আন্তর্জাতিক
আগস্টে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে (মেনা) স্টার্টআপ উদ্যোগগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। খাতটির ক্রমবর্ধমান সফলতায় আকৃষ্ট হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ভেঞ্চার ডাটা রিসার্চ ফার্ম ম্যাগনিটের মতে, গত আগস্টে মেনা অঞ্চলে স্টার্টআপগুলো ১৮টি চুক্তির মাধ্যমে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে। একই সময়ে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পাকিস্তান অঞ্চলে ৪৬টি চুক্তির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছে। খবর আরব নিউজ।
আগস্টে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পাকিস্তান মিলিয়ে প্রতি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের দুটিই মেনায় অবস্থিত, যা বিশ্বব্যাপী স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে তুলে ধরেছে। তবে গত বছরের তুলনায় বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও পাকিস্তানে প্রাথম ছয় মাসে ১৯৩টি চুক্তির মাধ্যমে ১১০ কোটি ডলার পুঁজি এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ কম। বিনিয়োগ পতনের পরও সার্বিকভাবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর্থিক মন্থরতার কারণে বেশ্বিক বিনিয়োগ ৫২ শতাংশ কমে গেছে।
যদিও মেনার লেনদেন ৪৯ শতাংশ কমে গেছে, যা আন্তর্জাতিক ২৫ শতাংশ লেনদেন কমার তুলনায় বড় পতন। প্রতিবেদনটিতে খাতভিত্তিক পারফরম্যান্স সম্পর্কেও তথ্য প্রকাশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, চুক্তির সংখ্যায় বছরে ৫১ শতাংশ পতন সত্ত্বেও আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। ই-কমার্স ও খুচরা ব্যবসায় সৌদি আরবের ‘নানা অ্যান্ড ফ্লোওয়ার্ড’ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে খাতটিতে আসা মোট অর্থায়নের ৮০ শতাংশই করেছে নানা অ্যান্ড ফ্লোওয়ার্ড।
অন্যদিকে, পরিবহন ও লজিস্টিক খাত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। খাতটিতে প্রায় ৯০ শতাংশ তহবিল সংকুচিত হয়েছে। তথ্য বলছে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় চুক্তির সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। সামগ্রিকভাবে মেনার স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ফিনটেক ও ই-কমার্সের মতো খাত। আগস্টে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্থান এ অঞ্চলের বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী করে তোলে।
পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মালিকানাধীন ফার্ম জাদা ফান্ড অব ফান্ডস কোং জিসিসি অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আলিফ ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সৌদি আরবের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর পরিসর বাড়াতে এ ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করা হবে। জানা গেছে, আবুধাবি গ্লোবাল মার্কেটে অবস্থিত বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক আলিফ ক্যাপিটাল ২৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ এনে দেবে। জিসিসিভুক্ত অঞ্চলে উচ্চমানের ও মাঝারি ধরনের গুলোকে এ তহবিল দেবে আবুধাবি ডেভেলপমেন্টাল হোল্ডিং কোং। মূল্য সৃষ্টি ও ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর জোর দেয়ার মতো আলিফের কৌশলগুলোর সঙ্গে জাদার লক্ষ্যগুলোর মিল রয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
পাইলটদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করবে এয়ার ইন্ডিয়া

পাইলটদের প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়াতে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রসারণের অংশ হিসেবেই কেবিন ক্রু, প্রকৌশলী ও বিমানবন্দর কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ইঙ্গিত করে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাম্পবেল উইলসন বলেন, ‘২০ কোটি ডলারের এ বিনিয়োগ কেবল এয়ার ইন্ডিয়ার সক্ষমতাই বাড়াবে না, বাড়াবে অন্যদের ক্ষেত্রেও।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়া ৭ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে নতুন ৪৭০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করে বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে। এর বাইরে নেটওয়ার্কে নতুন গন্তব্য যুক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি উড়োজাহাজ ভাড়া করছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ১১টি উড়োজাহাজ ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাদের মধ্যে ছয়টি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। বাকি পাঁচটি যুক্ত হবে ২০২৪ সালের মার্চে।
টাটা গ্রুপ অধিগ্রহণ করে নেয়ার পর পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া নতুন লোগো উন্মোচন করে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনা সাফল্যের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় কোম্পানি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের এ সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার টানাপড়েন স্পষ্ট। পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় দূরত্ব বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের খবরে এটিকে অকপট ও বাস্তবসম্মত আলোচনা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইইউর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসও এ আলোচনা নিয়ে আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ইইউ কোম্পানিগুলো চীনের সাফল্যের গল্পের অংশ হতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় ব্যয় করার তাৎপর্য রয়েছে।’
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সরবরাহ চেইন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফাং বলেছেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে তার দেশ প্রস্তুত। এ আলোচনা উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেবে বলেও মত দেন তিনি।
হি লাইফাং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’
এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে মরক্কো

ষাট বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোর উপদ্রুত অঞ্চল। ৮ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটন খাত। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে খাতটিতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সমুদ্রসৈকত ও থিম পার্কের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের দেয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। খবর দ্য ন্যাশনাল।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মরক্কান এজেন্সি ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের প্রধান ইমাদ বাররাকাদ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশটি পর্যটন খাতে বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়। বর্তমানে মরক্কো প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায়, যার ৮০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ ও ২০ শতাংশ বিদেশী।
বিনিয়োগকারী আকর্ষণে পর্যটন খাতে মূলধন ব্যয়ের বিপরীতে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দেবে মরক্কো।
মরক্কো পর্যটন খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায়। খাতটি থেকে বৈদেশিক আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দেড় গুণ। পুরো পরিকল্পনাটি ২০২৩-২৬ কৌশলপত্রের অন্তর্ভুক্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০০

ইরাকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বর এবং কনেও রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নিনেভেহ প্রদেশের আল হামদানিয়া জেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কী কারণে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আতশবাজি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ইরাকের বার্তা সংস্থা নিনা একটি ছবি পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা সামাজিক মাধ্যমে যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে পুড়ে যাওয়া ইভেন্ট হলের ধ্বংসাবশেষ এবং সেখানকার পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে নিনার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা দাহ্য প্যানেল সম্ভব আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, স্বল্পমূল্যের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইভেন্ট হলের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
বুধবার সকালেও সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। জীবিতদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। সে সময় শত শত মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করছিলেন।

প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হামদানিয়া শহরের একটি হাসপাতালে আহতদের রক্ত দিয়ে সহায়তা করতে অনেক মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আগস্টে বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন বেড়েছে ২.২ শতাংশ

ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে। গত আগস্টে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। গত আগস্টে মোট ১৫ কোটি ২৬ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন গতকাল মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে বিশ্বে মোট ১২৫ কোটি ৬৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। বিশ্বের মোট ৬৩টি দেশ মিলে এ পরিমাণ ইস্পাত উৎপাদন করেছে।
পরিমাণগত দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী অঞ্চল এশিয়া ওশেনিয়া। আগস্টে অঞ্চলটি ১১ কোটি ৫৭ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অঞ্চলটির মোট উৎপাদন ৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে আগস্টে আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোয় উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় অঞ্চলটিতে গত মাসে উৎপাদন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অঞ্চল হিসেবে গত মাসে এটিই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আগস্টে ১৫ লাখ টনসহ চলতি বছরের প্রথম আট মাসে মোট ১ কোটি ৬ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে।
ওয়ার্ল স্টিলের তথ্য মতে, চীন একই সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী। আগস্টে দেশটি ৮ কোটি ৬৪ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় চীনে উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ২৯ লাখ টনে।

দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ ভারত আগস্টে ১ কোটি ১৯ লাখ টন উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ বছরের প্রথম আট মাসে দেশটির মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২২ লাখ টনে।
তবে জাপানের উৎপাদন গত বছরের আগস্টের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক দেশটির গত আগস্টে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭১ লাখ টন। আর আট মাসের মোট উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ৮৪ লাখ টন।
উৎপাদনে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। গত বছরের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের একই মাসে দেশ দুটি যথাক্রমে ১ দশমিক ১ ও ৮ দশমিক ৯ শতাংশ উৎপাদন বাড়িয়েছে। গত আগস্টে দেশ দুটির উৎপাদন ছিল ৭০ লাখ টন ও ৬৪ লাখ টন। আর আট মাসের মোট উৎপাদন ৫ কোটি ৩৮ লাখ টন ও ৫ কোটি ৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণে যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ ও রাশিয়া পঞ্চম স্থান দখল করে আছে।
এছাড়া তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ৫৬ লাখ, জার্মানি ২৮ লাখ, তুরস্ক ২৮ লাখ, ব্রাজিল ২৭ লাখ ও ইরান ১৬ লাখ টন উৎপাদন করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ পাঁচ দেশেরই উৎপাদন কমেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম