শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার। এর আগে গতকাল (বুধবার) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত।
তিনি জানান, শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার একদিন বন্ধের পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারতের সঙ্গে হিলি স্থলবন্দর দায়ে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। তা আনলোড করে দেশি ট্রাক লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকাল বুধবার হিলি স্থলবন্দরে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। আজও স্বাভাবিক রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
দেশের বাজারে কমলো সোনার দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে।
জানা গেছে, সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে ২৫ আগস্ট ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২২২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা। দেশের ইতিহাসে আগে কখনো সোনার এত দাম হয়নি।
এক মাসের বেশি সময় ধরে রেকর্ড এই দামে দেশের বাজারে সোনা বিক্রি হয়েছে। এক মাস পর এখন দাম কিছুটা কমানো হলো। অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের বাজুস নির্ধারিত দামের থেকেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা গুণতে হবে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূইয়া লিটনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২২৪ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা।
এর আগে ২২ আগস্ট সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২২২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪১ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৬৩৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়িয়ে ৬৯ হাজার ৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ বুধবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়ছে।
এখন সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা এক হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ঢাকায় কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু কাল

রাজধানী ঢাকায় প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কাল বৃহস্পতিবার শুরু হবে। রাজধানীর পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বসুন্ধরায় ‘নবম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান আয়োজকেরা।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (রিমস) যৌথভাবে ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর আয়োজক। তারা জানায়, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াসহ ২০টিরও বেশি দেশ থেকে শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। এই প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১১তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং ফুড ইনগ্রেডিয়েন্ট এক্সপো ২০২৩ নামে আরও দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারপারসন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাত অত্যন্ত ভালো করছে। এই খাত দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। এই প্রদর্শনী কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতে আমাদের সক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক বলেন, বর্তমানে বাপার সদস্য সংখ্যা ৪৭৯। তারা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে। দেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ২২ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ২ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই খাতের রপ্তানির পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চানমোহন সাহা, বাপার সহসভাপতি আবদুল মাজেদ, পরিচালক নাজমুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আল এমরান, মাঈন উদ্দিন, সৈয়দ মো. মোস্তফা প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নিউইয়র্কের বাণিজ্য মেলায় ৫ লাখ ডলার বাণিজ্যের সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে শেষ হলো দুইদিনব্যাপী বাংলাদেশ অভিবাসী দিবস এবং বাণিজ্য মেলা। ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এবং মুক্তধারা নিউইয়র্কের এই আয়োজনে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নিউইয়র্কে সকাল থেকে বৃষ্টি এবং ঝড়ো হওয়ার মধ্যেও অংশ নেন অসংখ্য বাংলাদেশি অভিবাসী।
দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি দল, ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা আশা করছেন এই আয়োজনে অন্তত পাঁচ লাখ ডলারের বাণিজ্য হবে।
২২ সেপ্টেম্বর এ আয়োজন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সমাপনী দিনে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেয় আয়োজক সংগঠক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দীনের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
আয়োজক সংগঠন ইউএসএ-বিডি বিজনেস লিংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী বিশ্বজিত সাহা অনুষ্ঠান সঞ্চালনার সময় এ আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।

সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে আমরা নিউইয়র্ক স্টেটের কাছে আবেদন করি, দিনটিকে বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। স্টেট সিনেটর স্টেভেসকি আবেদন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। সেই থেকে আমরা দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধি দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও নানা পেশাজীবী মানুষদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাণিজ্যমেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
অভিবাসী ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত করা, তাদের সমস্যা এবং সুবিধার কথা আলোচনা করার জন্য এমন আয়োজন সুযোগ তৈরি করে দেয় । তাতে করে সমস্যাগুলোর সমাধানের সূত্রপাত করা যায়।
প্রথম দিন মেলা উদ্বোধন করার পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। এই আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক শক্ত হলো। কিভাবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করা এখন আরো সহজ হবে।
আয়োজক সংগঠন গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জেফি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে আট বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এটা আরো বাড়ছে। দিনদিন দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল ও আইসিটি পণ্য আমদানি করার বিষয়টি উঠে আসছে এই আয়োজনে। এই আয়োজনের মাধ্যমে অন্তত পাঁচ লাখ ডলারের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান হবে বলে আমরা আশা করছি। এ বাণিজ্য মেলায় যারা অংশ নিয়েছেন অথবা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের ব্যবসায়িক পণ্য আমাদের ৩৫ হাজার উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেব।
এ আয়োজনের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি ও সিইও শাহ এ সারওয়ার বলেন, আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পেশাজীবী বিষয় নিয়ে নয়টি সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকারের প্রতিনিধি দল। আমরা চাই এমন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবাহ বাড়ুক।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, এখানকার আলোচনায় প্রবাসীদের জন্য যে সব সমস্যা চিহ্নিত হবে তা সমাধানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে আলাপ করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান আলোচনা পর্বে নানান সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেন। তিনি বলেন, আমেরিকা ও বাংলাদেশের শতাধিক স্টল এখানে অংশগ্রহণ করেছে। আয়োজনটি ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি তরুণ উদোক্তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে হবে এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
এ আয়োজনের আহ্বায়ক ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা বিশ্ব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স গ্রহীতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। হয়েছে রেমিট্যান্স বিষয়ক পৃথক মেলা ও সেমিনার। সর্বোচ্চ ১০ জন রেমিট্যান্স প্রেরককে বিশেষ সম্মাননা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোতে অভিবাসীদের সহযোগিতা করার জন্য সোনালী এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস, প্লাসিড এক্সপ্রেস এবং সানমান গ্লোবাল এক্সপ্রেসকে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।
বাংলাদেশ অভিবাসী দিবস এবং বাণিজ্য মেলা উদযাপন উপলক্ষে গ্লোবাল বিজনেস নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। ম্যাগাজিনের নির্বাহী সম্পাদক নুরুল বাতেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব অতিথির হাতে এটি তুলে দেন। মেলায় ফ্যাশন শো-র মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার বাংলাদেশি পোশাক প্রদর্শন করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল শুরু

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিব’স বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরেরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক বৈচিত্র অন্য দেশের বৈচিত্র থেকে অনন্য। আমাদের দেশে যে ছয় ঋতুর বিবর্তন ঘটে, সেটিও অন্য দেশের তুলনায় আকর্ষণীয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ পর্যটনের অনন্য ডেস্টিনেশন। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরে দেশে-বিদেশে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সেন্টমার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আগামীতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেও প্লাস্টিক ফ্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। আমি আশা করি, সরকারের সব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমরা সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে এর একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে হোটেলের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করে বিদেশি পর্যটকদের আনতে হবে। আমাদের ট্যুরিজমের সকল ঐতিহ্য রয়েছে। এটাকে আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। বিদেশি টুরিস্টরা আমাদের দেশে এসে যে অর্থ ব্যয় করবে, সেটি জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে।
শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কোনো কার্যক্রম নাই। যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম করা যায় তবে বিদেশ পর্যটকরা আরো বেশি পরিমাণে আগ্রহী হবে। ঢাকা সিটিতে পর্যটকদের জন্য বাস ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে করে বিদেশি পর্যটকরা একটি ট্যুরের মাধ্যমে ঢাকা সিটির ঐতিহ্যগুলো দেখতে পারবে। পুরান ঢাকার জন্য একটি রুট, নতুন ঢাকার জন্য একটি রুট, নদী পথেও একটি ট্যুরের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য অনেক কার্যকর হবে।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জিডিপির ১০ ভাগ পর্যটন খাত থেকে আসে। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক আলোচনায় আসে। তিনি ওই সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিন একদিন থেকে বাড়িয়ে দুদিন নির্ধারণ করেন। সেই দুদিন ছুটি থেকে পর্যটন খাতে মানুষের যে আগ্রহ তৈরি হলো সেটি কিন্তু এখনো মানুষ ধরে রেখেছে। শুধুমাত্র ছুটির দিন ঘোষণা করলে পর্যটন হবে না। পর্যটনের জন্য অনেক কর্মকাণ্ড তৈরি করতে হয়। পর্যটনে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন থেকে একটু বৈচিত্র্য চায়। মানুষকে সেই ব্যবস্থাটা করে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পর্যটনের সহায়তা করার জন্য প্রত্যেকটি জেলা পরিষদ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। যদি কোন জেলা প্রশাসক অসহযোগিতা করেন তবে সেটি মন্ত্রিপরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, পরিচালক জামিল আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)। চারদিনব্যাপী আয়োজিত এই ফেস্টিভ্যাল ২৭-৩০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারীরা। দেশব্যাপী পর্যটনের বিভিন্ন অফারও আয়োজন আছে এ উৎসবে। চারদিনব্যাপী আযোজিত বাংলাদেশ ফেস্টিভালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্রান্ডিং এর আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনির ২৬টি, এয়ারলাইন্স দুটিসহ বিনোদন পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এ উৎসবে আয়োজন আছে বিভিন্ন দেশের খাবারসহ বাংলাদেশের অথেন্টিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের। দেশি-বিদেশি ইউনিক খাবার সম্পর্কে জানার ও উপভোগ করার সুযোগ আছে এ উৎসবে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে আছে জামতলার সাদেক গোল্লা, নকশি পিঠায় নরসিংদি জেলা, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুষ্টিয়ার কুলফি, পুরান ঢাকার হাজীর বিরিয়ানি, বাকরখানি, মুক্তাগাছার মন্ডা, চট্টগ্রামের মেজবান, খুলনার চুইঝাল, বিসমিল্লাহর কাবাব, কুমিল্লার রসমালাইসহ ৬৪টি জেলা থেকে ৭০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী ফুড স্টল। এ উৎসবে তাঁত, জামদানি তৈরীর প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ রয়েছে। আমাদের ঐতিহ্য মসলিন পুনরুদ্ধার হওয়ার গল্প এবং মসলিন তৈরীর প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হচ্ছে।
দর্শনার্থীদের তাদের আকর্ষণীয় ট্যুর প্লান তৈরি করতে এ উৎসব সহায়তা করবে। তারা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাকীর্তি, পর্যটন সম্পদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি জেলার পর্যটন আকর্ষণের ছবি দেখার সুযোগ পাবেন।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটক ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা, আবাসন, এভিয়েশন পর্যটন খাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা এবং পর্যটনশিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, প্রত্নপর্যটন, খাদ্যপর্যটন, পর্যটন ও এভিয়েশন সাংবাদিকতা, প্লাস্টিক ফ্রি সেন্টমার্টিনের বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। চারদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আছে গম্ভীরা, সিলেটের আঞ্চলিক গান, গাজী কালুর পট, পথ নাটা, বাউল গান, পুথি পাঠ, কাওয়ালী এবং বিশিষ্ট শিল্পীদের গানের আয়োজন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। এ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাক শিল্পের সার্বিক অবস্থা’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে এসেছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যাল্যুতে কমেছে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে পরিমাণের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ কমেছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ পরিমাণের দিক থেকে এই সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এক তৃতীয়াংশ কমেছে। আর একই সময়ে ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। পাশাপাশি পরিমাণ অনুযায়ী সমগ্র বিশ্ব থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমাদের প্রধান দুটি বাজার হলো উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ। এই বাজার দুইটিতে আমাদের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ হয়। এ বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে আমাদের শিল্পে। আমরা এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ২০১০ সাল থেকে আমরা ক্রমাগত এই কাজটি করে আসছি। সর্বশেষ আমরা অস্ট্রেলিয়ায় দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট করেছি। সেখানে আমরা আমাদের শিল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেছি। আমরা আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের রপ্তানিতে নতুন গতি সঞ্চার হবে। আমরা আরও অনেক অপ্রচলিত বাজার নিয়ে কাজ করছি, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব এমনকি ইরাক। বর্তমান এই সংকটময় সময়ে নতুন বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আমাদের সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ব অর্থনীতি এক নজিরবিহীন সময় অতিক্রম করছে। শতাব্দীর ভয়াবহ বিপর্যয়, কোভিড মহামারির ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে উৎপাদনকারী বা ক্রেতা, আমরা যে অবস্থানেই থাকি না কেন, সবাই একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

মূলত জ্বালানি তেল ও খাদ্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন যে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন উন্নত দেশগুলো সংকোচনশীল মুদ্রানীতি নিয়েছে। তারা ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা ভোক্তাদের আয়-ব্যয় এবং পণ্যের চাহিদায় বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ক্রেতারা এখন পোশাক কিনতে ব্যয় কমিয়ে খাদ্য ও জ্বালানির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে আমাদের পণ্যের খুচরা বিক্রয় কমে গেছে। ফলে প্রধান বাজারগুলোর পোশাক আমদানি কমে এসেছে।
পোশাকখাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এই বছরে পুনঃনির্ধারণের জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ন্যূনতম মজুরি বোর্ড এখন পর্যালোচনার জন্য কাজ করছেন। বোর্ড ইতোমধ্যে কয়েকটি সভা করেছেন এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ধারণা করছি এবছর শেষ হওয়ার আগেই একটি নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। এর ফলে আমাদের খরচ কিন্তু আরও বাড়বে।
অর্থসংবাদ/এসএম