লাইফস্টাইল
পেয়ারা কেন খাবেন?

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত মৌসুমী ফল খেতে হবে। এই সময়ে বাজারে পাওয়া যায় পেয়ারা। এটি স্বাদ এবং পুষ্টিতে অনন্য। পেয়ারায় থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাসিয়াম। এতে ক্যালরি থাকে কম এবং ফাইবার থাকে বেশি। নিয়মিত পেয়ারা খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে উপকারী ফল পেয়ারা। এটি ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস। কমলার চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে তা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী
খেতে মিষ্টি হলেও পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি ফাইবারের ভালো উৎস। সেইসঙ্গে এর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। যে কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। কম গ্লাইসেমিক সূচক চিনির মাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধি রোধ করে। পেয়ারায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পেয়ারা হার্ট সুস্থ রাখে
হার্ট সুস্থ রাখতে কাজ করে পেয়ারা। এতে প্রচুর পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম পাওয়া যায়। এই দুই উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে পাকা পেয়ারা খেলে তা রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। এটি উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। পেয়ারা খেলে উপকারী কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ৮ শতাংশ। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো। পেয়ারা পাতার নির্যাসও হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
ওজন কমাতে কাজ করে
ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী পেয়ারা। এই ফল আমাদের বিপাক ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই চিনিযুক্ত পানীয় বা খাবারের বদলে পেয়ারা পাতার চা এবং পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে দ্রুত ওজন কমবে। পেয়ারায় ক্যালরি কম থাকে ঠিকই তবে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
ঘর থেকে পিঁপড়া যেভাবে দূর করবেন

ক্ষুদ্র একটি পোকা, কিন্তু মানুষকে অতিষ্ঠ করতে দারুণ পটু। যেকোনো খাবারেই সে অনাধিকার প্রবেশ করতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার হলে তো কথাই নেই। তখন দলবল নিয়ে চলে আসে। আবার কখনো কখনো ঢুকে পড়ে আমাদের কানের ভেতরে। তখনকার বিপদের কথা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। ঠিক ধরেছেন, বলছি পিঁপড়ার কথা।
পিঁপড়ার উৎপাত থেকে বাঁচতে অনেকে অনেক উপায় বেছে নেন। কিন্তু সবগুলো উপায় সব সময় কার্যকরী হয় না। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমনটা ঘটে তবে দুশ্চিন্তা না করে বেছে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়। কারণ কীটনাশক ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এটি নানা রকম ক্ষতির কারণ হতে পারে। পিঁপড়ার হাত থেকে বাঁচতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়–
বরিক অ্যাসিড ও চিনি
বরিক অ্যাসিড ও চিনি ব্যবহার করে পিঁপড়া দূর করা সম্ভব। সেজন্য বরিক অ্যাসিডের সঙ্গে কিছু চিনি মিশিয়ে সেই মিশ্রণ একটি পাত্রের ভেতরে ঢেলে রাখুন। পিঁপড়া যখন চিনির গন্ধ পেয়ে তা খেতে আসবে তখন সেই বরিক অ্যাসিড মিশ্রিত চিনি খেলে নিমিষেই মারা যাবে। এভাবে পিঁপড়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
বাসন পরিষ্কার করার সাবান ব্যবহার
পিঁপড়া দূর করার জন্য বাসন পরিষ্কার করার সাবান এবং বেশ কাজের। ঘরে পিঁপড়ার উপদ্রব টের পেলে তখনই বাসন পরিষ্কার করার সাবান ও পানি মিশিয়ে সেখানে স্প্রে করে দিন। এতে পিঁপড়া আর বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা কঠিন যে ৩ রোগের লক্ষণ

