আন্তর্জাতিক
বিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

গত দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এখন সর্বনিম্নে অবস্থান করছে বিশ্বের প্রধান খাদ্যপণ্যগুলোর দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আগস্টের সূচক এমন তথ্যই দিচ্ছে। সংস্থাটির খাদ্য মূল্যসূচক আগস্টে ১২১ দশমিক ৪-এ নেমে এসেছে, যা গত মাসে ছিল ১২৪ পয়েন্ট। ২০২১ সালে মার্চের পর এই সূচক এতটা আর কমেনি।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চে খাদ্য সূচক সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেই তুলনায় আগস্টে সার্বিক সূচক ২৪ শতাংশ কমেছে। দুগ্ধজাত পণ্য, তেলবীজ, মাংস, দানাজাতীয় খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাবারের দামই কমেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শস্যচুক্তি বাতিল হওয়ার পরও গম বা ভুট্টার বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। ব্রাজিলের উদ্বৃত্ত উৎপাদন আর যুক্তরাষ্ট্রে ফসল তোলার সময় ঘনিয়ে আসায় এই দুই খাদ্যের দামই বরং কমেছে। ভোজ্য তেলের দাম কমেছে তিন দশমিক এক শতাংশ। আর দুগ্ধজাত পণ্যের দাম চার শতাংশ কমেছে।
তবে ব্যতিক্রম চালের বাজার। ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বিশ্ববাজারে এর দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে চালের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে এক দশমিক তিন শতাংশ দাম বেড়েছে চিনির। আগের বছরের তুলনায় চিনির দাম বৃদ্ধির হারও ৩৪ শতাংশে ঠেকেছে। -ডয়চে ভেলে
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
চীনে ৮ মাসে রাশিয়ার রেকর্ড এলএনজি রফতানি

চীনে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি রেকর্ড বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি এসেছে ৬০ শতাংশ। চীনের শুল্ক বিভাগ চলতি সপ্তাহে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরটি।
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়া চীনে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি সরবরাহ করে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির তৃতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয় রাশিয়া। চীনে এলএনজি রফতানির তালিকায় প্রথম অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় কাতার।
শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ আট মাসে ৩৫৩ কোটি ডলারের এলএনজি রফতানি করা হয়।
শুধু আগস্টেই রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের এলএনজি চীনে রফতানি করা হয়। অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে আট মাসে অস্ট্রেলিয়া চীনে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে। রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯৪৪ কোটি ডলার। কাতার দেশটিতে ৬৮১ কোটি ডলারের ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর এলএনজির রফতানি গন্তব্যে বড় পরিবর্তন আনে রাশিয়া। আগে দেশটি উৎপাদন এলএনজির সিংহভাগ বিক্রি করত ইউরোপের দেশগুলোয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এশিয়াকে বিকল্প বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশটি। এ অঞ্চলে চীন ও ভারতে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রাশিয়ার এলএনজি রফতানি অব্যাহত বাড়ছে। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোয় রুশ এলএনজির ব্যাপক চাহিদা রফতানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী নিকোলাই সালগিনভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস রফতানির পরিবর্তে এলএনজি রফতানি অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।’
এলএনজি রফতানিতে এরই মধ্যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে জানান সালগিনভ। তিনি বলেন, ‘আমরা রফতানির মাত্র কয়েক শতাংশ নিয়ে কথা বলছি। তবে বিশ্বজুড়েই রুশ এলএনজির ক্রেতা রয়েছে। আমাদের নতুন অংশীদার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধু নয়, বরং ইউরোপের ব্যবহারকারীদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রুশ এলএনজির।’
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন ১০ কোটি টনে উন্নীত করতে আমরা একটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী। এটির অধীনে প্রথম উৎপাদন লাইন স্থাপনের কারণে চলছে। আগামী বছরের মধ্যে লাইনটি ৬৮ লাখ টন পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছবে। আমরা মারমানস্কে একটি নতুন এলএনজি প্লান্ট স্থাপনের বিষয়েও আলাপ আলোচনা করছি। এতে তিনটি লিকুইফ্যাকশন লাইন থাকবে, যেগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা হবে ৬৮ লাখ টন।’
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে বাড়ছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে, ফলে উপকৃত হচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে সেই উদ্যোগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদি আরবে নারী কর্মশক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে মোট মানবসম্পদের ৩৬ শতাংশ হয়েছে। এই অগ্রগতি ভিশন-২০৩০ এর ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ উদ্যোগের লক্ষ্য নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।
এছাড়াও, সৌদি আরবে নারী শিক্ষারও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ৩২ শতাংশ নারী কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৭ সাল যা ছিল ২৬ শতাংশ।

