন, সম্পাদক, গণমুক্তি
৪৭। মো. সাইদুল ইসলাম, সম্পাদক, প্রতিদিনের সংবাদ
৪৮। নাজমুল আলম তৌফিক, সম্পাদক, ডেইলি সিটিজেন টাইমস
৪৯। হেমায়েত হোসেন, সম্পাদক, কান্ট্রি টুডে
৫০। শেখ জামাল, সম্পাদক, মুখপাত্র
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ পাঠিকা অপরাজিতা

কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় দাপট দেখাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আগামীতে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে কোন কোন ক্ষেত্রে বিপ্লব আসবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে সংবাদ সঞ্চালনার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ পাঠিকাকে দিয়ে সংবাদ উপস্থাপন করতে যাচ্ছে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল 24’। যার নাম রাখা হয়েছে অপরাজিতা।
অপরাজিতাই হবেন দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ উপস্থাপক। যেখানে তিনি সংবাদ ও অনুষ্ঠান নিয়ে যুক্ত হবেন। বুধবার (১৯ জুলাই) চ্যানেল 24 এর সন্ধ্যার ৭টার বুলেটিনে যুক্ত হয়েছেন অপরাজিতা।
এই বিষয়ে চ্যানেলটির সিনিয়র নিউজ এডিটর আব্দুল কাইয়ুম তুহিন বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক ধরনের ইতিবাচক সুবিধার বিষয় উঠে এসেছে। তাই আমরাও চাইছি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার। সে লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। আশা করছি দেশের ইতিহাসে এক বিপ্লব ঘটাবে এআই প্রযুক্তি।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
মতিঝিলে পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, ডিআরইউ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাজধানীর মতিঝিলে পুলিশের হাতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) দুই সদস্যসহ ছয়জন সাংবাদিকের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ।
সোমবার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপু সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পথচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের অসদাচারণের কারণ ও তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় মতিঝিলে পুলিশের হাতে শারীরিকভাবে ‘লাঞ্চিত’ হয়েছেন ডিআরইউ সদস্য জয়নাল আবেদীন খান, শেখ আবু তালেবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত আরও চারজন সাংবাদিক। এ ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
এতে বলা হয়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আবু তালেব, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জয়নাল আবেদীন খান, আমার সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক রেদওয়ানুল হক, দেশ রুপান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক এ জেড ভূঁইয়া আনাস, অর্থসূচকের নিজস্ব প্রতিবেদক মো. সুলাইমান ও ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলি পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক আল ইহসান।
এসময় পুলিশের মতিঝিল থানার এএসআই মোর্শেদের নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় নাইমুল ও হুমায়ূন নামের দুজন কনস্টেবল দূর থেকেই মারমুখী ইঙ্গিত দিয়ে সবাইকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিতে থাকেন। সাংবাদিকরা নিজেদের পরিচয় উল্লেখ চলে যেতে উদ্যত হন। এ সময় কস্টেবল হুমায়ূন আরও উত্তেজিত হয়ে কর্কশ ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। তাচ্ছিল্যর সুরে বলেন- আপনারা কোথাকার সাংবাদিক। এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন পুলিশ সদস্যরা।

বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের এভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ডিআরইউ পুলিশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
নিবন্ধনের অনুমতি পেল ১২টি অনলাইন পোর্টাল

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে ১২টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সোমবার (১৭ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. ভেনিসা রড্রিক্স স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এসব পোর্টালকে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে।
নিবন্ধনের অনুমতি পাওয়া ১২টি নিউজ পোর্টাল হলো- অর্থসূচক ডট কম, সময়ের কথা টুয়েন্টিফোর ডট কম, অপরাধের চোখ টুয়েন্টিফোর বিডি ডট কম, আজকের রাবন ডট কম, দিনের শেষে ডট কম, ডেইলি ভোরের পাতা ডট কম, দি নিউজ ই ডট কম, পিপলস নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম, অপরাজেয়া টুয়েন্টিফোর ডট কম, বর্তমানের খবর ডট কম, বাংলার জনপদ ডট কম, দি রিপোর্ট ডট লাইভ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সিমটেক্সের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘পিকে হালদারের পকেটে যাচ্ছে সিমটেক্সের অর্থ’ শিরোনামে গত ১০ জুন অর্থসংবাদে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিবাদ:
‘‘অর্থসংবাদ ডটকম নিউজ পোর্টাল গত ১০ জুন ২০২৩ অপরাহ্নে “পিকে হালদারের পকেটে যাচ্ছে সিমটেক্সের অর্থ” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিমটেক্স কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদ পত্রে সিমটেক্স কতৃপক্ষ জানিয়েছেন “প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আলোচিত পিকে হালদারের সাথে সিমটেক্সের কোনপ্রকার সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। সিমটেক্সের পদচ্যুত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নানান বিভ্রান্তকর তথ্য পরিবেশন করে চলেছেন। তার এই অপতৎপরতার কারনে সকল মহলে নানান বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে ও যার ফলশ্রুতিতে বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রীমকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত ৫জুন দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন জেষ্ঠ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেন্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে সিমটেক্স বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকেই বহাল রেখেছেন”। লিখিত প্রতিবাদ পত্রে সিমটেক্স কতৃপক্ষ সকলকে এধরনের ভিত্তিহীন সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।সিমটেক্স কতৃপক্ষ মনে করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সিদ্ধান্তে দেওয়ার পর এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল। তারা আদালতের সিদ্ধান্তকে সন্মানের সাথে মেনে সংশ্লিষ্টদেক পরবর্তী কাজকর্ম করার অনুরোধ জানিয়েছেন।’’
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
সংবাদটি প্রকাশের আগে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং আদালতে বিচারাধীন আছে এমন কোন তথ্য ছিল না। প্রতিবাদ বার্তায়ও মামলার বিষয়ে বিস্তারিত অনুপস্থিত।
মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়ে আমাদের বক্তব্য- পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আমাদের সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।