লেবুর রস ব্যবহার
লেবুর রস শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এটি পিঁপড়া দূর করতেও কাজ করে। সেজন্য প্রথমে একটি লেবু চিপে রস সংগ্রহ করুন। এবার সেই লেবুর রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এরপর বাড়ির যেখানে পিঁপড়ার উপদ্রব বেশি সেখানে স্প্রে করে দিন এই লেবুর রসের মিশ্রণ। এতে পিঁপড়া আর সেখানে থাকবে না।
ভিনেগার ব্যবহার
পিঁপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি ভিনেগার দারুণ একটি উপাদান। ভিনেগার স্প্রে করলেও পিঁপড়া তার দলবল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাবে। তবে বাড়িতে যদি ভিনেগার না থাকে মরিচ, দারুচিনি ও লেবুর খোসা কাপ পানিতে ফুটিয়ে নেবেন। এরপর সেই পানি ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এবার যেখানে পিঁপড়ার উপদ্রব সেখানে স্প্রে করলে পিঁপড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
দারুচিনি গুঁড়া
দারুচিনি নানা ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি পিঁপড়া তাড়ানোর মতো কাজেও সাহায্য করে। সেজন্য কী করতে হবে? রাতে ঘুমানোর আগে পিঁপড়ার বাসা ও এর আশেপাশে দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। সকালে উঠে দেখবেন পিঁপড়া দূর হয়ে গেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব কাজ ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে আপনার কিছু কাজ। আপনি হয়তো জানতেও পারেন না, আপনার প্রতিদিনের কিছু কাজ কীভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই সেসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। এর হাত ধরে আসে নানা ধরনের রোগ। তখন সেসব সামলানো মুশকিল হয়ে যায়।
ডায়াবেটিস হলো মেটাবলিক ডিজর্ডার। শরীরের নিয়মে গন্ডগোল হলেই বাসা বাঁধে এই রোগ। তাই এই সমস্যাকে বলা হয় মেটাবলিক ডিজর্ডার। মেটাবলিজম সিস্টেম আমাদের খাবার হজম ও অন্যান্য প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এর দিকে বিশেষ যত্নশীল হওয়া জরুরি।
আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন অনিয়মিত হলে এই মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দেয়। এটি আসলে একটি ঘড়ির মতো কাজ করে। মেটাবলিজমে গন্ডগোল দেখা দিলে সেই ঘড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কী রয়েছে এই খারাপ অভ্যাসের তালিকায়? দেখে নিন-
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির জন্য যেসব কাজ বা অভ্যাস দায়ী তার মধ্যে প্রথমেই রাত জেগে থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রাত জেগে কাজ করা বা অবসর উপভোগ করা আসলে শরীরের পক্ষে কাজ করে না। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে রাত জেগে কাজ করার বা মুভি দেখার। এই অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে রয়েছে অনিয়মিত খাবার খাওয়া। একেকদিন একেক সময়ে খাবার খেলে তা খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে ব্যাহত হয় মেটাবলিজম প্রক্রিয়া। সেখান থেকে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে।
আরেকটি অভ্যাস হলো অসময়ে খাবার খাওয়া। যখন যা মন চায় খেতে শুরু করলে তা একটা সময় আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। অসময়ে ভাজাপোড়া খাবার, জাঙ্কফুড খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। যে কারণে অল্প বয়স থেকেই এই রোগের লক্ষণও দেখা দিতে থাকে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গৃহিণীরা যে ৫ উপায়ে আয় করতে পারেন

আমাদের বেশিরভাগ গৃহিণীরই অর্থ উপার্জনের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস নেই। যদিও বাড়িতে তারা অন্য অনেকের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করে থাকেন, তবে সেগুলোর আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না, সম্ভবত গৃহিণীরাও তা চান না। তারা পরিবারের সবার জন্য ভালোবেসে দায়িত্ব পালন করে যেতে ভালোবাসেন। তবে মায়া-মমতার পাশাপাশি প্রয়োজন আর্থিক স্বচ্ছলতাও। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার যুগে গৃহিণীরা চাইলে বাড়িতে বসেই কিছু না কিছু উপার্জন করতে পারেন। বাড়ি সামলানোর পাশাপাশিই তারা এসব কাজ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন কাজ
গৃহিণীদের দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি চমৎকার উপায়। অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ দেয়। গৃহিণীরা বাড়িতে থেকেই প্রকল্পে কাজ করতে পারেন, তারা তাদের সময় অনুযায়ীই কাজ করতে পারবেন।
যা করবেন
* আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের জায়গা খুঁজে বের করুন।
* একটি আকর্ষণীয় অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করুন।
* একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে ছোট প্রকল্প দিয়ে কাজ শুরু করুন।
* নেটওয়ার্ক এবং রিপিট বিজনেসের জন্য ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন
অনলাইন টিউটরিং
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো হন বা আপনার শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে অনলাইন টিউটরিং একটি লাভজনক উপায় হতে পারে। বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্ম শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শেখানোর সুযোগ দেয়। গৃহিণীরা তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারেন এবং সুবিধা অনুযায়ী সময়সূচী সেট করতে পারেন।
যা করবেন
* আপনার পছন্দের বিষয়গুলো বেছে নিন।
* একটি কাঠামোগত এবং ইন্টারেক্টিভ শিক্ষণ-শৈলী বজায় রাখুন।
* সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিউটরিং প্ল্যাটফর্মে আপনার পরিষেবার বিজ্ঞাপন দিন।
* শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য একটি বিনামূল্যে ট্রায়াল ক্লাস দিতে পারেন।
কন্টেন্ট তৈরি এবং ব্লগিং

