খেলাধুলা
বিশ্বকাপের আরও সাড়ে চার লাখ টিকিট ছাড়বে ভারত

বিশ্বকাপের টিকিট যেন সোনার হরিণ। বিক্রি শুরু হতে না হতেই শেষ বেশিরভাগ ম্যাচের টিকিট। ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে ফিরে এসেছেন অনেকেই ফিরে এসেছেন ব্যর্থ হয়েছেন। তবে, তাদের জন্য এবার নতুন আশার বাণী নিয়ে হাজির হয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন করে টিকিট ছাড়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার বোর্ড ঘোষণা করেছে, সব মিলিয়ে চার লক্ষ টিকিট ছাড়া হবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করার পর নতুন করে আরও চার লক্ষ টিকিট বাজারে ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে। আরও বেশি সমর্থককে মাঠে বসে এই প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্বের সমর্থকেরাই টিকিট কাটতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার, অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে আবার টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট অপশনে গিয়ে সিলেক্ট করলেই আবার নতুন করে টিকিট কাটতে পারবেন সমর্থকেরা। তবে কোন ম্যাচের জন্যে কত টিকিট ছাড়া হবে তা এখন পর্যন্ত জানাননি ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা।
বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই ছিল একাধিক বিতর্ক। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ যে সংস্থা টিকিট বিক্রি করছে, তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে টিকিট কাটতে না পারার অভিযোগ এসেছে।
সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম উঠেছে ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ১৯ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচের টিকিটের দাম ছিল নয় লাখ টাকার বেশি। অনলাইনে যে সব টিকিট কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল, সেই টিকিটগুলোই অন্য একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এসব অ্যাপে টিকিটের দাম সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের নাগালের বাইরে। এসব বিতর্ক এড়াতেই হয়ত এবার নতুন করে টিকিট ছাড়ার ঘোষণা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
সাকিবের চোট গুরুতর নয়, খেলবেন প্রথম ম্যাচ

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বড় ধাক্কা বাংলাদেশ শিবিরে। গুয়াহাটিতে প্রস্তুতি ম্যাচে টস করতে দেখা গেল মেহেদি হাসান মিরাজকে। পরে জানা যায়, আচমকা চোটে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও অনিশ্চিত সাকিব, এমনটাও শোনা গিয়েছিল।
গুয়াহাটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগের রাতে ফুটবল খেলতে গিয়েই নাকি বাঁ পায়ে ব্যথা পেয়েছেন সাকিব। তার পা অনেকটাই ফুলে গেছে বলে খবর এসেছে। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি সাকিব।
এ ছাড়া ম্যাচ শুরুর পর ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিকও জানান, অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পাওয়াতেই এই ম্যাচে মাঠের বাইরে সাকিব। এতসবের মাঝে আজ শনিবার এসেছে নতুন খবর। ২য় প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন টাইগার অধিনায়ক।
দেশের এক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের ২য় প্রস্তুতি ম্যাচেও থাকছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হালকা চোটের কারণে সতর্কতা হিসেবেই নিজেকে ২য় ম্যাচ থেকে সরিয়ে রাখছেন সাকিব।
অফিশিয়াল ঘোষণা না আসলেও জানা গেছে, সাকিবের চোট তেমন গুরুতর নয়। খেলতেন পারবেন প্রথম ম্যাচ থেকেই।

স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেও দেখা যাচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। এখনও সময় রয়েছে প্রায় ৮ দিন। চোটের ধরন ও সময় বিবেচনা করলে বোঝা যায় এই সময়ের মধ্যে মাঠে নামতে পূর্ণ ফিট হয়ে মাঠে নামার কথা সাকিবের।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিবের মন্তব্যের জবাব দিলেন নাফিস ইকবাল