এদিকে ফার্স্ট আবুধাবি ব্যাংক (এফএবি) ও ওয়েলথব্রিফিং প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, নারীদের সম্পদ বৃদ্ধি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনছে।
‘উইনিং উইমেন ইন মেনা: হাউ ওয়েলথ ম্যানেজারস ক্যান হেল্প ফারদার ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি দায়ী।
এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি আরবে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এই অঞ্চলে প্রতি তিনটি নতুন ব্যবসার মধ্যে একটির উদ্যোক্তা নারী।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আরব আমিরাতে স্বর্ণ সরবরাহ বাড়ালো রাশিয়া

সংযুক্ত আরব আমিরাতে শীর্ষ স্বর্ণ সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলোর আমদানি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে রুশ স্বর্ণ কেনার পরিমাণ নজিরবিহীন বাড়িয়েছে দেশটি। খবর আরটি।
তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত রাশিয়ার কাছ থেকে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ স্বর্ণ আমদানি করে, যা রাশিয়ার বার্ষিক স্বর্ণ উত্তোলনের এক-তৃতীয়াংশ। এর মধ্য দিয়ে রুশ স্বর্ণের শীর্ষ ক্রেতা হয়ে ওঠে আমিরাত।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার আগে রাশিয়ার স্বর্ণ রফতানির প্রধান বাজার ছিল যুক্তরাজ্য। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর জি৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে দেশটিও রুশ স্বর্ণ আমাদনির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাত রুশ স্বর্ণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া থেকে বিরত থাকে। উল্টো রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সহায়তা আরো জোরদার করে দেশটি।
এদিকে আরব আমিরাতের পাশাপাশি চীন ও তুরস্কও ১৮ মাস ধরে রাশিয়া থেকে স্বর্ণ কেনার হার বাড়িয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩ মার্চ পর্যন্ত রুশ স্বর্ণ রফতানির ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশই গেছে এ তিন দেশে।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে জুমার খুতবা দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এর মধ্যেই শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে পবিত্র জুমার নামাজের খুতবা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সেদিন জুমার নামাজ শেষে মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রীর কাছে কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন অ্যান্ড্রু ভিনালস নামে স্প্যানিশ এক নাগরিক। আনোয়ার ইব্রাহিমের এমন কাজ সারা মুসলিম বিশ্বে প্রসংসা কুড়িছেছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দ্য নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন জুমার নামাজের আজান দেন যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি কারী আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী। এ সময় তিনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন। পরে মসজিদের ইমাম সা’দ জালোহর ইমামতীতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে দোয়া ও খুতবা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে। এ অনুরোধে সাড়া দেন তিনি।
উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমরা সব সময় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহনশীলতা প্রচারের চেষ্টা করি। আমরা অন্যদের সংস্কৃতি ও ধর্ম বোঝার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি, কারণ সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাসের জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলিম ঐক্য ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, একজন মুসলিমের জন্য জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা অবশ্য কর্তব্য। অমুসলিমরা যেন আমাদের দেখেই ইসলামে আগ্রহী হয়। আমাদের শুধু ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করে থেমে থাকলে চলবে না, আধুনিক প্রযুক্তিখাতেও দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধে ‘মালয়েশিয়া মাদানি’ ধারণার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যখন বিভিন্ন দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটছিল, তখন মালয়েশিয়া পবিত্র কোরআনের ১০ লাখ কপি ছাপিয়েছে। এরপর আমরা ১৫ হাজার কপি সুইডেনে পাঠিয়েছি, যেন তারা কোরআন দেখে ও তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে।

ইসলামিক সেন্টারের ইমাম সাদ জুল্লাহ বলেন, মুসলিম বিশ্বের প্রশংসিত নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম আমাদের মসজিদে উপস্থিত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। দিনটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিকভাবে স্মরণীয়। তিনিই প্রথম কোনো বিশ্বনেতা, যিনি এই সেন্টার পরিদর্শন করেছেন ও জুমার নামাজের খুতবা দিয়েছেন।
জানা যায়, নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। এ সময় ঘোষণা করা হয়- এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চান ও ইসলামিক সেন্টারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, ওই ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা যেন মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রীর হাতেই হয়। পরে আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে শাহাদাহ পড়িয়ে ইসলামে দীক্ষিত করেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মিডিয়া কর্মকর্তা জানান, ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি কাকতালীয়। এটি আমাদের নেতার দাপ্তরিক কার্যক্রমের অংশ ছিল না।
আনোয়ার ইব্রাহিম বিভিন্ন সময় নামাজের ইমামতী করে থাকেন। তিনি ইসলামী পণ্ডিত হিসেবে পরিচিত ও সহিভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারদর্শী। তিনি এবারই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন। তাই তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের বিশেষ আগ্রহ ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১৪১ কোটি মানুষের দেশে পড়ে আছে অনেক খালি বাড়ি

চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটিরও বেশি। তবুও খালি পড়ে আছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বানানো বড় অঙ্কের বসত বাড়ি। এককালে চীনা অর্থনীতির মূল স্তম্ভ ছিলো আবাসন খাত। ২০২১ সালের পর থেকেই এই ব্যবসা পড়তি অবস্থা দেখছে।
রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপসহ অন্যান্য সংস্থার লাগাতার ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সংকটের অন্যতম কারণ। সর্বশেষ কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ধস এ খাতে বড় হতাশার সৃষ্টি করেছে।
সংস্থাগুলোর দেনা আবাসন খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে ক্রেতারাও নতুন অ্যাপর্টমেন্ট ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে অবিক্রিত, খালি ও ইনস্টটলমেন্ট আটকে যাওয়া ফ্লাটের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যা চীনের অর্থনৈতিক সংকটের বড় কারণ।
দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল নাগাদ তথ্য মতে, আগস্টের শেষ পর্যন্ত অবিক্রিত বাড়ির সম্মিলিত ফ্লোরের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি বর্গফুট। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকার গড়ে ৯৭০ বর্গফুট ধরলে অবিক্রিত বাড়ির সংখ্যা হবে ৭২ লাখ।
যে বাড়িগুলো এর মধ্যেই বিক্রি হয়েছে সেগুলো গণনাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যানে কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ঋণ এখনো পরিশোধ হয়নি।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক উপ-প্রধান হে কেং বলেন, এখন কয়টা খালি বাড়ি আছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলাদা আলাদা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে চরম মতটি হলো, বর্তমানে খালি থাকা বাড়ি ৩০০ কোটি মানুষ থাকার জন্য যথেষ্ট।
সরকারি মিডিয়া চায়না নিউজ সার্ভিস দক্ষিণ চীনে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ৮১ বছর বয়সী হে কেং-তে আগের কথার সূত্র ধরে বলতে শোনা যায়, এ অনুমান কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সম্ভবত ১৪০ কোটি মানুষও খালি থাকা বাড়িগুলো ভর্তি করতে পারবেন না।
প্রকাশ্যে ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ খাত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে সরকারি বয়ানের বিপরীত। সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চীনের অর্থনীতির পতনের ভবিষ্যদ্বাণী প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। কিন্তু চীনের অর্থনীত ধসে পড়ছেন না, ধসে পড়ছে এ ধরনের অতিকথন।
অর্থসংবাদ/এমআই