ব্লগিং, ভ্লগিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিং সহ কন্টেন্ট তৈরি করা উপার্জনের একটি সৃজনশীল উপায় হতে পারে। গৃহিণীরা রান্না, পেরেন্টিং, ফ্যাশন বা ভ্রমণের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের আগ্রহের বিষয়ে একটি ব্লগ বা একটি অনলাইন চ্যানেল শুরু করতে পারেন।
যা করবেন
* আপনার আগ্রহের একটি বিষয় নির্বাচন করুন।
* সামঞ্জস্যতা মূল বিষয়; নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ করুন।
* সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার সামগ্রী প্রচার করুন।
* সহযোগিতা পাওয়ার করার জন্য দর্শক বেজ তৈরি করুন।
রান্না এবং ক্যাটারিং
আপনি যদি রান্নায় দক্ষ হন তবে হোম-ভিত্তিক ক্যাটারিং বা টিফিন পরিষেবা শুরু করতে পারেন। অনেক কর্মজীবী এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দোরগোড়ায় ঘরে তৈরি খাবারের সন্ধান করে। সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সামাজিক মিডিয়া এবং স্থানীয় বিজ্ঞাপন ব্যবহার করুন।
যা করবেন
* স্বাস্থ্যবিধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
* বিভিন্ন বিকল্পসহ একটি মেনু তৈরি করুন।
* অফার ডেলিভারি বা পিক আপ ব্যবস্থা রাখুন।
দূরবর্তী গ্রাহক সহায়তা
অনেক ব্যবসার ভার্চুয়াল সহায়তা এবং গ্রাহক সহায়তার প্রয়োজন। গৃহিণীরা তাদের প্রশাসনিক দক্ষতাগুলো দূরবর্তী সহায়তার সন্ধানকারী সংস্থাগুলোকে অফার করতে পারে। কাজগুলোর মধ্যে ইমেইল পরিচালনা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচী, ডেটা এন্ট্রি এবং গ্রাহক পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
যা করবেন
* আপনার সাংগঠনিক এবং যোগাযোগ দক্ষতা তুলে ধরুন।
* ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে যোগ দিন বা সরাসরি কোম্পানিগুলোতে আবেদন করুন।
* কাজের সময়সূচী তৈরি করুন এবং সীমানা নির্ধারণ করুন।
* কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং সফ্টওয়্যার বিনিয়োগ করুন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
‘মৃতদেহ ফুল’ বিলুপ্তপ্রায়, বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলের নাম হলো র্যাফলশিয়া। এ ফুল করপস ফ্লাওয়ার বা মৃতদেহ ফুল নামেও পরিচিত। এর কারণ, এই ফুলে পচন ধরলে মৃতদেহের মতো দুর্গন্ধ ছড়ায়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ বিষয়টি কৌতুহলী করে রেখেছে বিজ্ঞানীদের। পরজীবী এই ফুলটি এখন বিলুপ্তির ঝুঁকিতে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্কতা দিয়েছেন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত র্যাফলশিয়া ফুলের ৪২ রকম প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিলুপ্তির পথে থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা এই ফুলকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, র্যাফলশিয়া ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে পচে যাওয়া মাংসের দুর্গন্ধের জন্য। এমন দুর্গন্ধে তার কাছে উড়ে যায় মাংসখেকো মাছি। এই ফুলের ব্যাস কমপক্ষে এক মিটার।
দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। কিন্তু এ অঞ্চলে যেভাবে বন ধ্বংস করা হচ্ছে, তাতে এই প্রজাতির ফুল টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত জ্ঞাত ৪২ প্রজাতির মধ্যে ২৫টিকে অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। ১৫টিকে রাখা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাটেগরিতে।
প্লান্টস, পিপল, প্লান্টে জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক জরিপে বলা হয়েছে, সংরক্ষণ কৌশল অবলম্বন করে এখন টিকিয়ে রাখা হয়েছে এদের দুই-তৃতীয়াংশকে। এই ফুল যে বিলুপ্তির মুখে এ বিষয়ে এটাই বিশ্বে প্রথম মূল্যায়ন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
উপুড় হয়ে ঘুমানো কী ক্ষতিকর?

ঘুমের অভ্যাস একেকজনের একেকরকম। কেউ কাত হয়ে ঘুমাতে ভালোবাসেন, কেউ আবার চিৎ হয়ে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা উপুড় হয়ে ঘুমাতে বেশি পছন্দ করেন। ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের সবার জন্যই জরুরি। আর ভালো ঘুমের জন্য মেনে চলতে হয় কিছু অভ্যাস। আচ্ছা, আপনার কীভাবে ঘুমান? আপনার কি উপুড় হয়ে ঘুমোনার অভ্যাস? আপনি কি জানেন, এই অভ্যাসের ফলে কী হয়?
উপুড় হয়ে বই পড়তে পড়তে বা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন অনেকে। এভাবে ঘুমোনোর ফলে সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর। সেটি কি আসলে ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত যদি আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তাহলে আপনার মেরুদণ্ড, ফুসফুসের উপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও বেশ প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা তাই উপুড় হয়ে ঘুমানোর বদলে চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এটাই বরং বেশি উপকারী।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে আমাদের মেরুদণ্ড বা অন্ত্রে চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাসের ফলে আমাদের ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। যে কারণে বেশিরভাগ সময়েই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে দেখা দিতে পারে কোমরে সমস্যাও। আপনার যদি এভাবে ঘুমের অভ্যাস থাকে তবে খেয়াল করে দেখুন, মাঝেমাঝেই আপনি কোমার ব্যথায় ভুগছেন কি না। সেইসঙ্গে হতে পারে আরেকটি অদ্ভুত সমস্যা, সেটি হলো ত্বকের। উপুড় হয়ে ঘুমানোর ফলে মুখের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এদিকেও নজর দিন।

অর্থসংবাদ/এমআই