২৬ সেপ্টেম্বর সকালেও লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন নাফিস ইকবাল। সেদিন নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছিল সাকিব আল হাসানের দল। মিরপুরে সেই ম্যাচ চলাকালেই ড্রেসিংরুম ছেড়ে বাসায় চলে যান নাফিস। এবার সেই ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখা দিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
মূলত বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে ভারত সফরের পরিকল্পনায় না রাখার কারণেই দল ছেড়ে চলে যান নাফিস। তার এ ঘটনার সঙ্গে তামিম ইকবালের সাম্প্রতিক ঘটনার কোনো মিল নেই বা যোগসূত্র নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাফিস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় আমার জাতীয় দল ছাড়ার পদক্ষেপটি আবেগের বাইরে ছিল৷ কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের দিন সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল, আমি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে টিম ম্যানেজার হিসেবে থাকব না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আমারও আত্মসম্মান আছে।’
আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ৬/৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।-যোগ করেন নাফিস।
‘সেদিন আমি বিসিবির সব রকম নিয়ম ও আচরণবিধি পুরোপুরি মেনেছি। মাঠে আসার আগে আমি বিষয়টি সবার আগে প্রধান কোচকে জানিয়েছি এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিশিয়ালদেরও জানাই।’

‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, সেদিন কোনো কাজই অর্ধেক সম্পন্ন করা হয়নি, যেমন ম্যাচের খেলোয়াড় তালিকায় সই করা, নিউজিল্যান্ড সিরিজে হিসাব বিভাগের কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানো এবং বিশ্বকাপের জন্য আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছি।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এমন সব মুহূর্তে সম্মান প্রাপ্য এবং আসল ঘটনা না জেনেই মন্তব্য করা ঠিক না।’
‘নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সৎ ছিলাম। আমি নিশ্চিত করছি নিজের সেরাটাই দেব এবং সব সময় এটাই করব।’
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অধিনায়কত্ব কবে ছাড়বেন, জানালেন সাকিব

গত ১১ আগস্ট তৃতীয় দফায় ওয়ানডে অধিনায়কত্বের ভার নেন সাকিব আল হাসান। তখনই বলা হয়েছিল, সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ ও ভারত বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। গতকাল সাকিব জানালেন, বিশ্বকাপ শেষেই নেতৃত্ব ছাড়বেন তিনি।
দেশের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এই বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও (অধিনায়কত্ব) করবো না। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে চাইনি।’
‘আর কোনে কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনো ভেল্যু এড করতেছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না।’-আরও যোগ করেন সাকিব।
এর আগে হঠাৎ করেই নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল। সামনেই ছিল এশিয়া কাপ। ফলে সাকিব ছাড়া ভরসা করার মতো কেউই ছিল না দলে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না! আমি কখনও ভাবিও নাই কেউ ওই সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে! তারপর আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো! আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই! আমার কিছু বলার ও ছিল না! কারন পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে! আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি! এইসব হাস্যকর কথা! মানুষের সাইলকোলজি এমন কেনও! আমি কিছু জানি না! তাও আমার দোষ দেওয়া হয়েছে!’

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপের দল থেকে কেন বাদ তামিম, জানালেন ভিডিও বার্তায়

আগে থেকে কিছুটা ইঙ্গিত থাকলেও তামিমকে ছাড়াই যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল গড়া হয়েছে সেটি ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছিল না। দল ঘোষণার আগে তাহলে কী ঘটেছিল তামিম ইকবালের সঙ্গে, কী-ই বা শর্ত দেওয়া হয়েছিল বিসিবির পক্ষ থেকে— সামাজিক মাধ্যমে এসব বিষয়ে নানা গুঞ্জন-আলোচনা চলছিল গতকাল থেকে। এসব বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে বিকেলে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেবেন বলে আজ সকালে ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সেই বার্তা পায় দেশবাসী।
নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তামিম ইকবাল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয়, সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।’
এরপর ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তাও পরিষ্কার করে দেন তামিম, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি ফিট, কোনো সমস্যা নেই। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।’
কিউইদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রেস্ট নেওয়ার বিষয়ে দেশসেরা ওপেনার বলেন, ‘শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারব— এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলব বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারব। এটা মিথ্যা। জানি না কীভাবে এটি মিডিয়াতে ছড়ানো হয়েছে। শুধু তিন নির্বাচককে জানিয়েছিলাম আমি পুরোপুরি ফিট না, দল ঘোষণার সময় যেন তারা এটি মাথায় রাখেন।’
‘আমি নিশ্চিত কালকে নান্নু ভাইও কথাটা ক্লিয়ার করেছেন। আমি জানি না এই কথাটা মিডিয়াকে খাওয়ানো হলো কীভাবে বা কে করেছে এটি, কিন্তু এই জিনিস একদমই মিথ্যা। যে জিনিস আমি নির্বাচকদের বলেছিলাম যে আমার শরীর এরকমই থাকবে। এখন যেরকম অবস্থায় আছে। আমার ব্যথা থাকবে। আপনারা যখন দলটা নির্বাচন করবেন, তখন এটা মাথায় রাখবেন।’

তামিম আরও বলেন, ‘আমি কোনো কন্ট্রোভার্সি চাইনি। বিশ্বকাপের মাঝেও যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তাই যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম।’
বিসিবির পক্ষ থেকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে জানান তামিম, ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললেন, ‘তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না। “আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তো কী কারণে খেলব না?” তখন বললো, “আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।”
‘তাদের প্রস্তাব শুনে আমি তো অবাক, জিজ্ঞেস করলাম এটা কোন ধরনের কথা। এরপর বলা হলো মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানোর কথা। অথচ আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে খেলে আসছি। আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে, ইচ্ছে করে।’
এখন নতুন আরেকটা জিনিস বলি, এটা আমি অনুভব করেছি… এসব নোংরামি, আমি কোনো নোংরামির মাঝে থাকতে চাই না। এরপর ব্যক্তিগত নানা জায়গা থেকেও আমাকে এসব কথা বলা হলো— যোগ করেন তামিম।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ খেলতে টাইগারদের ঢাকা ত্যাগ

বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করলো বাংলাদেশ দল। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্ব) বিকেল ৪টার ফ্লাইটে গুয়াহাটিতে রওনা করেছেন সাকিব আল হাসানরা। দেশ ছাড়ার আগে টাইগার ক্রিকেটাররা হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সেরেছে।
দলের সঙ্গে বেশ প্রাণোচ্ছ্বল সাকিবকেই দেখা গেছে। শরীফুল-মিরাজদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মাততে দেখা যায় টাইগার অধিনায়ককে। দলের কোচিং স্টাফসহ অন্যরাও ছিলেন এ সময়। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপের জন্য টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।
দেশ ছাড়ার আগে সংবামাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেছেন, ‘এক্সাইটিং একটা ক্রিকেট টিম। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারুণ্য আছে। একটা কথা সিনিয়র খেলোয়াড়েরাই বলছিল, এখন না পারলে কখন! আমিও মনে করি, এখন না পারলে কখন। এটাই আমাদের হাই টাইম।’
এরপর দেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে দোয়াও চেয়েছেন সাবেক এই টাইগার ক্রিকেটার, ‘বাংলাদেশ যখন খেলে, সারা দেশ খেলে। সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। অনেকে নামাজ পড়েন, দোয়া করেন। সেটাই থাকুক। আমাদের প্রতি বিশ্বাসটা থাকুক। অনেকে বলবে, অনেক ছোট ছেলে যাচ্ছে, ইয়াং নেম। কিন্তু এদের ভালো করার সামর্থ্য আছে বলেই নির্বাচকেরা ওদের নিয়েছে। আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যে ১৫ জনকে নেওয়া হয়েছে এরাই সেরা দল। এটাই মানতে হবে। আস্থা রাখতে হবে। দেশবাসীকে এটাই বলব।’
ভারতের মাটিতে আগামী ৫ অক্টোবর পর্দা উঠছে ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসরের। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আরও দুদিন পর, ৭ অক্টোবর। ধর্মশালায় তাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। তার আগে ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) গুয়াহাটির বারসাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। ওই ম্যাচের আগে শুধুমাত্র একটি দিন হাতে পাচ্ছে টাইগার ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে একই স্টেডিয়ামে ২ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।