আন্তর্জাতিক
চীনা সরকারি কর্মকর্তাদের আইফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ

সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মীদের অ্যাপলের আইফোনসহ অন্যান্য বিদেশি ব্র্যান্ডের ডিভাইস অফিসে ব্যবহার না করা বা অফিসে না আনার নির্দেশ দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের অ্যাপলের আইফোন এবং অন্যান্য বিদেশি ব্র্যান্ডের ডিভাইস কাজের জন্য ব্যবহার না করার বা অফিসে না আনার নির্দেশ দিয়েছে চীন। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন বেশ কয়েকজনকে উদ্ধৃত করে বুধবার এই তথ্য সামনে এনেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রভাবশালী এই মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কাজের জন্য আইফোন ব্যবহার না করা বা সেগুলো অফিসে না আনার বিষয়ে গত কয়েক সপ্তাহে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের অধস্তনদের এসব আদেশ দিয়েছেন। তবে এই নিষেধাজ্ঞার পরিসর ঠিক কতটা ব্যাপক তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রয়টার্স বলছে, আইফোন ব্যবহারের বিষয়ে চীন সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাটি এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন পরের সপ্তাহে আইফোনের একটি মডেল বাজারে আসার কথা রয়েছে এবং পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন- চীন-মার্কিন উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথে চীনে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এমন বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
অবশ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে অ্যাপল আইফোন ছাড়া অন্য কোনও ফোন নির্মাতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া অ্যাপল এবং চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিসের সঙ্গে এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে আরও মনোযোগী হয়েছে এবং চীনের বাজারে থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন আইন তৈরি করেছে।
চিপ শিল্পসহ প্রযুক্তিখাত নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা বেশ বেড়েছে। গত আগস্ট মাসের শুরুতে মাইক্রোচিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই বেইজিং সেমিকন্ডাক্টর তৈরির প্রধান দুটি উপাদান রপ্তানির ওপর তাদের আরোপ করা বিধি-নিষেধ কার্যকরের উদ্যোগ নেয়।
এর আগে মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তি শিল্পে চীন যাতে খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে চীনের কাছে সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। আর এরপরই চীন গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।
মূলত ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার চিপসহ সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদনে এই দুটি উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর বিশ্বব্যাপী যত গ্যালিয়াম ও জার্মেনিয়াম ব্যবহার করা হয় তার সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ চীন।
এদিকে গত সপ্তাহে চীন সফরের সময় মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো বলেছিলেন, চীন ‘অবিনিয়োগযোগ্য’ হয়ে উঠেছে বলে মার্কিন কোম্পানিগুলো তার কাছে অভিযোগ করেছে। এসব কোম্পানি জরিমানা, অভিযান এবং অন্যান্য পদক্ষেপের দিকেও ইঙ্গিত করেছে যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে ব্যবসা করাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
অবশ্য এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে এবং চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। আর আইফোন নিয়ে চীনের সর্বশেষ বিধিনিষেধটি আগের সেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞারই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের মধ্যে চীন অ্যাপলের অন্যতম বড় বাজার এবং মার্কিন এই সংস্থাটির আয়ের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আসে এশীয় এই পরাশক্তি দেশটি থেকে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
দাবানল মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ছাগল ব্যবহার

দাবানল মোকাবিলায় ব্যতিক্রমী একটি পথ খুঁজে পেয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষ। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার বড় কারণ যে ঝোপঝাড়, সেগুলো পরিষ্কার করতে ছাগলের পাল কাজে লাগাচ্ছে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটি।
সারাক্ষণ পেটভরা ক্ষিদে নিয়ে ঘোরা একপাল ছাগল একদিনে প্রায় এক একর জমি সাফ করে দিতে পারে। তাই দাবানল ছড়িয়ে পড়া কমাতে দারুণ কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব উপায় এটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহতম দাবানলের ঘটনাগুলো ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ১৯৮০ সালের পর থেকে সেগুলো আরও নিয়মিত, ধ্বংসাত্মক ও বৃহত্তর হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে ছাগল পালনকারী মাইকেল চোই বলেন, আমরা সব জায়গা থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমি যতদূর বলতে পারি, এটি সবার জন্যই জয়।
ছাগল পালন ও সেগুলো লিজ দেওয়া চোই’র পারিবারিক ব্যবসা। তার পালে প্রায় ৭০০ ছাগল রয়েছে। সেগুলো দমকল বিভাগ, স্কুলসহ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ছাগলের সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে তাকে।

চোই বলেন, আমি মনে করি, এই ধারণা এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে মানুষ আরও সচেতন হলে তারা আগাছা পরিষ্কার ও ভূমিকে আগুন থেকে রক্ষার জন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, সে সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠবে। সুতরাং, অবশ্যই (ছাগলের) একটি বড় চাহিদা রয়েছে এবং তা ক্রমেই বাড়ছে।
এই কাজে অতিরিক্ত কোনো পরিশ্রমের দরকার নেই। ছাগলদের কেবল পানি দিলেই চলে। তারা ঘাসযুক্ত সমতল ভূমি কিংবা খাড়া ঢাল, যেকোনো জায়গায় চরতে পারে। ছাগলগুলোকে পাহারা দেওয়ার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করেন মাইকেল চোই।
তিনি বলেন, দমকল বিভাগের যতটা দরকার (মাটি থেকে প্রায় তিন ইঞ্চি পর্যন্ত), ছাগলগুলো প্রায় ততটাই খায়। আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তারা তাদের মলমূত্র ও খুর দিয়ে মাটির উপকারও করে।
২০২১ সালে ‘অভূতপূর্ব’ দাবানলের মুখোমুখি হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়া। গত বছর তা কিছুটা ‘হালকা’ ছিল এবং এ বছরের আগস্ট মাস ছিল গড়ের তুলনায় শীতল ও আর্দ্র। এরপরও সেখানকার বিশাল বনভূমি দাবানলে পুড়ে গেছে এবং তাতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাইলটদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করবে এয়ার ইন্ডিয়া

পাইলটদের প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়াতে ২০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রসারণের অংশ হিসেবেই কেবিন ক্রু, প্রকৌশলী ও বিমানবন্দর কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ইঙ্গিত করে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাম্পবেল উইলসন বলেন, ‘২০ কোটি ডলারের এ বিনিয়োগ কেবল এয়ার ইন্ডিয়ার সক্ষমতাই বাড়াবে না, বাড়াবে অন্যদের ক্ষেত্রেও।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়া ৭ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে নতুন ৪৭০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের চুক্তি করে বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে। এর বাইরে নেটওয়ার্কে নতুন গন্তব্য যুক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি উড়োজাহাজ ভাড়া করছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ১১টি উড়োজাহাজ ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাদের মধ্যে ছয়টি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। বাকি পাঁচটি যুক্ত হবে ২০২৪ সালের মার্চে।
টাটা গ্রুপ অধিগ্রহণ করে নেয়ার পর পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া নতুন লোগো উন্মোচন করে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনা সাফল্যের অংশীদার হতে ইচ্ছুক ইউরোপীয় কোম্পানি

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উদ্বেগের এ সময়ে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার টানাপড়েন স্পষ্ট। পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় দূরত্ব বাড়ছে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনের খবরে এটিকে অকপট ও বাস্তবসম্মত আলোচনা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ইইউর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসও এ আলোচনা নিয়ে আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ইইউ কোম্পানিগুলো চীনের সাফল্যের গল্পের অংশ হতে চায়। ফলে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের সময় ব্যয় করার তাৎপর্য রয়েছে।’
বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্প, সরবরাহ চেইন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লাইফাং বলেছেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে তার দেশ প্রস্তুত। এ আলোচনা উভয় পক্ষের কৌশলগত অংশীদারত্বকে এগিয়ে নেবে বলেও মত দেন তিনি।
হি লাইফাং চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি মনে করেন, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
ইইউ দীর্ঘদিন ধরে চীনে সবার সমান সুযোগ না থাকা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকীকরণের অভিযোগ করে আসছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখনো ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইনের কেন্দ্রে রয়েছে। তবে চীনা অর্থনীতির উত্থান-পতন এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চীনা কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির সঙ্গে ইইউর বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার, যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। পরে ইইউ থেকে আমদানির ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায় বেইজিং। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হি লাইফাং বলেন, ‘চীন আশা করে ইইউ বাণিজ্য প্রতিকার ব্যবস্থা ব্যবহারে সংযম প্রদর্শন করবে।’
এর আগে ইউরোপিয়ান কমিশন ঘোষণা করেছিল, তারা সস্তা চীনা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) আমদানি প্রতিহত করতে শুল্ক আরোপ করবে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করবে। ইভি খাতসহ অন্যান্য খাতেও প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত। তবে প্রতিযোগিতাটি ন্যায্য হতে হবে। চীন তখন এ তদন্তকে সুরক্ষাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে মরক্কো

ষাট বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোর উপদ্রুত অঞ্চল। ৮ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটন খাত। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে খাতটিতে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সমুদ্রসৈকত ও থিম পার্কের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের দেয়া হয়েছে বিশেষ সুবিধা। খবর দ্য ন্যাশনাল।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মরক্কান এজেন্সি ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের প্রধান ইমাদ বাররাকাদ জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশটি পর্যটন খাতে বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়। বর্তমানে মরক্কো প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পায়, যার ৮০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ ও ২০ শতাংশ বিদেশী।
বিনিয়োগকারী আকর্ষণে পর্যটন খাতে মূলধন ব্যয়ের বিপরীতে ৩০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দেবে মরক্কো।
মরক্কো পর্যটন খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে দুই লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায়। খাতটি থেকে বৈদেশিক আয় অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দেড় গুণ। পুরো পরিকল্পনাটি ২০২৩-২৬ কৌশলপত্রের অন্তর্ভুক্ত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০০

ইরাকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বর এবং কনেও রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নিনেভেহ প্রদেশের আল হামদানিয়া জেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কী কারণে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আতশবাজি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ইরাকের বার্তা সংস্থা নিনা একটি ছবি পোস্ট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা সামাজিক মাধ্যমে যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেখানে পুড়ে যাওয়া ইভেন্ট হলের ধ্বংসাবশেষ এবং সেখানকার পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
ইরাকের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে নিনার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পুড়ে যাওয়া ভবনে থাকা দাহ্য প্যানেল সম্ভব আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে। এক কর্মকর্তা বলেন, স্বল্পমূল্যের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইভেন্ট হলের কিছু অংশ ধসে পড়ে।
বুধবার সকালেও সেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। জীবিতদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। সে সময় শত শত মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করছিলেন।

প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর পরই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হামদানিয়া শহরের একটি হাসপাতালে আহতদের রক্ত দিয়ে সহায়তা করতে অনেক মানুষকে জড়ো হতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম