জাতীয়
নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন এবং যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ বলেন।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি পুরোনো প্রতিষ্ঠান। আমরা বিভিন্ন নির্বাচন, ঈদযাত্রা, পূজাসহ সব ধরনের উৎসব উদযাপনের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমাদের দেশে এক সময় একটা জঙ্গিবাদের তৎপরতা লক্ষ্য করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে কারণে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যখনই তারা মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তখনই আমরা আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
পরিদর্শনকালে আইজিপির সঙ্গে ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
কাল জাতিসংঘে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে আগামীকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরবেন।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সপ্তদশবারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।
এ বছরের ইউএনজিএ’র মূল প্রতিপাদ্য হলো : ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান।

তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর শেষ করে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং অবশেষে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অক্টোবরে আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড়ও করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ঋণের শর্ত কতটা পূরণ হলো, তা দেখতে আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে ঢাকা সফর করবে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
সফরকালে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিবিএসসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বসবে আইএমএফ। জানা গেছে, পুরো বিষয়টি সমন্বয় করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলটি আগামী ৫ অক্টোবর দিনব্যাপী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস নীতি শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। ৯ অক্টোবর বৈঠক হবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে। বৈঠকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
জানা গেছে, আইএমএফকের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের কী জবাব হবে, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়৷ এতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, জ্বালানি বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সংস্থাগুলো আইএমএফকে তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের এই আন্তঃসভায় উপস্থিত ভ্যাটের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভ্যাট আদায়ের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। এসময় অর্থবিভাগ থেকে ভ্যাট অটোমেশন, ইএফডি মেশিন বসানোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভ্যাট থেকে জানান হয়, তারা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে রাজস্ব আদায় বাড়াতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে কিছু খাতের ভ্যাট অব্যাহতি তুলে দিয়েছে ভ্যাট বিভাগ। এছাড়া নতুন কিছু খাতে ভ্যাট আরোপ করেছে। বিষয়গুলো আইএমএফকে জানানো হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান বিজিএমইএর

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে আগামী ডিসেম্বর থেকে ব্র্যান্ডের পোশাকের মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড বর্তমান ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করার জন্য কাজ করছে। বোর্ড ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভা করেছে এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
তিনি বলেন, এ বছরের নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। বেশ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হবে। ন্যূনতম মজুরি বোর্ড একটি স্বাধীন সংস্থা, যেখানে শ্রমিক, মালিক এবং স্বাধীন গোষ্ঠীর সমান প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাই মজুরি বৃদ্ধি সম্পর্কে অনুমান করা আমার পক্ষে কঠিন। কিন্তু আমাদের কর্মীদের জীবনযাত্রার মান এবং ব্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা করে ১ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদিত অর্ডারগুলোর জন্য বর্তমান মূল্য আলোচনায় যুক্তিসংগত মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। এটি একটি নতুন মজুরি স্কেলে একটি মসৃণ রূপান্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসাকে সহজ ও দক্ষ করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই ফলাফল এনেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো ট্রেন এবং স্থল কাস্টম বন্দরে উন্নত গুদামজাতকরণ ক্ষমতা উন্নত বাণিজ্য সরবরাহের জন্য একটি গেটওয়ে খুলে দিয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির জন্য বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশনের নিয়মও মওকুফ করেছে। একই সঙ্গে এফওসি ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানির নিয়ম ৪ মাস থেকে ৬ মাস শিথিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি মেগা অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা এই বছরের শেষ নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছি। আরও সংস্কার ও মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো আগামী দিনে আমাদের ব্যবসায় আরও গতি যোগ করবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০০ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৯৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৬ হাজার ৬২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৩০৭৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৪ জন। ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৩৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ২০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ইসিসচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অফিস সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফর করেন। প্রতিনিধি দলটি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো মূল্যায়ন করে।
ইইউয়ের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। দীর্ঘ সফরে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ধরনের গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করে ইইউ মিশনের এই প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ও দলগুলো অংশগ্রহণ করবে কি না তা জানার চেষ্টা করে।
পর্যবেক্ষক দলটির তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইইউ’র তরফ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ইতোমধ্যে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ইইউ সদরদপ্তর ব্রাসেলস থেকে আজ বা আগামীকালের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসিসচিব জাহাংগীর আলম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মেইলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন।
সেই মেইলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে, তারা গত জুলাই মাসের ৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সভা করেছেন। সেইজন্য তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তবে তাদের ২০০২২-২৩ অর্থ বছরের পূর্ণাঙ্গ টিম পাঠানোর যে আর্থিক বাজেটের বিষয়টি রয়েছে, সেটার কারণে তারা বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ টিম পাঠাতে পারবেন না। আমাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও চিঠিতে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইসিসচিব বলেন, তারা আমাদের দেশে এসেছিলেন, আমাদের দেশের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নির্বাচনের যে সময়, ওই সময়ে তাদের যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এই সমস্ত কারণে তারা পূর্ণাঙ্গ দল নাও পাঠাতে পারে। তবে ছোট টিম আছে, আমাদের দেশে যারা আছেন তাদের দিয়ে করবেন কি না এই বিষয়ে তারা কিছু বলেননি।
জাহাংগীর আলম আরো বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কার কথা জানায়নি। তারা এটাও বলেছেন যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কার কথা চিঠিতে উল্লেখ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংঙ্গীর আলম বলেন, চিঠিতে এই জাতীয় কোনো শব্দের উল্লেখ নাই। বাইরে যদি একটি কথার সাথে ডালপালা মিলিয়ে কেউ যদি বলে থাকে…।
এমন সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসিসচিব বলেন, এটি সিইসি ভালো বলতে পারবেন। আর তারা পূর্ণাঙ্গ কথাটি উল্লেখ করেছেন। কাজেই ছোট দল পাঠাবে, নাকি এই দেশে যারা আছেন তারাই (পর্যবেক্ষণ) করবেন… কেননা, তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। সিইসি আমাকে তাদের মেইলের বিষয়টি জানাতে বলেছেন। আমি সেটুকুই জানি।
জাহাংগীর আলম বলেন, পূর্ণাঙ্গ দল বলতে ২০-২৫ জনের একটি দল, তার সঙ্গে ক্যামেরা, স্যাটেলাইটসহ অনেক আর্থিক ব্যয় থাকে। বাজেট এলে তারা অন্য দল পাঠাবেন কি না; ছোট দল কি না, তাও মেইলে বলেননি। তারা পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবেন না, তা যে বাজেটের জন্য, সেটি বলেছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই