আন্তর্জাতিক
১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদে সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ধনী আজিজ খান

১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ নিয়ে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আবারও স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম।
গতকাল যখন এ তালিকা প্রকাশিত হয়, তখন আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ২৮৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রায়)। আজ এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবশ্য তাঁর সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ‘ফোর্বস’ সাময়িকীর তথ্যানুসারে, আজ আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ দুই কোটি ডলার কমেছে।
‘ফোর্বস’–এর ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। সেবার তাঁর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে চলতি বছর ধনীদের তালিকায় আজিজ খান এক ধাপ এগিয়েছেন এবং তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১২ কোটি ডলার।
সিঙ্গাপুরের জন্য করা তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম হলেও ‘ফোর্বস’–এর করা বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় তাঁর স্থান দেখানো হয়েছে ২৫৪০তম। এ অবস্থানে তিনি অবশ্য আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আছেন।
২০২১ সালে আজিজ খানের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৯ সাল থেকে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপর ২০২২ সালে তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ফলে তিনি ‘ফোর্বস’–এর বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের তালিকায়ও স্থান পান।
‘ফোর্বস’ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে মুহাম্মদ আজিজ খান জাপানি প্রতিষ্ঠান জেরার কাছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ শেয়ার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দেন। সেই বিক্রয়মূল্যের ওপর ভিত্তি করে তখন সামিট পাওয়ারের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের নাগরিক ৬৮ বছর বয়সী আজিজ খান এক যুগের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে সামিট গ্রুপের এবং তাদের সব সম্পদ বাংলাদেশেই রয়েছে।
সামিটের অধীন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল।
সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সে জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে। ‘ফোর্বস’ জানাচ্ছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের কন্যা আয়েশা খান বর্তমানে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল পরিচালনা করেন।
মার্কিন এ সাময়িকীর তালিকায় আজিজ খানের যে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, তিনি তিন সন্তানের পিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে তিনি মাস্টার্স করেছেন।
‘ফোর্বস’–এর নতুন তালিকা দেওয়ার পর আজিজ খান বা তাঁর প্রতিষ্ঠানের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে গত বছর ‘ফোর্বস’–এর ধনীদের তালিকায় ৪২তম স্থানে তাঁর নাম আসার পর সামিট গ্রুপের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, ‘ফোর্বস’ মুহাম্মদ আজিজ খানের যে সম্পদের হিসাব দিয়েছে, সেটি শুধু বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব। এর বাইরে সামিটের অন্যান্য খাতের ব্যবসার সম্পদের হিসাব সেখানে যুক্ত হয়নি।
জানা যায়, সামিটের যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসায় এসে ভালো করে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় তাদের দ্রুত অগ্রগতি হয়। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ক্ষমা চাইলেন জাস্টিন ট্রুডো

সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া এক ইউক্রেনীয় ব্যক্তিকে কানাডার পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মান জানানোয় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন ট্রুডো।
এর আগে একই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের স্পিকার অ্যান্থনি রোটা। তিনি ওই ব্যক্তিকে পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রশংসাও করেছিলেন। তীব্র সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন রোটা।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিকেলে হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, ‘এই ঘটনায় “ভয়ানক ভুল” হয়ে গেছে। ওই সময় এই পার্লামেন্টে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি।’
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, ‘সঠিক পরিচয় না জেনে ওই ব্যক্তিকে সম্মান জানানো একটি ভয়ানক ভুল। নাৎসি বাহিনীর নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি অশ্রদ্ধা। এ জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার কানাডার পার্লামেন্টে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই দিন কানাডার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে হাজির ছিলেন।

অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন ৯৮ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় নাগরিক ইয়ারোস্লাভ হানকা। এ সময় তাঁকে ‘বীর’ হিসেবে প্রশংসা করেন স্পিকার রোটা। উঠে দাঁড়িয়ে জানানো অভ্যর্থনা (স্ট্যান্ডিং ওভেশন) পান হানকা। রোটা তাঁর প্রশংসা করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর ১৪ ওয়াফেন-এসএস গ্রেনাডিয়ার ডিভিশনে কাজ করেছিলেন হানকা। এটি ছিল নাৎসি বাহিনীর অধীন একটি স্বেচ্ছাসেবী ইউনিট। এই ইউনিটের বেশির ভাগ সদস্য ছিলেন ইউক্রেনীয়রা।
কানাডার পার্লামেন্টে হানকাকে সম্মান জানানোয় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। পরে রোটা দাবি করেন, তিনি হানকার নাৎসি-সংশ্লিষ্টতার কথা জানতেন না। তিনি তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভুল করেছেন। অবশেষে সমালোচনার মুখে গত মঙ্গলবার স্পিকারের পদ ছাড়তে হয় রোটাকে।
সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রুডোও। গত সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ঘটনাটি কানাডার পার্লামেন্টের জন্য, সব কানাডীয়র জন্য খুবই বিব্রতকর বিষয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দাবানল মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ছাগল ব্যবহার

দাবানল মোকাবিলায় ব্যতিক্রমী একটি পথ খুঁজে পেয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার বড় কারণ যে ঝোপঝাড়, সেগুলো পরিষ্কার করতে ছাগলের পাল কাজে লাগাচ্ছে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটি।
সারাক্ষণ পেটভরা ক্ষিদে নিয়ে ঘোরা একপাল ছাগল একদিনে প্রায় এক একর জমি সাফ করে দিতে পারে। তাই দাবানল ছড়িয়ে পড়া কমাতে দারুণ কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব উপায় এটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহতম দাবানলের ঘটনাগুলো ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ১৯৮০ সালের পর থেকে সেগুলো আরও নিয়মিত, ধ্বংসাত্মক ও বৃহত্তর হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে ছাগল পালনকারী মাইকেল চোই বলেন, আমরা সব জায়গা থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমি যতদূর বলতে পারি, এটি সবার জন্যই জয়।
ছাগল পালন ও সেগুলো লিজ দেওয়া চোই’র পারিবারিক ব্যবসা। তার পালে প্রায় ৭০০ ছাগল রয়েছে। সেগুলো দমকল বিভাগ, স্কুলসহ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ছাগলের সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে তাকে।

চোই বলেন, আমি মনে করি, এই ধারণা এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে মানুষ আরও সচেতন হলে তারা আগাছা পরিষ্কার ও ভূমিকে আগুন থেকে রক্ষার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, সে সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠবে। সুতরাং, অবশ্যই (ছাগলের) একটি বড় চাহিদা রয়েছে এবং তা ক্রমেই বাড়ছে।
এই কাজে অতিরিক্ত কোনো পরিশ্রমের দরকার নেই। ছাগলদের কেবল পানি দিলেই চলে। তারা ঘাসযুক্ত সমতল ভূমি কিংবা খাড়া ঢাল, যেকোনো জায়গায় চরতে পারে। ছাগলগুলোকে পাহারা দেওয়ার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করেন মাইকেল চোই।
তিনি বলেন, দমকল বিভাগের যতটা দরকার (মাটি থেকে প্রায় তিন ইঞ্চি পর্যন্ত), ছাগলগুলো প্রায় ততটাই খায়। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তারা তাদের মলমূত্র ও খুর দিয়ে মাটির উপকারও করে।
২০২১ সালে ‘অভূতপূর্ব’ দাবানলের মুখোমুখি হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া। গত বছর তা কিছুটা ‘হালকা’ ছিল এবং এ বছরের আগস্ট মাস ছিল গড়ের তুলনায় শীতল ও আর্দ্র। এরপরও সেখানকার বিশাল বনভূমি দাবানলে পুড়ে গেছে এবং তাতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাইলটদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করবে এয়ার ইন্ডিয়া

পাইলটদের প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়াতে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রসারণের অংশ হিসেবেই কেবিন ক্রু, প্রকৌশলী ও বিমানবন্দর কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ইঙ্গিত করে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাম্পবেল উইলসন বলেন, ‘২০ কোটি ডলারের এ বিনিয়োগ কেবল এয়ার ইন্ডিয়ার সক্ষমতাই বাড়াবে না, বাড়াবে অন্যদের ক্ষেত্রেও।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়া ৭ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে নতুন ৪৭০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করে বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে। এর বাইরে নেটওয়ার্কে নতুন গন্তব্য যুক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি উড়োজাহাজ ভাড়া করছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ১১টি উড়োজাহাজ ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাদের মধ্যে ছয়টি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। বাকি পাঁচটি যুক্ত হবে ২০২৪ সালের মার্চে।
টাটা গ্রুপ অধিগ্রহণ করে নেয়ার পর পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া নতুন লোগো উন্মোচন করে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনা সাফল্যের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় কোম্পানি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের এ সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার টানাপড়েন স্পষ্ট। পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় দূরত্ব বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের খবরে এটিকে অকপট ও বাস্তবসম্মত আলোচনা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইইউর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসও এ আলোচনা নিয়ে আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ইইউ কোম্পানিগুলো চীনের সাফল্যের গল্পের অংশ হতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় ব্যয় করার তাৎপর্য রয়েছে।’
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সরবরাহ চেইন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফাং বলেছেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে তার দেশ প্রস্তুত। এ আলোচনা উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেবে বলেও মত দেন তিনি।
হি লাইফাং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’
এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে মরক্কো

ষাট বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোর উপদ্রুত অঞ্চল। ৮ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটন খাত। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে খাতটিতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সমুদ্রসৈকত ও থিম পার্কের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের দেয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। খবর দ্য ন্যাশনাল।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মরক্কান এজেন্সি ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের প্রধান ইমাদ বাররাকাদ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশটি পর্যটন খাতে বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়। বর্তমানে মরক্কো প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায়, যার ৮০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ ও ২০ শতাংশ বিদেশী।
বিনিয়োগকারী আকর্ষণে পর্যটন খাতে মূলধন ব্যয়ের বিপরীতে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দেবে মরক্কো।
মরক্কো পর্যটন খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায়। খাতটি থেকে বৈদেশিক আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দেড় গুণ। পুরো পরিকল্পনাটি ২০২৩-২৬ কৌশলপত্রের অন্তর্ভুক্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই